মাথার খুশকি দূর করার ঔষধ - খুশকি দূর করার ভালো শ্যাম্পু

আপনি মাথার খুশকি দূর করার ঔষধ ও শ্যাম্পু ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কেননা অনেকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ঔষধ ব্যবহার করে থাকে। চলুন খুশকি দূর করার ভালো শ্যাম্পু ও ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেকে খুশকি দূর করার জন্য মাথায় ঘরোয়া উপায় হিসেবে সরিষার খৈল ব্যবহার করে যা একদমই ঠিক নয়। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই মাথার খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃমাথার খুশকি দূর করার ঔষধ - খুশকি দূর করার ভালো শ্যাম্পু

খুশকি কেন হয়

খুশকি আসলে কোন রোগ নয়, খুশকি মাথার চুলের নিচে অনেক ময়লা জমে থাকে সেগুলো থেকেই ছত্রাকের সৃষ্টি হয় এবং ছত্রাক এর মাধ্যমে খুশকি হয়। নিম্নে খুশকি কেন হয় বর্ণনা করা হলোঃ

অতিরিক্ত ময়লাঃ চুলে অতিরিক্ত ময়লা জমে সাধারণত যারা বাহিরে কাজকর্ম করে থাকেন। আর এই ময়লার মাধ্যমেই ছত্রাকের সৃষ্টি হয় এবং খুশকি জমে থাকে।

ফাঙ্গাসঃ এক ধরনের ফাঙ্গাস এর কারণে চুলের স্কাল্পে ময়লা জমে থাকে। সেখান থেকেই খুশকি তৈরি হয়। যদি চুল নিয়মিত ভাবে পরিষ্কার না করা হয়, সেক্ষেত্রে এই ফাঙ্গাস সৃষ্টি হয় এবং মাথা অতিরিক্ত ঘেমে গেলেও এই ফাঙ্গাসের সৃষ্টি হয় এবং খুশকি হয়।

মাথায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করার কারণেঃ আপনি যদি মাথায় অতিরিক্ত তেল দেন তাহলে চুলের নিচে ময়লা জমে যায়। আর এই ময়লা থেকে ছত্রাক এর সৃষ্টি হয় এবং ছত্রাকের মাধ্যমে খুশকি হয়।

নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার না করাঃ আপনি যদি নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার না করেন এতে চুলের গোড়ায় ময়লা জমে থাকে এবং খুশকি সৃষ্টি হয়। তাই আপনি মাথার খুশকি দূর করার জন্য ভালো মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

চুল না আচড়ালেঃ আপনি যদি নিয়মিত চুল না আচড়ান তাহলে স্কাল্পের নিচে যে চামড়া গুলো রয়েছে, সেখানে চামড়াতে ময়লা জমে গিয়ে ছত্রাকের সৃষ্টি হয় এবং খুশকি হয়।
খুশকি যুক্ত জিনিস ব্যবহার করাঃ আপনার পরিবারের অন্য কারো যদি খুশকি হয়ে থাকে, তার তোয়াল বা চিরুনি যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে সে ক্ষেত্রেও আপনারও খুশকি হতে পারে।

বংশগত কারণঃ আপনার বংশের মাঝে যদি কারো এ ধরনের খুশকি প্রবণতা বেশি থাকে, তাহলে আপনারও হতে পারে। তাই আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

মানসিক চাপঃ মানসিক চাপের কারণে মাথার স্কাল্পের উপর প্রচুর পরিমাণে চামড়া জমে থাকে সেখান থেকে ময়লা সৃষ্টি হয় এবং খুশকি হতে পারে।

ভিটামিনের অভাবঃ ভিটামিন বি এবং জিং জাতীয় খাবার কম খাওয়ার কারণে মাথার খুশকি হতে পারে। তাই আপনার মাথার খুশকি দূর করার জন্য ভিটামিন বি এবং জিং ট্যাবলেট খেতে পারেন।

পানির সমস্যাঃ যে পানিতে ক্লোরিন বেশি থাকে সেই পানি দ্বারা চামড়া শুষ্ক হয়ে যায় এর ফলে খুশকি বেশি হতে পারে। উপরের আলোচনা থেকে হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে মাথায় খুশকি কেন হয়।

চোখের পাতায় খুশকি দূর করার উপায়

অনেকের চোখের পাতায় বা ভ্রুতে এক ধরনের খুশকি হয়ে থাকে। তাই নিম্নে চোখের পাতায় খুশকি দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

চোখের পাতায় খুশকি হলে অনেক চুলকায় এবং চাকা চাকা হয়ে যায় ওখান থেকে চামড়া উঠতে থাকে। এই ধরনের সমস্যাগুলো হয়ে থাকে এবং প্রচুর পরিমাণে ছোট ছোট গোটা হয় যা সব সময় চুলকায় কিন্তু পাকে না। এ ধরনের সমস্যা সাধারণত গরমে বেশি হয়ে থাকে।

এই ধরনের সমস্যাটির নাম হল সেবোরিক ফলিকোলাইটিস এজন্য পলিটার লিকুইড দিয়ে সপ্তাহে দুইবার পাঁচ মিনিট ব্যাপী ফেনা করে মাথা ও ভ্রু ধুয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি এন্টিফাঙ্গাল ও স্টোরেড সমৃদ্ধ ক্রিম যেমন ফানজিডাল এইচ সি দিনে এক বা দুইবার লাগাতে হবে। এতে উপকার পেলে চিকিৎসা ব্যবস্থাটি কয়েকবার চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

এ ক্রিমের ব্যবহার ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলতে হবে অথবা বন্ধ করে দিতে হবে। এ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটলে ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনি অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোগটা দেখিয়ে তারপরে চিকিৎসা নিবেন। উপরোক্ত ঔষধ গুলো আপনি চোখের পাতায় খুশকি দূর করার উপায় হিসাবে প্রয়োগ করতে পারেন।

খুশকি দূর করার ভালো শ্যাম্পু

খুশকি দূর করার ভালো শ্যাম্পু আপনি অবশ্যই চিকিৎসকের মাধ্যমে পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন। তবে আপনাদের সুবিধার্থে কিছু খুশকি দূর করার ভালো শ্যাম্পু এর নাম নিম্নে দেওয়া হলঃ

খুশকি দূর করার জন্য অনেক এন্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু কতদিন পর এন্টিড্যানড্রাফ ব্যবহার করা যাবে, তা আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। যারা খুব বেশি বাইরে ধুলাবালি পরিবেশে কাজ করে থাকে তাদের প্রতিদিনই প্রায় শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত কিন্তু এতে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।

অনেকে সেটা করতে আগ্রহী হন না তাই এই ক্ষেত্রে প্রথম প্রতিদিন অথবা একদিন পরপর শ্যাম্পু করে খুশকি নিয়ন্ত্রণ এনে পরবর্তীতে প্রয়োজনমতো ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার শ্যাম্পু করা উচিত। কারো কারো ক্ষেত্রে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলেই চলে। তা কি ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন নিম্নে খুশকি দূর করার ভালো শ্যাম্পু গুলোর নাম দেওয়া হল,

প্যান্টিন প্রো ভিঃ এ শ্যাম্পু টা আপনি ব্যবহার করতে পারেন। তবে শ্যাম্পু দিয়ে প্রয়োজনে সপ্তাহের অন্যান্য দিন মাথা ধুয়ে ফেলতে পারেন। যদি শ্যাম্পু দিয়ে প্রতিদিন মাথা ধোয়া প্রয়োজন পড়ে তাহলে সেটাই করতে হবে। মাথায় প্রতিদিন শ্যাম্পু দিলে চুলের ক্ষতি হয় না। এই শ্যাম্পু টি ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

সিলেক্ট প্লাস শ্যাম্পুঃ এটা স্কয়ার কোম্পানি তৈরি করেছে। খুশকি দূর করার ভালো শ্যাম্পু এর মধ্যে এটি একটি অন্যতম। এটি আপনি গোসল করার পূর্বে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট পর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন। এভাবে প্রতি সপ্তাহ তিনবার ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করলে এক মাসের মধ্যে আশা করি খুশকি দূর হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে ব্যবহার করার পূর্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।

কিটোকোনাজলঃ এই শ্যাম্পু অনেক কার্যকরী আপনি গোসলের পূর্বে ১০ মিনিট লাগিয়ে তারপরে ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করলে খুশকি দূর হয়ে যাবে এবং চুলও ভালো থাকবে। এই শ্যাম্পু সাধারণত অনেক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞগণ প্রেসক্রিপশন করে থাকে। যদি এই শ্যাম্পুর তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে হালকা একটু চুলকাতে পারে। যদি কারোর এলার্জি থাকে তবে শ্যাম্পু ব্যবহার করবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।

মাথার খুশকি দূর করার ঔষধ

মাথায় প্রচুর খুশকি বিভিন্ন শ্যাম্পু সাবান ও তেল ব্যবহার করার পরেও আপনার কোন উপকার হচ্ছে না। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় বা মাথার খুশকি দূর করার ঔষধ সম্পর্কে জানতে বিস্তারিত পড়ুন।

খুশকি সম্পন্ন নির্মল করা সম্ভব হয় না। তবে কিছুটা খুশকি দমিয়ে রাখা যায়। বিভিন্ন শ্যাম্পু ও সাবানে খুশকি দূর হবে এমন কোন কথা শতভাগ গ্যারান্টি দিতে পারবেনা। অনেকে তেল ব্যবহার করে খুশকি দূর করতে চায়, কিন্তু এতে অনেক সময় চুল পড়ে যায়।
ছবি
এজন্য আপনাকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে, বিভিন্নভাবে খুশকি নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় যেমন সপ্তাহে এক থেকে দুইবার মাথার খুশকি দূর করার ঔষধ গুলোর মধ্যে অন্যতম পলিটার লিকুইড দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে পারেন। পলিটার লিকুইড মাথায় মেখে ফেনা করে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। যতদিন খুশকি নিয়ন্ত্রণে না আসছে ততদিন পলিটার লিকুইড মেখে যেতে হবে।
কখনো কখনো সপ্তাহে একবার দুবার পলিটার লিকুইড দিয়ে মাথা ধোয়া যথেষ্টই হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে প্যান্টিন প্রো শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। যদি শ্যাম্পু দিয়ে প্রতিদিন মাথা প্রয়োজন পড়ে তাহলে এই শ্যাম্পু মাথা ধুয়ে দিতে পারেন।

এছাড়াও বাজারে আরো অনেক ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায়, আপনি একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে পরামর্শ নিয়ে যেকোনো শ্যাম্পু অথবা ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। 

চুলে খৈল দিলে কি হয়

গ্রাম অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ চুলে খৈল ব্যবহার করে যেটা মোটেও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নয়। তাই চুলে খৈল দিলে কি হয় তা নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ

অনেকেই খুশকি দূর করতে মাথায় খৈল মেখে কিছুক্ষণ পর মাথা ধুয়ে ফেলেন। এতে কি তেমন ক্ষতি বা উপকার আছে অবশ্যই ক্ষতি রয়েছে, কেননা নিজে ডাক্তারি করতে গিয়ে রোগীরা বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে থাকে। তাদের চিকিৎসার জন্য একটি উপাদান হচ্ছে সরিষার খৈল।

সরিষা থেকে তেল বের করার সময় যে বর্জ্য পদার্থ হিসেবে বের হয় তাকে আমরা খৈল বলে জানি। এটি গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গরু খেয়ে থাকে এই খৈল অনেকেই মাথায় ব্যবহার করেন খুশকি দূর করার জন্য। খৈল ব্যবহারের খুশকি দূর হয় এই ধারণা ভুল। খৈল ব্যবহারের কারণে মাথার শুষ্ক খুশকি গুলো ভিজে মাথার ত্বকে লেগে থাকে এবং দেখা যায় না।

আর একে অনেকে খুশকি চলে গেছে। এই বিষয়ে বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন যে, খৈল ব্যবহার কখনোই খুশকি দূর হয় না। খুশকি ও অদৃশ্যমান হয়। দূর হয়েছে বলে মনে করা হয় কিন্তু খুশকির জায়গায় খুশকি ঠিকই থাকে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, চুলে খুশকি বিভিন্ন কারণে হয়, কারণ নির্ণয় করে এই খুশকি দূর করতে হবে।

বিভিন্ন ধরনের খুশকি বিভিন্ন চিকিৎসা রয়েছে। খুশকি সম্পন্ন নিরাময় গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। আর সেটাই আসল কাজ এজন্য এন্টিড্রাই শ্যাম্পু এন্টিফাঙ্গাল প্রিপারেশন ব্যবহার এবং চুল ভেজানা রাখা মাথা পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এই বিষয়ে সঠিক মতবাদ দিতে পারেন।

খুঁজে বের করে খুশকির কারণ ও তার যথার্থ চিকিৎসাও তারা দিয়ে থাকে। কাজেই অযথা মাথায় খৈল এর বোঝা না বাড়িয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। খৈল ব্যবহারে তাৎক্ষণিকভাবে পুলকিত হবেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না। তাই আসুন এই ধরনের অবৈজ্ঞানিক কাজ আমরা করবো না।

খৈল একটা বর্জ্য পদার্থের ময়লা আর ময়লা যদি চুলের ভিতরে গোড়ায় লেগে থাকে তাহলে আরো ছত্রাক বেশি হবে। এবং খুশকি বেশি হবে। আশা করি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন যে চুলে খৈল দিলে কি হয়। অনেক মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

খুশকি দূর করতে মেহেদি পাতা

অনেকেই খুশকির জন্য মাথায় মেহেদি দিয়ে থাকে। অনেকেই প্রশ্ন করেন মাথার খুশকি দূর করতে মেহেদি পাতা দিলে আসলে কি খুশকি দূর হয়, মাথায় খুশকির চিকিৎসায় মেহেদী ব্যবহার করা যাবে বা খুশকি কমবে, উত্তর হ্যাঁ মাথায় মেহেদি ব্যবহার করলে খুশকি কমে যায়।

মাথায় মেহেদি ব্যবহার করার নিয়ম হলো মেহেদি পাতার শুকিয়ে পাউডার করে নিতে হবে তারপর অল্প পানির সাথে মিশিয়ে মাথার লাগানোর পর ৫-৭ মিনিট তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে। তারপর সাবান দিয়ে বা শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে একবার করে তিন মাস ব্যবহার করলে আশা করা যায় খুশকি কমে যাবে।

তাই আপনি মাথার খুশকি দূর করার ঔষধ হিসেবে ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে মেহেদী ব্যবহার করতে পারেন। কেননা খুশকি দূর করতে মেহেদি পাতা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে কখনোই বাজার থেকে আপনি ভেজাল যুক্ত মেহেদির গুড়া কিনবেন না। প্রাকৃতিক গত ভাবে আপনার বাসায় অথবা প্রতিবেশীর যদি মেহেদী গাছ থাকে সেখান থেকে আপনি পাতা সংগ্রহ করে শুকিয়ে তারপরে মাথায় লাগাবেন এতে আপনি উপকার পাবেন।

মাথার খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায়

মাথার খুশকি দূর করার জন্য মানুষ অনেক কিছুই ব্যবহার করে থাকে। তবে আপনি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে অবলম্বন করলে অনেক উপকার পাবেন। নিম্নে মাথার খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলোঃ

নারিকেলের তেলঃ নারিকেলের তেলে যে উপাদান রয়েছে তা মাথার খুশকি দূর করতে অনেক সহযোগিতা করে। তাই আপনি গোসল করার পূর্বে অল্প কিছু নারিকেল তেল নিয়ে মাথায় দিয়ে এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু বা কন্ডিশন দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করতে থাকেন ভালো ফলাফল পাবেন।
ছবি
লেবুর রসঃ লেবুতে এক ধরনের অ্যাসিড থাকে যা ময়লা দূর করতে পারে। তাই আপনার মাথার খুশকি দূর করার জন্য দুই চামচ লেবুর রস নিয়ে চুলের গোড়াতে ভালো করে ঘষতে থাকুন। এরপরে অল্প কিছু লেবুর রস ও পরিমান মত পানি মিশিয়ে সে পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন করতে থাকুন আশা করি খুশকি দূর হবে।

মেথি ও তেলঃ মাথার খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে অন্যতম হলো মেথি ও তেল ব্যবহার করা। কারণ মেথি ও তেলে অনেক গুনাগুন রয়েছে। বিশেষ করে নারিকেল তেলের সাথে মেথি মিশিয়ে কয়েকদিন বোতলে রেখে দিন। এরপরে আপনি ঘুমানোর আগে মাথায় পরিমাণ মতো লাগিয়ে দিন। সকালে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন করলে আপনার চুলও সৌন্দর্য থাকবে এবং খুশকি দূর হয়ে যাবে।
লবণ ব্যবহারঃ শুনতে অবাক লাগলেও লবণ ব্যবহার করলে খুশকি দূর হতে পারে। কেননা যে কোন জীবাণু ধ্বংস করতে আমরা লবণ ব্যবহার করে থাকি। তাই আপনি নিয়মিত গোসল করার পূর্বে লবণ পরিমাণ মতো পানির মাঝে ভিজিয়ে রাখবেন, দেখবেন লবন মিশে গেছে সেই মেশানো পানিটুকু চুলের গোড়াতে ভালো করে লাগাবেন এবং ঘষবেন এতে দেখবেন ময়লা এবং খুশকি দূর হয়ে গেছে। শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার দিয়ে সুন্দর করে মাথা ধুয়ে ফেলবেন।

পিয়াজের রসঃ পেয়াজ রসের অনেক গুণাগুণ রয়েছে তাই আপনি এক দুটো পেজ নিয়ে ভেলেন্ডার করে রস বানিয়ে মাথায় দিতে পারেন। চুলের গোড়ায় লাগিয়ে দিবেন এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে দেখবেন খুশকি দূর হয়ে গেছে।

বেকিং সোডাঃ মাথার খুশকি দূর জন্য বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। বেকিং সোডা আপনি গোসল করার পূর্বে শ্যাম্পু না দিয়ে অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে তার ভিতর বেকিং সোডা মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগান। এতে আপনার ছত্রাকগুলো চলে যাবে। খুশকি দূর হবে। আপনার সাময়িকভাবে হয়তো ত্বক শুষ্ক হতে পারে কিন্তু পরবর্তীতে আবার ঠিক হয়ে যাবে।

অ্যালোভেরা জেলঃ খুশকি দূর করার জন্য এলোভেরা জেল অনেক উপকারী। বিশেষ করে চুলকানি কমিয়ে ফেলে তাই গোসল করার পূর্বে অ্যালোভেরা জেল মাথায় ঘষে নিবেন এবং শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলবেন। দেখবেন মাথার চুল গুলো সুন্দর নরম হয়েছে এবং খুশকি দূর হয়ে গেছে।

অলিভ অয়েলঃ চুলের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি রাত্রিতে শোয়ার আগে অলিভ অয়েল মাথায় লাগিয়ে ঘুমাবেন। সকালবেলা শ্যাম্পু দিয়ে মাথা দিয়ে ফেলবেন এতে আপনার ত্বক ভালো থাকবে এবং খুশকি চলে যাবে।

উপসংহারঃ মাথার খুশকি দূর করার ঔষধ - খুশকি দূর করার ভালো শ্যাম্পু

উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে যে মাথার খুশকি দূর করার জন্য উপরোক্ত বিষয়গুলো আপনি প্রয়োগ করতে পারেন। এছাড়াও আপনি মাথার খুশকি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো প্রয়োগ করতে পারেন। আশা করি অনেক উপকৃত হবেন। আজকের পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে, তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Mahmudul Islam
Md. Mahmudul Islam
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও সরকারি চাকরি করি। আমি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করি, এছাড়াও ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করি। এই কাজের উপর আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।