mm kit খাওয়ার পর পেটে ব্যথা ও বেশি ব্লিডিং হলে করণীয় সম্পর্কে জানুন

এম এম কিট এর ব্যবহার না জানার কারনে অনেকের mm kit খাওয়ার পর পেটে ব্যথা করে। তাই এ ওষুধটা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চলুন, এম এম কিট খেলে পেট ব্যথা হয়, এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 
ছবি
অনেকে এই এম এম কিট খাওয়ার পর চিন্তায় পড়ে যান যে কতক্ষণ পর ব্লেডিং শুরু হবে। আসলে এটা নিয়ে টেনশন করবেন না। নিয়ম মত খেলে সময় মত ব্লেডিং শুরু হবে। তাই mm kit খাওয়ার পর পেটে ব্যথা সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃmm kit খাওয়ার পর পেটে ব্যথা ও কত দিন রক্তপাত হয়

এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম

এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম হলো প্রথমত আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে গর্ভবতী কিনা। কেননা গর্ভবতী নিশ্চিত না হয়ে এম এম কিট খেলে ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভবতী নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো কাঠি পরীক্ষা করা এবং ইউরিন টেস্ট করা। এছাড়াও সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো আলট্রাসনোগ্রাফি করা। নিশ্চিত হওয়ার পরে ৬৩ দিন বা ৯ সপ্তাহ মধ্যে এই ওষুধটি খেতে হবে। তবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে খাওয়াটাই বেটার হবে। এই এম এম কিট প্যাকেটের মধ্যে পাঁচটি ট্যাবলেট রয়েছে এর মধ্যে চারটি ছোট ট্যাবলেট আর একটি বড় ট্যাবলেট রয়েছে।
এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম হলো প্রথমত আপনি বড় ট্যাবলেট খাবেন এবং ২৪ ঘন্টা পর যে চারটি রয়েছে এখান থেকে দুইটা করে নিয়ে মুখের ভিতরে মাড়ির দুই পাশে রেখে দেবেন। প্রায় ৩০ মিনিটের মত অপেক্ষা করবেন এরপর আস্তে আস্তে গলে পেটের ভিতরে চলে যাবে। আর যদি মুখের মধ্যে কিছু একটু থেকেই যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে পানি দিয়ে খেয়ে ফেলবেন। তবে ওষুধ গুলো খাওয়ার দুই সপ্তার মধ্যে আপনাকে আলট্রাসনোগ্রাফি করে নিতে হবে এবং নিশ্চিত হতে হবে গর্ভপাত হয়েছে নাকি। যদি গর্ভপাত না হয় তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

এম এম কিট খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্লিডিং হয়

অনেকেই জানতে চায় যে এম এম কিট খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্লিডিং হয়। আসলে এই এম এম কিট সাধারণত দুই বার খেতে হয় দ্বিতীয়বার খাওয়া শেষ হয়ে গেলে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ব্লিডিং শুরু হয়। অনেকের ২৪ ঘন্টা লাগে না এই কেট খাওয়ার দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে ব্লিডিং হতে পারে। অনেকের ২৪ ঘন্টা পার হয়ে যাওয়ার পরও ব্লিডিং হয় না। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণত এই ধরনের সমস্যা হয় যাদের রক্তশূন্যতা রয়েছে। এই কিট খাওয়ার পরে ২৪ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় থাকে অর্থাৎ তিন দিন পর্যন্ত যদি এর চেয়ে বেশি সময় লাগে তাহলে চিন্তা করবেন না।

কারণ সাতদিন পর্যন্ত দেখা যেতে পারে। তবে সাত দিন পার হয়ে গেল অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অথবা বেশি রক্তপাত হলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে এম এম কিট খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্লিডিং হয়।

mm kit খাওয়ার পর পেটে ব্যথা

অনেকের mm kit খাওয়ার পর পেটে ব্যথা করে যা বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে যায়। তাই এই পিল খাওয়ার পর প্রচন্ড পেটে ব্যথা করে তারা অবশ্যই একটি বোতলের মধ্যে হালকা গরম পানি তুলবেন এবং পেটে যেখানে ব্যথা করে সেখানে সেঁক দিবেন।
ছবি
এতে অনেকটাই ব্যথা কমে যাবে অথবা গরম কাপড় দিয়ে সেঁক দিতে পারেন। এতে আপনার এই ধরনের ব্যথা অনেকটা কমে যাবে। যদি এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে আপনার ব্যথা কমে যাওয়ার সাথে ভিতরে যে পয়জন গুলো আছে সেগুলো বের হয়ে যাবে, এতে আপনার আরাম লাগবে। তাছাড়া গোসল করার সময় যদি হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করেন সেক্ষেত্রে আপনার এই ধরনের ব্যথা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। এরপরে যদি আপনি রং চা খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে এই ব্যথা অনেকটা কমে যাবে। এরপরেও যদি ব্যথা না কমে তাহলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন দিনে তিনবার ১টি করে।

এই ধরনের পেট ব্যাথা হলে সাধারণত চিকিৎসকরা অ্যালজিন ট্যাবলেট দিয়ে থাকেন। এটা তিন বেলা ১টি করে খেতে পারেন ভরা পেটে। আর যদি সাথে জ্বর থাকে তাহলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাবেন। এতে আশা করি অনেকটা কমে যাবে, তারপরও একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই ওষুধগুলোর পাশাপাশি আপনাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ভারী কোন কাজকর্ম করা যাবে না, যদি ভারী কাজ করেন তাহলে এই ব্যথা আরো বাড়তে থাকবে। এ ছাড়াও তরল জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে, এরপরে মানসিক টেনশন করা যাবে না, এতে আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এম এম কিট খাওয়ার পর বেশি ব্লিডিং হলে করণীয়

অনেকের এই কিট খাওয়ার পরেও বেশি ব্লিডিং হয়, তাই এম এম কিট খাওয়ার পর বেশি ব্লিডিং হলে করণীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

অনেক সময় এম এম কিট খাওয়ার সাত দিন হয়ে গেলেও ব্লিডিং হতেই থাকে। তাহলে এর ভিতরে কিছু আছে, এটা সাধারণত যাদের ৪৫ দিন পর্যন্ত বাচ্চার বয়স হয়ে গেছে। তাদের সাধারণত এই ব্লিডিংটা হতে থাকে। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি যে ঔষধ গুলো খেতে পারেন তবে একজন গাইনী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ খেলে ভালো হয়। সাধারণত গাইনি বিশেষজ্ঞরা যে ওষুধগুলো লিখে থাকে তাহল; প্রথমত আপনাকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল ২১ দিন পর্যন্ত খেতে হবে, এতে যদি আপনার রক্তপাত বন্ধ হয় তারপরও নিয়মিতভাবে ২১ দিন পর্যন্ত খেতে হবে। এর পাশাপাশি একটি অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স কমপ্লিট করতে হবে।

এন্টিবায়োটিক হল, জ্যামিক ৫০০এমজি ক্যাপসুল সকালে ও রাত্রিতে একটি করে ট্যাবলেট খাবেন। একটানা ৭ দিন খাওয়া লাগবে, তার পাশাপাশি গ্যাস্টিকের ওষুধ খেতে হবে বিশেষ করে ওমিপ্রাজল গ্রুপের গ্যাসের ওষুধ খাবেন। আশা করি ব্লিডিং বন্ধ হবে, এরপরেও যদি ব্লেডিং বন্ধ না হয়, তাহলে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করবেন। তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখবেন যে এর ভিতরে কিছু আছে কিনা, যদি থাকে তাহলে ওষুধ লিখতে পারেন। এতে যদি কাজ না হয় তাহলে এমআর ডিএন্ডসি করা লাগতে পারে। এটি একটি ছোট্ট অপারেশন এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তাহলে আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন।

mm kit খাওয়ার পর মাসিক না হলে করণীয়

অনেকে mm kit খাওয়ার পর মাসিক না হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে চায়। কারণ তারা চিন্তায় পড়ে যান। অবশ্যই আপনি নিয়ম অনুযায়ী না খাওয়ার কারণে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই এম এম কিট খাওয়ার সময় অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে বা পরামর্শ ক্রমে খেতে হবে।

নিজে নিজেই এই ওষুধ খাওয়া যাবে না। এতে ক্ষতি হতে পারে,কারণ এই ওষুধটি খাওয়া হয় বাচ্চা নষ্ট করার জন্য কিন্তু সমস্যাটি এম এম কিট খাওয়ার পর অনেকের মাসিক হয় না। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নিয়ম মেনে খেতে হবে। তাই যদি মাসিক না হয় সর্বোচ্চ সাত দিন পর্যন্ত দেখতে পারেন। যদি না হয় তাহলে পরামর্শ নিতে হবে। আর যদি ১০ দিনের বেশি সময় রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে। সে ক্ষেত্র পরামর্শ নিতে হবে। এম এম কিট খাওয়ার নিয়ম ভুল হলে মাসিক হয় না আর যদি নিয়মিত নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া হয়। তাহলে মাসিক হবে তবে যদি না হয় তাহলে এর পিছনে কিছু কারণ রয়েছে তা হলো,
এম এম কিট যেদিন খাবেন সেদিন থেকে এবং মাসিকের শুরু থেকে ৬৩ দিনের যদি বেশি হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে মাসিক হয় না। অনেকেই এই নিয়মটা মানে না যার কারণেই সমস্যা হয়। তাই নিয়ম অনুযায়ী এম এম কিট না খেলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। যদি সহবাস করার পর থেকে ৬৩ দিন পার হয়ে যায় এরমধ্যে ভ্রণ টা পরিপক্ক হয়।রক্ত থেকে মাংস তৈরি হয় যার কারণে ৬৩ দিন পার হয়ে গেলে এ ট্যাবলেট এর মাধ্যমে ভাঙ্গা যায় না। এজন্য এম এম কিট অনেক সময় ভ্রণ নষ্ট হয় না এবং শিশুটি গর্ভে বড় হতে থাকে।

অনেকে ২-৩ মাস মাসিক না হওয়ার কারণে মনে করে বাচ্চা হয়ে গেছে, অনুমান করে তারা এম এম কিট খায়। এর কারণে পরবর্তীতে মাসিক হয় না। তারা প্রেগনেন্সি টেস্টই না করেই ভয় পেয়ে এই কীট ওষুধ গ্রহণ করে যা এটা ঠিক নয়। তাই mm kit খাওয়ার পর মাসিক না হলে করণীয় হলো একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এম এম কিট তখনই খাবেন যখন পেটে ভ্রণ তৈরি হবে। এছাড়া খেলে কোন লাভই হবে না বরং ক্ষতি হবে। আর অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে এম এম কিট খেতে হবে।

এম এম কিট এর উপকারিতা

আসলে গর্ভপাত করাতে চাইলে এর নিয়ম সম্পর্কেও জানতে হবে এবং এম এম কিট এর উপকারিতা সম্পর্কেও জেনে রাখা ভালো। যদি পরবর্তীতে কাজে লাগে সেজন্য জেনে রাখা দরকার।

এই ওষুধটি অনেকটা নিরাপদ এটি তৈরি করেছে এর মাঝে নির্দিষ্ট উপাদান দিয়েই। তবে যদি নিয়ম অনুযায়ী আপনি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এটা কার্যকারিতা রয়েছে। তবে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এই ওষুধটি অত্যন্ত তাড়াতাড়ি কাজ করে, গর্ভধারণের নয় সপ্তাহ বা ৬৩ দিনের মধ্যে এটি যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে গর্ভপাত হবে। তাছাড়া এর বাহিরে বেশি হয়ে গেলে নয় সপ্তাহের বেশি অথবা ৬৩ দিনের উপরে চলে গেলে কাজ করবে না। তাই তাই অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ওষুধটা খাবেন।

এই কীটের মাধ্যমে আসলে গর্ভপাত ঘটানো হয় তাহলে ব্যবহারবিধি জানতে হবে। এটা খুবই সহজ প্রথমত একটি ট্যাবলেট খেয়ে নেবেন এরপরে ছোট ছোট যে চারটি ট্যাবলেট রয়েছে ২৪ ঘন্টা পর আবার খাবেন। তাই এই এম এম কিট এর উপকারিতা রয়েছে। এই ওষুধটি উপকারিতা মধ্যে সহজ ভাবে পাওয়া যায় এবং বাজারে যতগুলো কিট ট্যাবলেট রয়েছে তার মধ্যে সবচাইতে ভালো কাজ করে এবং যেকোনো দোকানে এই ওষুধটা পাবেন। যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় সে ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ব্যবহার করা যেতে পারে। অবিবাহিত মেয়েরা অনেক সময় গর্ভধারণ করে ফেলে সেক্ষেত্রে ওষুধটিব্যবহার করা যেতে পারে।

এম এম কিট এর দাম

এমএম কিটের মধ্যে এবং কি এটার দামও জানা দরকার। আর এম এম কিট এর দাম কত এটা আসলে জানা দরকার। এর মধ্যে পাঁচটি ট্যাবলেট থাকে একটি ট্যাবলেট বড় এবং বাকিগুলো চারটি ছোট ছোট। খাওয়ার পদ্ধতি খুবই সহজ উপরে আলোচনা করা হয়েছে। সেখান থেকে জেনে নিবেন। আর এই এম এম কিট এর দাম হল ৩০০ টাকা মাত্র।

mm kit খাওয়ার পর সাধারণত কত দিন রক্তপাত হয়

অনেকে জানতে চায় যে mm kit খাওয়ার পর সাধারণত কত দিন রক্তপাত হয়? তাই এ সম্পর্কে না জানলে হয়তো আপনি মানসিক টেনশনে থাকবেন। তাই চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

সাধারণত এই কিট গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য খাওয়া হয়ে থাকে। এটা খাওয়ার পরে যদি গর্ভের বাচ্চা সম্পূর্ণ নষ্ট না হয়, তাহলে অনেকদিন যাবত পেট ব্যথা করতে থাকে এবং ব্লিডিং হয়। আবার বাচ্চা যখন নষ্ট করবেন তখন হরমোন এর পরিবর্তন হয়। এর কারণে তল পেটে ব্যথা এবং ব্লিডিং হয়। আবার অনেকে বাচ্চা নষ্ট করার পরে দেখা যায় বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রেও তলপেটে ব্যথা করতে পারে এবং ব্লিডিং হয়। যদি কোন কারণে জ্বর ঠান্ডা সর্দি লেগে যায় অথবা প্রচুর পরিমাণে সাদা স্রাব হতে থাকে, সেক্ষেত্রেও তলপেটে ব্যথা এবং ব্লিডিং হতে পারে।

এজন্য এই কিট খাওয়ার পরে যদি ৭ দিনের বেশি ব্লিডিং হয় এবং তলপেটে ব্যথা করে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে হাসপাতালে নিতে হবে, কেননা যদি গর্ভপাত অসম্পূর্ণ হয়ে থাকে, এজন্য চিকিৎসকরা এটা আলট্রাসনোগ্রাফি করবে। এরপরে যদি দেখে অসম্পন্ন রয়েছে, সেক্ষেত্রে তারা ডিএনসি করতে পারে। এরপর চিকিৎসকরা মেডিসিন দিতে পারে, তারপর আশা করা যায় আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন।

mm kit খাওয়ার পর মাসিক বন্ধ হচ্ছে না

অনেকে প্রশ্ন করে থাকে যে mm kit খাওয়ার পর মাসিক বন্ধ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে মানসিক চাপে পড়ে যায়, এই সমস্যার সমাধান চলুন নিম্নে আলোচনা করা যাক। এটা খাওয়ার পরে আপনার প্রায় সাত দিন পর্যন্ত ব্লিডিং হতে থাকবে। যদি আপনার ৭ থেকে ১০ দিনেরও বেশি ব্লিডিং হতে থাকে, সেই ক্ষেত্রে কিছু কারণ থাকে চলুন সেই কারণগুলো সম্পর্কে জানা যাক।

এটা খাওয়ার পর যদি আপনার গর্ভে অল্প কিছু টিস্যু অবশিষ্ট থাকে সে ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটা খাওয়ার পরে যদি আপনার শরীরে কোন সংক্রমনের সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ব্লিডিং হতে পারে। এটা খাওয়ার পর অনেকের হরমোনের পরিবর্তন হয়ে থাকে এটা এমনভাবে প্রভাবিত করে যার কারণে দীর্ঘ সময় ব্লিডিং হতে পারে। যখন দেখবেন আপনার উপরোক্ত এই সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার কিছু পদক্ষেপ এবং কাজ করতে হবে চলুন সে সম্পর্কে জানা যাক।

যখন দেখবেন আপনার দীর্ঘ সময় ধরে ব্লিডিং হচ্ছে এবং ব্লিডিং এর পরিমাণ অনেক বেশি তখন দ্রুতগতিতে চিকিৎসা এর পরামর্শ নিতে হবে। যখন দেখবেন আপনার এই ধরনের সমস্যা হয়েছে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আল্ট্রা সাউন্ড পরীক্ষা করে নিতে হবে। যদি আপনার কোন সংক্রমণ হয় সেক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই এই সংক্রমণ আছে কিনা সেটা চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা করে নিতে হবে। পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসক ব্লিডিং বন্ধ করার ব্যাপারে ওষুধ লিখে দিবেন সেটা নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত আপনি নিজে কখনোই কোন পদক্ষেপ নিতে যাবেন না এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

mm kit এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া করে কেমনে

এই ওষুধটি যদি আপনি নিয়ম অনুযায়ী না খান তাহলে অবশ্যই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। তাই চলুন এম mm kit এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এই ওষুধটি খাওয়ার পর গর্ভপাত হলে গর্ভবতী হওয়ার ঝুঁকি আরো বেশি থাকে। তাই কমপক্ষে ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে সন্তান নেওয়া যাবে না। কেননা এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। আর যদি দুগ্ধ দানকারী মা হন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এম এম কিট খাওয়া যাবে না। তবে খুব বেশি প্রয়োজন হলে অবশ্যই চিকিৎসার পরামর্শক্রমে এই কিট ব্যবহার করবেন।
ছবি
কারন হলো বাচ্চা দুধ খাওয়ার সময় যদি গর্ভধারণ হয় এতে অনেক অসুবিধা হতে পারে। তবে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে যদি এই কিট ব্যবহার করেন। সে ক্ষেত্রে কমপক্ষে পাঁচ ঘন্টা মধ্যে বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো যাবে না। ৫ ঘন্টা পরে দুধ দিতে হবে। এক্ষেত্রে mm kit এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যদি প্রচুর রক্ত বের হতে থাকে এবং প্রচন্ড ব্যথা করে তাহলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে প্রয়োজনে ডিএনসি করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চলতে হবে তাহলে ঠিক হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কেননা এই ওষুধের কারণে তলপেটে ব্যথা করে বেশি।
যদি যোনিপথ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে এটা মনে করা যাবে না যে মাসিকের রক্ত। এটা আসলে গর্ভপাতের কারণে রক্ত হতে থাকে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত রক্তপাত হলে এবং ১০ দিনের উপরে চলে গেল অবশ্যই চিকিৎসার পরামর্শ নিতে হবে। নিজে নিজে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এম এম কিট খেলে পেট ব্যাথা হলে সাধারণত ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে পারেন এবং এলজিন ট্যাবলেট খেতে পারেন অথবা প্যারাসিটামল খেতে পারেন। এছাড়া আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে তা হল,
  • বমি বমি ভাব অথবা বমি হতে পারে
  • মাথা ব্যথা করতে পারে
  • জ্বর আসতে পারে
  • ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হতে পারে
  • পেট থাবা দেয় অনেকের ভাব
  • কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
  • খিচুনি বা কাপুনি হতে পারে
  • জরায়ু সংকোচনের কারণে অনেক সময় ব্যথা করে
  • যোনিপথ দিয়ে অতিরিক্ত রক্ত বের হয়

শেষ কথাঃ mm kit খাওয়ার পর পেটে ব্যথা হলে করণীয় ও নিয়ম সম্পর্কে জানুন

অবশেষে বলা যায় যে, এম এম কিট একটি জরুরী ঔষধ যা কিছু ভুলের কারণে যে সমস্যা হয় তার সমাধানের জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। অনেকের mm kit খাওয়ার পর পেটে ব্যথা, মাথা ঘোরা প্রচুর পরিমাণে রক্ত প্রবাহ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সময়মতো চিকিৎসা নিলে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। তাছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই নিজে সিদ্ধান্ত নিবেন না। সেজন্য অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে এই ওষুধ টা ব্যবহার করবেন। যদি পোস্ট টা ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url