দাঁত দিয়ে রক্ত বা দাঁতের মাড়ি ব্যথা হওয়ার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানুন

অনেকের দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ে এবং দাঁতের মাড়ি ব্যথা করে কিন্তু তারা দাঁতের মাড়ি ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানেনা। চলুন, দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেকের দাঁতে হালকা ব্যথা লাগলেই রক্ত পড়তে থাকে এবং দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। অনেকের দাঁত প্রচন্ড ব্যথা করে। তাই দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃদাঁত দিয়ে রক্ত বা দাঁতের মাড়ি ব্যথা হওয়ার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানুন

দাঁতের মাড়ি ব্যথা হওয়ার কারণ

দাঁতের মাড়ি ব্যথা হওয়ার কারণ অনেক রয়েছে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো আমাদের জানা প্রয়োজন। যেগুলো আমরা প্রতিনিয়ত ভুল করে থাকি। তাই দাঁতের মাড়ি ব্যথা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

আমরা যখন খাবার খেয়ে থাকি তখন সাধারণত অনেক সময় দাঁতের ফাঁকে অনেক কিছু ঢুকে যায় এবং মাড়িতে প্রচন্ড ব্যথা করে। এই মাড়ি ব্যথা হওয়া একটি এক ধরনের রোগে পরিণত হয়ে যায়। প্রথমে হয়তো তেমন একটা ব্যথা করে না কিন্তু আস্তে আস্তে প্রচন্ড ব্যথা করে। তীব্র আকার ধারণ করে যা আপনার স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে অনেক কষ্ট হয়।

আমরা যে দাঁতের অংশ দেখতে পাই সেটা নাম হলো এনামেল যা দাঁতের আবরণ বলা যায়। আর এনামেল দাঁতের শক্ত আবরণ হিসেবে কাজ করে। এই এনামেল অনেক সময় ক্ষয় হয়ে দাঁতের মাড়ির ব্যথা করে। এর কারণে ঠান্ডা, মিষ্টি, টক জাতীয় যত রকমের খাবার রয়েছে দাঁতের এই ফাঁকের মাঝে গেলেই প্রচন্ড ব্যথা করে এবং শির শির করে।
দাঁতের মাড়ি ব্যথা হয় অনেক সময় দাঁত ব্রাশ করার সময় আমরা ভুল পদ্ধতিতে দাঁত ব্রাশ করি। এতে দাঁতের মাড়ির সমস্যা হয়, এছাড়াও এভাবে ব্রাশ করার কারণে একটি দাঁতের সাথে আরেকটি দাঁত লেগে গিয়ে শক্ত হয়ে যায় এবং এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আমরা অনেকেই কোল্ড ড্রিঙ্কস, ঠান্ডা খাবার, অ্যালকোহল জাতীয় খাবার গুলো খেতে বেশি পছন্দ করি। কিন্তু এই খাবারগুলোর কারণেই দাঁতের মাড়ির ক্ষয় হয় এবং বিভিন্ন ধরনের দাঁতের সমস্যা দেখা দেয় অনেক ধরনের দাতের রোগ হয়।

অনেকের বিভিন্ন কারণে হঠাৎ দাঁত ভেঙে যায় এর কারণে শক্ত খাবার খেতে পারে না এবং বিভিন্ন কাজ করতে গেলে দাঁতের মাড়িতে ব্যথা লাগে। এর কারণে দাঁতের রুট ক্যানেল দাঁতের রেস্টোরেশন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দাঁতের মাড়ি ব্যথা অনেকের হঠাৎ করে দাঁতের গোড়া ভেঙ্গে যায়। এ কারণে খুব শক্ত হাড্ডি কামড় দিলে মাড়িতে ব্যথা লাগে। এছাড়াও দাঁতের মাড়িতে অনেক সময় দাঁতের মাড়িতে ব্যথা করে।

অনেকের দাঁতের মাড়িতে কর্কট রোগ হয় এর কারণে ক্যান্সার দিকে ধাবিত হয়। যখন ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে কেমোথেরাপি দেওয়ার পর কাজ হয় না। দাঁতের নার্ভগুলো ড্যামেজ হয়ে গেলে দাঁতের মাড়ি ব্যথা হতে পারে।

দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয়

দাঁতের মাড়িতে ব্যথা কি কারন হচ্ছে সেটা অনুসন্ধান করে দাঁতের মাড়িতে ব্যথা হলে করণীয় কি, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সেঁক দিতে পারেনঃ দাঁতের মাড়িতে ব্যাথা হলে দুইটা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। একটি হল গরম পানি দিয়ে সেঁক দেওয়া এবং আরেকটি হলো বরফ দিয়ে সেঁক দেওয়া। প্রথমত হালকা কুসুম গরম পানি নিয়ে তার ভেতরে একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিবেন। কাপড়টি চেপে পানি বের করে নিবেন।

এর পরে গালের ভিতরে কাপড় ঢুকায় দিবেন যেখান দিয়ে আপনার ব্যথা রয়েছে। দেখবেন দাঁতের মাড়ির ব্যথা কমে গেছে। দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো একটি পরিষ্কার কাপড় নিয়ে বরফ খন্ড খন্ড করে কাপড়ের ভিতরে মুড়িয়ে নিয়ে এরপরে গালের ভিতরে যে স্থানে ব্যথা রয়েছে, সেখানে লাগিয়ে রাখবেন। দেখবেন ব্যথা অনেক কমে গেছে।

লবণ পানিঃ দাঁতের মাড়ির ব্যথার জন্য সবচাইতে ভালো কাজ করে থাকে লবণ ও পানি দিয়ে কুলি করা। এজন্য আপনি সামান্য একটু লবণ নিবেন এবং পরিমাণ মতো পানি নিয়ে হালকা কুসুম গরম পানি করে ঘন ঘন কুলি করতে থাকুন। কুলকুচার সময় কখনো পানি খেয়ে ফেলবেন না, দুই থেকে তিনবার করতে পারেন।

হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডঃ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ব্যবহার করলে মাড়ির ব্যথা অনেকটা কমে যায়। এতে জীবাণুগুলো ধ্বংস হয়ে যায় এবং মুখের ভিতরে যত সমস্যা রয়েছে দূর হয়ে যাবে। অর্ধেক পরিমাণ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এবং অর্ধেক পরিমাণ পানি দিয়ে সুন্দর করে মেশিয়ে নিবেন। এর পরে মুখের ভিতরে নিয়ে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের মত রেখে তারপরে ফেলে দিবেন। এভাবে কুসুম গরম পানি দিয়ে যদি নিয়মিত করতে থাকেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন।

টি ব্যাগঃ একটি টি ব্যাগ নিয়ে হালকা কুসুম গরম পানির মাঝে ছেড়ে দিয়ে, এরপর ঠান্ডা করে যে জায়গায় আপনার মাড়ির ব্যথা রয়েছে সেখানে লাগিয়ে দিন। তবে সব চা যে উপকার হবে তা কিন্তু নয় সবচেয়ে ভালো উপকার করে থাকে গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি। কেননা এর মাঝে থাকে এন্টি ইনফ্লেমেটরি যা দাঁতের মাড়ির ব্যথা উপশম করবে।

হলুদের পেস্টঃ হলুদের মাঝে যে উপাদান রয়েছে তা দাঁতের মাড়ি ব্যথায় অনেক উপকার করে থাকে। অল্প একটু হলুদের গুঁড়া নিয়ে পানির সাথে মিশিয়ে নিবেন। এর পরে দাঁতের মাড়িতে পাঁচ মিনিট রেখে দিবেন। হালকা মেসেজ করতে পারেন এরপর পাঁচ মিনিট হয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করার উপায়

অনেকের দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ে পরবর্তীতে অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করার উপায় জানতে হবে। এজন্য নিম্নে দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনা করা হলো।
ছবি
প্রথম কাজ হল আপনার যদি দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ডেন্টাল চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে। তিনি আপনাকে প্রথমে দাঁতের স্কেলিং করবেন, তাহলে আর রক্ত বের হবে না কিন্তু ছয় মাস পর আবার স্কেলিং করতে হবে। অনেকে মনে করে স্কেলিং করলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে কিন্তু এটা একদমই ভুল ধারণা।

রাত্রিতে ঘুমানোর পূর্বে এবং সকালবেলা খাবার খেয়ে, এরপরে অবশ্যই ব্রাশ করবেন। সুন্দর করে দাঁত পরিষ্কার করবেন। এজন্য কখনোই একটা টুথপেস্ট দিয়ে অনেকদিন যাবত ব্রাশ করা যাবে না।
সারাদিন বেশি বেশি পানি খাবেন কমপক্ষে দুই থেকে তিন লিটারের মত। এটা দাঁতের উপকার হবে এবং শরীরের জন্য অনেক উপকার। এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, সবুজ শাকসবজি এগুলো নিয়মিত খেলে আপনার ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি ও ডি এর ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। এই সকল খাবার খেলে দাঁতের হাড় শক্ত থাকবে মজবুত হবে।

এছাড়াও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে পারেন বিশেষ করে আমলকি কমলা লেবু, লেবু আমড়া এই সকল ফলগুলো প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি আছে। যা আপনি নিয়মিত খেতে পারেন এছাড়াও পাশাপাশি দাঁত পরিষ্কার রাখবেন। ব্যবহার করতে পারেন মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন এতে দাঁতের মাঝে কোন দুর্গন্ধ থাকবে না।

যারা নিয়মিত ধূমপান করে থাকে তাদের সাধারণত মুখে দুর্গন্ধ হয় এবং ধূমপানের নিকোটিনের কারণে দাঁতের সমস্যা দেখা যায়। মাড়ি ফুলে যায় রক্ত বের হয় এজন্য ধূমপান বন্ধ করতে হবে।

লবণ পানি দিয়ে অবশ্যই কুলি করবেন এতে করে আপনার রক্ত পড়া অনেকটা দাঁতের মাড়ি ব্যথা কমে যাবে। তাই দিনে দুই থেকে তিনবার এভাবে কুলি করলে দাঁতে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। এর কারণে অনেক সময় মারি ব্যথা করে থাকে। এজন্য তাদের দাঁতের মাড়ি ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে জেনে নিবেন। কেন আপনার দাঁতের মাড়ি ব্যথা হচ্ছে এবং রক্ত পড়ছে।

কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়

আমরা অনেকেই ভিটামিন জাতীয় খাবার খাই না। এজন্য দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। তাই কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় এ সম্পর্কে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

ভিটামিন এঃ ভিটামিন "এ" অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যেতে পারে এবং ব্যথা হতে পারে। তাই ভিটামিন এ জাতীয় খাবার গুলো বেশি বেশি খাবেন। বিশেষ করে শাক-সবজি গাজর ছোট মাছ এবং মিষ্টি আলু আম এ জাতীয় খাবার গুলো খেলে ভিটামিন এর অভাব পূরণ হবে।

ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি এর অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যেতে পারে এবং দাঁতে ব্যথা হতে পারে। কেননা ভিটামিন সি এর অভাবে দাঁতের মাড়ি ব্যথা হতে পারে। এই ভিটামিন সি দাঁতের মাড়িকে মজবুত করতে পারে ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে সাহায্য কর।

দাঁতের মাড়িতে রক্তপাত হওয়া বন্ধ করে, ব্যথা করা এ ধরনের সমস্যার সমাধান করে থাকে। এজন্য আপনি নিয়মিত ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো বেশি বেশি খাবেন। বিশেষ করে পেয়ারা, লেবু কমলা আমলকি কাঁচামরিচ এই ধরনের খাবার গুলোর ভিতরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে।

ভিটামিন বিঃ ভিটামিন বি এর অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় এবং দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ে, দাঁতের ব্যথা হয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য ভিটামিন বি জাতীয় খাবার খেতে হবে, বিশেষ করে মুখে ঘা হয় দাঁতের মাড়ি দিয়েও ঘা হয়ে থাকে, জিহবাতে ঘা হয়। এর এই ধরনের সমস্যার সমাধান করার জন্য ভিটামিন বি এর প্রয়োজন। এজন্য আপনি নিয়মিত ভাবে মাছ মাংস সবুজ শাকসবজি সিম এই ধরনের খাবার গুলো বেশি বেশি খাবেন।

ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম এর অভাবে দাঁতের মাড়ি ব্যাথা হওয়ার কারণ হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। কেননা ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম দাঁতের হাড়কে মজবুত করে এবং শক্ত করে। তাই দাঁতের হারকে মজবুত করার জন্য এবং দাঁতকে শক্ত করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে ভিটামিন ডি সূর্যের আলো থেকে পাওয়া যায় আর মাছ মাংস ডিম এগুলোতে ভিটামিন ক্যালসিয়াম ভিটামিন ডি এবং থাকে।

ভিটামিন কেঃ ভিটামিন কে এর অভাবে শরীরের রক্ত জমাট বাধত অসুবিধা হয়। কেননা যার শরীরে ভিটামিন কে অভাব রয়েছে তার শরীর যদি কোন অংশ কেটে যায় তাহলে রক্ত জমাট বাঁধে না। তাই ভিটামিন কি এর গুরুত্ব অনেক।

এজন্য এটা ভিটামিন কের অভাবে দাঁতের মাড়ি দিয়ে অনেক সময় রক্তপাত হয়। এজন্য ভিটামিন কে প্রয়োজন তাই বেশি বেশি সমস্যা সবজি এবং ভিটামিন কে জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন যে কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়।

দাঁতের মাড়ির ব্যথা কমানোর ঔষধ

প্রচন্ড ব্যথায় মানুষ ঔষধ সম্পর্কে জানতে চায় তাই দাঁতের মাড়ির ব্যথা কমানোর ঔষধ গুলো একজন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া ঠিক হবে না। তারপরও দাঁতের মাড়ি ব্যথার জন্য যে ওষুধগুলো দিয়ে থাকে নিম্নে সেই ওষুধ গুলোর নাম দেওয়া হল,
  • Moxacil 500 mg ট্যাবলেট যা দাঁতের সমস্যার জন্য ভালো উপকার করে থাকে
  • Filmet 400 mg ট্যাবলেট বেক্সিমকো কোম্পানি তৈরি করেছে। অত্যন্ত কার্যকারী তবে এই গ্রুপের ওষুধের ডোজ মেইনটেইন করে খেতে হবে। প্রতিদিন তিনটা করে ট্যাবলেট পাঁচদিন খেতে হবে। এই ওষুধটি দ্বারা দাঁতের ব্যথা মহিলাদের সাদাস্রাব এবং আমাশয় এর জন্য কাজ করে থাকে। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তারা না খাওয়াই ভালো।
  • Napa one ট্যাবলেট যা ব্যথার জন্য অনেক ভালো কাজ করে
  • ইটোরিক্স ট্যাবলেট ব্যথার জন্য কাজ করে
  • ফেনামিক ট্যাবলেট এটি দাঁতের ব্যথার জন্য কাজ করে
  • Tory 60 mg ট্যাবলেটটি দাঁতের ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয়
  • Etoricoxib ট্যাবলেট টি দাঁতের ব্যথার কার্যকারিতা অনেক করে থাকেন।
উপরোক্ত ওষুধগুলো একজন চিকিৎসিকের পরামর্শ কিভাবে খেতে হবে কতদিন খেতে হবে ইত্যাদি। কেননা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া একজন চিকিৎসককে দেখিয়ে এরপরে ওষুধগুলো খাবেন।

পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায়

বিভিন্ন কারণে দাঁতে পোকা হতে পারে বিশেষ করে বাচ্চাদের বেশি পোকা হয়। এজন্য পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

দাঁতে পোকা ধরেছে এই ধরনের কথা একদমই ভুল, কেননা দাঁতের পোকা কখনো দেখা যায় না। এটা এক ধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যা যা দাঁতের ক্ষয় করে। এজন্য বিশেষ করে যারা মিষ্টি জাতীয় খাবার চিনিযুক্ত খাবার চকলেট চুইংগাম এই ধরনের খাবার গুলো বেশি খেয়ে থাকে। তাদের সাধারণত দাঁতের ক্ষয়ের সমস্যা দেখা যায়।
ছবি
যারা এই ধরনের খাবার বেশি বেশি খায় তাদের দাঁতের এনামেল ক্ষয় হতে শুরু করে এবং গর্ত হয়ে যায়। আর এ দাঁতের গর্ত হওয়ার কারণে কাভিডি থেকে ময়লা জমে যায়। এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করে। শিশুদের দাঁতের এই গর্তটা বেশি দেখা যায় কারণ তারা বেশিরভাগ সময় চকলেট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খায়। তাদের দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা করে তাই প্রাথমিক পর্যায়ে ছোট ছোট কালো গর্তের মত দেখা যায় প্রথমত হয়তো ব্যথা নাও হতে পারে। তবে পরবর্তীতে জটিল আকার ধারণ করে।
এখন জানবো দাঁতের এই পোকা বা এই ধরনের সমস্যা হলে সমাধান কি করা যায়। দাঁতের এই গর্ত যদি সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তিনি এটা পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন এরপরে তিনি চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে পারেন এবং অনেক সময় দাঁত ভেঙে যায় আর এই দাঁত ভাঙার কে ফিলিং মেটেরিয়াল করতে হবে।

যা রুট ক্যানেল চিকিৎসা মাধ্যমে এই ব্যবস্থা করা যেতে পারে। দাঁতের এই ধরনের গর্তর সমস্যার সাধারণত ফ্লোরাইট টুথপেস্ট দিয়ে প্রতিদিন ব্রাশ করতে পারেন। এতে আপনার অনেকটাই দাঁতের ক্ষয় রোধ সমস্যার সমাধান হবে। এছাড়া চিনি যুক্ত খাবার গুলো খুবই কম খাবেন বিশেষ করে চা কফিতে চিনি কম খাবেন।

আর খাওয়ার পরও যদিও খেয়ে থাকেন এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর সাথে সাথে ব্রাশ করার চেষ্টা করবেন তাহলে দাঁতের এই ধরনের ক্ষয় রোধ থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও দাঁতের জন্য প্রতিবছরে অন্তত দুইবার আপনাকে ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হবে ।

উপসংহারঃ দাঁত দিয়ে রক্ত বা দাঁতের মাড়ি ব্যথা হওয়ার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে দাঁতের মাড়ি ব্যথা, দাঁতের ক্ষয় দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া, রক্ত আসা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই আপনার দাঁতের যত্ন নেবেন তাছাড়া পরবর্তীতে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। আপনার দাঁতে কেন সমস্যা হচ্ছে এটা আগে নির্ণয় করতে হবে দাঁতের মাড়ি ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে হবে। অবশ্যই একজন চিকিৎসার কাছে যাবেন তাহলেই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিবেন। আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন, যদি পোস্টটি ভাল লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Mahmudul Islam
Md. Mahmudul Islam
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও সরকারি চাকরি করি। আমি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করি, এছাড়াও ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করি। এই কাজের উপর আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।