ইন্টারনেট ব্যবহারের ভালো ও খারাপ দিক ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানুন

অনেকে ইন্টারনেট ব্যবহারের ভালো ও খারাপ দিক সম্পর্কে জানেনা। কেননা ইন্টারনেট যেমন আমাদের উপকার করে থাকে তেমন ক্ষতিও করতে পারে। চলুন, ইন্টারনেটের ভালো ও খারাপ দিক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করে থাকি, এতে অনেক উপকার হয় কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের ভালো ও খারাপ দিক সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃইন্টারনেট ব্যবহারের ভালো ও খারাপ দিক ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানুন

ইন্টারনেট কি

বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অনেক রয়েছে, তাই অনেকে জানতে চায় যে ইন্টারনেট কি? এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ইন্টারনেট দুটি সম্পর্ক যুক্ত শব্দ Ethernet থেকে ইন্টারনেট শব্দটি এসেছে। Enter শব্দটির অর্থ ভিতরে Net শব্দের অর্থ জাল। ইন্টারনেট শব্দের অর্থ হল অন্তর্জাল। যা সংযুক্ত নেটওয়ার্ক তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ করার সহজ পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যেমন অসংখ্য কম্পিউটারকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে তথ্য প্রদান করা যায়। সেই পদ্ধতিকে আমরা ইন্টারনেট বলে থাকি। পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গঠিত হয়ে এক বিরাট নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

অনেকগুলো কম্পিউটার একটি নেটওয়ার্কের যুক্ত করাকে ইন্টারনেট বা ইন্টারনেট ওয়ার্কিং বলা হয়ে থাকে।
ইন্টারনেট কাকে বলেঃ অনেকগুলো কম্পিউটার বা স্মার্ট ডিভাইস একে অপরের সাথে সংযুক্ত করার মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করার পদ্ধতিকে ইন্টারনেট বলা হয়ে থাকে। ইন্টারনেট একটি আধুনিক টেলিযোগাযোগ এর মাধ্যম।

অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে টেলিফোন লাইনে, ওয়ারলেস বেতার সংযোগ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কম্পিউটার মোবাইল সহ অন্যান্য সকল ডিভাইসের সাথে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর সাথে সংযুক্ত করা থাকে। ইন্টারনেটকে প্রায় নেট বলা হয় যখন সম্পূর্ণ আইপি নেটওয়ার্কের আন্তর্জাতিক সিস্টেমে উল্লেখ করা যায়।

তখন ইন্টারনেট শব্দটিকে বিশেষ্য হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। ইন্টারনেট একটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা হয়। যা কোন পার্থক্য নেই তবে ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এক বিষয় নয়।

ইন্টারনেট ব্যবহারের ভালো ও খারাপ দিক

ইন্টারনেটের মাধ্যমে বর্তমান যুগে সকল কাজকর্ম করা হয়ে থাকে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের ভালো ও খারাপ দিক সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো,

ইন্টারনেটে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুফল

ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়। সুযোগ সুবিধা গুলো আলোচনা করা হলো,

ইন্টারনেটের সুফল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করা যায়। তার উদাহরণ হল একটি নিউজ ওয়েবসাইট যেখানে তথ্য সংবাদ প্রদান করা হয়ে থাকে। অনলাইন নিউজ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের প্রতিদিনের খবর আমরা ঘরে বসে ইন্টারনেটের সাহায্যে মোবাইল দিয়ে দেখতে পারি অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে দেখতে পারি।

গবেষণা এবং পড়ালেখার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে গবেষণা ধর্মী বইয়ের জন্য অনেকে বিদেশ থেকে বই কোন না কোন মাধ্যমে আনার ব্যবস্থা বা প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেট প্রযুক্তির কারণে কম্পিউটারে কি-বোর্ডের চাপ দিয়ে বিশ্বের যে কোন লাইব্রেরীর বই পড়া যেতে পারে।

ওয়েব ব্রাউজারের কমার্স অপশনটির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট কেনাকাটা করা যায় এবং প্রোডাক্টের অর্ডার নেওয়া যেতে পারে। এক প্রতিষ্ঠানের সাথে আরেক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার বাণিজ্য সম্পর্ক লেনদেন সম্পর্ক করা যায়।

কোন মামলা মোকদ্দমার ক্ষেত্রে মানুষ আইনের পরামর্শ অথবা আলোচনার বিষয়ে বিদেশের আইন বিশেষজ্ঞদের সাথে অনলাইনের মাধ্যমে পরামর্শ নেওয়া যায়। ঘরে বসেই আমরা যে কোন পরামর্শ নিতে পারি।

যে কোন স্থানের যেমন ভ্রমণ স্থান,হোটেল, ট্রেন, বিমানের টিকিট বুকিং সকল কিছুই আমরা ইন্টারনেটের ব্যবহারের মাধ্যমে করতে পারি।

ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে আমরা ঘরে বসে অথবা ঘরের বাইরে যেকোনো জায়গায় বসে উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা সেবা নিতে পারি।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যেমন ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপস, টুইটার ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা সহজে একজনের সাথে আরেকজনের কথা বলতে পারি, ছবি ভিডিও যেকোনো তথ্য আদান প্রদান করা যেতে পারে।

ইমেইল ব্যবহার করার ফলে খুব সহজেই যে কোন নিউজ পাঠানো যেতে পারে এবং যে কোন নিউজ গ্রহণ করাও যেতে পারে।

ইন্টারনেট ব্যবহারের খারাপ দিক

ইন্টারনেট ব্যবহারের সফল রয়েছে আবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে কুফল রয়েছে। বিশেষ করে কিশোর ও যুবকদের মধ্যে দেখা যায়।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ বর্তমানে নানা ধরনের ক্রাইম করে যাচ্ছে, যা প্রতিনিয়ত এই ধরনের কাজ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে করার মাধ্যমে মানুষ নানারকম মিথ্যা কথা এবং নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর কাজগুলো করে যাচ্ছে।

অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে মানুষ ধোকা খাচ্ছে এবং প্রতারণা হচ্ছে, এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করার জন্য।

ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে বর্তমান যুবকেরা বিভিন্নভাবে পর্নোগ্রাফির ছবি আদান প্রদান করে এবং অশ্লীল খারাপ কাজে লিপ্ত হচ্ছে।

ছোট ছেলে মেয়েরা ইন্টারনেটে বসে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের গেমস ডাউনলোড করে গেম খেলে এবং প্রচার করে সময় অপচয় করে।

খারাপ এবং সন্ত্রাসী সকল কর্মকান্ড জঙ্গিরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে, অপহরণ ঘুম আর ইত্যাদি অপহরণ ঘুম খুন হত্যা বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

কম্পিউটারে বিভিন্ন ডাটা পাসওয়ার্ড ও তথ্য সবকিছু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে, ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ খুন করছে এবং শক্তিশালী বোমা ইত্যাদি বানিয়ে ফেলতেছে।

কোন ব্যক্তির নামে কল্পকাহিনী অথবা মনগড়া কাহিনী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি ফেসবুক অথবা টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়াতে, ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও প্রকাশ করে যাচ্ছে এই ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করার কারণে নানা ধরনের মানুষ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বিভিন্ন মেগাবাইট ক্রয় করার জন্য।

প্রতিদিন মানুষ বেশি সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর হয়ে যাচ্ছে, যার কারণে যোগাযোগের অনুভূতি তারা পেয়ে যাচ্ছে সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে খেলাধুলা বাইরে ঘুরে বেড়ানো ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা কমে যাচ্ছে এবং সবার সাথে মেলামেশার দক্ষতা হারিয়ে যাচ্ছে, যার কারণে কিছু কিছু মানুষ এখন মানসিকভাবে হতাশায় ভুগতেছে।

ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে

ইন্টারনেট বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়, তাই ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে? সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
ছবি
বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত আন্ত সংযোগযুক্ত ডিভাইস গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ডাটা ও মিডিয়া আদান প্রদান করতে পারে। প্যাকেট রাউটিং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেও অনেকে ইন্টারনেটে কাজ করতে পারে। যা ইন্টারনেট প্রোটোকল ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল এর মাধ্যমে সংযুক্ত এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। 
টিসিপি ও আইপি একসঙ্গে নিশ্চিত করে যাওয়ার কারণে বিশ্ব যে কোন কেন্দ্র থেকেই এই ডিভাইস ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডাটা প্যাকেজ ও মেসেজ প্রকারে ব্যবহার করা হয়।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠানো ডাটাকে মেসেজ বলা হয়ে থাকে, যা বেরণের আগে ছোট ছোট অংশ বা প্যাকেট পরিণত হয়ে থাকে। এই মেসেজ ও প্যাকেটগুলো একটি সোর্স থেকে আইপি ও টিসিপি এর মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। আইপি মূলত কিছু সিস্টেমের নিয়ম যা কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে ডাটা প্রেরণ করা যায় তা মনিটর করা হয়।

ইন্টারনেটের সঠিকভাবে কাজে ব্যবহার করার জন্য নিজস্ব গ্লোবাল নেটওয়ার্ক কিংবা বেতার যেকোনো একটি মাধ্যমে সংযুক্ত করা যেতে পারে। এরপর গ্লোবাল নেটওয়ার্কে জড়িত থাকা বিভিন্ন কম্পিউটারের সাথে নিজেদের কম্পিউটার রাউটার এবং সার্ভারের সাথে কানেক্ট করতে পারে, এভাবেই ইন্টারনেট কাজ করে থাকে।

ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা

ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি ইন্টারনেট ব্যবহারের ভালো ও খারাপ দিক সম্পর্কে। এখন জানব এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের কাজের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়, যেমন চিকিৎসা প্রতিরক্ষা সরকারি ও বা সরকারি বিভিন্ন ধরনের হিসাব নিকাশ, প্রশাসন পরিচালনা জটিল গবেষণা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

তাছাড়া পৃথিবীর বিশ্বজুড়ে এই ইন্টারনেটের ব্যবহার করা যেতে পারে। যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবস্থার উপর নির্ভর করেই প্রচলিত চিরাচরিত যোগাযোগ ব্যবস্থার আর হয় না। এখন বর্তমানে নতুন নিয়ম এবং পরবর্তীতে আরো বলা যেতে পারে যে ইন্টারনেট পরিষেবা ছাড়া বর্তমানে আধুনিক সভ্যতা গঠন করা সম্ভব না।

ইন্টারনেট ব্যবহার করার সম্পর্কে অনেকেই জানে না। তারপরও বাস্তবিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে জনসাধারণের মধ্যে আবির্ভাবের শুরুতে তথ্যের আদান প্রদান করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করা হতো। এগিয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেটের ব্যবহার আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে।

আজ পৃথিবী ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক জায়গায় পৌঁছে গেছে, যা মানুষের বেঁচে থাকার এক অন্যতম প্রয়োজন হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। সমাজ বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন যে ইন্টারনেট হল আমাদের আধুনিক সময়ের জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এই প্রযুক্তি ছাড়া আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রায় কাজগুলো অসম্পূর্ণ হয়ে থাকে। আমাদের নিত্যনৈমিতিক জীবনের শিক্ষা ব্যবসায় যোগাযোগ ব্যাংকিং চিকিৎসা সব ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার প্রয়োজনীয়তা আছে।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বিশ্বকাপে ইন্টারনেট এক মিনিটের জন্য বন্ধ হয়, তাহলে পৃথিবীর ব্যাপক ক্ষতির হবে। ইন্টারনেট ব্যবহারের গভীর জটিল ক্ষেত্রে অনেকেই বুঝতে পারবে না। প্রতিদিনের জীবনে এর কিছু সাধারণ ব্যবহার হয়ে থাকে, তা চলুন জেনে নেওয়া যাক।

শিক্ষা ক্ষেত্রেঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার বর্তমানে সবাই ব্যবহার করছে, ইন্টারনেটের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বর্ণনা করতে গেলে ইন্টারনেট একটি তথ্যের ভান্ডার বলা হয়ে থাকে। আর এই তথ্য ভান্ডার থেকেই যে কোন প্রয়োজনের শিক্ষামূলক তথ্য সহজে পাওয়া যেতে পারে।

তাই এই মাধ্যমটি পৃথিবীর যেকোন মানুষ ব্যবহার করছে। তাছাড়া শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটালভাবে ফলে ফরম পূরণ, ফল প্রকাশ, নোটিশ করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

অনলাইন এডুকেশনঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার সবচাইতে বেশি। বিশেষ করে অনলাইন এর মাধ্যমেই শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে, এই শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সাহায্যে ঘরে বসেই অনেকেই শিক্ষা অর্জন করতে পারে। তাছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা পৃথিবীর বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ প্রতিকার শিক্ষাকে মানুষের কাছে অতি সহজ করে তুলে ধরেছে।

তথ্য আদান প্রদানঃ তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপক রয়েছে। প্রথমে প্রতিরক্ষা করে সর্বসাধারণের জন্য এই তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবস্থা করা হয়। এর মাধ্যমে বিভিন্ন চিঠি প্রদান করা হয়ে থাকে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এবং কম খরচে।

সোশ্যাল মিডিয়াঃ তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমানে ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান প্রদান করা যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিবর্তন করা যায় এর মাধ্যমে। পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে একজনের সাথে আরেকজনের চেটিং ভিডিও কল অডিও কল কনফারেন্স মিটিং ইত্যাদি কাজগুলো করা যেতে পারে।

বিনোদনঃ বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করে মোবাইলের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন নাটক সিনেমা অতিথি রেডিও টেলিভিশন খবর গেমস ম্যাগাজিন ইত্যাদি দেখতে পারি এবং পড়তে পারি। 

তাছাড়া বিনোদনের জন্য আরো ভালো প্ল্যাটফর্ম হল ইউটিউব হটস্টার অ্যামাজন প্রাইম ইত্যাদি অসংখ্য ব্যবহার করে থাকি। মানুষের বিনোদনের ক্ষেত্রে এখন হাতের মুঠোয় স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্বের সকল কিছু তথ্য এবং বিভিন্ন বিষয় জানতে পারা যায়।

ব্যবসা-বাণিজ্যঃ ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য করা বর্তমানের জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে এখনকার ব্যবসা বাণিজ্য অনলাইনের মাধ্যমে বেশি হয়ে থাকে। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের জিনিস কেনাবেচা হয়ে থাকে যেমন হোটেল বুকিং, গাড়ি বুকিং খাওয়ার অর্ডার করা বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ই-শপিংঃ ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে বর্তমানে লাভ করে যাচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতা সবাই এখন অনলাইনের মাধ্যমেই কেনাকাটা করে থাকে। তুলনামূলকভাবে স্বল্প দামে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে পারেন তাছাড়া পুরনো জিনিস বেচাকেনা।

অনলাইনের রিক্রুটমেন্ট এর ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেতে পারে। সর্বোপরি শুধুমাত্র ইন্টারনেট করেই বর্তমান যুগে গড়ে উঠতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য আবারো অসংখ্য মানুষের জীবন জীবিকা অর্জনে ব্যাপক সহায়তা করতে পারে।

ইন্টারনেট ব্যবহারের নিয়ম

ইন্টারনেট বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এই নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল,

ইন্টারনেট ব্যবহার করা বিষয়ে যেন কল্যাণময় যা আমাদের হাতের মোটেই এটা ব্যবহার করতে পারি। বিশ্বাস যে কোন প্রান্ত থেকেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা। বিভিন্ন দেশের খোঁজখবর রাখা যেতে পারে এবং যখন যা মন চাচ্ছে সকল কিছুই আমরা ইন্টারনেটে পেয়ে যাচ্ছি।

তবে ইন্টারনেটের অপব্যবহারের কারণে অনেকে বিপদে পড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে তারাই বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে জড়িত থাকে। তাই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কিংবা অবৈধ কার্যকলাপের ক্ষেত্রে তারা বেশি এগিয়ে থাকে। সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধ অনলাইনে নেটওয়ার্কিং।

নিরাপত্তা শিশুদের ক্ষতিকর ইন্টারনেট থেকে সুরক্ষা সমাজকে দায়িত্ব সম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করা পরিচ্ছন্ন ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। কিভাবে ইন্টারনেট নিরাপদে ব্যবহার করতে পারবেন, সে সম্পর্কে আলোচনা করা যায়।

অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজার কিংবা অন্যান্য সফটওয়্যার এর আপডেট করে নিতে হবে। এই আপডেট করার কয়েকদিন পরপরই আপডেট করতে হবে। তাছাড়া অপারেটিং সিস্টেম কিংবা অন্যান্য অ্যাপ কে অটো আপডেট দিয়ে রাখতে হবে।

সবসময় নিরাপদ থাকার জন্য অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও সব ধরনের নিরাপত্তা এন্টিভাইরাস দিতে পারবে না। তারপরও শতকরা ৯০% হুমকি থেকে মোকাবেলা করা যেতে পারে। তাই আপনি কিছু অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে এন্টিভাইরাস কিনে নিয়ে আপনার ইন্টারনেট নিরাপদ রাখুন।
সমস্যা হলো আপনি নিজেই কেননা আপনাকে বোকা বানানোর জন্য কিংবা আপনার ভুলের কারণে আর সাইবার আক্রমণকারীরা আপনার ইমেইল চুরি করে নিতে পারেন।

আপনি যদি কোন বাজে সাইটে আপনার মেইল কিংবা পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকেন। আক্রমণকারীরা আপনার সম্পর্কে তথ্য পেতে পারে, তারপর সেগুলোর সাহায্য আপনার অ্যাকাউন্ট চুরি করে এবং অন্যান্য সবকিছু বিক্রি করে দিতে পারবে।

সাইবার অপরাধীরা নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টির জন্য ব্যবহারকারীদেরকে বিভিন্ন বিষয় আপনাকে পাঠাতে পারে। যেমন বিভিন্ন ধরনের ফাইল কিংবা লিংক ওপেন করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি ব্যবহারকারী কম্পিউটারের ভাইরাসের মাধ্যমে আক্রমণ হয়ে গেলেন।

তাই ইমেইলের প্রেরক আপনার পরিচিত না হলে তা ওপেন না করে ডিলিট করে দিবেন। আর প্রেরক যদি পরিচিত হয় সেক্ষেত্রে খুব ভালোভাবে নিশ্চিত না হয়ে, এই ধরনের লিংকে ক্লিক করবেন না।

তাই নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সকলেরই সতর্ক থাকা খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশুদেরকে নজরে রাখতে হবে যেন তারা এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্কতা

ইতোপূর্বে আমরা জেনেছি ইন্টারনেট ব্যবহারের ভালো ও খারাপ দিক সম্পর্কে। এখন জানবো এর সতর্কতার সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
ছবি
ইন্টারনেট মানব সভ্যতায় অনেক দূর দূরান্ত নিয়ে গিয়েছে, মানুষের জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে অনেকটা সহজ হয়েছে। তাছাড়া ইন্টারনেট আমাদের অনেক উপকারের কাজগুলো করে থাকে।

আবার বিপরীত দিকে ইন্টারনেটের অভাব ব্যবহার করলে কিংবা অপরিমিত ব্যবহার করার কারণে মানসিক শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।

বিশেষ করে কিশোর ও তরল শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে অপব্যবহার মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারেন। অনেকে নানা সাইবার ক্রাইম এর সঙ্গে যুক্ত থাকে অনলাইনে বোলিংয়ের কাজগুলো করে থাকে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমাদের আধুনিক জীবনে এক নতুন ব্যবস্থা হলেও এটি শিক্ষার্থীদের জীবনে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

একটি জাতিকে মেধাশূন্য করে করা হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে ৯৪% শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে থাকে। তার মধ্যে ৮৫.৯% শিক্ষার্থীর মানসিক সমস্যায় ভুগছে মানুষের সমস্যা হচ্ছে ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। পড়ালেখা সহ বিভিন্ন কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জীবনের কোন না কোন সময় মানসিক সমস্যার শিকার হতে হয়।

তাছাড়া মানসিক সমস্যার পেছনে ভূমিকা সবচাইতে বেশি করা হয়েছে। তাই ইন্টারনেটকে তারা বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভিডিও এবং অডিও ইত্যাদি সকল ধরনের কাজকর্ম করা হয়ে থাকে।

বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা এই কাজগুলো বেশি করে থাকে ইন্টারনেটের অপরিণত ব্যবহারের কারণে স্বাভাবিক জীবনে প্রচন্ড নেতিবাচক হতে থাকে। মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পড়াশোনার ক্ষেত্রে মানুষ তথ্যের জন্য বিভিন্ন পত্রিকা। যা স্মার্ট ফোন থাকার কারণে এখন আর পত্রিকার দিকে চোখ নেয় না এদিকে যেমন সুফল রয়েছে।

আবার অন্যদিকে অপব্যবহার রয়েছে একদিকে মানুষ যেমন সুফল ভোগ করতে পারছে আবার অন্যদিকে অপব্যবহার করার কারণে বিভিন্ন ধরনের অপরাধও করে যাচ্ছে। এর ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বহু মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের মতই এটি আর একটি ভার্চুয়াল ভাইরাস যা আমাদের আঘাত এনে দিচ্ছে।

আমাদের বাস্তব জীবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলো সাধারণত কিশোর কিশোরী যারা অল্প বয়সে সবাই ব্যয় করে থাকে। তারা অধিকাংশই মোবাইলের মাধ্যমে যার কারণে অনেক সময় সাইবার অপরাধে তারা অপরাধের ফাঁদে তারা পা দিয়ে থাকে এবং ক্ষতির সম্মুখীন হয়। 

এক্ষেত্রে কিশোর বা শিশুদের ক্ষেত্রে অভিভাগ সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের জীবনের সর্বত্র প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগতে পারে কিন্তু এটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে। তাছাড়া কতটুকু নৈতিক ও শিষ্টাচার ব্যবহার হচ্ছে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

বাংলাদেশ ও ভারতের শিশু কিশোরদের মধ্যে তাদের সকল কিছু দূরে রেখে দিচ্ছে। বর্তমান শিশুরা মাঠে খেলাধুলা না করে কম্পিউটার গেমস খেলতেই বেশি পছন্দ করে থাকে। ফেসবুকে অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পার্সোনাল বন্ধুরা বিভিন্ন ধরনের কাজগুলো করে থাকে।

বন্ধুদের বন্ধনের তুলনায় ডিজিটাল বন্ধনের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়। সুখ দুঃখের ভাগাভাগি করতে তাদের এখন ফেসবুক সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সরাসরি কথা না বলে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে তারা নিজেদের ভাব আদান প্রদান করা হয়ে থাকে।

সকল ধরনের সমস্যার সমাধান ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার তাছাড়া সকল ক্ষেত্রে আমাদের এই যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। সাবধান অবলম্বন করে চলতে হবে সাইবার অপরাধ এবং ভার্চুয়াল জগতে অপব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে। এজন্য আমাদের সচেতন হতে হবে এবং সাবধানতা অবলম্বন করলেই নিরাপদ সাইবার পরিবেশ এবং সুন্দর বসবাসের ক্ষেত্রে হিসাবে পরিচালিত হবে।

লেখকের শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায় যে ইন্টারনেট এমন একটা পদ্ধতি যা আমরা বর্তমানে এক মুহূর্ত চলতে পারি না। কারণ ইন্টারনেটের মাধ্যমেই স্মার্টফোন ব্যবহার করার সার্থকতা আসে। তাই এই ইন্টারনেটের গুরুত্ব রয়েছে। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারের ভালো ও খারাপ দিক রয়েছে, এজন্য আমরা চেষ্টা করব সঠিক ব্যবহার করতে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকটে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Mahmudul Islam
Md. Mahmudul Islam
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও সরকারি চাকরি করি। আমি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করি, এছাড়াও ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করি। এই কাজের উপর আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।