বর্তমানে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় বিস্তারিত জানুন
অনেকে জানতে চায় যে বর্তমানে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়? এই ধরনের অল্প পুজিতে যদি আপনি ব্যবসা করতে চান, সেক্ষেত্রে কৌশলী হতে হবে। চলুন, অল্প টাকার মধ্যে কিভাবে ব্যবসা করা যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অনেকে ব্যবসা করতে পছন্দ করেন কিন্তু হয়তো অল্প পুজি থাকার কারণে ব্যবসা করতে পারেনা। এজন্য কিভাবে আপনি অল্প পুঁজির মধ্যে ব্যবসা করবেন সেসব সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই বর্তমানে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবর্তমানে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় জেনে নিন
১০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়
অনেকে জানতে চায় যে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়? আসলে ১০ হাজার টাকা দিয়ে অনেক ব্যবসা করতে পারবেন। তাই অনেকে ব্যবসা করতে চায় কিন্তু ভালো আইডিয়া না থাকার কারণে হয়তো ব্যবসা করতে পারে না আবার অনেকের ভালো আইডিয়া আছে কিন্তু পর্যাপ্ত টাকা নাই। এমন পরিস্থিতি অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বের ভুগে থাকেন। তবে অল্প টাকার মাঝেও ব্যবসা করা যাবে মাত্র ১০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। চলুন, সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
টিফিন সার্ভিসঃ অল্প বিনিয়োগ করে তার জন্য বেশি টাকা লাভ করার জন্য টিফিন সার্ভিস এর ব্যবসাটা করতে পারবেন। মাত্র ১০০০০ টাকার কমেও আপনি এই সার্ভিসটা দিতে পারবেন। নারীদের জন্য এটি একটি ভালো কাজ দেশে অনেক জায়গায় এরকম রয়েছে। যেখানে মানুষ চাকরি করে বা পড়াশোনার কারণে একা একা লাগে কিন্তু তাদের ঘরের তরী খাবার পছন্দ হয়। বেশি এক্ষেত্রে আপনি ব্যবসাটা খুবই কম খরচে করতে পারেন।
Youtube চ্যানেলঃ বর্তমান সময়ে সবচাইতে জনপ্রিয় হলো ইউটিউব চ্যানেল। ইউটিউবে বিনোদন বেশি পেয়ে থাকে এক্ষেত্রে নেই গেমিং রান্না বা এ ধরনের ভিডিও করে চ্যানেলে পাবলিস্ট করতে পারে থেকেও আপনি অনেক থেকে উপার্জন করতে পারেন। এজন্য আপনি একটি ছোট স্টুডিওর মত পরিবেশ তৈরি করা লাগবে আর জন্য বেসিক লাইট, ফোন জিনিস গুলো কিনতে হবে। এছাড়া প্রথমত আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে। তারপরে আপনি ভালো মানের প্রযুক্তি কিনে আরো উন্নত ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
আচারের ব্যবসাঃ আচারের ব্যবসা একটি জনপ্রিয় ব্যবসা বর্তমান সময়ে অনেকেই এই আচার তৈরি করে বিক্রি করে থাকে এবং যারা কিনতে পারে না, হয়তো আচার বানানোর জন্য সময় পান না তারাই সাধারণত এই আচারগুলো অনলাইনের মাধ্যমে কিনে থাকে। এজন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল কিনে এবং রেসিপি গুলো প্যাকেজিং করে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন এবং সরাসরি বিক্রি করতে পারেন। তবে অনলাইনের মাধ্যমে বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে যদি আপনি সন্দর করে আপনার পণ্যের গুণাগুণ তুলে ধরতে পারেন তাহলে অনেক বিক্রি করা যাবে।
মেহেদি পরানোর ব্যবসাঃ বর্তমানে অনেক মেয়ে হাতে মেহেদি দিয়ে থাকে বিশেষ করে বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন মেয়েদের প্রচলন বেশি হয়। তাই ১০ হাজার টাকা কম খরচে আপনার ব্যবসাটা করতে পারেন। এ ব্যবসার জন্য আপনি প্রথমে একটা ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন এবং অনলাইনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। আপনি যে এই কাজে পারদর্শী এবং কিছু অভিজ্ঞতার ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে পাবলিশ করতে পারেন। এতে অনেকে আপনার থেকে এই কাজটা করে নিতে চাইবে।
নতুন ব্যবসার আইডিয়া
অনেকে নতুন কোন ব্যবসা করার জন্য পরিকল্পনা করছেন, তাদের নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। অর্থাৎ কিভাবে আপনি ব্যবসা করলে লাভবান হবেন, সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আমাদের অধিকাংশ মানুষ যদি কোন একটা বিষয় নিয়ে ব্যবসা করে। যদি একটা পণ্য নিয়ে নতুন কোন ব্যবসা করে সেই ব্যবসাটার জন্য অনেকে প্রতিযোগিতা করে কিন্তু এ সম্পর্কে ভালো একটি আইডিয়া নেওয়া প্রয়োজন। সে ব্যবসার লাভজনক হবে কিনা, মানুষ সেই পণ্যটা গ্রহণ করবে কিনা, এই বিষয় গুলো বিবেচনা করতে হবে। এর মধ্যে সৃজনশীলতা থাকতে হবে, তাহলে মানুষ এটা গ্রহণ করবে। তবেই আপনি অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন।
আয়ের পরিকল্পনাঃ যারা শুধু আবেগ দিয়ে বা লাভের আশায় ব্যবসা করতে চায়, তারা সাধারণত সফলতা অর্জন করতে পারে না। ব্যবসা করার জন্য দুটি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া লাগবে। সেটা হল আবেগ থাকা যাবে না, তেমনি লাভহীন ব্যবসা পেট্রোলবিহীন গাড়ির মতোই বলা হয়ে থাকে। নতুন প্রকল্প শুরু করার আগে অর্থ উপার্জনের উপায় প্রয়োজন। দুইটা জিনিস মনে রাখতে হবে সেটা হল ধৈর্য এবং পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে সাফল্য আপনার চলে আসবে তাই ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনাকে পরিকল্পনা করতে হবে। তাহলেই আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
বাজার যাচাইঃ উদ্যোক্তা ধারণা নিয়ে উৎসাহী হলেও অন্যরা যদি খুব আগ্রহ না থাকে তাহলে পরিকল্পনা করতে হবে। ধারণা শোনার পর অন্যরা উৎসাহিত হলে এবং সমর্থন করলেই মনে করবেন আপনি সঠিক পথে রয়েছেন। তখন ধারণাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করা লাগবে। আর এজন্য কত টাকা খরচ হতে পারে, আর কত টাকা ব্যয় করার মত আপনার সামর্থ্য আছে। পুরোদমে চলাকালীন কতটা লাভ হতে পারে, এই সকল বিবরণ গুলো অনুসন্ধান করা লাগবে।
ক্রেতা সম্পর্কে জানাঃ ব্যবসা করা শুরু করার আগে অবশ্যই বাজার যাচাই করতে হবে এবং আপনারা একটি ধারণা রাখতে হবে। সেটা হল ক্রেতা কেন এবং কিভাবে পণ্য কিনবে,আগ্রহী হবে সে বিষয়টা নজর দিতে হবে।
এজন্য একটি নতুন ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং লেগে থাকতে হবে কিন্তু ক্রেতার আকর্ষণ বিন্দু যদি না হয়। সেটা যদি আপনি না করতে পারেন তাহলে আপনার কষ্টকর হবে, এজন্য পরিপূর্ণ পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন।
ন্যূনতম কার্যকর পণ্য তৈরিঃ ব্যবসার ধারণা বাস্তবায়নের জন্য অবশ্যই আপনার ন্যূনতম কার্যকর পণ্যের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। এই পণ্য বা সেবাটি সবচেয়ে মৌলিক বিষয়গুলো সংস্করণ করতে হবে। গ্রাহকদের অফার দেওয়া লাগবে এটা ক্রেতার চাহিদা মেটানোর ক্ষমতা যেন রাখে সে দিকে খেয়াল করতে হবে। তবে এটা চূড়ান্ত লক্ষ্য হবে এমন একটি পণ্য বা পরিশোধ তৈরি করতে হবে, যা গ্রাহকের যেন পছন্দ হয় তাদের লাভজনক হয়।
বিশেষজ্ঞদের সহায়তাঃ ব্যবসার ধারণা নেওয়ার জন্য অবশ্যই যারা ব্যবসা সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের সাথে আপনি ব্যবসা সম্পর্কে সাক্ষাৎ করতে পারেন। তাদের থেকে ধারণা নিতে পারেন, তাছাড়া অনলাইনে কমিউনিটি গ্রুপ আছে যেখানে অনেক ব্যবসা পরামর্শ দিয়ে থাকে। আপনি নতুন ব্যবসায়ী হিসেবে অবশ্যই অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের সাথেই আলোচনা করা লাগবে। তাদের সাথে আপনার প্রত্যাশার কথা গুলো তুলে ধরা লাগবে এবং পরবর্তী কি পদক্ষেপ নেবেন সেটাও জানাতে হবে। তাহলে ব্যবসা সম্পর্কে ভালো একটি আইডিয়া পাবেন।
নতুনত্ব খুঁজে বের করাঃ লাভজনক ব্যবসা করার জন্য প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা কিছু করতে হবে। প্রতিযোগিতার বাজারে যে প্রোডাক্টটি রয়েছে, তার থেকে অবশ্যই আপনার একটু হলেও ভিন্নতা আনতে হবে। এতে আপনার সংস্করণ করা দরকার বা সংস্কার করার জন্য নতুন আইডিয়া তৈরি করা যেতে পারে। তাহলে অন্যদের থেকে আপনার পণ্যটা বা আপনার ব্যবসাটা অনেক এগিয়ে থাকবে।
যোগাযোগের সমন্বয়ঃ উদ্যোক্তার ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্রেতাদেরকে আগ্রহী করার জন্য তাদের যোগাযোগের ব্যবস্থা ভালো করতে হবে। যেন তাদের সুবিধা হয় এই ধরনের যোগাযোগ করতে হবে। তাহলে আপনার ব্যবসায় ক্ষেত্রে লাভবান হতে পারবেন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রয়োজন রয়েছে। তাই যারা ভালো উদ্যোক্তা রয়েছে তাদের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ রাখতে হবে। তাহলে ব্যবসা সম্পর্কে ভালো জানতে পারবেন এবং ব্যবসায় লাভ করতে পারবেন।
৫ হাজার টাকায় ব্যবসা
অল্প টাকার মধ্যে যারা ব্যবসা করতে চান তারা এ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা এবং দিক নির্দেশনা দরকার। তাই ৫ হাজার টাকায় ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে অল্প পুজিতে ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। তাই নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো;
ফলের রসের দোকানঃ গ্রীষ্মকালের সাধারণত পানির তৃষ্ণা বেশি লেগে থাকে, তাই আমরা বিভিন্ন রাস্তা বা ফুটপাতে ফলের রসের দোকান দেখতে পাই আর শরবতের দোকান দেখা যায়।
এই ব্যবসাটি সাধারণত অফিস স্কুল বাজার, চাহিদা সম্পন্ন স্থান ব্যবসা করা যেতে পারে। পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে কিভাবে আপনি এই ব্যবসা গুলো করতে পারেন সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।প্রথমত একটি টেবিল কেনা লাগবে, জুস রাখার গ্লাস বাক্স বা ফিল্টার প্রয়োজন, ফলের প্রয়োজন অন্য ধরনের ফল প্রয়োজন, জুস তৈরির জন্য একটি ব্লেন্ডার মেশিন দরকার। এটি একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা হলেও এখানে ইনকাম আছে, আপনি এই ব্যবসাটি অল্প টাকার মধ্যে ইনকাম করা যেতে পারে।
ক্ষুদ্র পাইকারি ব্যবসাঃ পাইকারি ব্যবসা হিসেবে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিশেষ করে বাচ্চাদের খাবার আইটেম নিয়ে আপনি সেলসম্যান হিসেবে এলাকার মুদি দোকানগুলোতে দিতে পারেন। বিশেষ করে এই জিনিসগুলো আপনি চকবাজার থেকে কিনবেন, দেখবেন হাজার রকমের খাবার আইটিয়াম আছে মশলা রয়েছে। এই জিনিসগুলো পাবেন অল্প টাকায় কিনতে পারবেন এখান থেকে কিনে নিয়ে আপনি বিভিন্ন দোকানে পাইকারি হিসেবে দিতে পারবেন। এই ব্যবসার জন্য যে সকল জিনিস আপনার প্রয়োজন তা হল।
এই প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করার জন্য আপনাকে মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে এবং যে আইটেমগুলোর চাহিদা রয়েছে সে আইটেমগুলো বিক্রি করা লাগবে। সময় ও ধৈর্য ধারণ করা লাগবে এই সকল ছোটখাটো বিজনেস যদি আপনি করতে পারেন, তাহলে অল্প পুঁজির মাধ্যমে করা যেতে পারে। এতে আপনার দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মত ইনকাম। আপনি পরিশ্রম করলে অনেক সময় মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্লাক্সিলোড ও টেলিকম ব্যবসাঃ অল্প টাকার মধ্যে ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসাটা করা যেতে পারে। এজন্য বাজার বা রাস্তার মোড়ে যেকোনো স্থান একটি টেবিল ও মোবাইল নিয়ে ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে একটি স্মার্ট ফোন আর সকল ধরনের সিম কোম্পানি থেকে নিয়ে কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া টেলিকম সার্ভার গুলোতে একাউন্ট খুলে আপনি নিজেও একটি টেলিকম সার্ভার এর মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। টেলিকম থেকে মোবাইল সিমের মিনিট এমবি বান্ডেল অফার গুলো কম দামে কিনতে পারেন।
সেগুলো বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একটি ৫০০ টাকার মূল্যের অফার মাত্র ৩৭০ টাকা থেকে ৩৯০ টাকার মধ্যে আপনি লোড দিয়ে এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এই ব্যবসাটি করার জন্য আপনার যে সকল জিনিস প্রয়োজন হবে। তা হল একটি স্মার্টফোন, একটি টেবিল চেয়ার, বড় ছাতা ফ্লেক্সিলোড বা টেলিকম একাউন্ট প্রয়োজন। এই সকল উপাদান গুলো নিয়ে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন, আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যেই আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেটিংঃ বর্তমান সময়ে সবাই অনলাইন মার্কেটিং এর উপর নির্ভর করে যাচ্ছে। খুব সহজেই অল্প টাকার মধ্যে পণ্য নিয়ে রিসেলিং করে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনার নিজস্ব বা বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট থেকে পণ্য কিনে রাখবেন। ক্রয় মূল্যের সাথে নিজের লভ্যাংশ যোগ করে facebook, youtube ব্লগ সাইট ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি পণ্যগুলো বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সে ধরনের সাইটগুলো হতে পারে দারাজ জনপ্রিয় এটাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।
টি স্টলঃ অনেকে অল্প টাকার মধ্যে চায়ের ব্যবসা করে থাকেন তাই বাড়ির পাশে ছোট একটি দোকান দিয়ে সেখানে চা বিস্কুট রুটি কলা এগুলো বিক্রি করতে পারেন। তাছাড়া ফোল্ডিং ভাবে ফ্লাক্স নিয়ে হেঁটে হেঁটে আপনি চা বিক্রি করতে পারবেন। এই ব্যবসা করার জন্য আপনার মাত্র ১ থেকে ২ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। বিশেষ করে জনবহুল এলাকাতে এই ধরনের ব্যবসা গুলো ভালো চলে এবং সন্ধ্যার পরে জনবহুল জায়গাগুলোতে বেশি বিক্রি করা যায়।
২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়
আপনার যদি অল্প পুজি থাকে তার মধ্যে ছোটখাটো যদি কোন ব্যবসা করতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনার ধারণা রাখতে হবে। তাই ২ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়? নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হল;
২ থেকে ৩ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে যদি আপনি ব্যবসা শুরু করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার প্রবল ইচ্ছা থাকতে হবে এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তাহলে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। ব্যবসা করতে পুঁজি দরকার আছে, তবে তার চেয়ে বেশি দরকার দক্ষতা এবং মানসিকতা সৃজনশীলতার। তাহলে ২ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করলেও আপনি সফলতা অর্জন করবেন। বাংলাদেশের ব্যবসায় লাভজনক রয়েছে, তবে সেটা নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন এবং ক্রেতাদের কাছে আপনার এই ব্যবসা সম্পর্কে আগ্রহ কেমন, সহজলভ্য কিনা।
এই ধরনের বিষয় গুলো বিবেচনা করতে হবে, এমন একটা পণ্য আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। যেটা তাদের সারা জীবন প্রয়োজন হয়, এটার প্রতি চাহিদা থাকে। আমাদের দেশে অনেকে ব্যবসা বাণিজ্য করতে চায় কিন্তু তাদের অল্প পুজি থাকার কারণে ব্যবসা করতে পারে না। অনেকে ব্যবসার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করেছে বা বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে কিন্তু কিভাবে ব্যবসা করলে লাভবান হওয়া যাবে সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেনা, অল্প পুঁজির মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্য করা যায় সে সম্পর্কে আইডিয়া নিতে পারেন।
অল্প পুজিতে ব্যবসা করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষ সৃজনশীল পছন্দ করে তাই আপনাকেও কিছু সৃজনশীল কাজ করতে হবে। এজন্য অল্প পুঁজি কাজে লাগিয়ে অনেক লাভবান হয়, সেই বিষয়ে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করার পূর্বে আগে সঠিক আইডিয়া এবং গাইডলাইন প্রয়োজন। এজন্য বুঝতে হবে কোন কাজটি করা আপনার প্রয়োজন এবং কত টাকা খরচ হবে। কিভাবে শুরু করবেন এবং এটার ইন্টারেস্ট কেমন হবে, কোন বিষয়ে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়গুলো জানা আপনার খুবই প্রয়োজন।
প্রথমে ২ হাজার টাকায় আপনি ব্যবসা করতে চান, সে ক্ষেত্রে কিছু ব্যবসার সম্পর্কে আপনাকে আইডিয়া দেওয়া যেতে পারে। চলুন, সেই ব্যবসা গুলোর সম্পর্কে জানা যাক। ঝাল মুড়ি, আচার, বাদাম বুট, ছোলা বুট, শরবত, ফ্লাক্সে করে চা বা কফি, ফুচকা বা চটপটির ব্যবসা, আমড়া বা শসা বিক্রি করা, পপকন বিক্রি, সিঙ্গারা, পিয়াজু ও পিঠা বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসা গুলোকে আপনি কখনো ছোট মনে করবেন না। কারণ উপরোক্ত জিনিসগুলো আমরা সাধারণত রাস্তাঘাটে গেলে অনেক সময় খেয়ে থাকি। ফুটপাতে এই ব্যবসা করে অনেকেই আজ অনেক টাকার মালিক হয়ে গেছে।
আজকে ফুটপাতে ব্যবসা করে আকিজ এর মত বড় বড় শিল্পপতিরা তারা এই ছোটখাটো ব্যবসা করে আজ কোটিপতি হয়েছে। তাই আপনাকে ভাবতে হবে এই ছোট ব্যবসা দিয়ে শুরু করলে আপনি ব্যবসা আর কৌশল বুঝতে পারবেন। তাহলে আপনি বড় ব্যবসা করার জন্য সুবিধা হবে। আপনার অভিজ্ঞতা হবে তাহলে আপনি বেশি পুঁজি ব্যবহার করলে এক সময় অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তাই প্রথম অবস্থায় অল্প পুজিতে ব্যবসা করে, আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এতক্ষণে আমরা জানলাম ফুটপাতের ব্যবসা সম্পর্কে চলুন এখন স্মার্ট ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক,
স্ক্রিন এন্ড কেয়ার বিজনেসঃ আর্টিফেশিয়াল ক্রিম, সাবান এই গুলো থেকে আজকাল সবাই হোমমেইড স্কিন কেয়ার পছন্দ করে। কারণ এতে কোন সাইড ইফেক্ট নাই। স্কিনের বিভিন্ন রকম সমস্যার কারণে মেয়েরা বিভিন্ন রকমের স্কিন কেয়ার এর সন্ধান করে থাকে। এছাড়াও অনেকের চুল পড়ার সমস্যা থাকে। আপনি যদি ঘরে তৈরি চুল পড়ার জন্য বিভিন্ন তেল বিক্রি করতে চান, সেই ক্ষেত্রে মার্কেটপ্লেসে যদি আপনি নিজের পরিচয় নিয়ে আসতে চান বা ব্যবসা করে লাভবান হতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করা লাগবে এবং জিনিসগুলো যেন অথেনটিক হয়।
বিশুদ্ধতা হয় এর মাঝে কোন ভেজাল থাকা যাবে না। আপনি এই ছোটখাট বিজনেস করার জন্য যে বিষয়গুলো আপনাকে খেয়াল করতে হবে। আপনার ছোটখাটো রেমেডি সংগ্রহ করা লাগবে যা আপনি পাইকারি দোকান গুলোতে ২০০০ টাকার মধ্যেই পেতে পারেন। বর্তমান ফেসবুকের প্রতি মানুষ আকর্ষণ বেশি এজন্য আপনাকে একটা ফেসবুক পেজ খোলা লাগবে। যার মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টগুলো সেখানে পরিচিতি করতে পারবেন এবং আপনি প্রোডাক্ট এর গুনাগুন সম্পর্কে বলতে হবে।
চায়ের পাতার ব্যবসার আইডিয়াঃ আপনি যদি চায়ের পাতার ব্যবসা করতে চান, সেই ক্ষেত্রে পাইকারি দোকান গুলোতে কম দামে বা ডিলার এর কাছ থেকে চা পাতা কিনতে পারেন। বাংলাদেশের মানুষ প্রায় সবাই চা খায়, তাই চা পাতার চাহিদা আছে। চা পাতা কিনে সেটা প্যাক করবেন ২৫ গ্রাম এক টাকা খরচ হতে পারে। আপনি এই ব্যবসায় প্রথমে ২ হাজার টাকা পুজি নিবেন। তাই আপনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করতে পারেন। পরবর্তী ব্যবসাটা আরও বৃদ্ধি করবেন, পুঁজি বাড়াতে থাকবেন তাহলে আপনার লাভ বেশি হবে।
মাস্কের ব্যবসাঃ আপনি এই মাস্কের ব্যবসা করে অনেক টাকা লাভ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল মাস্ক কিনতে পারবেন। পাইকারিতে ২ টাকা পাবেন সেটা আপনি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও বর্তমানে অল্প বয়সে নারীরা এই মাস্ক ফ্যাশন হিসেবে ব্যবহার করে, সে ক্ষেত্রে আপনি যদি বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় দ্বারা নিজেই তৈরি করতে পারেন। আপনার টার্গেট থাকতে হবে যেন অল্প বয়সে মেয়েরা যে ধরনের মাস্ক পছন্দ করতে পারে। সেই ধরনের মাস্ক আপনাকে তৈরি করতে হবে। তাহলে আপনার ব্যবসায় লাভবান হবেন।
অনলাইনে পুরনো বই বিক্রি করতে পারেনঃ বই অনেকে পড়তে পছন্দ করে তাই অনেকে উপন্যাসের বই অথবা গল্প পছন্দ করে থাকে। এই বই বিক্রয়ের জন্য আপনি ফেসবুক গ্রুপ কে ব্যবহার করতে পারেন অথবা একটা নিজের পেজ খুলতে পারেন। পুরানো বইয়ের নাম দিয়েই একটি আপনি পেজ খুলবেন। যেখানে মানুষ জন বই পড়তে ভালোবাসে বা বই কিনতে পছন্দ করে। সেই গ্রুপগুলোতে আপনাকে যোগদান করতে হবে। তাহলে পুরনো বইগুলো মানুষজন কিনতে আগ্রহী হবে এবং আপনিও বিক্রি করে লাভবান হবেন।
সেই বইগুলোর মধ্যে হতে পারে বিভিন্ন ক্লাসের গাইড বই, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বই বিক্রি করতে পারেন, বিসিএস সরকারি চাকরির জন্য পুরোনো বই, গল্প উপন্যাসের, ডিকশনারি এছাড়াও আরও অনেক ধরনের বই রয়েছে সেগুলো আপনি বিক্রি করতে পারেন। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক এই পুরাতন বইগুলো আপনি অল্প দামে কোথা থেকে কিনতে পারবেন সে সম্পর্কে আইডিয়া নেওয়া যাক।
আপনি বিভিন্ন এলাকার যে সকল ভাঙ্গারি দোকান গুলো আছে অথবা ভাঙ্গারির ব্যবসা গুলো করে থাকে। তাদের কাছে আপনি পুরাতন অনেক বই পুস্তক পাবেন সেখান থেকে আপনি অল্প দামে কিনতে পারবেন। সেগুলো একটু সৌন্দর্য করে সেটা ভালোভাবে সেলাই করে এবং উপরের কাভার টা চেঞ্জ করে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। উপরোক্তই ব্যবসা গুলো আপনি খুবই অল্প টাকায পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন এবং দক্ষতা থাকলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
২০ হাজার টাকায় ব্যবসার আইডিয়া
মোটামুটি পুঁজিতে যদি ব্যবসা করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি যে আইডিয়াগুলো নিতে পারেন। তাই ২০ হাজার টাকায় ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে ওরা আপনাকে ব্যবসা করতে হবে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
টিউটর ব্যবসাঃ যারা শিক্ষিত বেকার তারা এই ব্যবসাটি করতে পারেন দিয়ে আপনার কোন বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা থাকে খুবই সহজভাবে ছাত্রছাত্রীদেরকে বোঝাতে পারবেন। তারা উপকৃত হবে তাহলে আপনার এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি এই বিষয়ে আসতে পারেন। যেমন ইংরেজি গণিত বিজ্ঞান আইসিটি এই বিষয়গুলো সাধারণত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাইভেট পড়ে থাকে। তাই এই বিষয়ে যদি আপনার দক্ষতা থাকে সেটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি করাতে পারেন এবং ইনকাম করতে পারেন।
আপনি যদি এই কাজটি করতে চান সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় আপনার করা লাগতে পারে। বর্তমানে সব থেকে যোগাযোগের মাধ্যম হল ফেসবুক আপনি যদি ছাত্রছাত্রী পড়াতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ফেসবুকের মাধ্যমে সাবজেক্টের এ বিষয়গুলো আপনাকে শেয়ার করা লাগবে। সে বিজ্ঞাপন গুলো দেখে ছাত্রছাত্রীরা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। তাই এই টিউটোরিয়াল ব্যবসা করলেও আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এতে তেমন বেশি একটা ইনভেস্ট করতে হবে না, সব থেকে বিষয় হলো টিউটোরিয়াল ব্যবসাটি আপনার নিজের বাড়িতেই করা যেতে পারে।
এজন্য আপনাকে যে বিষয়গুলো লাগতে পারে তাহলেও একটি ছোট রুম নিতে হবে এবং সেখানে নিজের ভাষাতে টিউটোরিয়াল এজন্য একটু বসার একটা পরিবেশ দরকার হবে, ছাত্রছাত্রীদের বসার স্থান করা লাগবে বেঞ্চ হোয়াইট বোর্ড মার্কার পেন আরো কিছু টুকিটাকি জিনিস লাগবে।
এই ব্যবসার মাধ্যমে আপনি যদি ইংরেজি সাবজেক্টে পড়াতে চান সে ক্ষেত্রে ১০ জন ছাত্র যদি করেন প্রতি জনের থেকে ৫০০ টাকা নিলে প্রতি মাসে আপনার ৫০০০ টাকা ইনকাম হবে। ইংরেজের পাশাপাশি আপনি আরো অন্যান্য সাবজেক্ট পড়াতে পারেন যদি আপনার দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি অনেক জায়গায় ইনকাম করতে পারবেন।
কসমেটিকস দোকানঃ বর্তমানে মার্কেটপ্লেসগুলোতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসা হল কসমেটিক দোকান। কসমেটিক দোকানে প্রচুর পরিমাণে লাভ হয় এজন্য আপনি একটি পণ্য বিশ টাকা দিয়ে কিনে থাকেন সেটা ৩৫ টাকার মধ্যে বিক্রি করেন তবে পণ্যটি তাহলে আপনার পণ্যটি প্রায় ১৫ টাকা লাভ। আপনি যদি এই ব্যবসাটি শুরু করতে চান সে যেন একটা সুন্দর দোকান লাগবে এবং স্থানটা সৌন্দর্য জায়গায় কোথাও বিশেষ করে স্কুল কলেজের পাশে হলে ভালো হয়। তাহলে ছাত্রীরা সাধারণত এই প্রোডাক্টগুলো কিনে থাকে বেশি তাছাড়া বাজারে আপনি নারীদের যদি টার্গেট করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ফার্মেসি ব্যবসাঃ বর্তমানে এই ব্যবসাটি অনেকটাই জনপ্রিয় তাই নিজের এলাকায় একটি ফার্মেসীর দোকান দেওয়া দিতে পারেন। এ থেকে অনেক টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। যদি আপনি গ্রামে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে এই ব্যবসাটি করতে ২০ হাজার টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে। প্রথম অবস্থায় এটা দিয়ে শুরু করবেন তারপর আস্তে আস্তে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করলে আপনি ইনকামও বেশি করতে পারবেন। আর আপনাকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রাখতে হবে যেগুলো মানুষের সব সময় প্রয়োজন হয়।
শেষ বক্তব্যঃ বর্তমানে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায় বিস্তারিত জানুন
পরিশেষে বলা যায় অল্প পুজিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে আপনি ব্যবসায় লাভবান হবেন, তাছাড়া প্রত্যেকটা ব্যবসা করার জন্য প্রথম আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে, তাই অল্প পুজিতে কিভাবে ব্যবসা করবেন সে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নিতে হবে। তাই বর্তমানে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়? এ সম্পর্কে আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি উপকার হবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করুন ধন্যবাদ।



এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url