গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানুন

অনেক গর্ভবতী মায়ের সাধারণত পায়ে পানি আসে। তাই গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানলে আপনার অনেক উপকার হবে। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
গর্ভবতী মায়েরা সাধারণত পায়ে পানি আসলে অনেক টেনশনে পড়ে যান কিন্তু এই পানি আসছে কেন সেটা আগে জানতে হবে। তারপরে চিকিৎসা নিতে হবে। তাই গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানুন

গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসার কারণ ও করণীয়

একজন গর্ভবতী মায়ের সাধারণত পায়ে বা শরীরে বিভিন্ন জায়গায় পানি আসে। তাই গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে আপনি জানলে অনেক উপকৃত হবেন। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

পানি আসে যে কারণেঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে রক্তে প্রোজেস্ট্রেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে শরীরে পানি জমে যায়। গর্ভের বাচ্চা যখন বড় হতে থাকে তখন গর্ভবতী মায়ের রক্ত কমে যেতে থাকে এবং রক্তগুলো পানি হয় হয়ে যায়।

১৬ সপ্তাহের প্রথম দিকে গর্ভবতীর জরায়ু বড় হতে থাকে, তখন গর্ভস্থ শিশু বড় হয়। গর্ভস্থ শিশুটির বড় হওয়ার কারণে তার মাথার চাপ লাগার কারণে গর্ভবতীর রক্ত চলাচল করতে সমস্যা হয়। এজন্য দেখা যায় পায়ে পানি আসে যার কারণে পা ফুলে যায়।

গর্ভাবস্থায় সাধারণত নারীদের পায়ে পানি আসে আবার অনেক নারীর উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির সমস্যা যদি থাকে, তাহলে সে কারণেও পায়ে পানি আসে ও পা ফুলে যায়।

অনেকক্ষণ কাজ করার কারণে ও খাবারের পটাশিয়ামের পরিমাণ কম থাকলে এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন যুক্ত পানিও পান করলে সাধারণত এ সমস্যা দেখা যায়।

হঠাৎ করে হাতে ও মুখে বা অনেক বেশি পানি উপস্থিত হয়, তাহলে অবশ্যই মাথা ব্যাথা এবং চোখে ঝাপসা দেখা, বুকে ব্যাথা শ্বাসকষ্ট কাশি হয়ে থাকে।

অতিরিক্ত বুমির কারণে পানি স্বল্পতা দেখা দিলে হাসপাতালে যোগাযোগ করবেন।
পায়ে পানি আসলে যা করতে পারেনঃ গর্ভাবস্থায় অনেকের পায়ে পানি আসে কিন্তু কি কারনে আসে সেটা হয়তো অনেকের অজানা। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভাবস্থায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না, গর্ভবতী নারীরা দীর্ঘক্ষণ যদি দাঁড়িয়ে থাকে এর কারণে তাদের পা ফুলে যেতে পারে। আর এই কারণে সব সময় দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না, তাই কিছুক্ষণ পর পর চেয়ারে বসবেন তারপর আবার দাঁড়াবেন।

গর্ভাবস্থায় যারা অফিস করেন তারা অফিসের ডেক্সে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকবেন না। ৩০ মিনিট পর পর অন্তত উঠে দাঁড়াতে হবে, সম্ভব হলে কিছুক্ষণ হাঁটতে পারেন।

পায়ের ফোলা ভাব কমানোর জন্য শারীরিক ব্যায়াম করা যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে হালকা হাঁটাচলাফেরা করবেন, একটু বসবেন আবার উঠবেন এভাবে কিছুদিন করলে এই সমস্যার সমাধান হবে।

পা ফোলা কমানোর জন্য আরো একটি কাজ করতে পারেন সেটা হল দ্রুত রক্ত চলাচল করার জন্য যে খাবার গুলো খাওয়া যেতে পারে, সে জাতীয় খাবার গুলো খাবেন এবং হালকা শারীরিক ব্যায়াম করবেন।

অনেক নারী পায়ের উপর পা চাপিয়ে দিয়ে বসে থাকে, তাই পায়ের গোড়ায় ফুলে যেতে পারে। এজন্য গর্ভাবস্থায় যেন পায়ে পানি না আসে সেদিকে খেয়াল করতে হবে। একটু হাঁটা চলাফেরা করতে হবে তাহলেই পায়ে পানি আসবে না।

প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, শরীরের অতিরিক্ত পানি কমানোর জন্য পানি খাওয়া আশ্চর্য মনে হতে পারে। তাই প্রথম অবস্থায় হলেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

সুস্থ থাকার জন্য সব সময় আটোসাটো পোশাক পড়া যাবে না, নরম ও খোলামেলা জুতা পড়তে হবে।

গর্ভাবস্থায় হাঁটা চলাফেরা বা ব্যায়াম করা ঢেলে ঢালা পোশাক পরা যেতে পারে। তারপর পা ভর দিয়ে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করবেন না। আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করতে পারেন, লবণ কম খেতে হবে, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলো খেতে হবে। যেমন কলা, কমলা, মিষ্টি আলু ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থায় পানি ভাঙ্গা ও করণীয়

গর্ভাবস্থায় যাদের বাচ্চা হওয়ার পূর্বেই পানি ভাঙতে থাকে, তারা কি করবেন সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই গর্ভাবস্থায় পানি ভাঙ্গা ও করণীয় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

সাধারণত আমরা জানি যে বাচ্চা হওয়ার আগে আগ মুহূর্তে পানি ভাঙ্গা শুরু করে। যদি কারো কোন কারনে বাচ্চা হওয়ার অনেক আগেই পানি ভাঙতে থাকে, সেটাকে গর্ভাবস্থায় পানি ভাঙ্গা বলা হয়ে থাকে। এটা সাধারণত গর্ভাবস্থায় একটি সমস্যা যা সবার হয় না, কিছু গর্ভবতী নারীর হয়ে থাকে।

গর্ভাবস্থায় কোন কারনে অতিরিক্ত পানি ভাঙতে থাকে, তবে বেশিরভাগ গর্ভবতী নারীদের এটা বাচ্চা হওয়ার জন্য পানি ভাঙতে থাকে কিন্তু সবাই জানলেও এ বিষয়টা কিন্তু সঠিক ধারণা নয়। অনেক কারণেই এরকম সমস্যা হতে পারে।

তাছাড়া প্রসাব বের হলেও এ কারণেও পানি ভাঙ্গার মত মনে হতে পারে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় এ ধরনের সমস্যা হতে পারে, সাধারণত জরায়ুর বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের কারণেও হতে পারে। তাই এ বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এই সময় ভালোভাবে রোগীর ইতিহাস নিতে হবে, এতে একটি আইডিয়া পাওয়া যাবে। যে আসলে এটা পানি ভাঙ্গার সমস্যা হয়েছে কিনা, এই পানি ভাঙ্গা সাধারণত অনেক পানি ভাঙতে থাকে।

এছাড়াও জরায়ুর মুখ দেখেও নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে কিন্তু আলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে ভালোভাবে জানা যাবে। আসলে পানি ভাঙ্গা কতটুকু হয়েছে তাহলেই আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন।

গর্ভাবস্থায় প্রথমদিকে এই সমস্যাটি সাধারণত অ্যাবরশন বলা হয়ে থাকে। যদি বাচ্চা পরিপূর্ণ হতে কিছুদিন বাকি থাকে তাহলে রোগীকে হাসপাতালের রেখে চিকিৎসা দিতে হবে। বাচ্চার ম্যাচুরিটি বেড়ে ওঠা পর্যন্ত এবং এর মধ্যেই লেবার পেইন বা ইনফেকশন এর লক্ষণ দেখা দিলে, সেই গর্ভাবস্থাকে নিয়মিত করা সম্ভব হবে না।

গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে পানি ভাঙ্গা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পর্যবেক্ষণ করা যাবে। তবে লেবার পেইন উঠে থাকে তবে ইন্ডাকশন করার সম্ভব হবে না।

গর্ভাবস্থায় পানি ভাঙ্গা এই সমস্যাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা বাইরের জীবাণু ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। এজন্য জীবাণু থেকে মুক্ত রাখার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকতে হবে। এছাড়া পাশাপাশি এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো যেতে পারে।

একই সঙ্গে পানি ভাঙ্গার সমস্যা এবং প্রসাব পরীক্ষা করতে হবে। কেননা কোন ইনফেকশনের লক্ষণ আছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাই পানি ভাঙ্গার লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই নিকটস্থ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় পানি কমে যাওয়ার লক্ষণ

গর্ভাবস্থায় অনেকের পানি কমে যেতে পারে, তাই কি সমস্যা হতে পারে সেটা জানার প্রয়োজন। এজন্য গর্ভাবস্থায় পানি কমে যাওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
গর্ভবতীর গর্ভাবস্থায় মাঝের সময়টুকু এবং শেষ সময়ের দিকে এমনিওটিক ফ্লইডের পরিমাণ কমতে থাকে।

বাচ্চা হওয়ার পূর্বেই দেখা যায় গর্ভবতীর অল্প অথবা তার চেয়ে একটু বেশি পরিমাণ পানি ভাঙতে থাকে।

গর্ভবতী গর্ভস্থ শিশুর নড়াচড়া কম হয়ে গেলে এই ফ্লুইড কমে যেতে পারে।

গর্ভে থাকা বাচ্চার হার্ট বিট কমে যেতে পারে

গর্ভাবস্থায় পেটে পানি কমে যাওয়ার কারণে এর নির্দিষ্ট কোন আকার ইঙ্গিত বোঝা যায় না, এটা খুব বেশি হয়ে থাকে শেষের দিকে তখন প্রসবের নির্ধারিত সময় পেড়িয়ে যায়।

এমনিওটিক থলি যদি ছিড়ে যায় তাহলে গর্ভবতীর পেটের পানি কমতে থাকে।
গর্ভবতীর গর্ভফুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকতে পারে যার কারণে ও তার পেটের পানি কমে যেতে পারে

মায়ের কোন অসুস্থতা দেখা দিলে গর্ভাবস্থায় অনেক সময় পানি কমে যেতে পারে

ভ্রনের কোন অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে গর্ভাবস্থায় পেটে পানি কমতে থাকে।

অস্বাভাবিকভাবে কাপড় ভিজে যেতে পারে।

যে তরল পানিটা বের হয় দেখতে ইউরিন এর মত হলেও এটা আসলে মিষ্টি গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে।

ইউরিন বের সময় সাধারণত যে কোন মানুষ বেগ ধরে রাখতে পারে কিন্তু এই ধরনের পানিভাঙ্গা বেগ ধরে রাখা যায় না।

গর্ভবতীর যদি পানি কমতে থাকে তাহলে এই বিষয় নিয়ে চিন্তা না করে নিয়মিত চেকআপ করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চলতে হবে।

যদি কোন গর্ভবতীর পানি কমে যায় এবং বাচ্চা প্রসবের আর মাত্র দুই সপ্তাহ আছে, এরকম সময়ে চিকিৎসকরা সাধারণত বাচ্চার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সিজার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

৬ মাসের আগে যদি কোন গর্ভবতীর পানি ভাঙতে থাকে, সে ক্ষেত্রে শিশুকে বাঁচানোর জন্য গর্ভবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে এবং চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে।

৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে কোন গর্ভবতীর যদি পানি কমে যায়, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সাধারণত এন্টিবায়োটিক ও বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং ইনজেকশন ব্যবহার করে থাকে। এতে বাচ্চার ফুসফুস বিকাশে সাহায্য করবে।

৯ মাসের পর যদি পানি ভাঙতে থাকে সেক্ষেত্রে গর্ভবতীকে বাসায় বিশ্রামে থাকতে হবে অথবা এরপর ১ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর, তারপর ডেলিভারি করা যেতে পারে, তাহলে শিশুটি নিরাপদ থাকবে।

গর্ভাবস্থায় পা ব্যথা হলে করণীয়

গর্ভাবস্থায় অনেকের পা ব্যথা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কি করতে হবে। তাই গর্ভাবস্থায় পা ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন নিম্নে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।

গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এই সময়ে ওজন বাড়ে, যার কারণে পায়ের উপর চাপ লাগতে পারে, এজন্য পায়ের যন্ত্রণাও হয়ে থাকে। তাই তাদের অনেক কষ্ট হয়, তারা হাঁটা চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়ে থাকে। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। চলুন, সেই বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

অনেক গর্ভবতী মায়েরা সাধারণত পা নিচের দিকে দিয়ে বসতে পছন্দ করে কিন্তু এভাবে বসলে পায়ে পানি আসতে পারে এবং পা ব্যথা করতে পারে। তাই পায়ের নিচে কিছু দিতে পারেন। এতে আপনার পায়ে পানি আসা বা পা ব্যথা করার সম্ভাবনা কম থাকবে।

যদি গর্ভবতী মায়েরা সকালে ও বিকালে একটু হাটাহাটি করে এতে করে পা ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে। তাছাড়া শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এর ব্যথাও কমে যায়।

অনেক গর্ভবতী মহিলারা তাদের পায়ের ব্যথার কারণে হাটতে চায় না, এতে আরও পা ব্যথা বেশি হয়ে যায়। তারা একদম চলাফেরা বন্ধ করে দেয়, এজন্য যন্ত্রণা আরো বাড়ে। তাই তাদের উচিত অল্প করে হলেও হাঁটতে হবে। যদি একা হাঁটতে অসুবিধা হয়,তাহলে কাউকে সঙ্গী হিসেবে নিয়ে হাঁটা যেতে পারে। তাহলে আপনার এই ব্যাথা কমে যাবে।

আপনার যদি পা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে একটি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন সেটা হল; সরিষার তেল ও রসুন গরম করে পায়ে মালিশ করতে পারেন। এত দেখবেন ব্যথা অনেকটা কমে গেছে।

গর্ভাবস্থায় পা ফোলা কমানোর উপায়

গর্ভাবস্থায় অনেকের পা ফুলে যেতে পারে, এজন্য কিভাবে এটা কমানো যায় তা জানতে হবে। তাই গর্ভাবস্থায় পা ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন নিম্নে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন কারণে পা ফুলে যেতে পারে, তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো শরীরের ভিতর থেকে পানি বের হতে পারে না। অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে আপনার শরীরে পানি গুলো শোষণ করে নেবে এবং পানি বের হতে দিবে না। যার কারণে পা ফুলে যায়।

পটাশিয়ামের অভাবে শরীরে তরলের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে। পটাশিয়াম জাতীয় খাবারগুলো যেমন আলু পালং শাক মটর টক দই শ্যামন মাছ ওড়াল জাতীয় খাবার গুলো বেশি করে খেতে হবে।

চা বা কফি অনেকে পছন্দ করে থাকে কিন্তু এটা এই সময় সাবধানতা বা সতর্কতার সাথে খেতে হবে। কারণ এর মাঝে ক্যাফেইন থাকে যা শরীরে পানি মুত্র আকারে বের করে দেয়।
যার কারণে শরীর নিজেকে পানি ধরে রাখতে নির্দেশ দিয়ে থাকে, এজন্য ভেজস চা খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া অন্য কোন চা খাওয়া যাবে না।

নিজেকে আর্দ্র রাখুনঃ যদি এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পানি পান করতে হবে। যেটা আপনার শরীর এখন অভাব কমিয়ে নিয়ে আসবে। পানি সল্পতা দেখা দিলে এই ধরনের সমস্যা আরো বেশি হতে থাকে।

বিশ্রামে থাকেনঃ যখন আপনি সময় পাবেন তখন তাকে বিশ্রাম দেওয়ার চেষ্টা করবেন খানিকটা উঁচু চুলে বা বালিশের উপর বিশ্রাম নিতে পারবেন গর্ভবতীদের জন্য অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা কাজ করা যাবেনা। পা উঁচু অবস্থায় রেখে বিশ্রাম নেবেন তাহলে পায়ে পানি জমে না।

মালিশ করাঃ গর্ভাবস্থায় পা ফোলার সমস্যা দেখা দিলে তা মালিশ করতে হবে, এতে ভালো হয়ে যেতে পারে। এইজন্য পুদিনার পাতার তেল দিয়ে মালিশ করবেন।

বাম পাশ ফিরে ঘুমাবেনঃ বাম পাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন এভাবে শোয়ার কারণে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে তাছাড়া শরীরে চাপ পরে কম।

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনার গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসে। তাহলে এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, তাহলে আপনার এই সমস্যার সমাধান হবে। এজন্য গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি আসার কারণ ও করণীয় সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনাদের উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবদের অনুরোধ করছি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url