বাংলাদেশ থেকে স্পেনে যেতে কত টাকা লাগে [সর্বশেষ তথ্য জানুন]
বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক কাজের উদ্দেশ্য নিয়ে স্পেনে যেতে চায় কিন্তু স্পেনে যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে হয়তো বিস্তারিত জানেনা, তাই এটা জানা খুবই প্রয়োজন। চলুন, স্পেনে যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।
আপনি যদি স্পেনে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন যদি থাকে তাদের মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এই ক্ষেত্রে আপনার কম খরচ হবে, আর যদি কোন দালালের প্রয়োজন হয় তাহলে বেশি টাকা লাগবে। তাই স্পেনে যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে স্পেনে যেতে কত টাকা লাগে [সর্বশেষ তথ্য জানুন]
স্পেনে যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশের অনেক মানুষ স্পেনে যেতে চায় কিন্তু কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে হয়তো জানে না। তাই স্পেনে যেতে কত টাকা লাগে? সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আসলে এই দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগতে পারে সেটা নির্ভর করবে আপনার ভিসার উপরে। আপনি কোন ভিসায় এদেশে যেতে যাচ্ছেন তার উপরে নির্ভর করতে পারে কত টাকা খরচ হতে পারে। তাছাড়া যেমন আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা যাতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার প্রসেসিং করতে যে ফি লাগবে তা হল ৮০ ইউরো অর্থাৎ বাংলাদেশের টাকায় ৯ হাজার টাকার লাগতে পারে।
এছাড়া আপনার বিমানের টিকিটের দাম বিমানের উপর নির্ভর করবে কেমন বিমানে আপনি যেতে চাচ্ছেন। এক্ষেত্রে ৫০০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। তারপর আপনি এই দেশে গিয়ে কয়েকদিন আপনাকে হোটেলে থাকা লাগবে। তারপরে হয়তো আপনি অন্য জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করতে পারবেন। এজন্য কিছু টাকা অতিরিক্ত খরচ হতে পারে তাহল ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে।
এছাড়াও এই দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে স্বাস্থ্য বীমা করা লাগবে এবং তারপরে আবেদন করার অনুমতি পেতে পারেন। এক্ষেত্রেও আপনার খরচ হতে পারে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো। এছাড়া আরো অনেক ছোটখাটো খরচ রয়েছে যেমন যাতায়াত, ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি খাবারের খরচ ইত্যাদি আরো কিছু খরচাপাতি আছে।
আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান এক্ষেত্রে আপনার সর্বনিম্ন ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া সহ সকল খরচ অন্তর্ভুক্ত করা আছে।
আর যদি দালালের মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ আরো বেশি লাগতে পারে, তবে দালালের মাধ্যমে আপনি যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে অনেক ধরনের ঝামেলা বা ভোগান্তি হতে পারে।
এজন্য আপনি যদি এমব্যাসি বা এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে এজেন্সিটাও বিশ্বস্ত হতে হবে। এজন্য এই দেশে যারা যেতে চান তারা সবচেয়ে কম খরচে চলে যাবেন সেটা জানার প্রয়োজন। বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্রে থেকে আপনাদেরকে তথ্য জানাতে সাহায্য করবো।
স্টুডেন্ট ভিসাঃ এ দেশটা একটি উন্নত রাষ্ট্র যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে পড়াশোনা করতে আসে। এক্ষেত্রে এখানে অনেক ভালো ভালো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে আপনার টিউশন ফি লাগতে পারে ৬ থেকে ১৩ লাখ টাকার মত।
আর যদি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করার ইচ্ছা করেন। সেই ক্ষেত্রে প্রতিবছরে ৫ থেকে ১৮ লাখ টাকার মতো খরচ হতে পারে। বাসস্থান আনুষঙ্গিক খরচ সবকিছু মিলে আপনার ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। তবে হোস্টেলে যদি থাকতে পারেন তাহলে অনেক কম খরচ হতে পারে।
এই দেশের জীবনযাত্রা শহর বেঁধে হয়ে থাকে খরচাপাতি কেমন হবে? বড় শহর গুলো যেমন মাদ্রিদ ভেসেল এক্ষেত্রে শহরগুলোতে খরচ হতে পারে একটু কম তবে সাধারণভাবে খরচ হতে পারে ৭০০ থেকে ১১০০ ইউরো মত। বিশ্ববিদ্যালয় খরচ বেশি হয়ে থাকে অনেকের আবার ২৫০ অনেকে ৩৫০ ইউরো খরচ হতে পারে।
এই দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে যা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা। এখানে বিজ্ঞান, গণিত, জীববিজ্ঞান সহ অনেক উচ্চ শিক্ষার সুযোগ আছে। এছাড়া এখানে গবেষণা এবং সুযোগ সুবিধা আরো অনেক রয়েছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন।
এছাড়া আপনার পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা পাওয়া যাবে, অন্যান্য দেশের তুলনায় কম খরচ কম হয়ে থাকে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যাচেলার প্রোগ্রামের জন্য টিউশন ফি সাধারণত ৭৫০ ইউরো খরচ হয়ে থাকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খরচ বেশি হতে পারে অনেকের ১৮০০ অনেকের ৩৫০০ পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ আপনি যদি এই দেশে স্থায়ীভাবে কাজ করতে চান এবং কোন অবৈধভাবে কাজ করবেন না সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে পারেন এবং সেখানে গিয়ে বিজনেস করতে পারেন। তাহলে অনেক উপকৃত হবেন, এ দেশে প্রচুর পরিমাণে ছোটখাটো অনেক কর্মচারী প্রয়োজন হয়।
তাই লাখ লাখ মানুষ এদেশে পাড়ি জমাচ্ছে,আমাদের বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ যাচ্ছে এবং স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করে যাচ্ছে। এখানে কাজের কোন অভাব নেই সেখানে যদিও আপনার কাজের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে আপনি মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনি যে কাজ করার ক্ষেত্রে যাবেন সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এর মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করা লাগবে অথবা স্পেন যদি আপনার পরিচিত কেউ থাকে তাহলে তার মাধ্যমে আপনি ভিসা করতে পারেন।
আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন সেজন্য কাজের ভিসায় আবেদন করবেন, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ফি জমা দেওয়া লাগবে এবং সকল আবেদন করার পরে আপনাকে অনুমতি দেওয়া হবে।
আর যদি আপনি সফলভাবে আবেদন করতে পারেন তাহলে আপনার আবেদন সাবমিট হবে। আর যদি সফলভাবে আবেদন করতে না পারেন সেই ক্ষেত্রে আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। তাই আমাদের ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার রয়েছে এক্ষেত্রে ভিসা আবেদন ফি মাত্র ১৬৭ ইউরো। যেখানে কানাডিয়ান নাগরিকদের ক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ১০০ ইউরো খরচ হতে পারে।
টুরিস্ট ভিসাঃ আপনি যদি ভ্রমণ ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। এজন্য অবশ্যই আপনাকে এই দেশের লোকজনের মাধ্যমে সহযোগিতা নিতে হবে। এ দেশটি অত্যন্ত সুন্দর এবং জলবায়ুর জন্য বিখ্যাত যদি আপনার পরিকল্পনা করে থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে পারেন।
এদেশে যাওয়ার জন্য আপনাকে স্বল্প মেয়াদী ভিসা করা লাগতে পারে যা ৯০ দিনের জন্য বৈধ হবে। এর সম্পূর্ণ ভিজিট সেনজেন ভিসা নামে পরিচিত হয়ে থাকে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোতে সাধারণত চুক্তি করা রয়েছে, স্পেন এই চুক্তির অধীনে একটি দেশ হয়েছিল। তবে এর মেয়াদ সাধারণত ৯০ দিন হয়ে থাকে।
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url