ত্বকের বা চুলের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

অধিকাংশ মানুষ জানে যে থানকুনির পাতা শুধু খাওয়া যায় কিন্তু চুলের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার অনেকে জানে না। তাই এই পাতা দিয়ে চুলের যত্ন বা ত্বকের যত্ন করতে পারেন। চলুন, ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেকের পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে যেমন দীর্ঘদিন যাবত আমাশয়, ডায়রিয়া, আলসার ইত্যাদি ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা এর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃত্বকের বা চুলের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

থানকুনি পাতার উপকারিতা

থানকুনি পাতা বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে, তাই থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পেট এবং লিভার ভালো রাখেঃ যাদের পেটের সমস্যা আছে তারা থানকুনির পাতা মিশ করে খেলে অনেক উপকার পাবেন। নিয়মিতভাবে আপনার পেট এবং লিভার ভালো রাখতে হলে থানকুনির পাতা খেতে পারেন।

ক্ষত নিরাময় করেঃ আপনার শরীরে যদি কোন ক্ষত থাকে সেক্ষেত্রে থানকুনির পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে এন্টিবায়োটিক উপাদান রয়েছে যা দ্রুত ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের কার্যকারিতার জন্য শুকনো থানকুনির গুঁড়া নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ক্ষতস্থানে লাগাতে পারেন। তাহলে উপকার পাবেন, এজন্য ত্বকের যে কোন ক্ষত সারাতে এবং চুলের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার করতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন।

আর্থাইটিস থেকে মুক্তি দেয়ঃ যারা বাতের ব্যথায় দীর্ঘদিন যাবত ভুগতেছেন তারা এই থানকোনের পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এতে ব্যথা দূর হয়ে যাবে, তাই চিকিৎসাকরা নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। প্রতিদিন দুটি করে থানকুনি পাতা খেতে পারেন এতে বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে।

কাশি এবং শ্বাসকষ্ট দূর করেঃ প্রাকৃতিক উপায়ে যদি কাশি এবং শ্বাসকষ্ট দূর করতে চান সে ক্ষেত্রে মধুর সাথে এই থানকুনির পাতার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে দ্রুত কাজ করবে, তাছাড়া তুলসী পাতা ও গোলমরিচ এবং থানকুনি পাতা মিক্সড করে যদি খেতে পারেন।

তাহলে ঠান্ডা এবং জ্বরও সেরে যাবে, তাছাড়া গলা ব্যথা কাশি দূর করতে সামান্য চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে খেলে এক সপ্তাহের মধ্যে আপনি উপকার পাবেন। কারণ থানকুনি পাতার উপকারিতা ও পুষ্টিগণ রয়েছে।

শরীরে জ্বালাপোড়া দূর করেঃ যাদের ত্বকে জ্বালাপোড়া করে এবং তাকে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ত্বকের ভিতরে ঠান্ডা রাখা দরকার। সেজন্য ত্বকে ঠান্ডা এবং সতেজ রাখার জন্য থানকুনির পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
আলসার দূর করেঃ যাদের কোন কিছু খেলে পেটে জ্বালাপোড়া করে এবং আলসারের সমস্যা রয়েছে। তারা থানকুনি পাতা খেতে পারেন, এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং আলসারের সমস্যা দূর হবে।

মানসিক অবসাদ দূর করেঃ অনেকেই মানসিক টেনসনে থাকে আর এটা শরীরের অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে যদি এর সমাধান পেতে চান, তাহলে থানকুনির পাতার রস খেতে পারেন। এটা স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বিরত রাখতে পারে। যার কারণে মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায় এবং এনজাইটির সমস্যা দূর হয়।

মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ যদি আপনি নিয়মিত ভাবে থানকুনি পাতা খান, সে ক্ষেত্রে শরীরে আন্টিএক্সিডেন্ট থাকার কারণে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তারা নিয়মিত থানকুনির পাতা খেতে পারেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে এবং পাইলসের সমস্যা থাকলেও তারা অনেকটাই উপকারিতা পাবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়ঃ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারা নিয়মিতভাবে থানকুনির পাতা খেতে পারেন, এটা রোগ প্রতিরোধ করতে অনেকটাই ভালো কাজ করে থাকে। থানকুনির পাতা রস করে সাথে মধু মিক্স করে খেতে পারেন।

এটা শিশুদের কেউ এভাবে খাওয়ালে অনেক উপকার পাবেন। তবে এটা খাওয়ার পাশাপাশি যদি আপনার চুলের রুক্ষতা এবং শুষ্কতা দেখা দেয়। চুল লম্বা করতে চান সে ক্ষেত্রে থানকুনি পাতার ব্যবহার করতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন।

ঘুম ভালো হয়ঃ যাদের রাত্রিতে কম ঘুম হয় তারা থানকুনির পাতা ভিজিয়ে সকালবেলা খেলে অনেকটাই উপকার পাবেন অথবা রাত্রিতে খেলে স্নায়ু শিথিল থাকবে এবং ঘুম ভালো হবে।

থানকুনি পাতার অপকারিতা

থানকুনির পাতার উপকারিতা অনেক আবার অতিরিক্ত খেলে থানকুনি পাতার অপকারিতা রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

প্রতিটা জিনিসেরই ক্ষতি রয়েছে, তাই থানকুনি পাতার গুনাগুনের পাশাপাশি এটা অপকারিতা আছে। সে ক্ষেত্রে যে ক্ষতিগুলো হতে পারে তা হল,

থানকুনি পাতা পেটের ব্যাথা দূর করে কিন্তু অতিরিক্ত খেলে পেটের ব্যথা আরো বাড়তে পারে এজন্য পরিমাণমতো খেতে হবে।

অতিরিক্ত থানকুনির পাতা খাওয়ার ফলের মাথাব্যথা, মাথা ঘুরানো সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। কেননা থানকুনি পাতার অপকারিতা রয়েছে।

যাদের লিভারের সমস্যা আছে তারা থানকুনির পাতা খাবেন না, কারণ এতে অনেক ক্ষতি হতে পারে।
যে সকল রোগী অপারেশন করে তারা থানকুনির পাতা খাবেন না, এতে আরো ক্ষতি হবে।

থানকুনির পাতার মধ্যে যে উপাদান গুলো আছে তা এলার্জি খোস পাঁচড়া এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চুলের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার

পাতা থানকুনির পাতা খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকে বা চুলের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার করতে পারেন এতে অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিম্নে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

গবেষণায় দেখা গেছে যে চুল পড়া বন্ধ করতে থানকুনির পাতা ভালো কার্যকারিতা রয়েছে। প্রতি সপ্তাহ দুই থেকে তিনবার এই থানকুনির পাতা আপনার স্কাল্পের ভিতরে পুষ্টির অভাব দূর করবে যার কারণে চুল পড়া বন্ধ হবে।
ছবি
পরিমাণ মতো পাতা নিবেন এরপরে এটা বেটে নিবেন এর সঙ্গে তুলসীর পাতা এবং আমলকি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে পারেন। এরপর মিশ্রণটি তুলে লাগাতে পারেন তারপর ১০ মিনিট রাখার পর চুল ভালো করে পরিষ্কার করবেন। তাহলে ভালো ফল পাবেন, আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে।

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার যদি থানকুনির পাতা আপনার স্কাল্পে ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনার চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে।
চুল পড়া কমাতে হলে থানকুনির পাতা ব্যবহার করতে পারেন। যদি পরিমাণ মতো ব্যবহার করতে পারেন, থানকুনি পাতার মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান আছে তা মাথার চুলের পুষ্টির অভাব দূর করতে পারে এবং চুল পড়াও বন্ধ করতে পারে, চুলকে সুন্দর রাখে তাছাড়া তৈলাক্ত ভাবটা নিয়ন্ত্রনে আসে।

থানকুনিয়ের পাতার মধ্যে আন্টি ইনফ্লামেটরি থাকার কারণে স্কাল্পের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এজন্য আপনি এই পাতাটি নিয়মিত ভাবে আপনার স্কেলপে ব্যবহার করতে পারেন। এতে স্কাল্পের বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে, এই সংক্রমণকে দূর করতে এটা ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

থানকুনির পাতা ব্যবহার করলে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে, এজন্য এই পাতার রস চুলে হালকা ভাবে লাগাতে পারেন। এতে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে,তাছাড়া চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং চুল খুবই কালো দেখাবে।

আপনার মাথার স্কাল্প সবসময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করবেন কেননা এতে খুশকি হতে পারে। এজন্য এই পাতার ব্যবহার করলে আপনার চুলে খুশকি দূর হয়ে যাবে।

চুলকে ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য থানকুনি পাতার ব্যবহার করতে পারেন এতে সূর্য রশ্মি থেকে চুলকে রক্ষা করবে।

পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা

পেটের বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে থানকুনির পাতা উপকার করে থাকে। তাই পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা খেতে পারেন, এতে অনেক উপকার পাবেন। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল,

থানকুনির পাতা প্রাকৃতিক ভাবে অনেক গুণাগুণ রয়েছে, তাই বহু বছর ধরেই এই পাতা বিভিন্ন রোগব্যাধির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এতে অনেক উপকারও পাওয়া যায়, নিম্নে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়ঃ থানকুনির পাতা মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে অনেক ভালো কাজ করে থাকে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে পারে এবং বুদ্ধি বিকাশ ঘটে, তাছাড়া এক্সিডেন্ট থাকার কারণে প্রচুর পরিমাণ ফলিক এসিড বৃদ্ধি পায়।

অবসাদ এবং মানসিক টেনশন দূর করেঃ যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিতভাবে থানকুনির পাতা খেতে পারেন, এতে থাকা অ্যান্টি এক্সিডেন্ট এন্টিইনফ্লেমেটরে থাকার কারণে মানসিক অবসাদ এবং টেনশন দূর করতে পারে।

পেটের সমস্যা দূর করেঃ অনেকেরই পেটের সমস্যা থাকার কারণে পেটে আলসার, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা বদহজম এবং ডায়রিয়ার সমস্যা থাকতে পারে। এ ধরনের সমস্যার সমাধান করতে থানকুনির পাতা নিয়মিতভাবে খেলে এটা উপকার পাবেন। তাই পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা খেতে পারেন, তাহলে এই সমস্যা দূর হবে।

শরীরে খারাপ টক্সেন থাকলে সেগুলো দূর করতে সাহায্য করে, যদি আপনি নিয়মিত থানকুনির পাতা খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের যে খারাপ টক্সেন থাকে, সেগুলো বের করে দিতে সাহায্য করে।

পেটের সমস্যার পাশাপাশি আপনার ত্বকের বা চুলের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে এতে অনেক উপকার পাবেন।

ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতা

অনেকের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এজন্য ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এতে অনেক ধরনের সমস্যা দূর হবে কারণ বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের ত্বকের ক্রিম উৎপাদনের জন্য এই থানকুনির পাতা ব্যবহার করে থাকে। নিম্নে আলোচনা করা হলো,
ছবি
সৌন্দর্য চর্চায় থানকুনি পাতাঃ থানকুনি পাতার মধ্যে অ্যান্টি এক্সিডেন্ট থাকে এবং অ্যামাইনো এসিড থাকার কারণে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য ফিরে আসে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ব্রণ এবং ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

অনেকের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত থাকার কারণে প্রদাহ বা ব্যথা শুরু হয় সে ধরনের ক্ষত এবং প্রদাহ দূর করতে এই থানকুনির পাতা অনেক কাজ করে থাকে। তাই ত্বকের যত্নে থানকুনি পাতা ব্যবহার করতে পারেন, এতে অনেক উপকার পাবেন।

ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধঃ থানকুনির পাতার মধ্যে ফ্লাভোনয়েড এবং ম্যাডেকাসসাইড থাকার কারণে ত্বকের অনেক উপকার করে থাকে। সূর্য রশ্মের কারণে তাকে অনেক সময় ছাপ পড়ে যায় এবং বয়স্ক মনে হয় তাই এটা যদি আপনি পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে এই বয়স্ক মনে হবে না তাছাড়াও ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এবং কোলাজন থাকার কারণে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে।

ত্বকের জ্বালাপোড়া ভালো করেঃ অনেকের ত্বকে প্রচন্ড পরিমাণ জ্বালাপোড়া করতে থাকে এই ধরনের সমস্যা দূর করতে থানকুনির পাতা পেস্ট বানিয়ে ক্ষতস্থানে লাগাতে পারেন। এতে জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে।
কারণ এটা ভিতর থেকে কাজ করতে শুরু করে ত্বকে থানকুনির পাতা ব্যবহার করার পাশাপাশি আপনি চুলের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে চুল পড়া রোধ হবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

ত্বকের আর্দ্রতা ও কোমলতায়ঃ থানকুনি পাতার মধ্যে আছে অ্যামাইনো এসিড, বিটা ক্যারোটিন ফাইটোকেমিক্যাল ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে আর্দ্রতাকে রক্ষা করতে পারে এবং তাকে বয়সের ছাপ কম দেখা যায়।

থানকুনির পাতা যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ থানকুনির পাতা ব্যবহার করার জন্য কিছু নিয়ম কারণ মানতে হবে এজন্য আপনি প্রতিদিন জুস বানিয়ে খেতে পারেন। এতে পাকস্থলী ও মস্তিষ্কের সুস্থতা সুস্থতা হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে। থানকুনি পাতার রস এর সাথে বরফ মিক্স করে ত্বকে লাগাতে পারেন এটা আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

ফেসওয়াশ সিরাম টোনার সানস্ক্রিনের মত কাজ করবে, থানকুনির পাতার মধ্যে ভিটামিন সি থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে তাছাড়া মুখের ঘা দূর করতে পারে, সর্দি কাশি দূর করে পেটের অসুখের সমস্যা জন্য এই জুস খেতে পারেন। এছাড়াও কাশি গলা ব্যথার ক্ষেত্রে স্থান ব্যবহার করতে পারেন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে থানকুনির ব্যবহারঃ প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সাথে পাঁচ থেকে ছয়টি পাতা বেটে রস বের করে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটা আপনার চেহারা সৌন্দর্য ফিরে আসবে এছাড়াও উজ্জ্বলতা দেখাবে। এজন্য খালি পেটে সকালবেলায় থানকুনির পাতার রস খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। তাই কাঁচা থানকুনির পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

উপসংহারঃ ত্বকের বা চুলের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে থানকুনির পাতার উপকারিতা অনেক রয়েছে। তাই আপনি এটা খেতে পারেন, এতে পেটের সমস্যা দূর হবে। আবার ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের সৌন্দর্য ফিরে আসবে। ত্বকের ক্ষত সেরে যাবে, তাছাড়া চুলের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা এবং চুল পড়া বন্ধ হবে। পোস্টটা যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধ এর নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url