বাংলাদেশ থেকে ফিজি বিমান ভাড়া কত ও ভিসার দাম জানুন
বাংলাদেশ থেকে ফিজির বিমান ভাড়া অনেক, তাই বাংলাদেশ থেকে ফিজি বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কেননা সরাসরি বাংলাদেশ থেকে বিমানের মাধ্যমে ফিজিতে যাওয়া যায় না। চলুন, ফিজি বিমান ভাড়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ থেকে যেহেতু আপনি বিমানের মাধ্যমে যেতে পারবেন না। এই জন্য বিভিন্ন ট্রানজিটের মাধ্যমে যেতে হয়। এই ক্ষেত্রে খরচ বেশি হবে, তাই বাংলাদেশ থেকে ফিজি বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে ফিজি বিমান ভাড়া কত ও ভিসার দাম জানুন
বাংলাদেশ থেকে ফিজি বিমান ভাড়া কত
অনেকে জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে ফিজি বিমান ভাড়া কত? আসলে বাংলাদেশ থেকে ফিজিতে কোন বিমান যাতায়াত করে না। তাই অন্য উপায় যেতে হবে সে ক্ষেত্রে বেশি খরচ হবে। চলুন, কোন বিমানের কত টাকা ভাড়া সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফিজিতে বিমানের মাধ্যমে যেতে পারবেন না, এক্ষেত্রে আপনাকে ট্রানজিট ব্যবহার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর বা ব্যাংককের মাধ্যমে নাডি বা ফিজিতে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হবে এটা নির্ভর করবে বিমানের কোয়ালিটির উপরে। চলুন, সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি ফিজি এয়ারওয়েজ এই বিমানের মাধ্যমে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে ভালো মানের বিমানের জন্য খরচ হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা এবং যদি সাধারণ কোন বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত খরচ হবে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এই বিমানের মাধ্যমে যেতে হলে আপনার খরচ পড়বে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত। তাছাড়া যদি আপনি আরো ভালো মানের বিমানে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত খরচ হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যদি যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে সাধারণ বিমানের ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মত। আর যদি বিজনেস ক্লাসের বিমানের মাধ্যমে যাওয়ার ইচ্ছা করেন সে ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে।
চায়না সাউদার্ন এই বিমানের মাধ্যমে যদি যাওয়ার ইচ্ছা করেন সেক্ষেত্রে আপনার খরচা হবে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত লাগবে।
এমিরেটস এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মতো।
ইতিহাদ এয়ারওয়েজ এই বিমানের মাধ্যমে শুধুমাত্র যাওয়ার খরচ পড়বে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যেতে হলে খরচ পড়বে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে।
কাতার এয়ারওয়েজ এই বিমানের মাধ্যমে গেলে আপনার খরচ পড়বে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মত।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মত।
আপনি যদি থাই ইন্টারন্যাশনাল বিমানের মাধ্যমে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করেন সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মত।
এয়ার এশিয়া এই বিমানের মাধ্যমে গেলে আপনার খরচ পড়বে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মতো।
উপরোক্ত এই বিমানগুলো ছাড়াও আপনি আরো বিভিন্ন বিমানের মাধ্যমে ফিজিতে যেতে পারবেন। তবে দূরত্ব বেশি যার কারণে বিরতির মাধ্যমে এবং ট্রানজিট পরিবর্তন পড়ে যেতে হবে এজন্য একটু খরচ বেশি হবে। তবে যদি কোন অফ সিজনাল সময়ে যাতায়াত করেন সেই ক্ষেত্রে কম খরচ হবে, এক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে যেতে পারবেন। তবে যদি ২-৩ মাস আগে থেকেই বিমানের টিকিট বুকিং করতে পারেন, তাহলে ২০% পর্যন্ত কম খরচ হবে।
ফিজিতে যেতে কত টাকা লাগে
আপনি যদি ফিজিতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ফিজিতে যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানা দরকার। চলুন, কোন কাজের ভিসার দাম কত সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ফিজি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার মোটামুটি ভাবে সর্বনিম্ন খরচ পড়বে ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৮ লাখ টাকার মত। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আরো কিছু আনুষঙ্গিক খরচ বহন করতে হবে। তবে যদি আপনি নিজে কাজ করেন সেক্ষেত্রে একটু খরচ কম হবে। আর যদি ভিসা প্রসেসিংটা অফিসিয়াল ভাবে অথবা বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে করেন সেই ক্ষেত্রে খরচ আরো বেশি হবে। চলুন, কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- আপনার ভিসা ফি দিতে হবে ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার মত।
- এজেন্সি ফি দিতে হবে ২ লক্ষ থেকে শুরু করে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মত।
- বিমান ভাড়া লাগবে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মত।
- মেডিকেল টেস্টের খরচ হবে ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার মত।
- পুলিশ ভেরিফিকেশন এর ক্ষেত্রে খরচ পড়বে ১ থেকে ২ হাজার টাকা।
- স্বাস্থ্য বীমা করার জন্য খরচ পড়বে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা।
- এছাড়াও প্রথম মাসে আপনার থাকা খাওয়া বাবদ খরচ হবে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকার মত।
সর্বোপরি আপনি যদি সরকারি ভাবে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৭ লক্ষ থেকে শুরু করে ৮ লক্ষ টাকার মতো। আর যদি বেসরকারিভাবে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৯ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। এটা নির্ভর করবে এজেন্সির উপরে, তাই চেষ্টা করবেন সরকার অনুমোদিত বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার জন্য অথবা যদি আপনার কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে তাদের মাধ্যমে গেলে খরচ আরো কমে যাবে।
ফিজি কাজের বেতন
আপনি যদি ফিজিতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন, সেক্ষেত্রে ফিজি কাজের বেতন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কোন কাজে কি পরিমান বেতন দিয়ে থাকে, সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আপনার মাসিক বেতন নির্ভর করবে কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের উপর। বাংলাদেশ থেকে অনেক লোকই এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে, তাদের সর্বনিম্ন মাসিক ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বেতন বিভিন্ন রকম হয়। চলুন, কোন ক্যাটাগরির বেতন কত সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি ক্লিনার বা পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন তাহলে মাসে ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।
ফিজিতে কৃষি কাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে, তাই আপনি যদি কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন, সেক্ষেত্রে আপনার মাসে ৩০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো বেতন পেতে পারেন।
এই দেশে প্রচুর পরিমাণ নির্মাণ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। তাই যদি নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন সেক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।
অনেকে ড্রাইভার হিসেবে জব করে থাকে সে ক্ষেত্রে তারা মাসে বেতন পায় ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকার মত।
আপনি যদি ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন তাহলে মাসে বেতন পাবেন ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মত।
ফিজিতে চিনি শিল্পের শ্রমিকদের অনেক গুরুত্ব রয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনি এই কাজ করলে মাসে ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন।
এ দেশে গার্মেন্টস শ্রমিকের ক্ষেত্রে অনেক গুরত্ব আছে সেজন্য আপনি যদি দক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিক হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে বেতন পাবেন ৬০০০০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মত।
হোটেল ম্যানেজার বা সুপারভাইজার পদে যদি চাকরি করেন সে ক্ষেত্রে আপনি বেতন পাবেন ৭০ থেকে দেড় লক্ষ টাকার মত।
ফিজিতে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তাই প্রযুক্তি বিষয়ে যদি আপনার কোন অভিজ্ঞতা থাকে বা শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি জব করলে ৮০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।
উপরোক্ত এই কাজগুলোর পাশাপাশি আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। তবে যেকোনো কাজ করেন না কেন যদি আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা থাকে, সেক্ষেত্রে ওভারটাইম করলে এর চেয়ে আরো বেতন বেশি পাবেন এবং প্রতি বছরে বাড়তে থাকবে।
এ দেশে সাধারণত সরকারিভাবে শ্রমিকদের বেতন ঘন্টা হিসেবে নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এতে আপনার সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার মতো কাজ করতে পারবেন। প্রতি ঘন্টায় ৪ টাকা ৫০ পয়সার মত বেতন দিয়ে থাকে। যদি আপনি মাসে ১৬০ ঘন্টা কাজ করেন, সেই ক্ষেত্রে আপনার মাসে বেতন আসবে ৩৮ হাজার ৯০০ টাকার মতো। একজন সর্বনিম্ন শ্রমিকের বেতন অর্থাৎ যারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত বেতন হবে।
ফিজিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
আপনি যদি ফিজিতে কাজ সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে ফিজিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে আগে জানতে হবে। এরপর আপনি সেই কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে এ দেশে যাবেন। তাহলে অনেক টাকায় বেতন পাবেন। চলুন, কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সাধারণত এ দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা আছে, তবে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরে কাজের জন্য প্রায় ৫-৬ হাজারের মতো দক্ষ শ্রমিক যায়। তারা যে সকল কাজগুলো করে থাকে নিম্নে এই কাজগুলো সম্পর্কে তুলে ধরা হলো,
- ওয়েল্ডিং এর কাজ করা যায়।
- কৃষি কাজ করতে পারেন।
- গার্মেন্টস শ্রমিকদের অনেক চাহিদা রয়েছে।
- ইলেকট্রিশিয়ানের প্রয়োজন রয়েছে।
- মেকানিক্যাল এর চাহিদা রয়েছে।
- কনস্ট্রাকশন শ্রমিকের চাহিদা আছে।
- ক্লিনারের প্রয়োজন আছে।
- পেইন্টিং এর কাজে নিয়ে থাকে।
- হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর ওয়েটারের জব নিতে পারেন।
- ড্রাইভিং এর কাজের চাহিদা রয়েছে।
- এছাড়া চিনি শিল্পের শ্রমিকদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
উপরোক্ত এই কাজগুলো ওপর প্রতিবছরে কম বেশি অনেক দেশ থেকেই শ্রমিক নিয়ে থাকে। তাই আপনি এই কাজগুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করে গেলে আপনার চাহিদা মত বেতন পাবেন। এছাড়াও এখানে অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ফিজি যেতে কত ঘন্টা সময় লাগে
যেহেতু বাংলাদেশ থেকে ফিজি অনেক দূরে অবস্থিত এক্ষেত্রে সময় বেশি লাগবে। তাই বাংলাদেশ থেকে ফিজি যেতে কত ঘন্টা সময় লাগে? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আগে থেকে আপনি সচেতন হবেন।
যেহেতু বাংলাদেশ থেকে সরাসরি এ দেশে বিমানের মাধ্যমে যাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের বিমানের মাধ্যমে যেতে হয় এবং বিভিন্ন দেশে থামতে হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার দুবাই, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াতে বিরতি দিতে হবে। যার কারণে একটু সময় বেশি লাগে, সে ক্ষেত্রে আপনি ভালো মানের বিমানের গেলে প্রায় ২০ থেকে ৩০ ঘন্টার মত সময় লাগতে পারে।
এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে আপনি যখন ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর বা কুয়ালালামপুর অথবা দুবাই যেতে সময় লাগবে ৪ থেকে ৬ ঘন্টার মত। এরপরে ট্রানজিট হিসেবে ২ থেকে ৮ ঘন্টার মত লাগতে পারে। এর পরে ফিজিতে আপনি পৌঁছাতে গেলে সেখান থেকে আরও ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টার মতো লাগে। সবকিছু মোটামুটি ধরলে আপনার গড়ে সময় লাগবে ২৫ ঘন্টার মত।
ফিজি থেকে অস্ট্রেলিয়া কিভাবে যাওয়া যায়
আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চান সেক্ষেত্রে ফিজি থেকে যেতে পারেন। তাই ফিজি থেকে অস্ট্রেলিয়া কিভাবে যাওয়া যায়? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার সহজ হবে। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
যখন আপনি এই দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটিভেট পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে আপনার এই পাসপোর্ট তৈরি করা লাগবে। আপনি টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করবেন এরপরে সেখান থেকে যেতে হবে। এছাড়াও আপনার টুরিস্ট ভিসায় গমন করার জন্য অবশ্যই ব্যাংকের কাগজপত্র এছাড়াও ব্যাংকের স্টেটমেন্ট সকল কিছু সঠিক থাকতে হবে। তাহলে আপনি টুরিস্ট ভিসায় যেতে পারবেন।
এদেশের টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, সেই জন্য আপনাকে অবশ্যই ফিজি থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে ভ্রমণ ভিসার কাগজপত্র সঠিক থাকতে হবে। তাহলে আপনি টুরিস্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
আপনি যদি এ দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার বৈধ উপায় খুঁজে থাকেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন হবে। এতে করে আপনি সহজভাবে ফিজি থেকে অস্ট্রেলিয়াতে যেতে পারবেন কিন্তু আপনাকে সরাসরি ভাবে অস্ট্রেলিয়ার যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেবে না।
এজন্য আপনি ভ্রমণ ভিসায় যেতে পারেন। এরপর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর আপনি যখন টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন। এর পরে আপনাকে আবার নতুন করে ভিসা তৈরি করতে হবে।
এই ভিসা তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগবে তার মধ্যে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট থাকতে হবে, যা আপনার বিগত ছয় মাসের লেনদেনের প্রমাণ থাকতে হবে। তাহলে আপনি এদেশে গিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন। এছাড়াও ফিজি থেকে যখন আপনি অস্ট্রেলিয়াতে যাবেন সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার মত। তাই যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ভালো হবে। তবে কোন দালালের মাধ্যমে যাবেন না, এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফিজি ভিসা করতে কি কি লাগবে
ফিজিতে যাওয়ার জন্য কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। তাই ফিজি ভিসা করতে কি কি লাগবে? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি আগে থেকেই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন। চলুন, এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যে কোম্পানিতে চাকরি করবেন সেই কোম্পানির থেকে অফার লেটার নিতে হবে।
এছাড়া আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস রয়েছে।
জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি বা জন্ম সনদের ফটোকপি লাগবে।
পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি দিতে হবে।
ব্যাংকের স্টেটমেন্ট থাকতে হবে।
পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট দিতে হবে।
মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়া লাগবে।
ভিসা আবেদন ডাউনলোড করতে হবে।
এরপর আপনি এ দেশের দূতাবাসে গিয়ে অথবা সরকার অনুমোদিত এজেন্সি এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। সকল কিছু তারা প্রসেসিং করবে এক্ষেত্রে আপনার ২ থেকে ৪ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এরপরে এই দেশের স্থানীয় ইমিগ্রেশন অফিস আপনাকে সকল কিছু যাচাই বাছাই করে ভিসা দিবে।
ফিজি সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
ফিজি কাজের ভিসা প্রসেসিং হতে কত সময় লাগে?
আপনি যদি সঠিকভাবে আবেদনপত্র করে থাকেন, তাহলে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে অথবা ১৫ দিনের মধ্যে পেয়ে যাবেন।
ফিজি ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত?
এই দেশের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের প্রায় ৪৪ টাকার মতো।
ফিজি যেতে কত দিন সময় লাগে?
আপনি যদি ভালো মানের বিমানে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে যেতে প্রায় ১ দিনের মতো সময় লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে ফিজি কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে এ দেশের দূরত্ব প্রায় ১০ হাজার ৫৬০ কিলোমিটার এর মত।
ফিজিতে কাজের ভিসায় যাওয়ার জন্য কি ওয়ার্ক পারমিট লাগবে?
আপনি যদি কাজের ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন হবে।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে ফিজি বিমান ভাড়া কত ও ভিসার দাম জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি ফিজিতে যেতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিমানের মাধ্যমে যেতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ থেকে ফিজির দূরত্ব অনেক বেশি, যার কারণে বিমান ভাড়াও বেশি লাগবে। তাই বাংলাদেশ থেকে ফিজি বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আর্টিকেলে উপস্থাপন করা হয়েছে, আশা করি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url