লাওস যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত

অনেকে জানতে চায় যে, লাওস যেতে কত টাকা লাগে? এটা নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের ভিসায় যেতে চাচ্ছেন। তার উপর নির্ভর করবে কত টাকা লাগবে। চলুন, লাওস কোন ভিসার কত দাম জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
লাওসে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, তাই প্রতিবছর কোম্পানিগুলো লোক নেওয়ার জন্য সরকারের নিকট আবেদন করে। এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গেলে কম খরচ হবে। তাই লাওস যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃলাওস যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত

লাওস যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক কাজ করার উদ্দেশ্যে লাওস যায়। তাই লাওস যেতে কত টাকা লাগে? সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভিসা রয়েছে, তাই টাকাও বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

সাধারণত ই ভিসার মাধ্যমে এ দেশে যেতে হবে। তাই অনলাইনের মাধ্যমে ই ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ই ভিসা ফি দিতে হবে প্রায় ১০ হাজার টাকার মতো। তবে এর সাথে অবশ্যই সার্ভিস চার্জ দিতে হবে, এতে আরো একটু বেশি খরচ হবে।

আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার জন্য যখন আবেদন করবেন। এই ভিসা প্রসেসিং করতে আপনার সময় লাগবে ৩ থেকে ৫ দিনের মতো। এজন্য অবশ্যই ভেবেচিন্তে ভিসা আবেদন সম্পন্ন করবেন। বর্তমানে ই ভিসার মাধ্যমেই সবাই ভিসা আবেদন করে থাকে। যদিও পূর্বে অন এরাইভাল ভিসা করা হতো। এতে অনেক দেরি হতো এবং ঝামেলা সৃষ্টি হতো। এছাড়াও এয়ারপোর্টে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হতো কিন্তু ই ভিসা করার কারণে এই ধরনের সমস্যাগুলো হবে না।

আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে লাওস যাবেন, সেক্ষেত্রে বিমানের মাধ্যমে যেতে হবে। তাই আগে থেকেই বিমানের টিকিট সংগ্রহ করে রাখতে হবে। তবে যদি আপনি একটু বুদ্ধি খাটায়ে টিকেট করেন তাহলে অনেক খরচ কমে যাবে।

আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে লাওস ফ্লাইট করবেন সে ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া পড়বে ৬০ হাজার থেকে ৯৫ হাজার টাকার মত। তবে এক্ষেত্রে অনেকটা কম বেশি হতে পারে। কেননা বিমানের কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে দাম, এতে কম বেশি হতে পারে।

এছাড়া উপরোক্ত এই টাকার মধ্যে বিমান ভাড়া দিলে আপনি সুন্দর মত যেতে পারবেন। তবে যদি একটু কমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিমান সংস্থাগুলোর অফিসে যোগাযোগ করে কিছু টাকা কমাতে পারবেন অথবা আগে থেকে যদি টিকিট বুকিং করে রাখেন সে ক্ষেত্রে অনেক খরচ কমে যায়। প্রতি সপ্তাহে দু-এক দিন টিকিটের দাম কম বেশি হয়। যখন দেখবেন কম দাম সেই সময়ে টিকিট করে রেখে দিবেন।

আপনি যখন লাওস ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আপনি যদি ভালো বিলাসবহুল হোটেলে থাকার ইচ্ছা করেন সেক্ষেত্রে খরচ অবশ্যই বেশি হবে। তবে যদি একটু আশে পাশে খোঁজ নিতে পারেন সে ক্ষেত্রে ভালো মানের হোটেল গুলোতেও কম খরচে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
আপনি যদি মোটামুটি মানের হোটেলে থাকতে চান, সেই ক্ষেত্রে প্রতি রাত্রিতে ৩০০ থেকে ১০০০ টাকার মত খরচ হতে পারে। যদি এর চেয়ে আরো ভালো মানের হোটেলে থাকার ইচ্ছা করেন, সে ক্ষেত্রে প্রতি রাতে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে। এতে অবশ্যই অত্যাধুনিক সুবিধা গুলো পাবেন।

তাছাড়া একেবারে কম দামের কিছু রেস্তোরাঁ বা রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেখানে গিয়ে আপনি এক বেলা খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে খাওয়ার খরচ হবে ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকার মতো। এ দেশের খাবার গুলো খুবই সুস্বাদু এবং জনপ্রিয়, তাছাড়া কম দাম নিয়ে থাকে।

শুধুমাত্র বিমান ভাড়া এবং থাকা খাওয়ার বিষয় যে খরচ হবে তা কিন্তু নয়। এছাড়াও আরো কিছু আনুষঙ্গিক খরচ হয়ে থাকে, এক্ষেত্রে আপনার আরো কিছু টাকা রাখতে হবে। আপনি যদি লাওস এর ভিতর দিয়ে ঘোরাঘুরি করতে চান, সে ক্ষেত্রে বাসের মাধ্যমে যেতে হবে অথবা বিভিন্ন পরিবহন রয়েছে তাদের মাধ্যমে গেলে আপনার দিনে প্রায় ৫০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।

এছাড়াও এই দেশটিতে যদি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে চান সে ক্ষেত্রে দেখবেন বিভিন্ন স্পট রয়েছে যেখানে ঘুরতে গেলে কিছু টাকা-পয়সা লাগে। সে ক্ষেত্রে আপনার কতগুলো স্পট আপনি অংশগ্রহণ করবেন তার ওপর নির্ভর করে দিনে প্রায় ১ হাজার থেকে শুরু করে ৩০০০টাকার মত খরচ হতে পারে।

তাই আপনি যদি মোটামুটি এক সপ্তাহ থাকতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ভ্রমণ, খাওয়া-দাওয়া এবং সকল কিছু মিলে আপনার ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে। আপনার আয়ের উপর নির্ভর করবে কত টাকা খরচ হবে।

তবে আপনি যদি কাজ করার উদ্দেশ্যে লাওস যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। এই ভিসায় আপনি কাজ করতে পারবেন ১ বছরের মত । এরপর আবার আপনাকে পুনরায় রিনিউ করতে হবে। যদি আপনি সরকারী ভাবে যেতে চান সে ক্ষেত্রে একটু খরচ কম হতে পারে।

এ ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মতো লাগতে পারে। আর যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাতে চান সে ক্ষেত্রে বেশি খরচ হবে, এতে আপনার খরচ পড়বে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মতো। তবে এটা নির্ভর করবে বিভিন্ন এজেন্সির উপরে। এছাড়া আপনি যদি কোন আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে যাওয়ার সুযোগ পান সে ক্ষেত্রে আপনি ২ লাখ টাকার মধ্যেই যেতে পারবেন।

আপনি যদি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এই ভিসা ফি খরচ পড়বে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মতো। তাছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের খরচ হয়, সব মিলিয়ে খরচ পড়বে ৯০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মতো।

লাওস কাজের ভিসা

বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসার জন্য যেতে চান, তাহলে লাওস কাজের ভিসা সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন, এদেশে কাজের ভিসা যাওয়ার জন্য কি করতে হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি লাওস যাওয়ার জন্য কাজের ভিসা করতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। তাহলে আপনি এ দেশেতে গিয়ে বৈধভাবে কাজ করতে পারবেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে যে কাজগুলো করতে পারেন, পর্যটন গাইড হিসেবে, কৃষি কাজ, কনস্ট্রাকশনের কাজ, এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা আছে। তাই বাংলাদেশের লোকজন সাধারণত নির্মাণ বা বিভিন্ন ধরনের শ্রমিক হিসাবে কাজ করে থাকে।

অনেকে বিজনেস করতে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি অল্প সময়ের মধ্যেও বিভিন্ন প্রকল্প হিসেবে কাজ করতে পারেন। আপনি যদি কাজ করার উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করেন, সেক্ষেত্রে আপনি ১ বছরের মত থাকতে পারেন। এরপর আবার রিনিউ করতে হবে। এছাড়া আপনি সিজনাল যে কাজগুলো রয়েছে সে কাজের উপরে যেতে পারেন। এতে অল্প সময়ের মধ্যে হলেও সে কাজগুলোর অনেক গুরুত্ব রয়েছে এবং অনেক টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।

লাওস কোন কাজের চাহিদা বেশি

বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তাই লাওস কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি যে কাজের অভিজ্ঞতা আছে সেই কাজের উপরে ভিসা করলে অভিজ্ঞতার কারণে আপনি অনেক টাকা বেতন পাবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক
ছবি
কনস্ট্রাকশনের কাজের উপর যেতে পারবেন।

প্লাম্বার বা ইলেকট্রিশিয়ানের কাজের চাহিদা আছে।

রেস্টুরেন্টের ওয়েটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
ক্লিনার এর অনেক মূল্যায়ন আছে।

কুক বা রাধুনীর প্রয়োজন হয়। 

গার্মেন্টস শ্রমিকদের অনেক চাহিদা রয়েছে। 

বিভিন্ন ফুড প্যাকেজিং এর ক্ষেত্রেও শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। 

বিভিন্ন কোম্পানির ফুড ডেলিভারি ম্যান এর প্রয়োজন হয়। 

ইলেকট্রিক্যাল টেকনিশিয়ান হিসাবে কাজের চাহিদা রয়েছে।

লাওস ভিসার জন্য কি কি লাগে

আপনি যখন লাওস ভিসার জন্য আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে লাওস ভিসার জন্য কি কি লাগে? এটা সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি আগে থেকেই ডকুমেন্টস গুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন। চলুন, যে প্রয়োজনেনীয় কাগজপত্র লাগে। সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • অবশ্যই আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ রয়েছে।
  • সাম্প্রতিক ছবি তোলা থাকতে হবে অবশ্যই ছবি পাসপোর্ট সাইজের হওয়া লাগবে।
  • আপনি যদি ভ্রমণ করতে চান সে ক্ষেত্রে হোটেল বুকিং আমন্ত্রণ পত্র ইত্যাদির প্রমাণপত্র দেখাতে হবে
  • তাছাড়া আপনি যে ফিরে আসবেন সেই ফিরতি টিকিট বুকিং ও জমা দিতে হবে।
  • ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে আপনার ব্যাংকে ব্যালেন্স কত টাকা আছে।
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট দিতে হবে যদি আপনি কাজের ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসার জন্য যেতে চান
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট লাগবে যদি আপনি স্টুডেন্ট হিসেবে যেতে চান।
  • তাছাড়া আপনার নামে কোন মামলা আছে কিনা সে ধরনের প্রমাণপত্র হিসেবে পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে।

লাওস বেতন কত

আপনি লাওস গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন, তাই লাওস বেতন কত? আসলে বেতন নির্ভর করবে আপনি কি কাজ করেছেন এবং আপনার দক্ষতা আছে কিনা। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

মূলত আপনি লাওসে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। যদি আপনার বাংলাদেশ থেকে সেই কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে এই কাজের উপরে গেলে অনেক টাকা বেতন পাবেন। তাই চলুন কোন কাজের কত বেতন সম্পর্কে জানা যাক।

যদি হোটেল বা রেস্টুরেন্ট বা ট্যুর গাইড হিসেবে চাকরি করেন সে হিসাবে মাসে বেতন পাবেন ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মত।

এছাড়াও যদি কৃষিকাজ করেন এখানে কৃষিকাজের অনেক দাম রয়েছে। বিশেষ করে যারা ধান চাষ করে এবং ফল বাগানের কাজ করে থাকে। তারা প্রতি মাসে বেতন পায় ৩০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকার মত।

আপনার যদি বাংলাদেশ থেকে শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা থাকে, বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষকের অনেক চাহিদা আছে। তাই আপনি এই দেশে যদি ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতে পারেন, তাহলে আপনার মাসে বেতন হবে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মত।

তাছাড়া আপনি যদি দক্ষ শ্রমিক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার মাসে সর্বনিম্ন বেতন পাবেন ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার উপরে। আর যদি সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন সে ক্ষেত্রে মাসে সর্বনিম্ন বেতন পাবেন ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা মত।

যেহেতু এই দেশ প্রযুক্তিতে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে এজন্য যদি আইটি সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে এই কাজে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার মাসে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মতো বেতন পেতে পারেন।

কিভাবে লাওসে স্থায়ীভাবে বসবাস করা যায়।

আসলে লাওসে স্থায়ী বসবাস করা খুবই জটিল তাই কিভাবে লাওসে স্থায়ীভাবে বসবাস করা যায়? এজন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি এদেশে অনেকদিন যাবত কাজ করেন বা চাকরি করতে থাকেন সেই ক্ষেত্রে কোম্পানির মালিক চাইলে আপনাকে সরকারের কাছে আবেদন করে স্থায়ীভাবে বসবাস করা অনুমতি নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনার ৩ থেকে ৫ বছর যাবত বসবাস করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আপনি যদি এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করেন এবং এদেশের বহিরাগতদের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত থাকে সেগুলো যদি পূরণ করতে পারেন। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে যদি অনেক স্বাবলম্বী হন, তাহলে আপনি এখানে স্থায়ী বসবাস করার জন্য অনুমতি পেতে পারেন।

আপনি যদি দীর্ঘদিন বসবাস করার পরে এদেশের স্থায়ী নাগরিক কে বিয়ে করতে পারেন, তাহলে আপনি স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে আবেদন করার সুযোগ পাবেন এবং সরকার আপনাকে স্থায়ী নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করবেন।

এছাড়াও যারা বার্ধক্য হয়েছে অর্থাৎ ৫৫ বছরের বয়সের বেশি, তারা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে এবং এদেশে গিয়ে অবসরকালীন সময় কাটাতে পারবে। স্থায়ীভাবে নাগরিক দেওয়া হতে পারে তবে এক্ষেত্রে অর্থনৈতিকভাবে সমর্থন থাকতে হবে এবং ব্যাংকের স্টেটমেন্ট প্রমাণ দিতে হবে।

লাওস কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

আপনি যদি লাওস কাজের ভিসা করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসা আবেদন করতে হবে। বর্তমানে ই ভিসায় আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিতে হবে।
ছবি
প্রথমত আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো লাগবে, সেগুলো অবশ্যই সংগ্রহ করে রাখতে হবে।

আপনি এদেশের সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করবেন, এছাড়া ভিসা আবেদনটি ডাউনলোড করে সঠিকভাবে পূরণ করা লাগবে।
আবেদন করার পরে অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো এ দেশের দূতাবাসের নিকট জমা দিতে হবে।

এরপর আপনার আবেদন ও কাগজপত্র গুলো যাচাই বাছাই করে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকতে পারে। তারপর আপনার যদি সকল কিছুই সঠিক থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনাকে দূতাবাস থেকে ভিসা সংগ্রহ করার অনুমতি দিবে।

লাওস যাওয়ার বিষয়ে FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন

লাওস ই ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

আপনি যদি সঠিকভাবে আবেদন করে থাকেন এবং কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস সঠিক থাকে তাহলে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন।

লাওসে কত দিন থাকতে পারবেন?

আপনি যদি পর্যটক বা ভ্রমণ ভিসায় যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে ৩০ দিন থেকে ৬০ দিনের মত থাকতে পারবেন।

লাওস ভিসা প্রসেসিং করতে কত সময় লাগে?

আপনি যখন দূতাবাসে আবেদন করবেন তখন থেকে নিয়ে প্রায় ১৫ দিনের মত সময় লাগতে পারে।

লাওসে জীবনযাত্রার খরচ কেমন?

আপনি যদি এদেশে থাকতে চান সেক্ষেত্রে থাকা খাওয়া বাবদ আপনার মাসে খরচ হবে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত।

লাওসে কাজের ভিসা ছাড়া কাজ করা যায়?

কাজের ভিসা ছাড়া আপনি কাজ করতে পারবেন না। এটা অবৈধ পন্থা এজন্য আপনাকে জরিমানা এবং জেলও খাটা  লাগবে।

উপসংহারঃ লাওস যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি কাজ করার জন্য যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ভিসা করার ক্ষেত্রে একটু জটিলতা রয়েছে বা সময় বেশি লাগে। এছাড়া টাকা খরচ হয় বেশি তাই আপনি অবশ্যই কোনো ভালো এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাই লাওস যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪