বাংলাদেশ থেকে কসোভো যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত ২০২৫

কসোভো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, তাই কসোভো যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কেননা কসোভো বিভিন্ন কাজের বেতন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। চলুন, কসোভো যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
কসোভো প্রতিবছরে বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক কাজের জন্য যাচ্ছে। তবে কাজের ভিন্নতার কারণে ভিসার দামও কম বেশি হয়ে থাকে। তাই কসোভো যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে কসোভো যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত ২০২৫

কসোভো যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে অনেকে কসোভো যাচ্ছে। তাই কসোভো যেতে কত টাকা লাগে? এটা নির্ভর করবে আপনি কোন কাজের জন্য ভিসা করছেন। কসোভো দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। কাজের ধরন অনুযায়ী ভিসার দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। চলুন, কোন ভিসার কত দাম জেনে নেওয়া যাক।

কসোভো যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে আগে ভিসা আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভিসা আবেদন ফি ৭৫০০ টাকার মত লাগবে। এছাড়া পরবর্তীতে আরো অনেক খরচ রয়েছে। ভিসা খরচ, বিমান ভাড়া, পাসপোর্ট ও অন্যান্য খরচ রয়েছে। কসোভোতে কাজের ভিসায় যেতে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত লাগবে। তাছাড়া আপনি সরকারী মাধ্যমে যেতে পারেন বা কোন আত্মীয়-স্বজন যদি থাকে তাদের মাধ্যমে গেলে একটু কম হবে, সে ক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত। তবে এজেন্সির মাধ্যমে গেলে ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।

কসোভোতে অনেকে ভ্রমণ ভিসায় যেতে চায় কেননা কসোভোতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। এজন্য আপনি এখানে ভ্রমন করতে যেতে পারেন। ভ্রমণের মেয়াদ সাধারণত ৯০ দিনের মতো হয়ে থাকে। তবে আপনি ১০ দিন বা ৭ দিনের জন্য ভ্রমণে করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সকল ভিসা ও অন্যান্য খরচ মিলে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে। তাছাড়া আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট থাকতে হবে অর্থাৎ ব্যাংকে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা দেখাতে হবে। এছাড়াও হোটেলের থাকা খাওয়া এবং বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াবেন সেক্ষেত্রে অনেক টাকা খরচ হবে।
কসোভো আবেদন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা থাকে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের লোকজন কাজের ভিসার মাধ্যমে যায়। এই ক্ষেত্রে আপনার কাজের ভিসার মাঝেও অনেক ক্যাটাগরি থাকে সেই অনুযায়ী কাজের ভিসার খরচ বিভিন্ন রকম হতে পারে। চলুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। প্রথমত আপনাকে আবেদন ফি জমা দিতে হবে, এরপরে ভিসা প্রসেসিং করার জন্য ফি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি ভাবে ভিসা প্রসেসিং খরচ হবে ৩০০ ইউরোর মত। তবে ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনার কম বেশি হতে পারে। এরপরে কসোভো মেডিকেল করতে ৫০ থেকে ৭০ ইউরোর মত লাগবে।

তাছাড়া আপনার কসোভো কাজের ভিসার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা অনুবাদ করার প্রয়োজন হয় এবং বিভিন্ন ডকুমেন্টস এর খরচ রয়েছে। আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বা ইংরেজি ভাষা অনুবাদ করতে হলে খরচ হয়ে থাকে। তাই সকল কিছু মিলেই আপনার প্রায় খরচ হবে ৫০ থেকে ৬০ ইউরো। তাছাড়া আপনি যখন কসোভোতে যাওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করবেন সে ক্ষেত্রে বিমান, রেলপথ অন্যান্য বাহন বা পরিবহনের মাধ্যমে যাতায়াত করবেন সে ক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ২০০ থেকে ৩০০ এর মত। এটা নির্ভর করবে আপনি কোন স্থানে ভ্রমণ করছেন।

কসোভোতে যাওয়ার পরে অবশ্যই থাকা এবং খাবার খরচ রয়েছে, এছাড়াও পরিবহন ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের খরচ আছে। কসোভোতে অনেক কম দামের হোটেল রয়েছে সেখানে ৩০০ ইউরো খরচে ১ মাসে থাকতে পারবেন। এছাড়াও একটু বিলাসবহুল হোটেলে থাকেন সে ক্ষেত্রে আরো বেশি খরচ হবে। তাছাড়াও আরো কিছু অতিরিক্ত খরচ হবে যেমন পুলিশ ভেরিফিকেশন ভিসা ক্যাটাগর অনুযায়ী বিভিন্ন রকমের খরচ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে সকল কিছু মিলে আপনার খরচ হবে ৮০০ থেকে ১০০০ ইউরোর মত। এছাড়াও যদি আপনি কাজের ভিসায় যান সে ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে।

কসোভো বেতন কত

কসোভো বেতন ভাতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই কসোভো বেতন কত? কসোভোতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। সেখানে কাজের ওপর নির্ভর করে বেতন ভাতা নির্ধারণ করা হবে। চলুন, কোন কাজের কত টাকা বেতন হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কসোভো সাধারণত বেতন দিয়ে থাকে কাজের উপর ভিত্তি করে। কোম্পানির কাজের ধরন অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করে থাকে। সেক্ষেত্রে বেতন ভাতা কম বেশি হতে পারে। যদি আপনি প্রফেশনাল মানের বা উচ্চ পর্যায়ে চাকরি করেন সেই ক্ষেত্রে মাসে ১ লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকার মতো বেতন পাবেন। তাছাড়াও আপনার যখন অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে সে ক্ষেত্রে আরও বেশি বেতন পেতে পারেন। সাধারণত এই কাজ গুলো হলো প্রকৌশলী, আইটি স্পেশালিস্ট তাছাড়াও ডাক্তার কর্মকর্তারা সাধারণত এই বেতন পেয়ে থাকে। তবে অবশ্যই কর্মীর অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকতে হবে।

তবে কসোভোতে যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে বেতন ভাতা দিয়ে বেশি পাবেন। নির্মাণ শ্রমিক ইলেকট্রিশিয়ান, ফ্যাক্টরির কর্মী তারা সাধারণত মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো বেতন পেয়ে থাকে। তাছাড়া কেউ যদি কনস্ট্রাকশনের কাজ করে থাকে সেই ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবে। এর মাঝে যেমন প্লাম্বার মেইনটেইন ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়াও হোটেল বা রেস্টুরেন্টের কাজ করেন তাহলে ৫৫ থেকে ৬৫ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন। এখানে হোটেলের রিসিপশন, হোটেল ম্যানেজার এবং ফ্যাক্টরি কাজে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকে।

কসোভো সর্বনিম্ন বেতন কত

বাংলাদেশ থেকে অনেকে নিম্ন পর্যায়ে কাজের জন্য যান। তাই কসোভো সর্বনিম্ন বেতন কত? সম্পর্কে জানা আমাদের প্রয়োজন। চলুন সর্বনিম্ন কাজের জন্য কত টাকা বেতন দিয়ে থাকে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কসোভোতে বিভিন্ন ছোটখাট কাজের জন্য যাচ্ছে তাদের সাধারণত বেতন ভাতা একটু কম হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে যারা বিভিন্ন হসপিটালে ক্লিনার অথবা রেস্টুরেন্টের রাস্তাঘাট পরিষ্কার করা এই ধরনের কাজ যারা করেন, বাগানের গার্ডেনার, সিকিউরিটি গার্ড, বাড়ির কেয়ারটেকার ইত্যাদি ছোটখাটো যে চাকরিগুলো রয়েছে, সেই কাজ করলে আপনার সর্বনিম্ন বেতন দিয়ে থাকে ৪৫ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকার মত। তাছাড়া এদেশের কাজের বেতন ভাতা বৃদ্ধি পায় এবং জীবন যাপনের ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তাছাড়া প্রত্যেকটা কোম্পানি শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।

কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

বাংলাদেশ থেকে কসোভো যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। তাই কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করার জন্য যে তথ্যগুলো আপনার জানা প্রয়োজন। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
এদেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তাই বাংলাদেশ থেকে যখন আপনি কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন সে ক্ষেত্রে কৃষি কাজ, নির্মাণ কাজ, হোটেল বা রেস্টুরেন্টের বয়, হসপিটাল এর ওয়ার্ড বয় অথবা শিল্পকল কারখানার উৎপাদনকারী ইত্যাদি কাজগুলোর জন্য আপনি এই ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। সাধারণত এই কাজগুলোর মাধ্যমে যদি আপনি যেতে চান তাহলে অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডকুমেন্টস গুলো লাগবে। তাই কসোভো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ ১০ লাখ টাকার মত। তাছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ভিসা খরচ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে।

কসোভো কোন কাজের চাহিদা বেশি

কসোভোতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। তাই কসোভো কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে যদি আপনি জানতে পারেন তাহলে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কসোভোতে যেতে পারবেন। চলুন, কোন কাজের গুরুত্ব এবং চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জানা যাক।

কসোভো দেশটি অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হয়েছে, যার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবছরে অনেক লোক কাজের জন্য নিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার জন্য আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। তবে কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যেতে পারবেন। যেহেতু প্রত্যেকটা দেশেই প্রযুক্তি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে তাই প্রযুক্তিগত কাজের প্রতি দক্ষতা থাকা আপনার জরুরী। তাছাড়া অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন হয় তাই বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক কসোভোতে যাচ্ছে। তার মধ্যে যেমন কনস্ট্রাকশনের কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে।

এছাড়া হোটেলে বা রেস্টুরেন্টের কাজ করতে পারবেন, কসোভোতে বিভিন্ন কারখানা রয়েছে সেখানে উৎপাদন বা এই ধরনের কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। কসোভোতে শিল্প কলকারখানাতে কাজ করার জন্য অনেক লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে, এ কাজ করতে পারেন। এছাড়াও কৃষি কাজের অনেক গুরুত্ব রয়েছে, বাংলাদেশের শ্রমিক হিসেবে আপনি কৃষি কাজ করতে পারবেন। তাছাড়া দেশটিতে অনেক ফ্যাক্টরি বা শিল্প প্রযুক্তিতে বিখ্যাত যার কারণে দক্ষ ফ্যাক্টরির কাজের লোক নিয়ে থাকে। তাছাড়াও বিভিন্ন ছোটখাট অনেক কোম্পানি রয়েছে তারাও কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকে।

কসোভো ভিসা চেক

আপনি যখন কসোভো যাবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসা চেক করতে হবে। তাই কসোভো ভিসা চেক করার পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন, কিভাবে ভিসা চেক করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

কসোভো যাওয়ার জন্য অবশ্যই ভিসা চেক করে যাবেন, তা না হলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এজন্য আপনি প্রথমে গুগল ক্রোমের মাধ্যমে visametric.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রবেশ করবেন। এরপরে যে অ্যাপ্লিকেশন ট্রাকিং অপশন পাবেন সেখানে পাসপোর্ট নাম্বার দিতে হবে। তারপরে একটি ক্যাপচা আসবে সেই ক্যাপচা পূরণ করে সার্চ অপশনে ক্লিক করবেন। এরপরে দেখবেন কসোভো ভিসা আসল না নকল সেটা চেক করে নিতে পারবেন। তাছাড়া কাজের অথবা অন্যান্য ভিসাও এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চেক করতে পারবেন। এভাবে আপনি নিজেই চেক করতে পারবেন।

কসোভো কাজের ভিসার সুবিধা

আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে কসোভো যাবেন সেক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন এবং আপনার কাজের নিরাপত্তা রয়েছে। যেহেতু উন্নতির উন্নয়নশীল একটি দেশ যার কারণে প্রবাসীদেরকে বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা দিয়ে থাকে। যে সুযোগ সুবিধা গুলো আপনি কসোভোতে পাবেন, সেগুলো এদেশের প্রবাসী হিসেবে সরকারি সুরক্ষা পাবেন। তাছাড়া ও নির্ধারিত বেতন ভাতা করা হয়েছে, মাসিক বেতন সর্বনিম্ন ৪৫ হাজার টাকা। তবে কাজের ধরন ও অভিজ্ঞতার আলোকে বেতন কমবেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও কর্মীদের সাধারণত ওভার টাইম কাজের সুযোগ আছে, সে ক্ষেত্রে আপনি বেতনের সমপরিমাণও ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনার থাকার জায়গা করে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষ করে যারা হোটেল বা নির্মাণ কাজ করেন বা ফ্যাক্টরিতে তাদের সাধারণত কোম্পানিগুলো থাকার ব্যবস্থা করে দেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে কর্মীদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য হাসপাতাল বা চিকিৎসা রয়েছে। যা বিনামূল্যে কোম্পানিগুলো স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকে ও প্রত্যেকটা কর্মীদের স্বাস্থ্য বীমার আওতায় নিয়ে আসেন। যেন তারা সু চিকিৎসা পায় এছাড়াও দীর্ঘদিন যাবৎ যদি আপনি কাজ করেন সে ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

কসোভো টাকার মান কত

বিভিন্ন দেশের টাকার মান বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তাই কসোভো টাকার মান কত? এ সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে সঠিক ধারণা পাবেন। চলুন কসোভো টাকার মান কত হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক। কসোভো যেহেতু একটি উন্নত রাষ্ট্র সেখানে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের টাকার মান কত হতে পারে সেটা আপনার একটা ধারণা পাওয়া উচিত। যেহেতু কসোভো টাকার নাম বলা হয়ে থাকে ইউরো। সেই ক্ষেত্রে ১ ইউরো সমান ১.২৫ টাকার মত। তবে এই টাকার মান কয়েক দিন পর পর কমবেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া কিছু ওয়েবসাইট আছে যার মাধ্যমে মালেশিয়া টাকার মান সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের টাকার রেট নির্ণয় করা যায়।

কসোভো কাজের ভিসা আবেদন

আপনি যখন কসোভো যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করছেন তখন অবশ্যই ভিসা আবেদন করতে হবে। তাই কসোভো কাজের ভিসা আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন, কিভাবে আবেদন করলে সঠিক হবে সে সম্পর্কে জানা যাক।
ছবি
কসোভোতে ভিসা আবেদনের জন্য কিছু ডকুমেন্টস এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। প্রথমত কোম্পানির জব অফার লেটার লাগবে। ভিসা আবেদনের জন্য প্রথমে কসোভো সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করবেন এবং ডাউনলোড করবেন। তাছাড়া আবেদন পত্র ও ফরম পূরণ করতে হবে, এরপরে দূতাবাসে জমা দিতে হবে এবং আবেদন ফি জমা দিতে হবে। ভিসা প্রসেসিং করতে মাস খানেকের মতো সময় লাগতে পারে। এছাড়া বৈধ পাসপোর্ট, পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট, নিয়োগ কর্তার কাজের অফার লেটার, মেডিকেল সনদ, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, কাজের অভিজ্ঞতা এবং কাজের দক্ষতা সার্টিফিকেট।

লেখকের শেষ কথাঃ

পরিশেষে বলা যায় যে বাংলাদেশের কিছু মানুষ কসোভোতে কাজ করতে যায় কিন্তু কসোভোতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে গেলে বেতন বেশি পাবেন। তাছাড়া ভিসা খরচ যদি কম করতে চান সেক্ষেত্রে সরকারি মাধ্যমে অথবা কসোভোতে যদি আপনার কেউ পরিচিত থাকে তাহলে তার মাধ্যমে ভিসা করতে পারেন। এক্ষেত্রে খুবই কম খরচ হবে। বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যার কারণে ভিসা খরচও কম বেশি হয়ে থাকে। তাই কসোভো যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Mahmudul Islam
Md. Mahmudul Islam
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও সরকারি চাকরি করি। আমি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করি, এছাড়াও ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করি। এই কাজের উপর আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।