বেলারুশ কাজের ভিসা বেতন কত ও যেতে কত টাকা লাগে

অনেকে জানতে চায় যে, বেলারুশ কাজের ভিসা বেতন কত? আসলে বেলারুশে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, তার ওপর নির্ভর করবে বেতন ভাতা। চলুন, কোন কাজের কত টাকা বেতন দিয়ে থাকে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছরে অনেক লোক কাজের জন্য বেলারুশে গিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে বেলারুশে কোন কাজের কত টাকা বেতন হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই বেলারুশ কাজের ভিসা বেতন কত? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবেলারুশ কাজের ভিসা বেতন কত ও যেতে কত টাকা লাগে

বেলারুশ কাজের ভিসা বেতন কত

অনেকে কাজের ভিসায় বেলারুশ যেতে চায়, তাই বেলারুশ কাজের ভিসা বেতন কত? এ সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। বেলারুশ এর বিভিন্ন কাজের বিভিন্ন রকম বেতন হয়ে থাকে। চলুন, কোন কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এ দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন, তবে কাজের ক্ষেত্রে সাধারণত বেতন ভাতা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে এ দেশের সরকার সাধারণত শ্রমিকদের বেতন কাঠামো তৈরি করে দিয়ে থাকে। তাই এ বেলারুশ এর সর্বনিম্ন কাজের বেতন মাসে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকার মত।

আর যদি উচ্চপদস্থ কোন কাজ করেন সে ক্ষেত্রে আপনার মাসে বেতন সর্বনিম্ন ৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার উপরে বেতন পেতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আরো বেশি বেতন পাবেন। চলুন, কোন কাজের কি রকম বেতন দেয় সে সম্পর্কে জানা যাক।

আপনি যদি এ দেশে কাজ করতে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়া লাগবে। তাই আপনি কাজের ভিসায় গেলে সে ক্ষেত্রে মাসে কমপক্ষে বেতন পাবেন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মত। সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ১ লাখ টাকার উপরে বেতন পেতে পারেন।

যে সকল বাংলাদেশী শ্রমিকের কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা নাই তারা যদি এ দেশে কাজ করে তাহলে সে ক্ষেত্রে মাসে বেতন পাবে প্রায় ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত। তবে যাদের কাজের দক্ষতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে মাসে বেতন প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মত।

তবে আপনি যদি রেস্টুরেন্ট এর কাজে করেন সেক্ষেত্রে প্রতি মাসে ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন এবং দক্ষতা অর্জন করলে ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন।

যদি আপনার ড্রাইভিং এর কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা থাকে, সেক্ষেত্রে ড্রাইভিং এর কাজ করলে মাসে প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন। এছাড়া আপনার যখন অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে তখন আরও বেশি বেতন পাবেন।

যেহেতু বেলারুশ উন্নত রাষ্ট্র, তাই বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাজের জন্য ইলেকট্রিশিয়ানের প্রয়োজন হয়। এজন্য একজন ইলেকট্রিশিয়ান মাসে বেতন পায় ৪৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭৫ হাজার টাকার মতো।

আপনি যদি ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করেন সেক্ষেত্রে মাসে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।

আপনার যদি টাইলস এর কাজের অভিজ্ঞতা থাকে সে ক্ষেত্রে মাসে ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন।

যেহেতু বেলারুশে বিভিন্ন ধরনের বিল্ডিং এর কাজ করতে হয় সে ক্ষেত্রে কনস্ট্রাকশন এর কাজ যদি করেন তাহলে মাসে ৪৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬৫ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।

তাছাড়া আপনি যদি প্লাম্বার হিসেবে চাকরি করেন সে ক্ষেত্রে মাসে ৬৫ হাজার টাকা থেকে ৮৫ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন।

আপনি যদি কৃষি কাজের ক্ষেত্রে কাজ করতে চান যেমন ফার্মিং কাজ এর অভিজ্ঞতা থাকে অথবা বিভিন্ন চাষাবাদের কাজ করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে মাসে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।
কৃষি কাজের জমি চাষ করার জন্য বেলারুশে ট্রাক্টর চালক হিসেবে কাজ করলে মাসে ৫০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।

বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি গুলো তাদের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি যদি এই খাদ্যপ্রক্রিয়ার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন, তাহলে মাসে বেতন পাবেন প্রায় ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫৫ হাজার টাকার মতো।

খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষেত্রে অনেক সময় প্যাকেজিংয়ের কাজের করতে পারেন অথবা সুপারভাইজার পদে যদি চাকরি করেন সে ক্ষেত্রে মাসে ৫৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।

আপনি যদি হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ক্লিনার অথবা রান্নাবান্না কাজ করেন সেক্ষেত্রে মাসে ৩৫০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।

আপনি যদি কুক বা শেফ হিসাবে জব করতে পারেন তাহলে মাসে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবে।

আপনার যদি গার্মেন্টস সেক্টরে অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে বেলারুশে গার্মেন্টস সেক্টরের সেলাই অপারেটর হিসেবে কাজ করলে মাসে ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৫৫ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন। এছাড়াও সুপারভাইজার অথবা দক্ষ টেইলার হিসেবে কাজ করলে মাসে ৫০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।

বেলারুশ এর বিভিন্ন ফ্যাক্টরির উৎপাদনের ক্ষেত্রে শ্রমিকের প্রয়োজন হয়, আপনি যদি এই শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন সে ক্ষেত্রে মাসে ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫৫ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন। এছাড়া অনেকেই বিভিন্ন ফ্যাক্টরির মেশিন অপারেটর হিসেবে জব করে থাকেন, সেক্ষেত্রে মাসে ৫৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।

কোম্পানি বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তারা বেতন ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি কোম্পানি থেকে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা ফ্রি করে দেয়। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের বেতনের টাকা খরচ করতে হয় না। তাছাড়া কিছু কোম্পানি আপনার স্বাস্থ্য বীমা, যাতায়াতের খরচ ব্যবস্থা করে দেন। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি বছরে একবার দেশে আসা-যাওয়ার খরচ বহন করে থাকে।

এ দেশের কাজের সময় সাধারণত ৮ থেকে ১০ ঘন্টা হয়ে থাকে। সপ্তাহে ৫ থেকে ৬ দিনের মত কাজ করতে হবে। সপ্তাহে ১ দিন সাধারণত ছুটি হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনি ওভারটাইম যদি করেন তাহলে বেতনের সাথে এটা বাড়তি টাকা হিসেবে যোগ হবে।

সর্বশেষ কথা হল আপনার যদি কাজের দক্ষতা থাকে যে কোন কোম্পানি আপনাকে বেতন ভাতা বেশি দেবে এবং আপনার কাজ যদি পছন্দ হয় তাহলে অনেক সুযোগ-সুবিধা দেবে। তাই অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে যখন আপনি বেলারুশ যাবেন সেক্ষেত্রে কাজের উপর অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন।

বেলারুশ যেতে কত টাকা লাগে

অনেকে জানতে চায় যে, বেলারুশ যেতে কত টাকা লাগে? আসলে এটা নির্ভর করবে আপনি যে কাজের উপরে যাবেন, সেই কাজের ভিসার উপরে। এছাড়াও বিভিন্ন এজেন্সির উপর নির্ভর করে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা যাক।

যে সকল এজেন্সি গুলো সরকার অনুমোদিত হয়েছে তাদের মাধ্যমে গেলে আপনার খরচ একটু বেশি হবে। সে ক্ষেত্রে এ দেশে যাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা খরচ হবে এবং সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তাই আপনি যদি সরকারিভাবে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ একটু কম হবে। এক্ষেত্রে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মত লাগবে।

তবে সবচেয়ে কম খরচ হয়ে থাকে স্টুডেন্ট এবং টুরিস্ট ভিসায়। তাই আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। এছাড়া আপনার অন্যান্য খরচ বাবদ ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেশি লাগবে।

আপনি যদি কৃষি কাজ করার জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার এই ভিসার খরচ হবে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মতো।

আসলে এখানে মূলত যে ভিসা খরচের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা নির্ভর করবে এজেন্সির উপরে। যদি বিশ্বস্ত এজেন্সি হয় বা পরিচিত কোন লোকের মাধ্যমে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে খরচ কম হবে। তবে চেষ্টা করবেন আপনার যদি এ দেশে কোন পরিচিত বা আপনজন লোক থাকে তাদের মাধ্যমে গেলে ভিসা খরচ অনেকটাই কম পাবেন।

বেলারুশ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে বেলারুশে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বেলারুশ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। চলুন, এই ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা যাক।
ছবি
প্রতিবছর এ দেশ প্রচুর লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় নিয়োগ দিয়ে থাকে। কেননা বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কাজের জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে বেলারুশে যেতে চান, তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে।

যদি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন তাহলে ভিসা খরচ অনেকটাই কম পাবেন। কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করার জন্য বেলারুশের সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখবেন এবং সেখানে কোম্পানির মালিকদের সাথে যোগাযোগ করবেন। তাহলে আপনার সকল ডকুমেন্টস এবং কাজের যদি অভিজ্ঞতা থাকে তারা আপনাকে নিয়োগ দিতে পারে।
আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে চান সে ক্ষেত্রে যে কাজগুলো করতে পারবেন তা হল; ফ্যাক্টরির কাজ, হোটেলের কাজ, বিভিন্ন গার্মেন্টসের কর্মী অথবা নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এই ক্ষেত্রে আপনার এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ হবে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত।

তবে যদি এজেন্সির মাধ্যমে বা কোন দালালের মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে খরচ ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। এই ভিসা যদি আপনি যেতে পারেন তাহলে মাসে প্রায় সর্বনিম্ন বেতন ৫০ হাজার টাকার মত পাবেন, সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত পাবেন।

বেলারুশ কোন কাজের চাহিদা বেশি

বেলারুশে বিভিন্ন কাজ রয়েছে, তাই বেলারুশ কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এদেশে যেতে পারেন। তাহলে সুযোগ-সুবিধা বেশি পাবেন এবং বেতন ভাতা বেশি পাবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

কৃষি কাজ যেমন ফসল চাষ করা, ফসল উত্তোলন করা এছাড়াও বিভিন্ন ফল বাগানে কাজ করা ইত্যাদি কাজের চাহিদা রয়েছে।

এ দেশের নির্মাণ কাজের জন্য শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে যেমন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে, রাস্তা নির্মাণের জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।

বিভিন্ন ফ্যাক্টরির উৎপাদন ও প্যাকেজিং এর ক্ষেত্রে শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে।

হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ওয়েটার ও রাঁধুনি ইত্যাদির প্রয়োজন রয়েছে।

ড্রাইভিং এর কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে বিশেষ করে যারা ট্রাক ও বাস চালকদের অনেক চাহিদা রয়েছে।

তাছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাহিদা রয়েছে।

টেকনোলজি কাজ করতে পারেন।

স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে যেমন ডাক্তার, নার্স ইত্যাদির গুরুত্ব রয়েছে।

শিক্ষা খাতে শিক্ষকতা করতে পারেন।

ওয়েব ডেভেলপার এর গুরুত্ব রয়েছে।

সফটওয়্যার ডেভলপার কাজের চাহিদা আছে।

সাইবার সিকিউরিটি কাজের গুরুত্ব রয়েছে।

উপরোক্ত এই কাজগুলো ব্যাপক চাহিদা আছে। তাই আপনি যদি এই কাজের মাঝে যে কোন একটি কাজের দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। তাহলে আপনি অনেক টাকাই বেতন পাবেন। তাই উপরোক্ত এই কাজের যে কোন একটি কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে এরপর আপনি ভিসা করবেন, তাহলে দেশটিতে গিয়ে উচ্চ বেতনের চাকরি করতে পারবেন।

বেলারুশ স্টুডেন্ট ভিসা

বেলারুশে অনেক উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তাই বেলারুশ স্টুডেন্ট ভিসা যারা পড়াশোনা করতে যেতে চান তারা এই ভিসা করতে পারেন। চলুন, এই ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।

আপনি যদি বেলারুশে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা খরচ হবে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার মত। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় বা থাকা খাওয়ার ইত্যাদি খরচ গুলো আলাদাভাবে আপনাকে বহন করতে হবে।

তবে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি দুই ঘন্টা দিনে কাজ করতে পারবেন, সপ্তাহে দুই দিন। এজন্য আপনার থাকা খাওয়ার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ এই কাজের মাধ্যমে বহন করতে পারবেন। পড়াশোনার পাশাপাশি যদি আপনি দুই ঘন্টা কাজ করেন সেক্ষেত্রে মাসে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন।

তবে আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে আপনার কিছু ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র জমা দিতে হবে। চলুন, সেই বিষয়ে জানা যাক।

আপনি যে প্রথম বছরে পড়াশোনা করবেন সে ক্ষেত্রে টিউশন ফি দিতে হবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট দিতে হবে।

এছাড়া আপনি যে বাংলাদেশী সেই ক্ষেত্রে আপনার ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট লাগবে।

আপনি যে শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছেন তার সকল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দিতে হবে।

আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করবেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আবেদন করেছেন তার অনুমোদন পত্র লাগবে।

এছাড়াও আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনি যে এ দেশে যাবেন সে ক্ষেত্রে আগমনের ভিসার জন্য বোর্ডের একটা চিঠি লাগবে।

তাই আপনি যদি বেলারুশে পড়াশোনা করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে এই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করতে হবে এবং সঠিকভাবে আবেদন পত্র পূরণ করে এই সকল কাগজপত্র এম্বাসিতে জমা দিবেন।

বেলারুশ কেমন দেশ

বেলারুশ অনেকেরই পছন্দের দেশ। তাই বেলারুশ কেমন দেশ? এ দেশটি সম্পর্কে জানলে আপনার যাওয়ার জন্য খুবই আগ্রহ হবে। তাই চলুন, বেলারুশ সম্পর্কে মোটামুটি ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

এই দেশটি সেন্জেনভুক্ত একটি দেশ। এ দেশটি প্রাকৃতিক গতভাবে দেখতে খুবই সুন্দর এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। যার কারণে পর্যটকদেরকে অনেক আকর্ষণ করে এবং প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন দেশ থেকে এ দেশে পর্যটক হিসাবে আসে। তাছাড়া এখানে বিভিন্ন ধরনের ন্যাশনাল পার্ক, পর্যটন কেন্দ্র ইত্যাদি রয়েছে। যা আপনি ভ্রমন করলে ভালো বিনোদন পাবেন।
এছাড়াও ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা আছে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন রয়েছে। যেখানে ভাড়া খুবই কম এবং এদেশের লোকজন খুবই সহযোগিতা করে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার প্রতারণা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তাই আপনি নিরাপদে বেলারুশ ভ্রমণ করতে পারবেন। তাছাড়া বেলারুশ সাধারণত তেল জাত পণ্য এবং কৃষি পণ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের রপ্তানিতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এজন্য অর্থনীতির দিক দিয়ে অনেক উন্নত একটি রাষ্ট্র।

বেলারুশ যেতে কি কি লাগে

আপনি যখন বেলারুশ যাওয়ার জন্য ভিসা করবেন সে ক্ষেত্রে বেলারুশ যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। চলুন, এই ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস লাগে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যে বাংলাদেশী সে ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট দরকার হবে, যার মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস আছে।

তাছাড়া জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দেওয়া লাগবে।

সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি প্রয়োজন হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট যেখানে প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে জমা দিতে হবে।

ব্যাংকের স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি জমা দিতে হবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দেওয়া লাগবে।

পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

আপনি যখন উপরোক্ত কাগজপত্রগুলো সঠিকভাবে জমা দিতে পারবেন এবং যদি এই কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস গুলো বৈধ থাকে, তাহলে আপনি সহজ ভাবে ভিসা পাবেন। কেননা এই সকল কাগজপত্র গুলো তারা যাচাই-বাছাই করার পরেই আপনাকে মনোনয়ন করবে। উপরোক্ত যে কাগজপত্র গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলোর পাশাপাশি যদি আরো কোন ডকুমেন্টস লাগে সেক্ষেত্রে আপনার এজেন্সির মাধ্যমে জেনে নিবেন।

বেলারুশ যাওয়ার ক্ষেত্রে FAQ প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে জেনে নিন

বাংলাদেশ থেকে বেলারুশ কত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত?

বাংলাদেশ থেকে এ দেশের দূরত্ব প্রায় ৬১০২ কিলোমিটার এর মত।

বেলারুশ কাজের ভিসা কতদিন সময় লাগে?

যদি আপনার কাগজপত্র বা ভিসা আবেদন সঠিক হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৩০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।

বেলারুশ ভিসার মেয়াদ কতদিন?

সাধারণত ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন থেকে শুরু করে ১ বছরের মত হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে চুক্তি অনুযায়ী আবার বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

বেলারুশ ভিসা প্রসেসিং হতে কত দিন সময় লাগে?

আপনি যদি সরকারি মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে ৩ মাস থেকে ৫ মাসের মধ্যে হয়ে যাবে। আর যদি বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন।

বাংলাদেশে কি বেলারুশ দূতাবাস আছে?

বাংলাদেশে এ দেশের কোন স্থায়ী দূতাবাস নাই। তাই নিকটবর্তী ভারতের মাধ্যমে যেতে পারবেন।

সর্বশেষ কথাঃ বেলারুশ কাজের ভিসা বেতন কত ও যেতে কত টাকা লাগে

সর্বোপরি বেলারুশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে যে, আপনি যদি কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন। তাহলে অনেক টাকাই বেতন পাবেন, যেহেতু দেশটিতে দক্ষ লোকের গুরুত্ব রয়েছে এবং অনেক উচ্চ মানের বেতন দিয়ে থাকে। তাই বেলারুশ কাজের ভিসা বেতন কত? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকারে আসবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪