লিপস্টিক ব্যবহার করে নামাজ পড়লে জায়েজ হবে কি ও ইসলামের বিধান জানুন

অনেকে জানতে চায় যে, লিপস্টিক দিয়ে কি নামাজ হবে? আসলে লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারবেন তবে নামাজ পড়ার পূর্বে ব্যবহার করা যাবে না। চলুন, নামাজ পড়ার পূর্বে কেন লিপস্টিক ব্যবহার করা যাবে না সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
লিপিস্টিকের মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকতে পারে যেগুলো হারাম বস্তু। যার কারণে আপনার নামাজ জায়েজ হবে না। এজন্য আপনি নামাজ পড়ার পূর্বে এটা ব্যবহার করবেন না। তাই লিপস্টিক দিয়ে কি নামাজ হবে? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃলিপস্টিক ব্যবহার করে নামাজ পড়লে জায়েজ হবে কি ও ইসলামের বিধান জানুন

লিপস্টিক দিয়ে কি নামাজ হবে

অনেক নারীরা সাধারণত সৌন্দর্যের জন্য লিপস্টিক দেয়। তবে লিপস্টিক দিয়ে কি নামাজ হবে? এ সম্পর্কে ইসলামে কি বলে সে সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন, লিপস্টিক দেওয়ার পরে নামাজ পড়া যাবে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানা যাক।

সাধারণত নারীরা মেকাপ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকে। তার মধ্যে লিপস্টিক দিতে পছন্দ করে। এই ক্ষেত্রে লিপস্টিক দেওয়ার পরে নামাজ পড়া যাবে কিনা। সেটা অবশ্যই জানা প্রয়োজন, তবে নামাজের জন্য অজু করতে হবে এতে লিপস্টিক ব্যবহার করা সম্পর্কে ইসলামী নিয়ম জানতে হবে। অনেক নারী দেখা যায় অজু করার পরে লিপিস্টিক ব্যবহার করে থাকে। আবার এই ধরনের আরো অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকে, সেক্ষেত্রে নামাজ বা অজুর ক্ষেত্রে কি সমস্যা হবে সেটা ইসলাম কি বলে তা আমাদের জানতে হবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

এ বিষয়ে অনেক ইসলামী চিন্তাবিদগণ এবং ফকীহগণ তারা গবেষণা করে বলেছেন যে আপনি এমন লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারবেন যেটা অযু করার পূর্বে ব্যবহার করছেন কিন্তু ওযু করার পরে সেটা উঠে যাবে। এই ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার করা যাবে কিন্তু এমন কিছু বাজারে লিপস্টিক রয়েছে যেগুলো পানিতে ভিজলেও উঠে না। এক্ষেত্রে আপনার ঠোঁটে পানি পৌঁছাতে পারেনা এজন্য ওযু হবেনা। এটা অবশ্যই আপনাকে তুলে ফেলতে হবে, তারপরে ওযু করতে হবে। কেননা এর ভিতরে যদি কোন অপবিত্র জিনিস দ্বারা তৈরি করা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অজু ও নামাজ হবে না। ফতোয়ায়ে দুরুল মুক্তার।
তবে যদি লিপস্টিক সফট হয়ে থাকে এবং এর ভিতর দিয়ে পানি ঢুকে ও উঠে যায়। এই ধরনের লিপস্টিক আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সেক্ষেত্রে নামাজ হবে। তবে কখনোই অপবিত্র এবং হারাম জিনিস দিয়ে যে লিপস্টিক তৈরি করা হয়েছে সেটা ব্যবহার করবেন না। কেনার সময় অবশ্যই তার উপাদান সম্পর্কে জেনে নিবেন এবং ব্র্যান্ডের লিপস্টিক কেনার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও যে লিপিস্টিক পানি দিয়ে ওঠে না তা কখনোই ব্যবহার করবেন না। অধিকাংশ আলেমগণ বলেছেন যেহেতু ওযু করার সময় পানি দ্বারা ঠোট ভিজাতে হবে। যদি পানিতে না উঠে যায় সে ক্ষেত্রে নামাজ হবেনা। ফতোয়ায়ে শামী

তবে লিপিস্টিক আপনি সৌন্দর্যের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। যদি তার ভিতরে কোন খারাপ উপাদান বা নাপাক উপাদান না থাকে। তাহলে নামাজ এবং অজু করার পূর্বে এটা ব্যবহার করবেন না। তবে অন্যান্য সময় ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এতে করে আপনার সৌন্দর্য ফুটে উঠবে এবং স্বামী আপনার প্রতি আকর্ষিত হবে, এই জন্য স্বামীকে সন্তুষ্ট করার জন্য লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি আপনার স্বামী আপনি লিপস্টিক দিলে অসন্তুষ্ট হয় সেক্ষেত্রে ব্যবহার না করাই ভালো। কিন্তু আপনি যদি পছন্দ করেন, সে ক্ষেত্রে আপনার স্বামীকে বোঝাতে পারেন সে অনুমতি দিলে দিতে পারবেন।

লিপস্টিক দেওয়া কি হারাম

অনেকে জানতে চায় যে লিপস্টিক দেওয়া কি হারাম? যদি লিপস্টিকের মধ্যে কোন হারাম বস্তুর উপাদান থাকে বা আপনার সন্দেহ লাগে সেই ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার করা হারাম। তবে চলুন কোন উপায়ে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সুন্দর জিনিসের প্রতি সবারই আকর্ষণ থাকে সে ক্ষেত্রে নারীরা সৌন্দর্য পছন্দ করে এবং এই জন্য তারা অনেকেই লিপস্টিকও পছন্দ করে থাকে। এক্ষেত্রে পুরুষরা তাদের প্রতি আকর্ষিত হয়, এজন্য নিজের স্বামীকে সন্তুষ্ট করার জন্য লিপস্টিক ব্যবহার করত পারেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এমন লিপিস্টিক ব্যবহার করবেন যেগুলো খুবই নরম যা পানিতে উঠে যাবে। যেহেতু ইসলামে নারীদেরকে অনেক শালীনতা এবং বৈধতা দিয়েছে। তবে যে সকল পুরুষের সামনে যাওয়া যাবে তাদের সম্মুখে আপনি সাজসজ্জা করে যেতে পারবেন। তাছাড়া অন্য কোন পুরুষের সামনে যাওয়া যাবে না।

বেপর্দায় অবস্থায় অন্য পুরুষের সামনে নিজের দেহকে ও পোশাককে অলঙ্কারিত করা যাবে না। সৌন্দর্য যেন ফুটে না উঠে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। যেহেতু নারীরা অত্যন্ত লাজুকতা শালীনতা, পুণ্যবতী ইত্যাদি গুণাগুণ থাকে। কেননা সৌন্দর্য দিয়ে আল্লাহতালা নারীদেরকে সৃষ্টি করেছে। এজন্য আপনি যদি লিপস্টিক দিয়ে আরো সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলেন, সে ক্ষেত্রে আপনার স্বামী আপনার প্রতি অনেক আকর্ষিত হবে। তবে এটা কখনো অন্য পুরুষের সম্মুখে যাওয়া যাবে না। তাছাড়া ওয়াটারপ্রুফ লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না, এতে অজু করা এবং নামাজ পড়া যাবে না। তাই লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারবেন।

লিপস্টিক ব্যবহারের বিধান

ইসলামের দৃষ্টিকোণে কিছু প্রসাধনী সম্পর্কে বিধান রয়েছে, তাই লিপস্টিক ব্যবহারের বিধান সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। তা না হলে অনেক প্রসাধনীগুলো হারাম হিসেবে ব্যবহৃত হবে। চলুন, এই লিপস্টিক কিভাবে ব্যবহার করলে ইসলামের দৃষ্টি কোণে জায়েজ হবে, এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
যেহেতু আমাদের ইসলামের দৃষ্টিকোণে অপবিত্র বস্তু ব্যবহার করা হারাম এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে যদি আপনার লিপস্টিক অথবা মেকআপ করতে পাউডার বা বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনীর জিনিস যদি খারাপ বস্তু দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে, সেটা আমাদের ব্যবহার করা হারাম। যেহেতু নারীরা নিজেদেরকে সৌন্দর্য রাখতে পছন্দ করে থাকে বা আনন্দ বোধ করে। এজন্য স্বামীর কাছে যাওয়ার পূর্বে অ্যালকোহল জাতীয় বস্তু দ্বারা যে সকল স্প্রে বা পারফিউম ব্যবহার করে অথবা যে লিপস্টিক অপবিত্র জিনিস দ্বারা তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করে নামাজ পড়ে তাহলে নামাজ হবে না।

কিছু প্রসাধনীর ক্ষেত্রে অনেক উলামায়ে কেরামের মতামত রয়েছে তবে অ্যালকোহল বা হারাম মুক্ত বস্তু দ্বারা তৈরিকৃত প্রসাধনী ব্যবহার করে আপনি আপনার স্বামীর কাছে যেতে পারবেন, এটা জায়েজ আছে। এজন্য আপনি রাত্রিতে স্বামীর কাছে যাওয়ার পূর্বে সাজুগুজু করে যেতে পারেন, এক্ষেত্রে লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কখনই ওযু ও নামাজ পড়ার পূর্বে এই লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। এগুলো আপনি আরেকটা সময় ব্যবহার করতে পারেন যেহেতু এগুলো ব্যবহার করে নামাজ পড়া এবং অজু করা যাবে না, সে ক্ষেত্রে যখন আপনার পিরিয়ডের সময় হয় সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন।
তবে আপনি হারাম বস্তু ব্যতীত হালাল বস্তু দিয়েও সৌন্দর্য করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অনেক নারীরা হাত বা পায়ে বা নখে হালাল মেহেদী যেগুলো গাছ থেকে পেড়ে প্রাকৃতিকগতভাবে হাতে বা পায়ে দিতে পারেন। তাহলে সৌন্দর্য ফুটে উঠবে এবং দাম্পত্য জীবন সুখী হবে। এক্ষেত্রে আপনার কষ্ট করে ওযু করা বা নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না। এই ক্ষেত্রে ইসলামের জায়েজ রয়েছে কিন্তু অন্যান্য বস্তু যেমন লিপস্টিক নেলপালিশ জাতীয় জিনিসগুলো ব্যবহার করলে, অজু এবং নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে তুলে ফেলতে হয়। কিন্তু মেহেদী ব্যবহার করলে পানি পৌঁছাতে বাধা প্রাপ্ত হবে না। ফতুয়া হিন্দিয়া

অনেক ওলামাগণ বলেছেন ঠোটে লিপস্টিক দেওয়া যাবে এতে কোন সমস্যা নাই কিন্তু সমস্যা হল এর ভিতরে হারাম বস্তু দ্বারা তৈরি হয়েছে কিনা সেটা আপনাকে খেয়াল করতে হবে। যদি আপনি বুঝতে পারেন যে এর মধ্যে হারাম বস্তু রয়েছে বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেগুলো ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকর হবে এবং ঠোঁটে ব্যবহার করা যাবে না। কেননা এমন লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে, যেটা ওযু করলে এটা উঠে যাচ্ছে। এতে কোন সমস্যা নেই, এক্ষেত্রে আপনার নামাজ পড়ার কোন সমস্যা হবে না। অবশ্যই নিষিদ্ধ জিনিস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। ফতুয়া মানারুল ইসলাম

মুখে ভেসলিন দিয়ে নামাজ পড়া যাবে কি

অনেকে প্রশ্ন করে থাকে যে মুখে ভেসলিন দিয়ে নামাজ পড়া যাবে কি? আসলে আপনি যেকোনো প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ইসলামের কিছু বিষয় নিয়মকানুন মানতে হবে। কেননা সেই প্রসাধনীর উপাদান সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক।

অনেকেই শীতকালে সাধারণত মুখে বা শরীরে ভেসলিন দিয়ে থাকে আবার অনেকেই লোশনও দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শরীরের সৌন্দর্য এবং শুষ্কতা দূর করার জন্য দিয়ে থাকে। তবে এটা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আলেম-ওলামাদের মতামত হলো যদি এর মধ্যে কোন খারাপ উপাদান বা হারাম বস্তু না থাকে সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে এবং নামাজও পড়া যাবে। কেননা রাসূল সাঃ জুমার দিনে তিনি বিভিন্ন ধরনের বৈধ বা হালাল সুগন্ধি ব্যবহার করতেন অথবা তেল ব্যবহার করেছেন। এক্ষেত্রে আপনি তেলের পরিবর্তে এই ভেসলিন ব্যবহার করতে পারেন। এতে নামাজও পড়া যাবে।

নেলপালিশ দিলে কি নামাজ হবে

অনেক নারী নেলপালিশ ব্যবহার করতে পছন্দ করে, তাই নেলপালিশ দিলে কি নামাজ হবে? এ সম্পর্কে ইসলামী শরীয়তের বিধান সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন, ইসলাম কি বলে নেলপালিশ বিষয়ে এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

যেহেতু ইসলামের দৃষ্টিকোণে যে সকল ব্যক্তির সাথে দেখা করা জায়েজ আছে তাদের সম্মুখে সাজসজ্জা করে যাওয়া যাবে। সেই ক্ষেত্রে আপনার স্বামীকে আকর্ষণ করার জন্য সাজ সজ্জা করতে পারেন এবং নেলপালিশ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এমন ধরনের নেলপালিশ ব্যবহার করতে হবে যেটার ভেতর দিয়ে পানি প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু অধিকাংশই নেলপালিশ গুলো সাধারণত নখে দেওয়ার পরে এর ভিতর দিয়ে পানি প্রবেশ করা খুবই কষ্টদায়ক। কেননা পানি যদি না ঢুকতে পারে সে ক্ষেত্রে অজু হবে না, আর ওযু না হলে নামাজও হবে না। নামাজ পড়ার পূর্বে অবশ্যই নেলপালিশ দেওয়া যাবে না।

এ ছাড়াও কেউ যদি নেলপালিশ লাগাতে চায় সেক্ষেত্রে যতক্ষণ অজু করবে না ততক্ষণ আপনি ব্যবহার করতে পারবেন অথবা রাত্রিতে নামাজ পড়ার পরে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো হয় মেহেদির পাতা সুন্দর করে বেটে নিয়ে আপনি হাতের বা নখের বিভিন্ন সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। এটা জায়েজ রয়েছে, তাহলে আপনার বারে বারে ওযু করার পূর্বে উঠানো লাগবে না। কিন্তু নেলপালিশ দেওয়ার পর অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে অতি দ্রুতগতিতে উঠাতে পারবেন না। এক্ষেত্রে নামাজ হবে না, আর নামাজ ছুটে গেলে গুনাগার হতে হবে।

রোজা রেখে লিপস্টিক ব্যবহার করা যাবে কি

অনেকে সারা বছরে মাঝে মধ্যে নারীরা রোজা রেখে থাকে। তাই রোজা রেখে লিপস্টিক ব্যবহার করা যাবে কি? এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। চলুন রোজা রাখার পরে লিপস্টিক দেওয়া যায় কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ছবি
যেহেতু রোজা এমন একটি বিষয় যেখানে অনেক কিছুই বিরত থাকতে হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার না করা সবচাইতে ভালো হবে। কেননা রোজার দিনে এগুলো ব্যবহার করা ঠিক হবে না। কেননা সকল ধরনের অপবিত্রতা এবং পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। এক্ষেত্রে আপনার সাজসজ্জার প্রতি তেমন একটা নজর থাকবে না। এই সময় অবশ্যই আপনার এই লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো হবে। তবে লিপস্টিক ব্যবহার করলেই যে আপনার রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। তবে রাত্রিতে আপনি ঘুমানোর পূর্বে ব্যবহার করতে পারেন। আবার রোজা রাখার পূর্বেই এগুলো উঠাতে হবে।
ইসলামী শরীয়তের মতে হারাম কাজে লিপ্ত যদি হন সে ক্ষেত্রে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন কপালে টিপ পরা কিন্তু নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা বর্জন করতে হবে, তবে লিপস্টিক আপনি ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই নামাজের পূর্বে এবং অজু করার পূর্বে এটা তুলে ফেলতে হবে। কেননা যদি আপনি নেলপালিশ বা লিপস্টিক ব্যবহার করা অবস্থায় মারা যান, সে ক্ষেত্রে অপবিত্রতা অবস্থায় দেখা দিবে। তবে মৃত্যুর পরে লিপস্টিক অবশ্যই তুলে ফেলতে হবে গোসল করার সময়। তাছাড়া মৃত্যু গোসল করানো জায়েজ হবে না।

শেষ কথাঃ লিপস্টিক দিয়ে কি নামাজ হবে? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি নামাজ পড়তে যান, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো। বিশেষ করে লিপস্টিক নেলপালিশ এ জাতীয় প্রসাধনীগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা এটা ব্যবহার করলে নামাজ হবে না। তাছাড়া নামাজের পরে আপনি লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। তবে নামাজ পড়ার পূর্বে ও অজু করার সময় এই লিপস্টিক তুলে ফেলতে হবে। তাই লিপস্টিক দিয়ে কি নামাজ হবে? এ সম্পর্কে আজকের পোস্টে ইসলামিক ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url