বাংলাদেশীদের জন্য লন্ডনে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

অনেকে জানতে চায় যে লন্ডন কোন কাজের চাহিদা বেশি? যেহেতু লন্ডন একটি উন্নত রাষ্ট্র যার কারণে লন্ডনে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য প্রতিবছরে শ্রমিক নিয়ে থাকে। চলুন, লন্ডনে কোন কাজের গুরুত্ব ও চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশের অনেক মানুষ লন্ডনে কাজের জন্য যেতে চায় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা জানে না কোন কাজের চাহিদা বেশি। এজন্য তারা লন্ডনে গিয়ে অনেক সময় বিপদে পড়ে যায়। তাই লন্ডন কোন কাজের চাহিদা বেশি? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশীদের জন্য লন্ডনে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫

লন্ডন কোন কাজের চাহিদা বেশি

বাংলাদেশের অনেক মানুষ লন্ডনে বিভিন্ন কাজের জন্য যায়। তাই লন্ডন কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কেননা লন্ডনে যে কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নিয়ে যেতে পারলে বেশি বেতন পাবেন। চলুন, লন্ডনে যে সকল কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক প্রতিবছরে বিভিন্ন কাজের উপর ভিসা করে লন্ডনে যাচ্ছে। যার কারণে লন্ডনের বিভিন্ন কাজের জন্য যে শ্রমিকের প্রয়োজন তার চাহিদা পূরণ করছে বাংলাদেশের শ্রমিকগণ। তাই আপনি যদি লন্ডনে কোন কাজের জন্য ভিসা করতে চান, সেই ক্ষেত্রে এদেশের কাজের চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে। যেহেতু এটি একটি উন্নত রাষ্ট্র এখানে উন্নতমানের জীবন যাপন করা যায় এবং ভালো মানের বেতন পাবেন। তবে অবশ্যই আপনার কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যেতে হবে। চলুন, যে সকল কাজগুলো বেশি হয়ে থাকে বা চাহিদা রয়েছে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

লন্ডনে রেস্টুরেন্টের কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে কেননা এ দেশে অনেক উন্নত মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যার কারণে রেস্টুরেন্টের শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। তবে এদেশের রেস্টুরেন্টের যদি চাকরি পান, তাহলে আপনার ভাগ্য খুলে যাবে। কেননা অনেক টাকায় বেতন পাবেন। এছাড়াও সাথে অনেক বকশিশ পাওয়া যাবে। তাই রেস্টুরেন্টের কাজের উপরে ভিসা করে লন্ডনে যেতে পারেন। এছাড়া আপনি শপিংমলে কাজ করতে পারেন। কেননা এই কাজেরও অনেক চাহিদা আছে। বিভিন্ন শপিংমল গুলোতে বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক তারা এখানে কাজ করছে।

লন্ডনে অনেক রেসিডেন্সিয়াল হোটেল রয়েছে এ সকল আবাসিক হোটেল গুলোতে অনেক ভালো মানের ওয়েটারের প্রয়োজন হয়। যারা ইংরেজিতে কথা বলতে পারবে এবং ভালো সেবা দিতে পারবে তাদেরকে নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে এই কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে যেতে পারেন। কেননা এতে ভালো বেতন পাবেন এবং অনেক টিপস পাওয়া যাবে। এছাড়া আপনি কার ওয়াশ কাজে যেতে পারেন। এই কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। কেননা প্রত্যেকটা কোম্পানির বা চাকরিজীবীর প্রাইভেট কার রয়েছে, যা ওয়াশ করার জন্য লোকের প্রয়োজন। তাই আপনি এই কাজের উপরে যেতে পারেন।

যেহেতু এটি একটি উন্নত রাষ্ট্র এখানে বিভিন্ন ধরনের পোশাকের শোরুম রয়েছে। এই সকল শোরুম থেকে ক্রেতারা অনেক পোশাক কিনছে, তাই এই ধরনের শোরুমে লোকের প্রয়োজন হয়। তাই আপনার যদি এই কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে এই কাজের উপরে যেতে পারেন। তাছাড়া তাছাড়া ড্রাগ স্টোর কাজের উপরে যেতে পারেন। কেননা বিভিন্ন ওষুধের দোকানে লোক নিয়োগ থাকে, আপনার যদি এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকে এবং ফার্মাসিস্ট এর উপর কোর্স করা থাকে সেই সার্টিফিকেট সহ আপনি আবেদন করতে পারেন। এতে ভালো বেতন পাবেন।

লন্ডনে বিভিন্ন ধরনের দোকান রয়েছে এই সকল দোকান গুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়। তাই এই দোকান গুলোতে অনেক লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনার যদি এই কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি এই ভিসার মাধ্যমে যেতে পারেন। বিভিন্ন মালামাল লোডিং করা এই ধরনের কাজের যদি বাংলাদেশ থেকে অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি এই কাজের উপরে ভিসা করে যেতে পারেন। তাছাড়া যাদের হাউস পেন্টিং কাজের উপর অভিজ্ঞতা আছে তারা এই কাজের উপর যেতে পারেন। কেননা হাউজের পেইন্টিং কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে।

তাছাড়া লন্ডনে আরো অনেক কাজ রয়েছে, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে যদি আপনার কাজের অভিজ্ঞতা থাকে যেমন সফটওয়্যার ডেভলপার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অনেক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও সাইবার সিকিউরিটি, ডেটা সাইন্টিস্ট ইত্যাদি কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে যেতে পারেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য খাতে অনেক লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে, আপনার যদি এই পেশার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি এই লন্ডনে যেতে পারেন। তাছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমন ফিনান্সিয়াল এনালিস্ট, এরপর একাউন্টেন্ট অফিসার, শিক্ষক, কর্পোরেট ট্রেনার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি।

বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যেতে কত টাকা লাগে

অনেকে জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যেতে কত টাকা লাগে? আসলে লন্ডনে বিভিন্ন কাজের উপর ভিসা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে ভিসার দাম পার্থক্য হয়। চলুন, কোন কাজের ভিসার দাম কত সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

লন্ডন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ভ্রমণ করার মত বিভিন্ন নিদর্শন বা ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যা আপনার ভ্রমণকে আকর্ষণ করে তুলবে। তাই আপনি যদি লন্ডনে ভ্রমণ করতে যেতে চান, সেক্ষেত্রে ভিজিট ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে ভিজিট বা টুরিস্ট ভিসার দাম খুবই কম। আপনার মোটামুটি ভাবে খরচ হবে ৩ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মত। তাছাড়া এর পাশাপাশি আরো আনুষাঙ্গিক কিছু খরচ রয়েছে যেমন বিমান ভাড়া, ভিসা আবেদন ফি, হোটেল বুকিং, খাবার বিভিন্ন স্পটে ঘোরাফেরা ইত্যাদি খরচ মিলে আরো ১ লাখ টাকার মত বেশি লাগতে পারে।

বিশ্বের মধ্যে সবচাইতে সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান এই লন্ডনে রয়েছে। এছাড়াও অনেকেই ব্যারিস্টারি পড়াশোনার জন্য লন্ডনে যায়। তাছাড়া নামিদামি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাই আপনি যদি পড়াশোনার জন্য লন্ডনে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই স্টুডেন্ট ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি সরকারিভাবে স্কলারশিপ পান সে ক্ষেত্রে আপনার পড়াশোনা করতে তেমন খরচ হবে না। তবে যদি স্কলারশিপ এর মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসায় যান তাহলে খরচ হবে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ৫ লক্ষ টাকা। আর যদি স্কলারশিপ না পান তাহলে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা লাগবে।

বাংলাদেশের অনেক লোক কাজ করার জন্য লন্ডনে যেতে চায় কিন্তু এই ক্ষেত্রে পারমিট ভিসা করা লাগে। এই ভিসা পাওয়া একটু কঠিন তারপরও আপনি বিভিন্ন কাজের উপরে যেতে পারেন। যেমন লন্ডনেতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন কাজের বিভিন্ন কাজের শ্রমিক লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনি এই ভিসার মাধ্যমে এই কাজের উপরে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে এই সকল কাজের উপরে ভিসা করতে আপনার খরচ হবে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মত। তাছাড়া এর পাশাপাশি বিমান ভাড়া আরো অন্যান্য খরচ সব মিলে আপনার প্রায় আরো ১ লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকার মত লাগবে।

তাছাড়া আপনি ফ্যামিলি ভিসায় যেতে পারেন এই ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাবত আপনার পরিবার যদি বসবাস করে থাকে। তারা আপনার জন্য ভিসা আবেদন করবে, যা আপনি ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি ভিসা করা লাগবে তবে এই ফ্যামিলি ভিসার দাম সাধারণত ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে। তাছাড়াও লন্ডনে রেস্টুরেন্টের কাজের ভিসার ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। তাই যদি এই কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি রেস্টুরেন্টের ভিসার মাধ্যমে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত।

লন্ডনে বেতন কত

যেহেতু লন্ডন উন্নত রাষ্ট্র সেক্ষেত্রে বেতন অনেক বেশি দিয়ে থাকে। তাই লন্ডনে বেতন কত? এ সম্পর্কে অনেকে জানতে চায়। চলুন, লন্ডনের কোন কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

লন্ডনে কৃষি কাজ থেকে শুরু করে শিল্পকল কারখানা এবং বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাজ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছে। তবে বেতন ভাতা ও বিভিন্ন রকমের নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে লন্ডনে সাধারণত ঘন্টা হিসেবে বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতি ঘন্টায় ৮ পাউন্ড থেকে ১২ পাউন্ড এর মত বেতন দিয়ে থাকে। তবে অন্যান্য পেশায় বা উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন যেগুলো কাজ রয়েছে সেগুলোতে আরো বেশি বেতন দিয়ে থাকে। সপ্তাহে ৪০ ঘন্টার মত কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও ওভারটাইম করার সুযোগ আছে। সর্বোপরি মাসে প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যাওয়ার উপায়

অনেকে জানতে চায় বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাই আপনি যদি বৈধভাবে এই লন্ডনে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায়ে যেতে হবে। চলুন, কোন উপায়ে গেলে আপনি সঠিকভাবে কাজ করতে পারবেন এবং নিরাপদে যেতে পারবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে অনেক লোক বিভিন্ন কাজের জন্য যাচ্ছে। তবে কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনাকে ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে অনেকে ভ্রমণ করার জন্য যাচ্ছে কেউ পড়াশোনার জন্য যাচ্ছে কেউ আবার কাজের জন্য যাচ্ছে। আপনি যে উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন তার ওপর ভিত্তি করে ভিসা করতে হবে। এরপর অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। তারপর আপনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো দূতাবাসের জমা দিবেন। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত যে সকল এজেন্সি গুলো আছে তাদের মাধ্যমেও যেতে পারেন অথবা সকল কাজকর্ম নিজে করে যেতে পারেন।

স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন যাওয়ার উপায়

আপনি যদি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে লন্ডনে যেতে চান সেক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আপনি বৈধভাবে এবং নিরাপদে যেতে পারবেন। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক।

আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডনে পড়াশোনার জন্য যেতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই স্টুডেন্ট ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চাচ্ছেন সেখানে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন। এরপর তারা আপনাকে অ্যাপ্লিকেশন লেটার পাঠিয়ে দেবে। তার ভিত্তিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং কাজ করবেন। তারপরে যে বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার জন্য যেতে চাচ্ছেন, তাদের কিছু প্রয়োজনীয় শর্ত থাকে সেগুলো হল; আর্থিক প্রমাণপত্র, স্বাস্থ্য বীমা, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদি প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।

পড়াশোনার জন্য অনেকে লন্ডনে যায় সে ক্ষেত্রে যে কোন একটি বিষয়ের জন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় বা কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে প্রস্তুতি নেয়। এক্ষেত্রে পড়াশোনার জন্য কিছু খরচ রয়েছে যেমন সেমিস্টার ফি, থাকা খাওয়া খরচ ইত্যাদি মিলে আপনার আর্থিক খরচ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। এছাড়াও আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষা শিখতে হবে। লন্ডনে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে ভিসা করা খুবই কঠিন। এজন্য অনেক আগে থেকেই আবেদন করা শুরু করতে হয়, তারপরে তারা যাচাই-বাছাই করে আপনাকে সিদ্ধান্ত দেবে।

লন্ডনে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায়

আপনি যদি লন্ডনের নাগরিকত্ব পেতে চান সেক্ষেত্রে লন্ডনে নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে সহজ পদ্ধতিতে লন্ডনের নাগরিকত্ব পাবেন। চলুন, কিভাবে লন্ডনের নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

যেহেতু লন্ডন একটি উন্নত রাষ্ট্র এবং এখানে উন্নত জীবন যাপন করতে পারবেন। সেজন্য অনেকেই এদেশের নাগরিক হওয়ার চিন্তা-ভাবনা করে থাকে এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চায়। এজন্য কিছু শর্ত থাকে সেগুলো আপনাকে পূরণ করতে হবে চলুন সেই শর্তগুলো সম্পর্কে জানা যাক। প্রথমত আপনার বাবা মা যদি লন্ডনের নাগরিক হয়ে থাকে, সেখানে যদি আপনার জন্ম হয় তাহলে সন্তান হিসেবে আপনি নাগরিক হওয়ার নাগরিক হতে পারবেন। তাছাড়া আপনি যদি দীর্ঘদিন যাবত সেখানে বসবাস করেন প্রায় পাঁচ বছরের মত তাহলে পরবর্তীতে আপনি লন্ডনে নাগরিকত্ব হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি যদি লন্ডনের কোন নাগরিককে বিয়ে করতে পারেন, তাহলে ৩ বছর সেখানে বসবাস করলে আপনি লন্ডনের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি যদি এদেশে বিনিয়োগ করে থাকেন এবং দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা বাণিজ্য করেন, যদি নাগরিকত্ব শর্ত পালন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও যারা অত্যন্ত মেধাবী বা দক্ষতা রয়েছে, বিভিন্ন কাজের অবদান রয়েছে এবং এই দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী বা তাদের এই অবদানের কারণে নাগরিকত্ব আবেদন করতে পারবে।

লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

লন্ডনে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য শ্রমিক নিয়ে থাকে, এই জন্য পারমিট ভিসা করতে হবে। তাই লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন, কিভাবে এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের অনেক মানুষ তারা লন্ডনে যাওয়ার জন্য ভিসা করে থাকে। এক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করতে পারবে। তবে এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ বেশি এবং পাওয়া অনেক কঠিন। এক্ষেত্রে আপনি যে কাজের জন্য যাবেন সে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা লাগবে। তাছাড়া লন্ডনে বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনি সরকারীভাবে এই ভিসায় যেতে পারেন। এক্ষেত্রে খুবই কম খরচ হবে। আর যদি কোন সরকার অনুমতি এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে।

আপনি এই ভিসায় যদি লন্ডনে যান সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। যেমন কৃষি কাজ, হোটেল বা রেস্টুরেন্টের কর্মী হিসেবে, নার্স, নির্মাণ শ্রমিক, ট্রাক চালক ইত্যাদি কাজগুলো আপনি এই ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দূতাবাসের মাধ্যমে জমা দেওয়া লাগবে। তারপর আপনার সাক্ষাৎকার নেবে এরপরে যোগ্যতার ভিত্তিতে ভিসা প্রসেসিং করলে লন্ডনে যেতে পারবেন। তবে আপনি যদি নিজে না বুঝতে পারেন তাহলে এজেন্সির মাধ্যমে সহযোগিতা নিতে পারেন।

বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যেতে কত সময় লাগে

বাংলাদেশের অনেক লোকজন জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে লন্ডন যেতে কত সময় লাগে? আসলে লন্ডনে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে নির্ধারিত সময় এটা নির্ভর করবে বিমানের চলাচলের উপর। সেক্ষেত্রে আপনি যদি ভালো মানের বিমানের মাধ্যমে যান তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে যেতে পারবেন। আর যদি বিমান বিভিন্ন জায়গায় বিরতি দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সময় বেশি লাগবে। যেমন বিভিন্ন কোম্পানির বিমানগুলো লন্ডনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দেখা যায় দুবাই অথবা কাতারে বিরতি দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগে। সেক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে লন্ডন বিমান ভাড়া কত

বাংলাদেশের অনেক লোকজন জানতে চায় বাংলাদেশ থেকে লন্ডন বিমান ভাড়া কত? বিমান ভাড়া মূলত নির্ভর করবে বিভিন্ন কোম্পানির বিমানের যাতায়াতের ব্যবস্থার উপরে। চলুন, কোন বিমানের কত টাকা ভাড়া হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যদি লন্ডনে যাওয়ার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ২ থেকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত খরচ হবে। এছাড়াও যদি তুর্কিশ এয়ারলাইনস এর মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে ৮৫ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মত খরচ হবে। তাছাড়া কাতার এয়ারওয়েজ এর মাধ্যমে গেলে ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। এরপর ভিসতারা এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে লন্ডনে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত খরচ হবে।

তারপর এমিরেটস এয়ারলাইন্স মাধ্যমে যদি লন্ডনে যান সে ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে। এরপর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এই বিমানের মাধ্যমে যদি লন্ডনে যান, সেই ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে। ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে লন্ডনে গেলে ১ লক্ষ ২৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। তারপর ইতিহাদ এয়ারওয়েজ মাধ্যমে গেলে ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার মত খরচ হবে। আপনি যদি ওমান এয়ারওয়েজ লন্ডনে যান তাহলে ১ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স গেলে ১ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। আপনি যদি গালফ এয়ার মাধ্যমে লন্ডনে যান সে ক্ষেত্রে ২ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। আপনি কুয়েত এয়ারওয়েজ এর মাধ্যমে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে লন্ডনে গেলে এই বিমানে গেলে ১ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে। এছাড়াও লন্ডনে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিমান রয়েছে তার মাধ্যমে গেলে আপনি আরো কম খরচে যেতে পারবেন। সে জন্য বিমান কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

শেষ কথাঃ বাংলাদেশীদের জন্য লন্ডন কোন কাজের চাহিদা বেশি? জেনে নিন

পরিশেষে বলা যায় যে বাংলাদেশের অনেক মানুষজন কাজের জন্য বিভিন্ন দেশে যায়। তার মধ্যে লন্ডনে যাওয়ার জন্য অনেকেই স্বপ্ন দেখে থাকে। কেননা এখানে উন্নত মনের জীবন যাপন করা যায় এবং বেতন ভাতা অনেক বেশি। তাছাড়া লন্ডনে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজন নিয়ে থাকে। তাই আপনিও যদি কাজের ভিসার মাধ্যমে লন্ডনে যেতে চান সে ক্ষেত্রে লন্ডন কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে আর্টিকেলের সঠিক ধারণা দেওয়া হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url