আব্বাসীয় শাসনামলে চিকিৎসা শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান সম্পর্কে জেনে নিন

অনেকে জানতে চায় আব্বাসীয় শাসনামলে চিকিৎসা শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান সম্পর্কে। তাই এই বিষয়ে জানা খুবই প্রয়োজন। চলুন, আব্বাসীয় খিলাফতের সময় চিকিৎসা শাস্ত্র মুসলমানদের অবদান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আব্বাসীয় খেলাফতের সময় খলিফা মনসুর চিকিৎসকদের অনেক মূল্যায়ন করেছিলেন। বিভিন্ন দেশ থেকে চিকিৎসকদের নিয়ে আসেন ও তাদেরকে উচ্চ মানের বেতন দেন। তাই আব্বাসীয় শাসনামলে চিকিৎসা শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃআব্বাসীয় শাসনামলে চিকিৎসা শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান  সম্পর্কে জেনে নিন

আব্বাসীয় শাসনামলে চিকিৎসা শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান

ইসলামের ইতিহাসে আব্বাসীয় শাসনামলে চিকিৎসা শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান রয়েছে কিন্তু চিকিৎসা শাস্ত্রে কোন বিজ্ঞানী কি পরিমাণ পরিশ্রম করেছে সে সম্পর্কে হয়তো আমরা জানিনা। চলুন, চিকিৎসা শাস্ত্র মুসলমানদের অবদান সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা যাক।

আব্বাসীয় খলিফাদের মধ্যে সবচাইতে চিকিৎসা শাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে খলিফা আল মনসুর। তার রাজত্বকালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে বড় মাপের চিকিৎসা বিদদের কে রাজপ্রাসাদে নিয়ে আসেন এবং তাদের মর্যাদা দেন। এর মধ্যে বিখ্যাত একজন চিকিৎসক ছিলেন বখত ইসু। পরে খলিফার মনসুর চিকিৎসা বিজ্ঞানী বখত ইসুর পুত্রকে তার দরবারে আমন্ত্রণ জানায়। এরপরে এই চিকিৎসা বিজ্ঞানীর পুরো পরিবার বাগদাদে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে এবং খলিফার পারিবারিক চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। পরবর্তীতে তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন করেছিল।

আব্বাসীয় খেলাফতের সময় চিকিৎসার পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা এবং ঔষধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে যে গবেষণা করা হয় তা মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা করেছিলেন। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম এই মুসলিম বিজ্ঞানীরা রোগ নির্ণয়ের জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করেছিলেন। এছাড়াও তারা ওষুধ প্রস্তুত করে এবং ওষুধের প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিল। চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভেজস চিকিৎসার ক্ষেত্রে দারুন গবেষণা করেছিল। খলিফা মামুন ও মুতাসিম বিল্লাহ এর সময়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ভালো উন্নতি লাভ করে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রাতে আবিষ্কার করা হয়। এছাড়া চিকিৎসা ক্ষেত্রে মান উন্নয়ন ঘটতে থাকে।

আব্বাসীয় খেলাফতের সময় চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তির অবদান করেছে তার মধ্যে আত তারাবি তিনি খলিফা এর সময়ে ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন। এছাড়া তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর বই লেখেন, তাছাড়াও চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাশাপাশি তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রাণিবিদ্যা ইত্যাদি সম্পর্কেও গবেষণা করেছেন। তিনি ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের শাস্ত্রের গবেষণা করেছেন এবং বিভিন্ন ধরনের বই অনুষ্ঠিত করেছিলেন। তাছাড়া তিনি ইরান ইত্যাদি দেশগুলোতেও বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা বই রচিত করেন এবং তাদের বইগুলোর উপর গবেষণা করে।

আব্বাসীয় আমলের মুসলমানরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি সাধন করেছিল। এছাড়াও যারা অমুসলিম রয়েছে তারা সহযোগিতা করে, এজন্য স্থায়ী চিকিৎসা করার জন্য তারা হাসপাতাল নির্মাণ করেন। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমান হাসপাতাল তৈরি করেছিল। এছাড়াও আব্বাসীয় খেলাফতের সময় মুসলিম হাসপাতালের নারীদের ক্ষেত্রে আলাদা ব্যবস্থাপনা। তাই আব্বাসীয় খেলাফতের সময় চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রতি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বেশি দিয়েছিল। কেননা মানুষ যদি সুস্থ থাকে সেক্ষেত্রে দেশের জন্য অবদান রাখবে, তাই দেশের প্রত্যেকটি জনগণকে সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন খলিফা সমাধান করতেন।

আব্বাসীয় খেলাফতের সময় মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম একজন ব্যক্তি তিনি হলেন আল রাজী। যিনি মুসলিম বিশ্বে শ্রেষ্ঠ একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন দেশের বই চিকিৎসার শাস্ত্রের উপর গবেষণা করেন মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি অনেকগুলোই গ্রন্থ রচনা করেছেন। অধিকাংশ চিকিৎসা শাস্ত্র নিয়ে লেখা তাছাড়াও তিনি এই চিকিৎসা শাস্ত্র বই গুলো লিখে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন দেশের বই পুস্তক করেছিলেন এবং সেটা প্র্যাকটিক্যালে কাজে লাগাইছে ছাড়াও ধর্ম শিক্ষা।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলিমদের মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ইবনে সিনা। তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের উপরে বিভিন্ন ধরনের বই লিখেছেন। তার মধ্যে অন্যতম কারণ 'কানুন ফিত্তিব' যার কারণে তার বইটি এতটাই বিখ্যাত হয়েছিল যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে গ্রহণ করা হয়।পৃথিবীতে যত মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী রয়েছেন তার মত কত আধুনিক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানী আর কোথাও অন্যতম ছিলেন তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলা হয়ে থাকে আবু আলীর হুসাইন ইবনে সিনা। এই ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছেন একটি স্থান পাকিস্তান এর জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ান এরপরও ইউরোপ দেশগুলোতে তাকে আভিসিনা নামেই পরিচিত লাভ করা। এছাড়া তিনি চিকিৎসা বুক উপরে কিছু গ্রন্থ ও রচনা করেছেন । তার মধ্যে অন্যতম হলো আল-কানুন এই বইটি সাধারণত চিকিৎসা শাস্ত্রের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশাল আকৃতির একটি বই খুবই সুন্দর সাজানো বিছানো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দেওয়া রয়েছে। তাছাড়া তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের ক্ষেত্রে ১৬ টি বই লিখেছিলেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url