ডায়রিয়া হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে -ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত



আপনার ডায়রিয়া হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে, কেননা কলাতে পটাশিয়াম থাকে আর ডায়রিয়া হলে আপনি পাকা কলা খেতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত।
পোস্টসূচিপত্রঃডায়রিয়া হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে -ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত জানুন

সাধারণত জীবণুযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণেই পেটের এই সমস্যা হয়। বিশেষ করে শিশুদের ডায়রিয়া বেশি হয়। কেননা তারা জীবাণুযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলে, কারণ তারা বুঝতে পারে না। তাই ডায়রিয়া কি কারনে হয় বিস্তারিত জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ডায়রিয়া কি

ডায়রিয়া কি তাহলো হলো একটি পরিপাকতন্ত্রের রোগ,যেটা একজন মানুষ দিনে তিনবারও বেশি যদি পাতলা পায়খানা বা তরল পায়খানা করে। তাহলে সেটাকে ডায়রিয়া বলা হয়। সাধারণত বর্ষাকালে ডায়রিয়া বেশি হয়ে থাকে,তবে সারা বছরই ডায়রিয়া হয়।

ডায়রিয়া কি কারনে হয়

যেসব কারণে ডায়রিয়া হয় নিম্নে ডায়রিয়া কি কারনে হয় বর্ণনা করা হলোঃ

আমাদের দেশের ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ রোগ জীবাণু দ্বারা সংক্রমণ। জীবাণু শরীরে ঢুকে পেটের সমস্যা দেখা দেয়, যা ডায়রিয়ায় রূপান্তরিত হয়।

দূষিত খাওয়ার পানিঃ আপনি যদি কোন নদী নালা খাল বিল অরক্ষিত কুয়া এ সকল জায়গা থেকে যদি পানি পান করেন তাহলে দূষিত হতে পারে।

দূষিত খাবারঃ যেমন ভালোভাবে হাত না ধুয়ে খাবার খাওয়া বাইরে অথবা গরম স্থানে অনেকক্ষণ রাখা রান্না করা খাবার ময়লা মাছি ও পশু থেকে অরক্ষিত খাবার খেলে। আপনি এমন খাবার খাবেন না যে খাবারগুলো রান্নার পূর্বে অনেকক্ষণ যাবৎ ময়লা আবর্জনার মাঝে রেখে দিয়েছে এবং খাবারটা তেমন একটা সিদ্ধ হয়নি।

অপরিষ্কার হাতে খাবার খেলে যেমন খাওয়ার আগে অথবা কাজ করার পর হাত না ধুয়ে রান্না করলে বা খাবার খেলে। আপনি ডায়রিয়া হলে বেশি বেশি পাকা কলা খাবেন আর ডায়রিয়া হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে এতে উপকার রয়েছে।

ডায়রিয়ার লক্ষণ গুলো কি কি

নিম্নে ডায়রিয়ার লক্ষণ গুলো কি কি বর্ণনা করা হলোঃ
  • পানি পান করতে পারেনা
  • চোখ বসে যায়
  • অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে
  • প্রথমত পেটের চামড়া ধরে টান দিবেন যদি ছেড়ে দেওয়ার পরে আস্তে আস্তে আগের অবস্থানে ফিরে যায় তাহলে বুঝবেন এটা ডায়রিয়ার লক্ষণ।
  • রোগী খুব তৃষ্ণার্ত বোধ করে
  • রোগী অস্থির বা খিটখিটে মেজাজ হবে
  • ডায়রিয়ার অন্যতম লক্ষণ হল রোগী পানি শূন্যতা বেশি দেখা দেবে।

ডায়রিয়ার চিকিৎসা

ডায়রিয়ার চিকিৎসা হলো, ডায়রিয়া রোগীর সাধারণত পানি ঘাটতি দেখা দেয়। ডায়রিয়া শুরু হওয়া মাত্র পর্যাপ্ত স্যালাইন খাওয়ানো উচিত। কারণ শরীর থেকে যে পানি ও লবণ বের হয় তা পূরণ করার জন্য স্যালাইনের প্রয়োজন। স্যালাইন না পাওয়া গেলে লবণ ও চিনি বা গুড় নির্দিষ্ট মাত্রায় নিরাপদ পানিতে গুলিয়ে পান করা উচিত। কিভাবে এই স্যালাইন তৈরি করতে হয় নিম্নে তা বলা হলো

বাড়িতে খাবার স্যালাইন তৈরির পদ্ধতি সাবান ও পানি দিয়ে আপনার হাত ধুয়ে নিন। একটি পরিষ্কার পাত্রে আধা লিটার বা আধাশের ফুটানো ঠান্ডা অথবা টিউবওয়েলের পানি নিন। তিন আঙ্গুলের এক চিমটি লবণ ও এক মুঠো গুড় বা চিনি নিন এবং ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে শরবত তৈরি করুন।

রোগী যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয় কিভাবে খাবার স্যালাইন তৈরি করতে হয় তাকে শিখিয়ে দিন। ডায়রিয়া শুরু হওয়ার সাথে সাথে খাবার স্যালাইন দিন এবং ডায়রিয়া বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত খাবার স্যালাইন খেতে বলুন।
রোগীর পানি ঘাটতি দেখা দিলে নিম্ন বর্ণিত উপায় তার চিকিৎসা করুন। খাবার স্যালাইনের একটি প্যাকেট নিয়ে স্যালাইন তৈরি করে খেতে দিন।
খাওয়ার স্যালাইন তৈরির পদ্ধতি গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো,

খাবার স্যালাইন তৈরি করার পদ্ধতিঃ হাত ধুয়ে নিন একটি পরিষ্কার পাত্রে আঁধা লিটার পরিষ্কার পানি নিন। পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নেয়া উচিত, যদি সম্ভব না হয় তাহলে সবচাইতে পরিষ্কার যে পানি পাওয়া যাবে যেমন টিউবলের পানি তা ব্যবহার করুন। হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন যেকোনো পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। যেমন জগ, মগ, বোতল ইত্যাদি প্যাকেটের পাউডার পাত্রের পানিতে ঢেলে দিন। যতক্ষণ না পাউডার পানিতে গলে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত ভালোভাবে নাড়তে থাকুন।

আপনার কাছে খাবার স্যালাইনের প্যাকেট না থাকলে নিজেই খাবার স্যালাইন তৈরি করুন।
লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করতে হবে
যাদের ডায়েরী আছে কিন্তু জন নাই এবং পায়খানার সাথে রক্ত বের হচ্ছে না বড় ধরনের কোন লক্ষণও দেখা দিচ্ছে না তাদের জন্য।
  • পূর্বের নির্দেশ অনুযায়ী খাবার খেতে বলুন
  • স্বাভাবিক খাবার চালু রাখতে উপদেশ দিন
  • বয়স ও মাত্রা অনুযায়ী জিং বড়ি জিংক বড়ি বা সিরাপ দশ দিন খেতে দিন

ডায়রিয়া ও জ্বর

যে সকল রোগীর ডায়রিয়া এবং এর সাথে অনেক জ্বর রয়েছে এবং অপুষ্টির রয়েছে পায়খানার সাথে রক্ত যাচ্ছে প্রায় ১৪ দিনের বেশি হয়ে গেছে এই ধরনের রোগীকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে যাওয়ার পথে খাবার জন্য রোগী এক বোতল স্যালাইন সঙ্গে নিতে বলুন। রোগী হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে না পারলে স্যালাইন দিয়ে তার চিকিৎসা চালাতে থাকুন।

কিভাবে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করা যায়

কি কারনে ডায়রিয়া হয়,জনগণ যদি তা না জানে তাহলে তাদের পক্ষে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব না। কিভাবে ডায়রিয়ার চিকিৎসা করতে হয় তারা যদি আপনার কাছে জানতে চায় তাহলে শিখে দিবেন। তারা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে পারবে এবং এর ফলে ডায়রিয়া জনিত মৃত্য রক্ষা সম্ভব হবে।

যে বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে তাদেরকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা খুবই দরকার।
আপনি যেখান থেকে পানি খাবেন সেটা যেন দূষিত না হয় সেদিকে আপনাকে নজর রাখতে হবে যেমন আপনার বাড়ির পাশে খাল বিল নদী নালা ইত্যাদি যদি দূষিত হয় সেখান থেকে পানি খাবেন না।

আপনি যখন কোথা থেকে পানি নিয়ে আসবেন সেটা আগে দেখবেন যে সেখানে যে ভালো রয়েছে কিনা যদি জীবাণুমুক্ত পানি হয় তাহলেই সেখান থেকে পানি নিয়ে এসে পানিটা ফুটিয়ে পান করবেন এবং রান্নার জন্য এলাকায় যাতে নিরাপদ পানির উৎস থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য সবার সাথে পরামর্শ করে কাজ করতে হবে। তাহলেই ডায়রিয়া প্রতিরোধ করা যাবে।

যে খাবারের মধ্যে ডায়রিয়ার জীবাণু আছে সেটা বোঝার জন্য আপনাকে কিছু জিনিস খেয়াল করতে হবে। সেটা হলো খাবারটা টাটকা হতে হবে, মশা মাছি খাবারের উপরে যেন না পড়ে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা জায়গায় খাবারটি রাখতে হবে। এ সকল কাজগুলো করলেই আপনি বুঝতে পারবেন।
  • দূষণ থেকে সব খাদ্য রক্ষা করুন
  • ভালোভাবে রান্না করা না হলে খাদ্যে ডায়রিয়া জীবাণু থাকতে পারে
  • সর্বদা সঠিকভাবে খাদ্য রান্না করুন এবং রান্নার পর পর খেয়ে নিন
  • আপনি মলত্যাগ করার পর এবং কাজে থেকে আসার পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত দিয়ে পরিষ্কার হয়ে নিবেন তাহলে আর জীবণু  থাকবে না।
  • সার্বক্ষণিক সাবান দিয়ে হাত পা সবকিছুই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখবেন
  • আপনি যখন রান্না-বান্না করবেন তখন হাত পরিষ্কার করবেন সাবান দিয়ে এবং খাওয়ার আগেও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিবেন।
  • আপনার শিশুকে যখন কোন খাবার খাওয়াতে যাবেন তখন অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিবেন। 

ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত

ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত নিম্নে তা বর্ণনা করা হলোঃ

ডায়রিয়া হলে প্রতিদিন শরীর থেকে প্রায় ২০ লিটার পানি বের হয়, তাই ডায়রিয়া হলে প্রথমে খাবার স্যালাইন দিতে হবে এবং পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবার দিতে হবে।যেমন চিড়ার পানি, ভাতের মাড় ইত্যাদি।

ডাবের পানিঃ পানি শূন্যতার জন্য ডাবের পানি দেওয়া যেতে পারে কেননা ডাবের মধ্যে পটাশিয়াম থাকে। ডায়রিয়া হলে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা যায় তাই ডাবের পানি খেতে পারেন।

কাঁচকলাঃ সিদ্ধ অথবা কাঁচকলার তরকারি খেতে পারেন। কেননা কাঁচকলায় আয়রন, পটাশিয়াম ও অনেক ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে। কাঁচা কলা খাওয়ার পাশাপাশি আপনার ডায়রিয়া হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে এ তো অনেক উপকার রয়েছে।

দই বা ঘোলঃ খেতে দিতে পারেন কেননা দইয়ের মধ্যে থাকে প্রোবায়োটিক। এক ধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া যেটা খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো মেরে ফেলে এবং শরীরের জন্য উপকার করবে।
মসুরের ডাল,কলা, আম, নারিকেলের দুধ ও টক জাতীয় ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম আছে।

আলুঃ আলু এবং সামান্য লবণ দিয়ে হলুদের গুড়া মরিচ অল্প করে দিয়ে যদি সিদ্ধ করে দেন তাহলে শিশুরা অনেক সুন্দর খাবে।

ডায়রিয়া হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে

আপনার ডায়রিয়া হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে। ডায়রিয়া বা বমি হলে সাধারণত পটাশিয়াম ও লবণের ঘাটতি দেখা দেয়, তাই আপনি পাকা কলা খেতে পারেন।পাকা কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে এবং আপনার যদি হাজারো শক্তি কম থাকে তাহলে পাকা কলা খেতে পারেন। এর ভিতরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যার কারণে ডায়রিয়া হলে পটাশ হওয়ার অভাব দেখা দেয়। এই পাকা কলার মাধ্যমে সেটা পূরণ হবে।

ডায়রিয়া হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

ডায়রিয়া হলে সাধারণত পটাশিয়ামের ঘাটতি বেশি থাকে, তাই পটাশিয়াম জাতীয় ফল খাওয়ায় ভালো। আর এই ফলগুলো হল কলা, নারিকেলের দুধ, টক জাতীয় ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম আছে এই ফল গুলো খাওয়ার পর ডায়রিয়া হতে অনেকটা উপকার পাবেন। এ সকল ফলের পাশাপাশি আপনি পাকা কলা খেতে পারেন কেননা আপনার ডায়রিয়া হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে। 

ডায়রিয়া হলে দই খাওয়া যাবে

হ্যাঁ, ডায়রিয়া হলে দই খাওয়া যাবে। কেননা দইয়ে থাকে প্রোবায়োটিক বা ভালো ব্যাকটেরিয়া। আর ভালো ব্যাকটেরিয়া গুলো আমাদের খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো মেরে ফেলে। এছাড়াও আপনি বাজার থেকে প্রোবায়োটিক কিনে খেতে পারেন। এবং আপনার পটাশিয়ামের ঘাটতি হলে সেই ক্ষেত্রে ডায়রিয়া হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে।

ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত নিম্নে তা বর্ণনা করা হলোঃ

ডায়রিয়া হলে সাধারণত মানুষ ফার্মেসি থেকে যে ওষুধগুলো কিনে থাকে লোপেরামাইড, ফ্লাজিল, ইমোটিল, মেট্রোনিডাজল, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন ইত্যাদি কিন্তু এই ওষুধগুলো না খাওয়াই ভালো। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।

কেননা এই উপরোক্ত ওষুধগুলো প্রত্যেকটাই অ্যান্টিবায়োটিক। আর এন্টিবায়োটিক ভালো ব্যাকটেরিয়া, খারাপ ব্যাকটেরিয়া উভয় ধ্বংস করে ভালো ব্যাকটেরিয়া মারা যাওয়ার কারণে খাদ্য হজম সমস্যা হয়। তাই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই সকল ওষুধগুলো খাবেন না।

উপসংহারঃ

পরিশেষে বলা যেতে পারে যে, ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। আর এই পানি শূন্যতার জন্যই প্রচুর পরিমাণে খাবার স্যালাইন খেতে হবে এবং তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। উপরুক্ত খাবারগুলোর পাশাপাশি আপনার ডায়রিয়া হলে পাকা কলা খাওয়া যাবে কেননা এতে অনেক পটাশিয়াম রয়েছে। আর যদি ডায়রিয়া খুবই বেশি হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিতে হবে। আমার এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনি একটুও উপকৃত হন, তাহলে পোস্টে টি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪