নিরাপদ খাবার নিরাপদ জীবন, বিস্তারিত জানুন



নিরাপদ খাবার নিরাপদ জীবন যাপন করতে হলে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। বর্তমানে আমাদের দেশের অধিকাংশ খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক, কেমিক্যাল অস্বাস্থ্যকর কেমিক্যাল ব্যবহার করার কারণে আমাদের ক্যান্সারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আপনি যদি নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে, আমার এই কন্টেন্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ছবি
যদি আপনি নিরাপদ খাদ্য খান, তাহলে সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবেন। আমরা সবাই যদি সচেতন হই এবং নিজেদের ধ্বংস যদি না চায়, তাহলে অবশ্যই আমাদের খাবারের মাঝে কোন ভেজাল মিশাবো না। খাদ্য উৎপাদন করতে গিয়ে কোন কেমিক্যাল মেশাবো না।

পোস্টসূচিপত্রঃনিরাপদ খাবার নিরাপদ জীবন, বিস্তারিত জানুন

ভূমিকা

উন্নত দেশগুলো নিজেদের সন্তানদের কথা চিন্তা করে তারা খাদ্যে ভেজাল অথবা খাদ্যে উৎপাদনে কোন ধরণের রাসায়নিক সার,কীটনাশক ও স্বাস্থ্যকর কেমিক্যাল ব্যবহার করেনা।কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নিজেদের স্বার্থে বা অর্থলোভে খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে থাকে এবং খাদ্য উৎপাদনে বিভিন্ন রাসায়নিক সার,কীটনাশক ও স্বাস্থ্যকর কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকে।যা সবচেয়ে ক্ষতিকর, কেননা নিরাপদ খাবার নিরাপদ জীবন।

নিরাপদ খাদ্য কাকে বলে

নিরাপদ খাদ্য বলতে আমরা বুঝি, যে খাদ্যের মাঝে কোন রাসায়নিক কেমিক্যাল ও ভেজাল নেই সে সকল খাদ্যকে নিরাপদ খাদ্য বলে।যেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।আমরা এবং বিভিন্ন প্রাণী খাবারের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকি। আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ খাদ্যে ভেজাল মিশানো হয়। 

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হলে অবশ্যই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিপণন, পর্যবেক্ষণ, পরিচর্যা সকল ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হবে।প্রাচীন যুগে মানুষ শিকার পদ্ধতিতে খাবারের ব্যবস্থা করত তখন খাবারে কোন ভেজাল ছিল না কিন্তু বর্তমানে খাদ্যের অভাব না থাকলেও খাবারের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মেশানো হয়। যেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নিজেদের স্বার্থে খাদ্য উৎপাদনের বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিশিয়ে থাকে।এছাড়াও আমাদের দেশে অধিকাংশ ফসলে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ও অনুজীব রয়েছে যা আমাদের বিভিন্ন রোগ ব্যাধি হয়। তাই আমাদের খাদ্যের তালিকায় নিরাপদ খাদ্য রাখার চেষ্টা করব। কেননা নিরাপদ খাবার নিরাপদ জীবন।

নিরাপদ খাবার নিরাপদ জীবন

নিরাপদ খাবার নিরাপদ জীবন সবার জন্য কাম্য তাই আমরা চেষ্টা করব নিরাপদ খাবার খেতে। কেননা খাদ্য খুব মূল্যবান সম্পদ এটা নষ্ট করা উচিত নয় লক্ষ্য রাখা উচিত ইদুর বা এবং অন্যান্য প্রাণে যেন তা নষ্ট করতে না পারে উৎপাদন থেকে শুরু করে আহার করা পর্যন্ত প্রত্যেক ধাপে খাদ্য নিরাপদ পরিষ্কার রাখা উচিত বাঁশি অথবা দূষিত খাবার ডায়রিয়া এবং অন্যান্য রোগের কারণ হতে পারে রাসায়নিক দ্রব্যের দ্বারা খাদ্য দূষিত হতে পারে এছাড়া আরো যে সমস্ত কারণে দূষিত হতে পারে তা হলো
  • কৃষক করতে কীটনাশকের সতর্ক এবং অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে
  • ঘরে কীটনাশক ওষুধের ও সতর্ক ব্যবহারের ফলে
  • পরিবহন ও গুদামজাত করে খাবার রাখার সময় দুর্ঘটনা জনিত কারণে
  • রাসায়নিক পদার্থের দ্বারা বিষ পরিশোধন করা হলে বীজ
  • খাদ্য সংরক্ষণের সময়ের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের ফলে
  • খাবারকে অনেকক্ষণ ধরে ফুটালে
বাসি অধ্যুষিত খাবার থেকে যে রোগ বা অসুখ হয় তা কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় তা সকলের জানা উচিত

কিভাবে খাদ্য নিরাপদ রাখা যায়

যেভাবে আপনি আপনার খাদ্যকে নিরাপদ রাখতে পারেন নিম্নে কিছু খাদ্যের বর্ণনা করা হলো
শাকসবজিকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবেঃ যে সব শাক-সবজি কাঁচা খাওয়া হয়, সেগুলো উৎপাদনের সময় মল সার ব্যবহার করা উচিত নয়। মল সার ব্যবহার করা হলে শাকসবজি খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে রান্না করা উচিত।

মাংস নিরাপদ রাখবেন যেভাবেঃ কাঁচা বা অর্ধ সিদ্ধ মাংস খাওয়া অত্যন্ত বিপদজনক হতে পারে। জীবাণু সংক্রমিত অথবা দূষিত মাংস খেলে প্রচন্ড বমি ও ডায়রিয়া, কৃমি সংক্রমণ এবং অন্যান্য অসুখ- বিসুক হতে পারে। যা কখনো মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

গরু,খাসি ইত্যাদি স্বাস্থ্যসম্মত এবং রোগ প্রতিরোধ পদ্ধতিতে জবাই করা উচিত। জবাইয়ের পশুর সুস্থ হতে হবে।জবাইকৃত পশু ঝুলিয়ে রেখে সমস্ত রক্ত বের করে দিতে হবে। কসাইখানা চতুর্দিকে বেড়া দিয়ে আবদ্ধ পরিষ্কার রাখতে হবে। জবাই কৃত পশুর নাড়ী ভুঁড়ি ছড়ানোর সময় কোন রোগাক্রান্ত অঙ্গ (যেমন কৃমি আক্রান্ত লিভার) পুড়িয়ে ফেলতে অথবা মাটিতে পুঁতে রাখতে হবে, কুকুরকে দেওয়া যাবে না।
মাংসের দোকান পরিষ্কার রাখা উচিতঃ নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করতে হবে। বিশেষভাবে ঢেকে রাখা, দোকানে অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য থেকে পৃথকভাবে মাংস বিক্রি করা উচিত। মাংসের বড় টুকরা বিক্রি করার আগে ঝুলিয়ে রাখা উচিত। কীটপতঙ্গ জীবজন্তু থেকে একে সংরক্ষিত রাখা উচিত। মাংস বিক্রি পূর্বে কসাই এর উচিত সাবান দিয়ে খুব ভালো করে দুই হাত ধুয়ে নেওয়া।পায়খানা থেকে এসে প্রত্যেকবার সাবান দিয়ে তার হাত ধুয়ে নিতে হবে এবং শুকনো কাপড়ের হাত মুছে নিতে হবে। দা,ছুরি ও মাংস কাটার স্থান পরিষ্কার রাখতে হবে। কিভাবে মাংস দোকান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হয় সে ব্যাপারে কসাইকে পরামর্শ দিন।

মাংস ধরা ছোঁয়াঃ মাংস কাটার স্থান এবং দা,ছুরি ব্যবহার পূর্বে সাবান বা ছাই দিয়ে খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। অনুরূপভাবে যে সকল পাত্রে মাংস রান্না ও পরিবেশন করা হয়, সেগুলি ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। মাংস যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য তা অবিলম্বে শুকিয়ে বা লবণ দিয়ে অথবা রান্না করে রাখতে হবে। যথাযথভাবে শুকিয়ে মাংস অনেক দিন রাখা যায়। রান্না করা মাংস তাৎক্ষণিক বা অল্প সময়ের মধ্যে খাওয়া উচিত অথবা ফ্রিজে পৃথকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।

মাছ নিরাপদে রাখাঃ মাছ খুব ভালো খাদ্য। কিন্তু গরমকালে কোন কোন সময় মাছ ধরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এটা পঁচে যেতে পারে। রোগ জীবাণু ও বিষক্রিয়াজনিত অনেক রোগ মাছ থেকে ছড়াতে পারে, বিশেষ করে দূষিত প্রাণী থেকে মাছ ধরা হলে অথবা কাঁচা বা সিদ্ধ অবস্থায় খেলে।

তাজা মাছ সব সময়ঃ
  • যত শীঘ্রই সম্ভব রান্না করা উচিত
  • যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখা উচিত
  • সরাসরি রোদ বা শুষ্ক বাতাস থেকে দূরে রাখা উচিত
  • রান্না করে দেরি না করে খাওয়া উচিত।
মাছ যদি খুব তাড়াতাড়ি খাওয়ার প্রয়োজন না হয় তাহলে তা প্রক্রিয়াজাত করে রাখা যেতে পারে অর্থাৎ রোদে শুকিয়ে নেওয়া, লবণ দিয়ে রাখা বা ঝুলসিয়ে নেওয়া বা ফ্রিজে রাখা।
জলাশয় যদি পয়ঃ প্রণালী, মলমূত্র অথবা আবর্জনা দ্বারা দূষিত হয় তাহলে সেখান থেকে মাছ ধরা উচিত নয়। জলাশয় যদি কারখানার আবর্জনা বা তেল দ্বারা দূষিত হয়, তাহলে সেখানের মাছ অনেক সময় অত্যন্ত বিপদজনক হবে।

দুধ নিরাপদ রাখবেন যেভাবেঃ দুধ একটি আদর্শ খাদ্য। সব রকমের পুষ্টি উপাদান দুধের মধ্যে আছে। তবে দূষিত দুধের মাধ্যমে গবাদি পশু থেকে মানুষের মধ্যে কয়েকটি রোগ ছড়াতে পারে। ময়লা দ্বারা সেটা দূষিত হতে পারে, যে দুধ দোহন করে তার হাতের ময়লা বা কাশি থেকে দুধ দূষিত হতে পারে এবং এভাবে তা রোগ ছড়ায়। সারাদিনের জন্য দুধ রাখতে হলে, ৪ বা ৫ ঘন্টা অন্তর জাল দিতে হবে। পরের দিনের জন্য রাখতে হলে ভালোভাবে ফুটিয়ে কীটপতঙ্গ, ইঁদুর ও বিড়ালের নাগালের বাইরে ঠান্ডা 

জায়গায় রাখুন।পরের দিন খাওয়ার আগে সকালে আবার ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। দুধ দোহন বা কেনার পরে জাল না দিয়ে বেশিক্ষণ রেখে দিলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া দুধ-রোদ রেখে দিলে ভিটামিন ও খনিজ লবণ নষ্ট হয়ে যায়।
দুধ যে সকল রোগ ছড়ায় সেগুলো পরিহার করতে হবে,
  • সুস্থ সবল গবাদি পশুর দুধ পান করুন
  • দোহনের পূর্বে পশুর ওলান ও বাট ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন
  • দোহনকারীর দুই হাত ও সাবান বাছাই দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে
  • পান করার পূর্বে দুধ জাল দিতে হবে (কমপক্ষে দুই বলক)
  • পরিষ্কার পাত্রে দুধ রাখুন যে পাত্রে ইতিপূর্বে পানি ফুটিয়ে নেয়া হয়েছে অথবা যে পাত্র গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া হয়েছে
  • গরু ছাগল ও মহিষের দুধ ছাড়া যে কোন কোম্পানির গুড়া দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। গুড়া দুধ জীবাণুমুক্ত নয়।
ডিম নিরাপদ রাখুনঃ শরীর গঠনের জন্য অপরিহার্য খাদ্য উপাদান ডিম থেকে পাওয়া যায়। ডিম ও দুধকে আদর্শ খাদ্য হিসেবে অবহিত করা হয়। ডিম সবসময় রান্না করে খাওয়া উচিত।কোন অবস্থাতেই কাঁচা ডিম খাওয়া ঠিক নয়। ডিমের খোসা ভেঙ্গে থাকলে এর ভিতর রোগের জীবাণু বিশেষ করে Salmonella ঢুকে যেতে পারে এবং এই ডিম খেলে আমরা অসুখে আক্রান্ত হতে পারি। গর্ভবতী, স্তন্যুদায় ও শিশুদের পুষ্টির উন্নতির জন্য প্রতিদিন ডিম খাওয়া উচিত।

ফলঃ টাটকা ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ধুয়ে অথবা খোসা ছাড়িয়ে টাটকা অবস্থায় ফল খাওয়া উচিত।

খাদ্য দূষণ প্রতিরোধ

যারা খাদ্য ধরা ছোঁয়া করে, প্রস্তুত করে এবং পরিবেশন করে তাদের উচিত পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে ভালো করে দুই হাত ধুয়ে নেওয়া। হাতের আঙ্গুলে কোন ক্ষত থাকলে তা পরিষ্কারভাবে ব্যান্ডেজ করে রাখা উচিত। টেবিল অথবা যে স্থানে খাবার প্রস্তুত করা হয় সেই স্থান এবং ব্যবহৃত বাসন-কোসন পরিষ্কার রাখা উচিত।
যেসব মহিলা বাড়িতে খাবার প্রস্তুত করে তাদের দেখিয়ে দিন কি করে যথাযথভাবে হাত ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হয় এবং নখ পরিষ্কার রাখতে হয়। যে সব লোক রেস্টুরেন্ট এবং খাওয়ার দোকানে কাজ করে তাদের দেখিয়ে দিন কি করে হাত ধুয়ে ও শুকিয়ে নিতে হয়। মাঝেমধ্যে এলাকার জনসাধারণকে মনে করিয়ে দিন খাওয়া স্পর্শ করার আগে বিশেষ করে পায়খানা থেকে আসার পর তারা যেন সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত দিয়ে নেয়।
নিয়মিত ভাবে মনে রাখা উচিত
  • একসাথে শুধু একবেলার খাবার তৈরি করতে হবে ,যদি খাবার অবশিষ্ট তা ঠান্ডা করে রাখতে না পারে
  • রান্না করার সঙ্গে সঙ্গে খাবার খেয়ে নিতে হবে অনুষ্ঠানে খাবার অনেকক্ষণ ফেলে রাখা উচিত নয় উষ্ণ স্থানে
পরিবারে খাদ্য বিতরণঃ শিশু বয়সে শরীরের বৃদ্ধি ঘটে এ সময় আমিষ জাতীয় খাবারের বেশি দিতে হবে। কিশোর-কিশোরের দেরকেও আমিষ ও উচ্চ খাদ্য শক্তি সম্পন্ন খাবার খাওয়া উচিত। রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদেরও আমিষ জাতীয় খাবার বেশি প্রয়োজন।গর্ভবতী মায়ের ও দুগ্ধ প্রদানকারী মায়েদের আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। যারা বেশি পরিশ্রম করেন তাদের স্নেহ জাতীয় খাবার ও শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। ৪০ বছরের পর খাবারের পরিমাণ আস্তে আস্তে কমাতে হবে, বিশেষ করে গরু ছাগলের মাংস।

রান্না করা খাদ্য সংরক্ষণঃ এমন একটি পরিষ্কার পাত্রে খাবার রাখা যাতে কিছুক্ষণ আগে পানি ফুটানো হয়েছে অথবা যা গরম পানি দিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাত্রটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন মশা, মাছি কীটপতঙ্গ,ইদুর এবং অন্যান্য জীবজন্তু থেকে সুরক্ষিত ঠান্ডা স্থানে রাখুন। গ্রীষ্মকালে জনগণ অনেক সময় খাবার পানি ঘরের কোনায় ছায়াতে রাখে এতে পানি ঠান্ডা থাকে। খাবার পাত্রের কাছে রান্না করা খাবার রাখা ভালো, এটা খাবার ঠান্ডা থাকবে এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যে নষ্ট হবে না, পানি রাখার জন্য যদি মাটির পাত্র ব্যবহার করা হয়, তাহলে পাত্রের চারিদিকের জায়গা আরো ঠান্ডা থাকবে।

খাদ্যশস্য সংরক্ষণঃ ইঁদুর থেকে শস্য রাখার স্থান যথাযথভাবে সংরক্ষিত হয় যদি
  • এটা চারিদিক থেকে বন্ধ থাকে
  • এটা মাটি থেকে অন্তত ৩০ সেন্টিমিটার উপরে হয়
  • এর চারদিকে বা ঘরের মাঝে কোন খাদ্যশস্য না থাকে
  • যথাযথভাবে বন্ধ করার জন্য এর ঢাকনা থাকে
  • এর পায়াতে ধাতুর তৈরি ডিবি থাকে যাতে ইঁদুর বেয়ে উঠতে না পারে
যদি আপনি কোন শস্য রক্ষারণাগার দেখেন যা ইদুর থেকে যথাযথভাবে সংরক্ষিত নয়,তাহলে পরিবার প্রধানকে দেখিয়ে দিন কি করতে হবে।

খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে জনসচেতনতা

বিভিন্নভাবে খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনসাস্থ্য বিরাট হুমকির সম্মুখীন। অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের অতি মুনাফার লোভে এই গর্হিত কাজটি করে থাকে। বর্তমানে বাজার অনেক ভেজাল পণ্যই সয়লাব। খুব সহজে যেসব পণ্যে ভেজাল মেশানো যায় যেমন তেল, ঘি, দুধ, আটা ময়দা, মধু বিভিন্ন গুড়া মসলা ইত্যাদি।

ভোক্তারা নিজের অজান্তে এসব ভেজাল খাদ্য খেয়ে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমানে মাছ সহ বেশ কিছু পণ্য পঁচনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ব্যবসায়ীরা ফরমালিন এবং ফল পাকানোর জন্য কার্বাইড ব্যবহার করছে। তাই ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে আমাদের জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

ভেজাল খাবার তৈরি বা বাজার বিরুদ্ধে সরকার ২০০৫ সালে একটি আইন পাস করেছে যা Bangladesh Pure Food Amendment Act 2005 নামে পরিচিত, এই আইনের আওতায় অসাধু প্রস্তুতকারক বা ব্যবসায়ীদের সর্বনিম্ন ৫০০০০ টাকা জরিমানা ও ছয় মাস জেল এবং সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা আছে জরিমানা ও দুই বৎসরের জেল দেওয়ার বিধান আছে। এছাড়া ভোক্তা অধিকার আইন ও সম্প্রতি পাশ হয়েছে।

উপসংহার

পরিশেষে বলা যেতে পারে যে নিরাপদ খাবার নিরাপদ জীবন গ্রহণ করতে হলে আপনাকে সচেতন হতে হবে। কেননা আমাদের দেশে প্রায় প্রত্যেকটা খাবারের ভিতরেই ভেজাল দেওয়ার প্রবণতা বেশি। একটু বেশি মুনাফা পাওয়ার আশায় তারা এই ধরনের অসৎ উপায় অবলম্বন করে। তাই আমরা নিরাপদ খাবার খাওয়ার জন্য এবং নিরাপদ জীবন যাপনের জন্য অবশ্যই বিশুদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করব। যদি আমার এই পোস্টটা আপনার কাছে ভাল লাগে, তাহলে আমার এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪