আলু খেলে কি ক্ষতি হয় ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
অনেকেই আলু খেতে পছন্দ করে কিন্তু জানেনা এর ক্ষতি সম্পর্কে। তাই আলু খেলে কি ক্ষতি হয়? এ সম্পর্কে জানলে আপনার শরীরে কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন, এর ক্ষতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আলু আমরা সাধারণত তরকারি রান্নার ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার করি কিন্তু এর ক্ষতি সম্পর্কে অনেকে জানিনা। তাই আলু খেলে কি ক্ষতি হয়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃআলু খেলে কি ক্ষতি হয় ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আলু খেলে কি ক্ষতি হয়
সবার পছন্দের একটি সবজি হলো আলু যা আমাদের অনেক উপকার করে। তবে আলু খেলে কি ক্ষতি হয়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, আমাদের শরীরে এটা কি ক্ষতি করতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যাক্রিলামাইড নামের যে উপাদানটি থাকে তা শরীর থেকে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতি করতে পারে এবং ক্যান্সার হতে পারে। তাই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
আপনি যদি এটা ভেজে খেতে চান সেই ক্ষেত্রে শরীরে ক্ষতি হবে, কেননা যে তেল দিয়ে ভাজবেন এর কারণে ক্যালোরি যুক্ত হবে।
যদি আপনি এটা বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত করতে চান সেই ক্ষেত্রে শরীরে ক্ষতি করবে। কেননা এর মাঝে চর্বি, সোডিয়াম ও ক্যালরি থাকে, যার কারণে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি করে। যেমন চিপস জাতীয় খাবার গুলো আপনার ক্ষতি করবে।
এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে চর্বিযুক্ত উপাদান থাকে যা রান্না করার কারণে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং কোলরস্টল ও ওজন বাড়তে পারে, তাই পরিমাণে বেশি খাওয়া যাবে না।
এর খোসা যদি ছাড়িয়ে নেন সে ক্ষেত্রে অনেক ভিটামিন ও খনিজের পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়, এজন্য খোসা সহ রান্না করার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার ত্বকের পাতলা স্তরে সবগুলো পুষ্টি পৌঁছে যাবে। এজন্য সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিতে পারেন।
আপনি যদি সিদ্ধ করে খেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে সুগার বৃদ্ধি পাবে। তাই এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, অতিরিক্ত সিদ্ধ করে এটা খাওয়া যাবেনা।
এজন্য সরাসরি না খেয়ে আপনি এর সাথে অন্যান্য সবজি মিশিয়ে করে রান্না করে খেতে পারেন, এতে আপনার সুগারের লেভেল নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
এর মধ্যে দুই ধরনের গ্লাইকোলকায়েড থাকে যা আপনার টক্সিন দূর করতে সাহায্য করবে। তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন যদি এর মধ্যে কোন সবুজ চিহ্ন দেখতে পান, সে ক্ষেত্রে এটা খাবেন না। এতে টক্সিন দূর করা যায় না।
আলু খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়
অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাই আলু খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়? এ সম্পর্কে জানতে চায়। আসলে আপনি যদি নিয়ম অনুযায়ী খেতে পারেন তাহলে অসুবিধা হবে না। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি এই সবজি তেলে ভেজে নিয়মিত ভাবে খেতে থাকেন, তাহলে আপনার অবশ্যই ক্ষতি হবে। এর চিপস যারা খেয়ে থাকে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এতে আপনার কার্বোহাইড্রেট বৃদ্ধি পাবে যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। এজন্য আপনি বেশি পরিমাণ তেল দিয়ে এই সবজি ভাজবেন না, এতে ক্ষতি হবে।
এজন্য আপনি অবশ্যই এটা রান্না করে খেতে পারেন, আবার অন্যান্য সবজি দিয়ে যদি সিদ্ধ করে খেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আরও উপকার হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। এর মাঝে ফাইবার থাকে যা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে। তাই এটা সিদ্ধ করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
আলু খেলে কি ওজন বাড়ে
অনেকে জানতে চায় যে আলু খেলে কি ওজন বাড়ে? আসলে এটা নির্ভর করবে আপনার খাওয়ার উপরে কিভাবে আপনি খাবেন তার ওপর নির্ভর করবে। ওজন বাড়ার বিষয় চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি বেশি পরিমাণে ভাজা জাতীয় খাবারগুলো খান যেমন এর চিপস, ভেজে খাওয়া যা আপনার ক্যালরির বৃদ্ধি পাবে। যার কারণে ওজন বেড়ে যাবে আবার যদি মাখন বা পনির দিয়ে রান্না করেন সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত ক্যালরি বৃদ্ধি পাবে এবং ওজন বেড়ে যেতে পারে।
এর মধ্যে বেশি পরিমাণ ক্যালোরি রয়েছে যার কারণে আপনি যদি এটা অতিরিক্ত খান সে ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। কেননা প্রতিদিন আপনি সর্বোচ্চ ২০ গ্রামের মতো ক্যালোরি খেতে পারেন কিন্তু এর মধ্যে ৮৫ ক্যালোরি থাকে যা আপনি অতিরিক্ত খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরের ক্ষতি হবে।
তাই পুষ্টবিদরা বলে থাকে যে আপনি যদি এর তরকারি এবং অন্যান্য তরকারির সাথে মিশিয়ে রান্না করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এক্ষেত্রে আপনি সিদ্ধ করে খেতে পারেন এতে আপনার চর্বি কম থাকবে পেট ভরা মনে হবে। যার কারণে ওজন কমতে পারে, তাই প্রতিদিন পরিমাণ মতো খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে না। এতে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
আলু খেলে কি উপকার হয়
আমরা প্রায় সবাই আলু খেতে পছন্দ করি তাই আলু খেলে কি উপকার হয়? সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। কেননা এটা আমাদের শরীরে কতটুকু উপকার করে। সেটা জানলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
এর মধ্যে ফাইবার, জিংক, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, তাছাড়া আরো গুনাগুন রয়েছে। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবে। কেননা পুষ্টিবিদরা বলেছেন শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকলে সেটা দূর করার জন্য এই সবজি খাওয়া যেতে পারে। যেকোনো বয়সের মানুষ এই সবজিটি খেতে পারেন। কেননা এটা আমাদের সুস্থতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। চলুন, এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়ঃ আমাদের অনেকের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের রোগ থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আপনি নিয়মিত এই সবজি খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারবে।
পেটের সমস্যা দূর করেঃ বিভিন্ন ধরনের তৈলাক্ত খাবারের কারণে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই ধরনের তৈলাক্ত খাবারের পরিবর্তে আপনি এই সবজি খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে ভিটামিন বি৩ থাকে যা আপনার পেটের এসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করবে এবং হজমের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করবে। তবে এর তরকারি খাবেন এতে আপনার পেটের সমস্যা দূর হবে কিন্তু এর ভাজি বা এই জাতীয় কোন খাবার খাবেন না।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত এই সবজি খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা আপনার পেট ভরা মনে হবে এজন্য অন্য কোন বাজে খাবারের প্রতি আকর্ষণ থাকবে না। এর কারণে আপনার অতিরিক্ত ওজন হওয়ার সমস্যা থাকবে না। তাই ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়মিত এটা খেতে পারেন।
হাড়কে সুস্থ রাখেঃ অনেক বৃদ্ধ মানুষের সাধারণত হাঁটু ব্যথা, কোমর ব্যথা, এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের জয়েন্টে ব্যথা হয়ে থাকে। মূলত এগুলো হাড়ের সমস্যার কারণেই হয়ে থাকে, তাই হাড়কে ভালো রাখার জন্য আপনি এই সবজি খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা আপনার হাড়কে ভালো রাখে এবং আপনার এই ধরনের ব্যথাগুলো দূর করতে সাহায্য করবে।
ফাইবার থাকেঃ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যার কারণে আপনার পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করবে। বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা যাদের রয়েছে তারা নিয়মিতভাবে খেতে পারেন। এর খোসার মধ্যেও ফাইবার রয়েছে তাই খোসা সহ রান্না করার চেষ্টা করবেন এতে আপনার উপকার পাবেন।
প্রদাহ কমাতে সাহায্য করেঃ এর মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান আছে তা আমাদের শরীরের যেকোনো প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে বাত ব্যথা শরীরের বিভিন্ন যন্ত্রণা ও পেশিতে ব্যথা এক্ষেত্রে আপনি এই সবজি খেতে পারেন। তাছাড়া এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আপনার সর্দি-কাশি দূর করার জন্য খেতে পারেন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ যারা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন, তারা আলু খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা আপনার শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। তাই নিয়মিত এটা খেতে পারেন।
খারাপ কোলেস্টেরল দূর করেঃ এর মধ্যে ভিটামিন বি৬ ও ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম ইত্যাদি থাকে। যা আপনার শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল গুলো দূর করতে সাহায্য করবে, যার কারণে আপনার হৃদ রোগের সম্ভাবনা কম থাকবে।
কিডনিতে পাথর বন্ধ করেঃ যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ পাথরের সমস্যা দেখা যাচ্ছে বা পাথর হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তারা সাধারণত বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে কিন্তু এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এই পাথর ঠেকাতে সাহায্য করে থাকে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ যাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ বা উজ্জ্বলতা হারিয়ে গেছে তারা এর পেস্ট তৈরি করে নিয়মিতভাবে ত্বকে লাগাতে পারেন। বিশেষ করে মধু দিয়ে যদি এর রস মিশিয়ে আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন, তাহলে দেখবেন উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন। কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ফসফরাস থাকে যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।
ত্বকের ব্রণ সারাতেঃ আপনার ত্বকে যদি ব্রণ হয়ে থাকে বা বিভিন্ন দাগ পড়ে যায় সে ক্ষেত্রে এর ব্যবহার করতে পারেন। এক চামচ এর মধ্যে টমেটোর রস এবং হাফ চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে এরপর আপনার মুখে লাগিয়ে দিবেন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করবেন এরপর ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা সুন্দর দেখাবে এবং ব্রণের দাগ গুলো দূর হয়ে যাবে।
মানসিক চাপ কমায়ঃ যারা প্রচুর পরিমাণে মানসিক চাপে থাকেন তারা নিয়মিতভাবে এই সবজি খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন৬ আছে যা আপনার শরীর স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মনের দিক দিয়েও ভালো কাজ করবে। কেননা এটা সেরেটোনিন ও ডোপামিন থাকে যা আপনার মানসিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে এবং মন মানসিকতা ভালো লাগবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ জানলে অবাক হবেন যে এটা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। কেননা এর মধ্যে ফোলেট থাকে যা আপনার শরীরের ডিএনএ তৈরি করতে সাহায্য করবে। এর কারনে যে কোষগুলো ক্যান্সারের জন্য দায়ী করা হয় সেগুলো নষ্ট করে দিবে। তাছাড়াও এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আপনার কোলন ক্যান্সার থেকে সাহায্য করতে সাহায্য করবে।
দাঁতের সমস্যা দূর করেঃ যাদের দাঁতের মাড়ির সমস্যা রয়েছে অথবা দাঁতের ব্যথা রয়েছে তারা এই সবজি খেতে পারেন। এর মধ্যে ভিটামিন সি থাকে যা আপনার দাঁত কে পরিষ্কার করবে এবং এর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্ক ভালো রাখেঃ মস্তিষ্ক ভালো রাখার জন্য আপনি এটা খেতে পারেন, বিশেষ করে গর্ভবতীরা তাদের সন্তানের মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটার জন্য খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে কার্বোহাইডেট,পটাশিয়াম আছে। যা আপনার মস্তিষ্ক ভালো লাগবে। এর মধ্যে ভিটামিন-এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারবে।
ভালো ঘুম হয়ঃ যাদের রাত্রিবেলায়, ঘুম কম হয় তারা নিয়মিতভাবে এটা খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম থাকে যা আপনার শরীরের এ ধরনের সমস্যা গুলো দূর করতে সাহায্য করবে। যার কারণে আপনার স্নায়ু শান্ত থাকবে এবং রাত্রিতে ভালো ঘুম হবে।
আলু খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে
যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা প্রশ্ন করে থাকে যে আলু খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? এটা মূলত কতটুকু খাবেন তা নির্ভর করবে আপনার সুগার বৃদ্ধি পাবে কিনা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি অতিরিক্ত খান সে ক্ষেত্রে রক্তের সুগার বৃদ্ধি পাবে, তবে পরিমাণ মতো খেলে রক্তের শর্করা বৃদ্ধি পায় না কিন্তু ডায়াবেটিসও বৃদ্ধি পাবে না। তবে চিকিৎসকরা বলে থাকেন ২ থেকে ৩ পিস যদি খেতে পারেন এতে কোন সমস্যা হবে না।
আরো পড়ুনঃ পাট শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
ডায়াবেটিস রোগীরা সাধারণত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গুলো বেশি খেতে পারে না। এতে রক্তের সুগার বৃদ্ধি পায় এবং ইনসুলিন এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কেননা ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন কম থাকলে রক্তের সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এই সবজি খাওয়ার কারণে আপনার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বৃদ্ধি পায় যার কারণে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।
কিন্তু তাই ডায়াবেটিস রোগীরা যে খেতে পারবে না তা কিন্তু নয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছে যদি আপনি এটা রান্না করে অন্যান্য সবজির সাথে অল্প পরিমাণে খেতে পারেন, তাহলে ক্ষতি হবে না। এতে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পাবে না আবার যদি একটু বেশি খেয়ে ফেলেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই অতিরিক্ত ব্যায়াম করতে হবে, ব্যায়াম করার কারণে আপনার কার্বোহাইড্রেট কমে যাবে।
আলু সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন জানুন
আলুতে আয়রন আছে কি?
এর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন, ফলেট, রিবোফ্লাবিন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি আছে।
আলুতে কত প্রোটিন থাকে?
এর মধ্যে প্রোটিন খুবই কম থাকে মাত্র ২% আর বাকি অধিকাংশই শর্করা থাকে।
দিনে কয়টি আলু খাওয়া উচিত?
আপনার যদি বড় ধরনের কোন রোগ ব্যাধি না থাকে সে ক্ষেত্রে দিনে ২০ গ্রামের বেশি খাবেন না। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন আপনি রান্না করে খেতে পারেন।
আলু খেলে কি পেটের চর্বি কমে?
এর মধ্যে ফাইবার থাকে যার কারণে পরিমাণ মতো খেলে ওজন কমবে, আর যদি অতিরিক্ত খান তাহলে ওজন বৃদ্ধি পাবে।
আলু খেলে কি গ্যাস হয়?
আপনি যদি এর চিপস ভাজা, অতিরিক্ত তেল দিয়ে ভাজা যদি খেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই পেটের সমস্যা হবে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লেখকের মন্তব্যঃ আলু খেলে কি ক্ষতি হয় ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি নিয়মিত ভাবে আলু খেতে চান, সে ক্ষেত্রে পরিমাণ মতো খেতে হবে। আর যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন সে ক্ষেত্রে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে যা শরীরের জন্য ক্ষতি হবে। তাই আলু খেলে কি ক্ষতি হয়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে, পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url