বাংলাদেশ থেকে জর্ডান যেতে কত টাকা লাগে ও গার্মেন্টস ভিসা
অনেকে জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে জর্ডান যেতে কত টাকা লাগে? আসলে এটা নির্ভর করবে আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে। তাই আপনি কোন কাজের উপর যেতে চাচ্ছেন, সেটা আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। চলুন, কোন কাজের কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
জর্ডানে সাধারণত গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাজের চাহিদা বেশি, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে গার্মেন্টস শ্রমিক নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে তা জানা প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ থেকে জর্ডান যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে জর্ডান যেতে কত টাকা লাগে ও গার্মেন্টস ভিসা
বাংলাদেশ থেকে জর্ডান যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে অনেকে জর্ডানে যেতে চায় কিন্তু বাংলাদেশ থেকে জর্ডান যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে হয়তো জানেনা। মূলত বিভিন্ন কাজ রয়েছে তার ওপর নির্ভর করবে কত টাকা লাগবে চলুন জানা যাক।
আপনি যদি বৈধভাবে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসা করতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আপনি যে সকল ভিসা গুলো করতে পারবেন তা হল;
- কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে পারবেন
- স্টুডেন্ট ভিসা করা যাবে
- পরিবার সংযুক্তিকরণ ভিসা করতে পারবেন
- বিজনেস ভিসায় যেতে পারবেন
- টুরিস্ট ভিসায় যাওয়া যাবে।
আপনি যদি এ দেশে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে দুটি উপায় যেতে পারবেন তা হল; সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে এবং বেসরকারিভাবে যেতে পারবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সরকারি বোয়েসেলের মাধ্যমে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা খরচ ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মত লাগবে এবং আরো অন্যান্য খরচ মিলে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে।
বেসরকারিভাবে যদি আপনি যেতে চান সে ক্ষেত্রে ভিসা খরচ ৮০ হাজার ১ লক্ষ টাকার মত লাগবে। এছাড়া অন্যান্য খরচ রয়েছে সব খরচ মিলে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত লাগবে। এটা মূলত এজেন্সির উপর নির্ভর করবে, কম বেশি হতে পারে। তবে বেসরকারি উপায়ে যদি আপনি যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ধরে রাখতে হবে।
গার্মেন্টস ভিসা খরচঃ এ দেশটিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য প্রচুর চাহিদা রয়েছে। মূলত অর্থনৈতিকভাবে গার্মেন্টসের উপর নির্ভর করে। তাই বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞ সম্পন্ন গার্মেন্টস শ্রমিক নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি তারা ফ্রি ভাবে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে ভিসা খরচ সব মিলিয়ে সরকারিভাবে ১৮ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। তবে অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকার মত শুধু ভিসা খরচ আরো অনেক খরচ রয়েছে যেমন মেডিকেল খরচ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এছাড়াও বিমান ভাড়া ইত্যাদি মিলে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে।
এ দেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সাধারণত চাহিদা বেশি, তাদের ডিউটি প্রায় ৮ ঘণ্টার মতো। সপ্তাহে ৬ দিনের কাজ করা লাগে। ওভার টাইম সব মিলিয়ে অনেক টাকাই বেতন পাওয়া যাবে। অনেক কোম্পানিগুলো চুক্তি নিয়ে চুক্তিভিত্তিক কাজ করে থাকে। সে ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো থাকা খাওয়া চিকিৎসা, পরিবহন সকল কিছু ব্যবস্থা করে দেয়।
এছাড়াও চাকরিতে আপনার আসার জন্য তারা বিমান ভাড়া ও যাওয়ার ভাড়া দিয়ে দিবে। যখন আপনি চুক্তি হিসেবে কাজ করা শেষে ফিরে যাবেন তখন অবশ্যই তারা আপনাকে কিছু টাকা দিয়ে দিবে কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখবেন আপনার বিরুদ্ধে যদি কোন মামলা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি নিয়োগ পাবেন না।
গার্মেন্টস কর্মীদের যে পদে নেওয়া হয়ঃ আপনার যদি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি যে পদে চাকরি করতে পারবেন যেমন, মেশিন অপারেটর, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, কোয়ালিটি চেকার এই তিনটি পদে আপনি যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে খুব বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না।
শিক্ষাগত যোগ্যতা যে ক্ষেত্রে লাগে সেগুলো হলো সুপারভাইজার, লাইন ম্যানেজার, মেকানিক, প্রোডাকশন সুপারভাইজার, ইঞ্জিনিয়ারসহ আরো ইত্যাদি। এ সকল পদে আপনার এসএসসি পাস সর্বনিম্ন থেকে স্নাতকের দরকার লাগবে। তবে অবশ্যই কাজের ক্ষেত্রে আপনার অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে।
এ দেশটিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাজের অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে, তারা বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে গার্মেন্টস শ্রমিক নিয়ে থাকে। কেননা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের চাহিদা অনেক রয়েছে, কেননা তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তাদেরকে বিভিন্ন কোম্পানির তাদের থাকা খাওয়া এবং সকল কিছু বহন করে থাকে।
বিশেষ করে তাদের যাতায়াত খরচ, থাকা খাওয়া, চিকিৎসা ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে এটা নির্ভর করবে বিভিন্ন কোম্পানির উপরে, কিছু কোম্পানি তাদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে গার্মেন্টস শ্রমিক হিসাবে এই দেশটিতে পুরুষ নিচ্ছে যদিও আগে শুধু মহিলা নিত। মহিলাদের কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং ধৈর্য থাকে যার কারণে তাদেরকে নেওয়া হয়।
এই দেশটিতে গার্মেন্টস ভিসার ক্ষেত্রে সতর্কতা রয়েছে, তবে অনেকেই লোভের কারণে দালালের খপ্পরে পড়ে অনেক টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন সরকারিভাবে যাওয়ার জন্য বা সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে গার্মেন্টস ভিসা নিয়ে যাবেন তাহলে প্রতারিত হবেন না।
চেষ্টা করবেন আপনার যদি কোন পরিচিত লোক থাকে তাদের মাধ্যমে যেতে, তাহলে সবচেয়ে ভালো হয় কারণ আত্মীয়-স্বজন বা খুবই কাছের মানুষগুলো কখনো প্রতারণা করবে না।
অনেকে আবার অবৈধ পথে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করে থাকে কিন্তু এটা খুবই বিপদজনক। যদি আপনি অবৈধ পথে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন এবং শাস্তি হিসেবে আপনার জেল হতে পারে। এরপর আপনাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই অনেকগুলো টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সুতরাং সতর্কতা অবলম্বন করবেন অবৈধ এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচঃ আপনি যেকোনো কাজ করার জন্য যদি ভিসা করতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি এই দেশে যখন যাবেন সেক্ষেত্রে এই ভিসা অনেক মূল্য রয়েছে। তবে বর্তমানে এই ভিসা একটু কমিয়ে নিয়ে আসছে পূর্বে এই ভিসা ছিল ৬০০ ডলার। বর্তমানে ৫৬৪ ডলারের মত খরচ হয়ে থাকে, তবে এই ভিসা করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে চলুন, জানা যাক।
- ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট থাকা লাগবে
- রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে
- মেডিকেল সার্টিফিকেটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে
- জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ যেখানে লাগে দিতে হবে
- যে কোম্পানির আন্ডারে চাকরি পাবেন তার নিয়োগ অফার লাগবে।
- স্টুডেন্ট ভিসায় যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ভর্তি অফার লেটার লাগবে, টিউশন ফি রশিদ লাগবে, আর্থিক সহায়তা প্রমাণস্বরূপ প্রমান পত্র লাগবে।
- ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স লাগবে।
টুরিস্ট ভিসা খরচঃ এ দেশটি অত্যন্ত প্রাকৃতিক মনমুগ্ধকর দেশ যা খুবই উপভোগ করার মত। তাই আপনি যদি এই ভিসায় যেতে চান সেই ক্ষেত্রে যেতে পারেন। এতে আপনার খরচ হতে পারে ৬০ থেকে ৭০ ডলারের মত। এছাড়া বিমান ভাড়া ও আনুষঙ্গিক খরচ রয়েছে তাই আপনি যদি ভ্রমণ করতে চান সেই ক্ষেত্রে খুবই কম খরচে এই দেশটিকে গ্রহণ করতে পারবেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি ৩ মাসের বেশি থাকতে পারবেন না।
জর্ডানের গার্মেন্টস ভিসা
এ দেশটিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের অনেক চাহিদা রয়েছে, তাই জর্ডানের গার্মেন্টস ভিসা সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার সুবিধা হবে। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
যেহেতু বর্তমানে এই দেশটি শিল্প কল কারখানার জন্য বিখ্যাত, বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে সবচেয়ে উন্নত করেছে এবং তাদের পোশাকগুলো রপ্তানি করে থাকে। সেক্ষেত্রে তাদের প্রচুর দক্ষ কর্মী প্রয়োজন হয়।
তাই বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছরে হাজার হাজার মানুষ গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে কাজের সুযোগ পেয়ে থাকে। উপরে এই বিষয়ে কত টাকা লাগতে পারে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আলোচনা করব এ বিষয়ে ভিসা করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র সম্পর্কে, চলুন জানা যাক।
অবশ্য আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে, তার মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস এর বেশি হওয়া যাবে না।
আবেদন ফরম ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করবেন এবং সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে, সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
সাম্প্রতিক তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রদান করা লাগবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে সকল সনদের প্রয়োজন হবে।
কাজের অভিজ্ঞতা যদি থাকে সেক্ষেত্রে পূর্বে যে গার্মেন্টসের চাকরি করেছেন তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা সম্পন্ন প্রমাণ করার জন্য সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
আপনি যে কোম্পানির মাধ্যমে যাচ্ছেন সেই নিয়োগ চুক্তিভিত্তিক যদি হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে কোম্পানির অফার লেটার লাগবে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের দ্বারা মেডিকেল সার্টিফিকেট নিতে হবে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ সম্পন্ন ব্যক্তিকে যাওয়ার অনুমতি দেবে।
আপনি যদি ভ্রমণ করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বৈধ ভ্রমণ ভিসা লাগবে এবং সেগুলো প্রমাণপত্র প্রদান করা লাগবে।
অবশ্যই আবেদন এবং প্রসেসিং ফি দিতে হবে।
এরপরে তারা সকল কিছু বিবেচনা করে আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হবে। ইন্টারভিউ এর সময় এবং কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সকল সম্পর্কে নিয়োগকর্তা প্রশ্ন করবেন। উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারলে আপনি সেখান থেকে পাশ করতে পারবেন।
তারপরে আপনার সকল কিছু যাচাই-বাছা করে দূতাবাস থেকে আপনাকে ভিসা প্রদান করবে এতে আপনি যাওয়ার অনুমতি পাবেন।
জর্ডান কোন কাজের চাহিদা বেশি
এই দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে, তাই জর্ডান কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে, সেই কাজের উপর অভিজ্ঞতা নিয়ে গেলে অনেক টাকায় বেতন পাবেন। চলুন জানা যাক।
- আইটি সেক্টর বা প্রযুক্তি বিষয়ে কাজের চাহিদা রয়েছে
- স্বাস্থ্য সেবা এ বিষয়ে যেমন; ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজের চাহিদা রয়েছে।
- অনলাইন এর ক্ষেত্রে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের জন্য অনেক চাহিদা রয়েছে।
- এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশ্লেষক এর চাহিদা রয়েছে।
- দ্বিভাষিক হিসাবে দক্ষতা থাকলে এ বিষয়ে অনেক চাহিদা রয়েছে
- এছাড়াও গার্মেন্টস শ্রমিকদের সবচাইতে বেশি চাহিদা রয়েছে
- বিভিন্ন শিল্প কল কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করা যাবে।
জর্ডান বেতন কত
অনেকে জানতে চায় যে জর্ডান বেতন কত? আসলে এটা নির্ভর করবে আপনি কোন কাজের উপর ভিসা করেছেন। বিভিন্ন কাজের বিভিন্ন রকমের বেতন হয়ে থাকে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
সর্বনিম্ন মাসিক বেতন সকল কাজের ক্ষেত্রে গড়ে ২৯ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩৪ হাজার টাকার মত বেতন হয়ে থাকে। থাকা খাওয়া ফ্রি দিয়ে থাকে, এছাড়াও বসবাসের জন্য পরিবহন খরচ কোম্পানি দিয়ে থাকে। তাই সে হিসেবে যে টাকা আপনি বেতন পাবেন এদিক বিবেচনা করলে আপনার বেতন অনেক টাকাই মনে হবে।
যেহেতু এই দেশটিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সবচেয়ে গুরুত্ব বেশি দিয়ে থাকে এবং অর্থনৈতিকভাবে গার্মেন্টসের উপর নির্ভরশীল। সেক্ষেত্রে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বেশি হয়ে থাকে ৪৫ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকার মতো বেতন হয়ে থাকে। তবে এটা কাজের ধরন দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা উপরে নির্ভর করবে, সে ক্ষেত্রে থাকা খাওয়া পরিবহন চিকিৎসা ইত্যাদি তারা বহন করে থাকে।
জর্ডানে কাজের ভিসা পেতে কতদিন লাগে
আপনি যদি ভিসা আবেদন করেন সেই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে আপনি পেয়ে যাবেন। তাই জর্ডানে কাজের ভিসা পেতে কতদিন লাগে? এক্ষেত্রে কতটুকু সময় লাগতে পারে, সেটা জানা প্রয়োজন।
চাকরির প্রস্তাব থেকে শুরু করে নিয়োগ কর্তা আপনাকে ইন্টারভিউ নেবে এবং শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে আপনাকে একটি আবেদন পত্র তৈরি করতে বলবে। এছাড়াও আপনার কোম্পানির উপর নির্ভর করে শ্রম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। তাই আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রায় ২ থেকে ৬ সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে জর্ডান বিমান ভাড়া কত
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন বিমানের মাধ্যমে যাওয়া যায়, তাই বাংলাদেশ থেকে জর্ডান বিমান ভাড়া কত? বিভিন্ন বিমানের উপর নির্ভর করবে কত টাকা লাগবে। চলুন, বিভিন্ন বিমানের ভাড়া সম্পর্কে জানা যাক।
আপনি যদি কাতার এয়ারওয়েজ ইকোনমিক ক্লাস বিমান এর খরচ হবে ৬৫ হাজার থেকে ৯৫ হাজার টাকার মত এবং বিজনেস ক্লাসের খরচ হবে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।
তুর্কি এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যদি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ইকোনমিক ক্লাস ভাড়া হবে ৬০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকার মতো এবং বিজনেস ক্লাসের ভাড়া হবে ১ লক্ষ ৪০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মতো।
এমিরেটস বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার ইকোনমিক ক্লাসের ভাড়া হবে ৭০ থেকে ৯৫ হাজার টাকার মত এবং বিজনেস ক্লাসের ভাড়া হবে ১ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মতো।
ফ্লাই দুবাই এর মাধ্যমে যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ইকোনমিক ক্লাসের ভাড়া হবে ৫৫ থেকে ৭৫ হাজার টাকার মতো এবং বিজনেস ক্লাসের ভাড়া হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকার মত।
জর্ডানের যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন
বাংলাদেশ থেকে জর্ডান কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে এ দেশটিতে যেতে প্রায় ৫৩৫৫ কিলোমিটার।
জর্ডানের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?
এ দেশটির ১ টাকা সমান বাংলাদেশের প্রায় ১৭২.২৫ টাকার সমান হয়ে থাকে।
জর্ডানের নারী শ্রমিক কি যেতে পারেন?
হ্যাঁ, অবশ্যই যেতে পারবে। কেননা সরকারি বোয়েসেলের মাধ্যমে প্রতিবছর নারী গার্মেন্টস শ্রমিক এবং গৃহকর্মী হিসেবে বেশি নিয়ে থাকে, তাই যাওয়া যেতে পারে।
ভিসা বাতিল হলে কি টাকা ফেরত পাওয়া যায়?
আপনি যদি সরকারী মাধ্যমে ভিসা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে টাকা ফেরত পাবেন। তবে এজেন্সির মাধ্যমে যদি ভিসা করে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার সাথে চুক্তি থাকলে দিতে পারে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও কি যাওয়া যায়?
কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে শিক্ষকতা যোগ্যতার তেমন প্রয়োজন নেই, তবে সে ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকা খুবই প্রয়োজন।
উপসংহারঃ বাংলাদেশ থেকে জর্ডান যেতে কত টাকা লাগে ও গার্মেন্টস ভিসা
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি জর্ডানে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতা লাগবে। তবে বাংলাদেশ থেকে জর্ডানে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেশি বেতন দিয়ে থাকে। বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের টাকা লাগতে পারে। তাই বাংলাদেশ থেকে জর্ডান যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url