ইলিশ মাছ খেলে কি এলার্জি হয় ও গর্ভবতী খেতে পারবে কিনা
প্রায় সবারই ইলিশ মাছ খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ থাকে, তবে ইলিশ মাছ খেলে কি এলার্জি হয়? এ সম্পর্কে অনেকে হয়তো জানেন না। তাই এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, ইলিশ মাছ খাওয়ার কারণে এলার্জি হয় কিনা এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি এলার্জির সমস্যায় ভুগতে থাকেন, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা ইলিশ মাছ খাইতে নিষেধ করে।এটা পুরোপুরি সত্য নয়, যদি আপনার বেশি সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে খাবেন না। তাই ইলিশ মাছ খেলে কি এলার্জি হয়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃইলিশ মাছ খেলে কি এলার্জি হয় ও গর্ভবতী খেতে পারবে কিনা
ইলিশ মাছ খেলে কি এলার্জি হয়
অনেকে বিভিন্ন কারণে ইলিশ মাছ খায় না, তার মধ্যে অন্যতম হলো এলার্জি সমস্যা। তাই ইলিশ মাছ খেলে কি এলার্জি হয়? তবে পরিমাণ মতো খেলে ক্ষতি হবে কিনা, সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অনেকের শরীরে যদি আগে থেকে এলার্জির সমস্যা থাকে, শরীর চুলকায়, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চাকা চাকা হয়ে যায়, অনেকের র্যাশ উঠে, লাল হয়ে যায়, চুলকানি প্রচুর পরিমাণে হওয়ার কারণে আক্রান্ত হয়ে যায়। তারা অনেক চিন্তায় পড়ে যান যে এই মাছ খাওয়া যাবে কিনা? এই মাছটি খাওয়ার কারণে আপনার এলার্জির সমস্যা হবে কিনা সেটা অনেকেই বুঝতে পারে না। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের কারণে চুলকানি হতে পারে।
তাছাড়া ধুলাবালি, বিভিন্ন কেমিক্যাল, কসমেটিক ইত্যাদির কারণেও আপনার অ্যালার্জি হতে পারে। তাই আপনাকে আগে জানতে হবে কী কারণে আপনার এলার্জি হয়েছে, সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে।
তবে আপনার যদি এলার্জি থাকে তাহলে এই মাছটি খেতে পারবেন কিনা সেটা আগে জানতে হবে। এজন্য চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে খেতে হবে। দেখা যায় যে এ ধরনের সমস্যার জন্য চিকিৎসকরা সাধারণত রাত্রিতে খাওয়ার জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ দিয়ে থাকে।
তবে আপনার শিশুর যদি এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। যদি আপনার শিশুকে এই মাছটি খাওয়ানোর পরে বেশি এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুতগতিতে এলার্জির চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দেখা যায় আপনি নিজেই যদি অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ খাওয়ান সে ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই আপনাকে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
শুধুমাত্র এই মাছটি খাওয়ার কারণেই যে এলার্জির সমস্যা হবে তা কিন্তু নয়, আরো অন্যান্য মাছের কারনেও হতে পারে। যেমন চিংড়ি মাছ, তাছাড়া সবজির মধ্যে বেগুন, এছাড়া গরুর মাংস ইত্যাদি খাওয়ার কারণে হতে পারে। এছাড়া অনেকের আবার কাপড় থেকেও আপনার এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য আপনাকে চেষ্টা করতে হবে কি কারনে এলার্জি হচ্ছে, সেই কারণটা নির্ধারণ করে সেটা পরিহার করতে হবে।
আপনার যদি এই মাছ খাওয়ার কারণে এলার্জির সমস্যা হয় অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আপনার জন্য ওষুধ নির্ধারণ করে দেবে। এছাড়াও আপনার অন্য খাবারের কারণেও এলার্জি হতে পারে যেমন প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার কারণে, ফাস্ট ফুড জাতীয় তেলে ভাজা অথবা অনেকের সফট ড্রিঙ্কস খেলেও কিন্তু এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দেয়, সেই ক্ষেত্রে এই খাবার গুলো বর্জন করতে হবে।
কারো কারো ক্ষেত্রে এই মাছটি খাওয়ার কারণে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে, সে ক্ষেত্রে যদি মাছ খাওয়ার পরে আপনার এলার্জি বা চুলকানি শুরু হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে এই মাছটি না খাওয়াই ভালো। তবে পরিমাণ মতো খেলে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না, আর সমস্যা হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসক যে ওষুধ লেখবেন সেই অনুযায়ী খেতে পারবেন।
প্রতিদিন যদি এই মাছটি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য মাঝে মাঝে আপনি খেতে পারেন। যদি আপনার এলার্জির সমস্যা তেমন একটা নেই সেই ক্ষেত্রে খাওয়া যেতে পারে।
অনেকের দেখা যাচ্ছে যে এই মাছটি খাওয়ার কারণে অল্প পরিমাণ খেলে এলার্জি হয় আবার অনেকের বেশি পরিমাণে খেলে এলার্জির সমস্যা দেখা যায়, সে ক্ষেত্রে যদি আপনার অল্প পরিমাণ খাওয়ার কারণে এলার্জি হয়, তাহলে আপনার না খাওয়াই ভালো। আর যদি বেশি পরিমাণে খেলে এলার্জি হয় সে ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে খাবেন।
আপনার যদি এলার্জির সমস্যা হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে কিন্তু শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে, এজন্য অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিলে আপনি এই মাছটি এড়িয়ে চলবেন। কেননা এই মাছের মাঝে হিস্টামিন থাকে এছাড়াও অ্যামাইনো এসিড থাকার কারণে শরীরের চুলকানি হতে পারে।
এছাড়াও গায়ে গোটা উঠতে পারে, নাক দিয়ে পানি ঝরতে পারে, জ্বালাপোড়া করতে পারে, গা ফুলে যেতে পারে, হাচি হতে পারে। এছাড়াও পেটে ব্যথা করতে পারে, তাই এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে
অনেকে জানতে চায় যে ইলিশ মাছে কি কোলেস্টেরল আছে? আসলে অতিরিক্ত যদি এই মাছটি খান তাহলে আপনার এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলুন, বিস্তারিত জানা যাক।
এই মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছগুলোতে, তাই এই মাছ খাওয়ার কারণে আপনার পেশী শক্তি গঠন করবে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তবে এই ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদরা বলেছেন যে এই মাছটিতে প্রোটিনের পরিমাণ ২১ গ্রামের মতো থাকে। তাই নিয়মিত ভাবে এই মাছটি যদি কেউ খেতে পারে তাহলে তার প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হবে। তবে এর চেয়ে অতিরিক্ত খেলে আপনার শরীরের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই মাছে ওমেগা থ্রি থাকে যা আপনার শরীরের হার্টকে সুস্থ রাখবে। এছাড়াও ব্রেনশক্তি ভালো রাখবে আপনার দাঁতকে মজবুত রাখে, ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি-১২ থাকে যা আপনার মুখের ঘা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের উপকার করবে।
এই মাছের মধ্যে আয়রন, সেলিনিয়াম, ক্যালসিয়াম থাকে যা গর্ভবতী নারীদের অনেক উপকার হবে। তাই সুস্থ যদি থাকতে চান সে ক্ষেত্রে পরিমাণ মতো এই মাছটি খেতে পারেন। এর মাঝে যে প্রোটিন আছে তা আপনার কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ রাখবে, তবে যাদের উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল রয়েছে তারা এই মাছটি না খাওয়া ভালো হবে। আবার যদি আপনার হাই ব্লাড প্রেসার থাকে সেই ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে খেতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ইলিশ মাছ খেলে কি হয়
অনেক গর্ভবতী নারীরা ইলিশ মাছ পছন্দ করে থাকে, তাই গর্ভাবস্থায় ইলিশ মাছ খেলে কি হয়? এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে। চলুন, ইলিশ মাছ খাওয়ার উপকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পুষ্টিগুণঃ এই মাছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে, বিশেষ করে এর মধ্যে প্রোটিন থাকে। পাশাপাশি ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি-১২, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে। যা গর্ভবতীদের জন্য খুবই প্রয়োজন। চলুন, গর্ভবতীদের ইলিশ মাছ খেলে কি উপকার হয়।
হার্টকে ভালো রাখেঃ গর্ভবতী মায়েদের হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য এবং গর্ভস্থ শিশুর হার্টকে ভালো রাখার ক্ষেত্রে এই মাছ খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে যা রক্তের কোলেস্টেরল কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে। এছাড়াও এই মাছের মধ্যে চর্বি কম থাকার কারণে হার্টকে ভালো রাখতে পারে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করেঃ গর্ভবতী মায়েদের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট খাওয়া হয়ে থাকে। বিশেষ করে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া প্রয়োজন, তবে আপনার এক্ষেত্রে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করার জন্য ইলিশ মাছ খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি থাকে যা আপনার রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করবে।
ত্বকের যত্নেঃ গর্ভবতী নারীদের সাধারণত ত্বকে ব্রণ উঠে, মেছতা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, এ ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য এই মাছ খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কোলাজেন থাকার কারণে ত্বককে নমনীয়তা করতে সাহায্য করে।
চোখ ভালো রাখতেঃ গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত গর্ভস্থ শিশুর চোখের যেন সমস্যা না হয় সেজন্য ভিটামিন-এ জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া প্রয়োজন। এজন্য আপনি এই মাছ খেতে পারেন, কেননা এর মাঝে ভিটামিন-এ রয়েছে। এছাড়া পাশাপাশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার শিশু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পাবে।
খনিজ উপাদানে ভরপুরঃ গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের পাশাপাশি খনিজ পদার্থের প্রয়োজন হয়, এই চাহিদা মিটানোর জন্য আপনি এই মাছ খেতে পারেন। কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন, সেলিনিয়াম, জিংক, ফসফরাস ইত্যাদি থাকে, এতে আপনার থাইরয়েড এর ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
এই সময় গর্ভবতী নারীদের সাধারণত হরমোনের পরিবর্তন হয়ে থাকে, তাই এই মাছ খাওয়া যেতে পারে, এর মধ্যে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম থাকে যা আপনার গর্ভস্থ শিশুর দাঁত কে মজবুত শক্তিশালী করবে এবং শক্ত করবে। এছাড়াও আপনার শিশুর শরীর বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে উপকার করে থাকে।
ভিটামিনের উৎসঃ গর্ভবতী নারীদের এই সময় প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে এই মাছ খাবেন। কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, বি, ই, ডি থাকে যা শিশুর রিকেট রোগ থেকে মুক্তি পাবে।
অবসাদ দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত শরীরে অলসতা লাগে এবং অবসাদ মনে হয়, এজন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকেন। এই ধরনের ডিপ্রেশন দূর করার জন্য এবং অবসাদ দূর করার জন্য ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের প্রয়োজন হয়। তাই আপনি এই মাছ খেতে পারেন, কেননা এর মাঝে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়।
বাত ব্যথা দূর করেঃ গর্ভবতী মায়েদের সাধারণ বিভিন্ন জায়গায় অথবা জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা করে থাকে, এই ধরনের ব্যথা দূর করার জন্য আপনি সামুদ্রিক মাছগুলো খেতে পারেন। বিশেষ করে এই মাছ খাওয়া যেতে পারে। এতে আপনার হাঁটু এবং হাত ব্যথা বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিঃ গর্ভস্থ শিশুর মানসিক উন্নতি এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার জন্য আপনি এই মাছ খেতে পারেন। কেননা এতে ভিটামিন ডি রয়েছে যা তা শিশুর মস্তিষ্কের গঠন করতে সাহায্য করবে। এছাড়া আপনার শিশুর স্মৃতিশক্তি ভালো হবে এবং মেধা শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
জিংক পাওয়া যায়ঃ এ মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তাই গর্ভবতী মায়েদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই মাছ খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া এই মাছের মাঝে প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম থাকার কারণে শরীরে খারাপ ব্যাক্টারিয়া গুলো দূর করতে সাহায্য করে এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
সর্দি-কাশিঃ গর্ভবতী নারীদের সাধারণত অল্পতেই ঠান্ডা লেগে থাকে তাই এ ধরনের ঠান্ডা লাগলে দেখা যায় বাচ্চার শ্বাসকষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এজন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়াও এ ধরনের ঠান্ডার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এই মাছ খাওয়া যেতে পারে।
পেশি শক্তি উন্নতিঃ গর্ভবতী নারীদের গর্ভস্থ শিশুর পেশি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এই মাছ খেতে পারেন, কেননা এর মধ্যে যে অ্যামাইনো এসিড থাকে তা আপনার গর্ভস্থ শিশুর পেশি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য উপকার করবে।
ডায়াবেটিসে কি ইলিশ খাওয়া যাবে
আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিসে কি ইলিশ খাওয়া যাবে? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার উপকার হবে। চলুন, ডায়াবেটিস রোগীদের ইলিশ মাছ খাওয়া যাবে কিনা জেনে নেওয়া যাক।
এই মাছটি যদি আপনি খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। তবে যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন সেই ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে আপনার আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে, কিডনি বা চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সব ধরনের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আপনার এই মাছটি খাওয়া যাবে না, যাদের রক্তের লেভেল ৬.৫ এর উপরে থাকে তারা খাবেন না। তবে এর নিচে যদি থাকে তাহলে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম করে এই মাছটি খেতে পারেন।
তাছাড়া যদি আপনি মাছটি নিয়মিত ভাবে খান সেক্ষেত্রে আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে, হাঁচি কাশি, পেট ব্যথা, অনেকের গায়ে জ্বালাপোড়া করে, অনেকের ফোঁড়া উঠতে পারে। কেননা এ সকল সামুদ্রিক মাছগুলোতে যে উপাদান থাকে তা আপনার এই ধরনের সমস্যা শুরু হতে পারে। তাই এই মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা থাকতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে খেতে হবে।
ইলিশ মাছ সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন জানুন
ইলিশ মাছ কাদের খাওয়া উচিত নয়?
যে সকল রোগীর কোলেস্টেরল বেশি তারা এই মাছটি না খাওয়াই ভালো। তাছাড়া যাদের ডায়াবেটিস হাই প্রেসার এই ধরনের সমস্যাগুলো রয়েছে তারা খুবই অল্প পরিমাণে খেতে পারবেন।
ইলিশ মাছ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া?
যাদের অ্যাজমা ও এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এই মাছটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা এতে আপনার হাঁচি কাশি বেশি হবে, নাক দিয়ে পানি পড়তে পারে, পেটে জ্বালাপোড়া করতে পারে। এছাড়াও এলার্জির কারণে প্রচুর পরিমাণে শরীরে চুলকাতে পারে।
ইলিশ মাছ খেলে কি প্রেসার বাড়ে?
এই মাছটির মধ্যে যে চর্বি থাকে তা অন্যান্য মাছের তুলনায় খুবই কম রয়েছে। তাছাড়া এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি থাকে যার কারণে আপনার রক্ত চলাচল দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের ক্ষেত্রে পরিমাণমতো খেলে তেমন অসুবিধা হবে না।
ইলিশ মাছ খেলে কি ঠান্ডা লাগে?
এই মাছটির মধ্যে ওমেগা থ্রি থাকার কারণে আপনার যদি সাধারণ ঠান্ডা সর্দি কাশি লেগে থাকে, সেক্ষেত্রে উপকার করবে। তাই এই মাছটা খাওয়ার কারণে ঠান্ডা লাগে না বরং ঠান্ডা কে প্রতিরোধ করতে পারে।
শেষ কথাঃ ইলিশ মাছ খেলে কি এলার্জি হয় ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি ইলিশ মাছ খেতে চান, সে ক্ষেত্রে পরিমাণ মতো খেতে হবে। যদি বড় ধরনের কোন রোগ ব্যাধি থাকে, পরিমাণ মত খেতে হবে। বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে খাবেন। তাই ইলিশ মাছ খেলে কি এলার্জি হয়? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url