ওজন কমাতে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে জানুন
অনেকেই ওজন কমানোর জন্য চিন্তিত রয়েছেন। তাই তারা ওজন কমাতে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে। চলুন, কিভাবে চিড়া খেলে আপনার ওজন কমাতে পারবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
চিড়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকার, কেননা এর মাঝে ফাইবার থাকে। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমাতে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃওজন কমাতে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে জানুন
ওজন কমাতে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা
অনেকেই মুড়ি খেতে পছন্দ করে কিন্তু ওজন কমানোর জন্য চিড়া খেতে পারেন। এতে অনেক উপকার আছে। তাই ওজন কমাতে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে খেতে হবে। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানেন নেওয়া যাক।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ মুড়ি অথবা চিড়া পছন্দ করে থাকে। বিশেষ করে সকালে বা বিকাল বেলা নাস্তার পরিবর্তে চিড়া খেতে পারেন, এতে উপকার আছে। কেননা এর মধ্যে যে ক্যালোরি থাকে তা আপনার শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে কিন্তু ক্ষতি করবে না এবং শরীরের চর্বি ও জমতে দেবে না।
তাই আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান সে ক্ষেত্রে চিড়া খেতে পারেন, কেননা এর মধ্যে সোডিয়াম কম থাকে যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। তাই নিয়মিত ভাবে চিড়া খেতে পারেন, তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
আপনি সকাল বেলার নাস্তা খেতে পারেন তবে অবশ্যই মিষ্টি দিয়ে নয়। মিষ্টি জাতীয় ফল দিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার বিশেষ করে ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে। কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। কেননা ৭০% কার্বোহাইড্রেট থাকে এবং ৩০% চর্বি থাকে কিন্তু এই কার্বোহাইড্রেট আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে না কিন্তু যদি আপনি সকালবেলা ভাত খান সেক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে ক্যালোরি বৃদ্ধি পাবে এবং ওজনও বৃদ্ধি পাবে।
যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে বা পেটের সমস্যা রয়েছে। তারা সকাল বেলা চিড়া ভিজে এমনি খেতে পারেন আবার অনেকে চিড়া ভাজি করে বিভিন্ন সবজির সাথে মিক্স করেও খেতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাওয়া যাবে, তবে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত তেল দেওয়া যাবে না। তাহলে আর ওজন বৃদ্ধি পাবে আর যদি নিয়মিত ভাবে পরিমাণ মতো খেতে পারেন, তাহলে আপনার ওজন কমতে সাহায্য করবে।
এর মধ্যে এক ধরনের ফাইবার থাকে যা আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই এই ফাইবার যুক্ত খাবারটি খেলে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। কেননা এ ধরনের খাবার খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা মনে হয় এবং আজেবাজে খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখে। যার কারণে আপনার ওজন কমতে সাহায্য করবে।
এর মধ্যে এক ধরনের প্রোবায়োটিক থাকে যা আপনার শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরি করতে সাহায্য করবে আর ভালো ব্যাকটেরিয়া খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে। যার কারণে আপনার খাদ্য হজম করবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
অনেকের প্রচণ্ড খিদা লাগলে ভাত খেয়ে থাকে কিন্তু এর পরিবর্তে যদি আপনি চিড়া খান এতে ক্যালোরি কম থাকে যার কারনে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে না। ভাত যদি বেশি খান তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে, তাই নিয়মিতভাবে চিড়া খেতে পারেন।
যাদের প্রচুর পরিমাণে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তারা চিড়া ভিজিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে এবং এসিডিটি কম হবে। তাই বিকেল বেলা ভাজাপোড়া এবং জাঙ্ক ফুড না খেয়ে চিড়া ভিজিয়ে খেতে পারেন।
বর্তমানে যুবকরা সাধারণত বিকালের নাস্তায় পিজ্জা ও বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড খেয়ে থাকে। যা অনেক ক্ষতিকর আবার অনেকেই দুধ খেতে পারে না, সে ক্ষেত্রে চিড়ার সাথে আপনি দই মিশিয়ে করে খেতে পারেন। দেখবেন অনেক সুস্বাদু লাগবে এবং উপকার হবে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
আপনার দ্রুত মেদ কমাতে দই চিড়া খেতে পারেন, কেননা এর মধ্যে যে উপাদান থাকে যা আপনার হজম প্রক্রিয়া ভালো করবে। ওজন কমাতে সাহায্য করবে এবং এটা স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো উপকার করবে।
কাঁচা চিড়ার মধ্যে চিনি থাকে না যার কারণে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে না। কেননা চিনি যদি খাওয়া হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চর্বি বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে আপনি কাঁচা চিড়া খেতে পারেন। এর সাথে একটি কলা নিয়ে মিশিয়ে করে খেলে অনেক উপকার পাবেন। এতে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে, কেননা এর মাঝে ক্যালরি খুবই কম থাকে যা আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে না।
সকালের নাস্তায় খেতে পারেন এতে আপনার পেট ফোলা ভাব কমে যাবে। এটা হজম করতে সাহায্য করে, তাই সকালের নাস্তায় আপনি এটা খেতে পারেন। কেননা এই খাবারটি খেলে অনেকক্ষণ থাকে। যা পেটের ভিতরে থাকে এবং পেট ভরা মনে হয়, যার কারণে আজেবাজে খাবারের প্রতি আকর্ষণ থাকে না। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
তবে অতিরিক্ত চিড়া খাবেন না কেননা এতে আপনার ওজন আরো বৃদ্ধি পাবে। কারণ এতে ভালো কোলেস্টেরল কমে যাবে, হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন সে ক্ষেত্রে আপনার ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে এবং রক্তের শর্করা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এর মধ্যে আঁশের পরিমাণ কম থাকে যার কারণে আপনার ডায়রিয়া ক্রনস ডিজিজ, আলসার এই ধরনের সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং কিডনির সমস্যা জনিত রোগের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে। কেননা এর মধ্যে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের পরিমাণ খুবই কম থাকে যার কারণে কিডনির সমস্যা কম হয়ে থাকে।
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url