বাংলাদেশ থেকে ভুটান ভ্রমণ খরচ ও যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশী লোকজন অনেকে ভুটানে ভ্রমন করতে চায়, তবে বাংলাদেশ থেকে ভুটান ভ্রমণ খরচ সম্পর্কে হয়তো অনেকে জানে না। চলুন, বাংলাদেশ থেকে ভুটান যাওয়ার খরচ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশ থেকে বা সারা বিশ্বের অনেক মানুষ ভুটানে ভ্রমণ করতে যায় কেননা এই দেশের বাতাস দূষণমুক্ত। তাছাড়া ভ্রমণ করতে খুবই কম খরচ হয়, তাই বাংলাদেশ থেকে ভুটান ভ্রমণ খরচ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

অনেকে জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে ভুটান ভ্রমণ খরচ কত টাকা? তবে এটা নির্ভর করবে আপনার ভ্রমণের স্থান ও থাকা খাওয়ার যাবতীয় খরচ ইত্যাদির উপর। চলুন, ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কত খরচ হতে পারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশ থেকে এ দেশে ভ্রমণ খরচ হতে পারে ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকার মত। তবে সময় সল্পতার জন্য আপনি হয়তো ফ্যামিলি ও গ্রুপ ভাবে বেড়াতে চাইলে টেক্সি বাদ দিয়ে পাবলিক বাসে চলাফেরা করবেন, এতে কম খরচ হবে।

যদি আপনি বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। আর যদি কয়েকজন মিলে বাস এর মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে কম খরচ হবে। সর্বনিম্ন আপনার ১৮ থেকে ২৪ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি এই দেশটিতে ভ্রমণ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার ভিসার প্রয়োজন হবে না। তবে ৭ দিনের বেশি আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন না। ৭ দিন পরে ভ্রমণ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ভিসা করতে হবে। এজন্য আপনাকে এদের ইমিগ্রেশন অফিস থেকে আবার নতুন করে পারমিট ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন।

বাংলাদেশীদের জন্য সাধারণত এ দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসার প্রয়োজন হয় না। যার কারণে প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ করতে যায়। সবচেয়ে ভালো সংবাদ হলো ট্রানজিট ভিসা যদি থাকে তাহলে খুবই কম খরচে ঘুরে আসতে পারবেন।

এতে আপনি হিমালয় পর্বত দেখতে পারবেন, এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সোনালী ধানক্ষেত, নদী-নালা বিভিন্ন ধরনের অর্কিড রঙিন কাঠের ছোট ছোট বাড়ি দেখা যায়। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি দেশ।

বাংলাদেশ থেকে সাধারণত ভ্রমণ করার জন্য অনেকেই ভুটানে যান কিন্তু জানে না বাংলাদেশ থেকে ভুটান যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাই কিভাবে যাবেন চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা নেওয়া যাক।

বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি এই দেশে যেতে চান সে ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতিতে যেতে পারবেন। একটি হল বিমানের মাধ্যমে যেতে পারবেন, অপরটি সড়ক পথে যেতে হবে।

যেহেতু বাংলাদেশ থেকে এদেশের এর দূরত্ব খুবই কম সেক্ষেত্রে আপনি যদি সড়কপথে একদিনের মধ্যেই যেতে পারবেন এবং খরচ খুবই কম হবে।

যেভাবে যাবেনঃ আপনি বিমানের মাধ্যমেও যেতে পারবেন আবার বাসে যাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে আকাশ পথে যদি যেতে চান তাহলে বেশি ভালো লাগবে। আর যদি সড়ক পথে যেতে চান সেক্ষেত্রে একটু কম খরচ হবে। তাই আপনি চাইলে ভারতের মধ্য দিয়ে যেতে পারবেন এবং ভারতের ট্রানজিট ভিসা লাগবে।

যদিও এই কাজ করতে আপনার সময় লাগতে পারে যার কারণে প্রথম যে কাজটি করতে পারেন তা হল বাসের মাধ্যমে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থল বন্দর যাবেন। এরপর বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের ইমিগ্রেশন কাজ শেষ করবেন। তারপরে চ্যাংড়া বান্দা থেকে বাসে করতে পারেন।

আবার সেখান থেকে আরেকটি বাসে যেতে হবে শিলিগুড়িতে সেখানকার ভারতীয় স্থল বন্দর থেকে এই দেশের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে, এর পরে আপনি অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

সারা বিশ্বের মধ্যে যতগুলো সুখী রাষ্ট্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এই রাষ্ট্র। যার কারণে প্রতিবছরে হাজার হাজার লোক এখানে পর্যটক হিসেবে আসে। এ দেশে বায়ু দূষণ নেই বলেই চলে কার্বন নেগেটিভ হিসাবে পরিচিত। আপনি দেশের বাইরে কোথাও পরিবেশগত দিক দিয়ে ভালো দেশে বেড়াতে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনি এই দেশে যেতে পারেন।

আপনি যদি ভুটান যেতে চান সে ক্ষেত্রে ভুটান যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ রাখতে পারবেন। চলুন, জানা যাক।

আপনি যদি ভারতের মাধ্যমে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ট্রানজিট ভিসার মাধ্যমে যেতে হবে অর্থাৎ বাসের মাধ্যমে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার মেয়াদ থাকবে ১ সপ্তাহ থেকে ৩০ দিনের মত। আর এই ভিসার জন্য আপনার কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি বিমানের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে বাংলাদেশ থেকে ভুটান বিমান ভাড়া কত? সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। চলুন, কত টাকা ভাড়া লাগতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।

বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ প্রতি বছরের প্রচুর পরিমাণে এই দেশটিতে ভ্রমন করতে যায় অথবা অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্য যায়। তবে বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে একটু খরচ বেশি হতে পারে।

তবে বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র একটি বিমান যাতায়াত করে থাকে তাহল; ড্রাকএয়ার এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যদি যেতে হবে। সেই ক্ষেত্রে আপনার ভাড়া একটু বেশি পড়তে পারে। তবে এর কোন বিজনেস ক্লাস বিমান নাই। আপনার বিমান ভাড়া হতে পারে ২৪ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মত। এই বিমানের মাধ্যমে আপনি মাসে ১০ থেকে ১৫ বার যেতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে এ দেশের দূরত্ব প্রায় ৬৫৬ কিলোমিটার।

বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের মত লাগবে, হয়তো কম বেশি হতে পারে। আর সড়ক পথে যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে ২০ ঘন্টা থেকে ২২ ঘণ্টার মত সময় লাগবে।

এ দেশের মুদ্রার নাম রুপি হিসেবে পরিচিত।

এ দেশটির ১ টাকা সমান বাংলাদেশের ১.৩২ টাকা এর সমপরিমাণ হয়ে থাকে।

আপনি যদি ভ্রমণ ব্যতীত অন্য কোন কাজের বা ব্যবসার জন্য যেতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভিসা করতে হবে। আপনার অবশ্যই ৬ মাস মেয়াদের একটি পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে।

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি ভুটানে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে দুইটা উপায়ে যেতে পারেন তাহল; বিমান পথে বিমানের মাধ্যমে এবং বাসের মাধ্যমে। তবে বাংলাদেশ থেকে ভুটানে যেতে ভ্রমণ খরচ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনার উপকার হবে, পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ