মুখে বরফ দিলে কী হয় ও ত্বকের যেসব ক্ষতি করে

অনেকেই মুখের যত্নের জন্য বরফ ব্যবহার করে, তাই মুখে বরফ দিলে কী হয়? সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা হয়তো আপনার জানা নাও থাকতে পারে। তাই এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে বরফ দিলে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেকের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের দাগ, ব্রণ, পিগমেন্টেশন ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। যার কারণে বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে থাকে কিন্তু এর সাথে আপনি বরফ ব্যবহার করতে পারেন। তাই মুখে বরফ দিলে কী হয়? এ সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃমুখে বরফ দিলে কী হয় ও ত্বকের যেসব ক্ষতি করে

মুখে বরফ দিলে কী হয়

অনেকেই মুখের যত্নে বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহার করে। তাই মুখে বরফ দিলে কী হয়? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার মুখে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আমরা বিভিন্ন কাজের জন্য বাইরে গিয়ে থাকি এর কারণে আমাদের মুখে বিভিন্ন ধরনের দাগ দেখা যায়। মূলত রোদে পুড়ে এ ধরনের দাগ দেখা যায়। আপনি যদি এই ধরনের দাগ দূর করার জন্য বরফ ব্যবহার করেন, তাহলে এই দাগগুলো দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও রক্ত চলাচল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

আপনার ত্বকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ দেখা দিতে পারে, তাই সেগুলো দূর হয়ে যাবে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। এছাড়াও অনেকের মুখে জ্বালাপোড়া করে, বিভিন্ন ধরনের র‍্যাশ উঠে তাহলে আপনি বরফ ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার জ্বালাপোড়া এবং বিভিন্ন ধরনের র‍্যাশ ওঠা দূর হয়ে যাবে।

অনেকের মৃত কোষ ত্বকে থাকার কারণে কালো দাগ হয়, এজন্য আপনি বরফ ব্যবহার করতে পারবেন। তাহলে এ ধরনের দাগ দূর হবে। এছাড়াও রূপচর্চার ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করা যায়। অনেকের মুখে বিভিন্ন ধরনের ছিদ্র দেখা যায় এই ধরনের ছিদ্রকে দূর করার জন্য বরফ ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও এই ছিদ্র এক সময় বড় ধরনের দাগ হয়ে যাবে এবং ত্বকলাল হবে। মূলত মুখে এ ধরনের ছিদ্রের ভিতরে দূষিত পদার্থ জমা হয়ে কালো হয়ে যায়। এজন্য আপনি বরফ ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি যদি কোন উপকারীর ক্রিম ব্যবহার করেন এর পূর্বে অবশ্যই বরফ দিয়ে আগে পরিষ্কার করে নিবেন। এতে আপনার ক্রিমের কার্যকারিতা বেশি হবে এবং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

অত্যন্ত গরমের কারণে আপনার মুখে এলার্জি হতে পারে, চুলকানি করতে পারে এছাড়াও রোগ দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যায় পড়লে হালকা ভাবে বরফ ত্বকে লাগাতে পারেন। তবে অবশ্যই সুতি কাপড়ের মধ্যে বরফ টা রেখে হালকা ভাবে চেপে ধরবেন। এতে করে আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ জ্বালাপোড়া কমে যাবে।

প্রতিদিন কাজ শেষে আপনি এই উপাদানটি দিয়ে মুখে পরিষ্কার করবেন, এতে আপনার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও ত্বক প্রাণবন্ত এবং সতেজ হবে। এজন্য সকালবেলা কাজে বের হওয়ার পূর্বে এবং কাজ থেকে আসার পরে অবশ্যই এক টুকরো বরফ নিয়ে ভালো করে মুখে ঘুষবেন, তাহলে দেখবেন আপনার সারাদিনে জমে থাকা ময়লা গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে।

আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় সেক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করতে পারেন, এতে আপনার তৈলাক্ত সমস্যা দূর হবে। এছাড়াও যখন আপনি মেকআপ করতে যাবেন সেক্ষেত্রে মশ্চারাইজার ব্যবহার করার পূর্বে এবং ফেসপ্যাক যদি ব্যবহার করেন সেই জন্য গোসল করার শেষে অবশ্যই এক টুকরো বরফ ঘষে নিবেন, তাহলে দেখবেন আপনার মুখে তৈলাক্ত ভাব থাকবে না।
যাদের রাত্রিতে ঘুম হয় না এবং মানসিক টেনশন করেন তাদের চোখের নিচে ফুলে যায় এবং চোখের নিচে কালো হয়ে যায়। এটা সাধারণত অনেকের ঘুম থেকে ওঠার পরেও চোখ ফুলে যেতে পারে, এই সময় আপনি এক টুকরো বরফ নিবেন এবং নরম কাপড় পেচিয়ে রেখে চোখের উপরে দিয়ে রাখবেন দেখবেন চোখের ফোলা ভাব কমে যাবে।

অনেক সময় অনেকেই মেকআপ করতে গিয়ে আইব্রো দিয়ে থাকে যার কারণে এখানে ফুলে যায় এবং ব্যথা করতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য বরফ ব্যবহার করতে পারেন। এতে দেখবেন আপনার ত্বক নরম হয়ে যাবে এবং ব্যথা কমে যাবে।

অ্যালোভেরা ও বরফঃ এলোভেরার সাথে এটা ব্যবহার করতে পারেন, এতে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর হবে, কেননা এর মাঝে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার মুখের দাগগুলো দূর করবে। এজন্য আপনি এক কাপ পানির মধ্যে বরফ নিবেন এরপরে এক কাপ অ্যালোভেরা নিবেন এই সকল উপকরণগুলো মিশিয়ে ফ্রিজে ডিপে রেখে দেবেন। যখন বরফ জমা হয়ে যাবে তারপরে আপনার মুখে ব্যবহার করবেন।

গোলাপ জল ও আইস কিউবঃ আপনার মুখে যখন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন, এর সাথে আইস কিউব ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনার মুখের বিভিন্ন দাগ দূর করার জন্য এটা লাগিয়ে রাখবেন। এতে আপনার ত্বকের দাগ এবং বলিরেখা দূর হবে। এজন্য এক কাপ গোলাপজল এক কাপ সাদা পানি এর পরে আইস কিউব একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দেবেন। এরপরে যখন বরফ জমা হয়ে যাবে সেই ক্ষেত্রে আপনি মুখে লাগাতে পারেন।

কেশর আইস কিউবঃ অনেক আগে থেকেই মানুষজন এই উপাদান টি ব্যবহার করে থাকে। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের পিগমেন্টেশন পিম্পল বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। এর কারণে আপনার মুখের দাগগুলো দূর হয়ে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বলতা দেখাবে। এজন্য আপনি কেশর পানির মধ্যে ভিজা রাখবেন সেই পানি গোলাপ জলের সাথে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দেবেন, যখন বরফ হয়ে যাবে এরপরে মুখে ব্যবহার করবেন।

শসা ও লেবু আইস কিউবঃ শসা ও লেবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বলতা করবে, বিভিন্ন ধরনের ময়লা দূর করে দেবে। এছাড়াও রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে বিভিন্ন ধরনের লালচে ভাব দূর করবে। এজন্য প্রথমে আপনি শসা গুলো কেটে নিবেন এর সাথে লেবুর রস আইস কিউব মিশিয়ে নেওয়ার পরে ফ্রিজে রেখে দিবেন।

হলুদ আইস কিউবঃ এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও বয়সের ক্ষেত্রে ছাপ পড়ে যায় এটা দূর করতে পারবে, চোখের নিচে কালো দাগ দূর করবেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের তাছাড়া আপনার ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর করবে। এজন্য আপনাকে একটা হলুদের গুড়া নিতে হবে এবং এক কাপ গোলাপজল নেবেন। তারপরে সবগুলো মিশিয়ে একটি আইস কিউব ডিপ ফ্রিজে রেখে দেওয়ার পর কয়েক ঘন্টা পরে এটা আপনি মুখে ব্যবহার করতে পারেন।

মুখে বরফ দিলে কি ক্ষতি হয়

আপনি মুখে বরফ ব্যবহার করেন যদি নিয়ম না জানেন, সেই ক্ষেত্রে ক্ষতি হবে তাই মুখে বরফ দিলে কি ক্ষতি হয়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনার উপকার হবে, চলুন এটা আমাদের কি ক্ষতি করতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
গবেষণায় দেখা গেছে যে সাধারণত পুরুষরা সেভ করার পরে এবং নারীরা সাধারণত ত্বকের বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করার পূর্বে এই বরফ দিয়ে থাকে। এই বরফ ব্যবহার করে কিন্তু এটা আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া অনেকেই ত্বকে কেটে গেলে বা জ্বালাপোড়া করলে এই বরফ ঘষে দেয় অনেক আগে থেকেই এটা জনপ্রিয় কিন্তু এটা বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় এর জন্য চিকিৎসকরা এর নিয়ম পদ্ধতি না জেনে ব্যবহার করার কারণে এটা হয়েছে বলে তারা বলে থাকে। কারণ এর অতিরিক্ত ব্যবহার করার কারণে আপনার ত্বকে টিসুগুলো মরে যায় এবং এটা আপনার ত্বকের ক্ষতি হয়।
কেউ যদি অনেকদিন যাবত এই অভ্যাসটি চালিয়ে যায় এতে প্রাকৃতিকগত যে আপনার ত্বকটা রয়েছে সেটা নষ্ট হয়ে যাবে। এজন্য আপনার ত্বক অনেক সময় রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। যার কারণে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যাবে এবং ত্বকের লাবণ্যতা লাবণ্যতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

অনেকে এটা ব্যবহার করার কারণে ত্বকের তাপমাত্রার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এজন্য আপনার ত্বকের বিভিন্ন জায়গাতে আপনার অতিরিক্ত ঠান্ডা ব্যবহার করার কারণে ফ্রস্ট বাইট সমস্যা হতে পারে। এটা মূলত আপনার ত্বকের রক্ত জমাট হতে পারে এবং সেই জায়গায় কালো হবে এটা মূলত বরফের কারণেই হয়ে থাকে।

ত্বকে যখন আপনি এটা ব্যবহার করেন এক্ষেত্রে আপনার তাপমাত্রা বাধা দিয়ে থাকে যার কারণে আপনার ঠান্ডা লাগতে পারে। মাথা ব্যথা হতে পারে এটা মূলত আপনার ব্যবহারের পদ্ধতি না জানার কারণেই হয়ে থাকে।

এছাড়া অনেক কে কাটা কিংবা ক্ষতস্থানে বরফ দিয়ে থাকে, মূলত তারা দ্রুত সেরে যাওয়ার জন্য দিয়ে থাকে কিন্তু এটা মূলত কখনই সারে না বরং সাময়িক একটু আরাম লাগতে পারে। কিন্তু ক্ষতস্থান কখনোই সেরে উঠবে না বরঞ্চ আপনার ত্বকের আরও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। তাই এক্ষেত্রে আপনি মুখে বা ত্বকের যে কোন জায়গায় কেটে গেলে বা ক্ষত হলে সে ক্ষেত্রে বেশি করে পানি দিতে পারেন।

ব্রণে বরফ দিলে কি হয়

আপনার ত্বকে যদি ব্রণ উঠে থাকে সে ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করতে পারেন, তাই ব্রণে বরফ দিলে কি হয়? এর নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। চলুন, কিভাবে ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের ব্রণ দূর হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

অনেকেরই গরমকালে বিভিন্ন ধরনের ত্বকে ব্রণ বা পিম্পল উঠে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন মানসিক চাপের কারণে ব্রণ উঠতে পারে, এজন্য আপনাকে অবশ্যই মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখতে হবে এবং গরমের সময় এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য ত্বককে ঠান্ডা রাখতে হবে। তাই বাইরে গেলে অবশ্যই বাড়িতে আসার পর অবশ্যই আপনি বরফ ব্যবহার করবেন।

আপনার ত্বক তৈলাক্ততা এর কারনে ব্রণ উঠে থাকে অথবা ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি উঠতে পারে। এজন্য অবশ্যই আপনি বরফ ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার ব্যাকটেরিয়াল সমস্যা দূর হবে। এজন্য এটা ব্যবহার করার পর অবশ্যই আপনার মুখটা পরিষ্কার করে নেবেন। এরপরে সুতি কাপড় দিয়ে বরফটা পেচিয়ে নিবেন তারপর আক্রান্ত স্থানে এক মিনিটের মত চেপে রাখতে পারেন, দেখবেন এভাবে পাঁচ মিনিট রাখার পরপর রাখার পরে আপনার এই ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে

চুলে বরফ দিলে কি হয়

আপনার যদি চুলের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে এই উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। তাই চুলে বরফ দিলে কি হয়? কিভাবে ব্যবহার করবেন এ সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আপনার চুলের উপকার পাবেন চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

এজন্য আপনার যে উপকরণগুলো লাগবে তার মধ্যে গোলাপজল, অ্যালোভেরা জেল লেভেন্ডার অয়েল এসব কিছু মিশিয়ে আপনি একটি আইস কিউব এর মধ্যে রেখে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। এরপরে ব্যবহার করবেন যেভাবে তৈরি করতে পারেন জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমে একটি পাত্র নেবেন এর মাঝে অল্প পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল নিবেন তারপরে গোলাপজল লেভেন্ডার তেল মিশিয়ে আপনি ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। এরপরে চুলের শ্যাম্পু দিয়ে এক টুকরো বরফ নিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগ পর্যন্ত ঘষে নিবেন। এরপরে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করার পরে এটা ধুয়ে ফেলবেন।

এটা ব্যবহার করার কারণে আপনার চুল নরম হবে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। এছাড়াও মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর হবে সুগন্ধি নিয়ে আসবে এবং চুলের ভেঙ্গে যাওয়ার সমস্যা ও আগা ফেটে যাওয়া এ ধরনের সমস্যা দূর হবে।

মুখে বরফ লাগানোর নিয়ম

আপনার মুখে যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এর ব্যবহারের নিয়ম জানতে হবে। তাই মুখে বরফ লাগানোর নিয়ম সম্পর্কে জেনে তারপরে ব্যবহার করবেন তাহলে আপনি উপকার পাবেন। চলুন কিভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যদি এর ব্যবহার সঠিক পদ্ধতি না জানেন তাহলে ক্ষতি হবে। তাই এর সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে চিকিৎসকরা বলে থাকেন এই বরফ একটি পাতলা সুতি কাপড় এর মাঝে পেচিয়ে রাখবেন। এরপরে ব্যবহার করতে পারবেন তাছাড়া টমেটো অ্যালোভেরা শসার রস এই ধরনের উপাদানগুলো বরফের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

কখনোই একবারের বেশি এটা ব্যবহার করবেন না এতে আপনার ত্বক নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা থাকতে হবে। তাছাড়া আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই সরাসরি ব্যবহার করবেন।

আপনার ত্বকে যে কোন সমস্যার কারণে যদি আপনি বরফ ব্যবহার করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এক মিনিটের বেশি চেপে ধরে রাখবেন না এতে ক্ষতি হতে পারে।

চোখে যখন আপনি বরফ লাগাবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেন আপনার এটা চোখের মধ্যে ঢুকে না পড়ে। এছাড়াও জোরে চাপ দিলে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটা আপনি আস্তে করে মালিশ করবেন যদি আপনার মুখে এটা ব্যবহার করার কারণে জ্বালাপোড়া করতে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মুখে বরফ দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের FAQ প্রশ্ন

প্রতিদিন মুখে বরফ দিলে কি ক্ষতি হয়?

আপনি যদি প্রতিনিয়ত এই বরফ ব্যবহার করতে থাকেন, তাহলে আপনার ত্বকের কোষগুলো শক্ত হয়ে যাবে এবং রক্ত চলাচল করতে বাধা প্রাপ্ত হবে। এছাড়াও আপনার অক্সিজেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য প্রতিদিন অতিরিক্ত ভাবে ব্যবহার করা যাবে না।

সরাসরি বরফ লাগানো যাবে কিনা?

আপনি মুখে যখন এই উপাদান লাগাবেন সেক্ষেত্রে সরাসরি কখনোই লাগাবেন না। এতে করে আপনার ত্বকের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য অবশ্যই সুতি কাপড়ের মধ্যে পেচিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
মুখে বরফ কখন ব্যবহার করা যায়?

আপনার ত্বক যখন ফুলে যাবে সে ক্ষেত্রে ঘুমানোর পূর্বে এটা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও মেকআপ করার আগেও করা যেতে পারে। এজন্য পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে এক টুকরো বরফ পেচিয়ে নিয়ে আপনার ত্বকের উপর চেপে ধরবেন হালকা করে মালিশ করতে পারেন।

রাতে বরফ করা ভালো না সকালে?

আপনি যদি দিনের বেলায় মানসিক টেনশন এ থাকেন বা ত্বকের সমস্যার সম্ভাবনা থাকে, সেক্ষেত্রে ত্বককে ঠান্ডা রাখার জন্য এই বরফ ব্যবহার করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত সকালবেলা অতিরিক্ত ভাবে ব্যবহার করা যাবে না। এতে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে এবং রাত্রিতেও ব্যবহার করা যাবে এতে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

শেষ কথাঃ মুখে বরফ দিলে কী হয় ও ত্বকের যেসব ক্ষতি করে

পরিশেষে বলা যায় যে আপনার মুখের বা ত্বকের যদি যত্ন নিতে চান, সে ক্ষেত্রে বরফ ব্যবহার করতে পারেন। তাই মুখে বরফ দিলে কী হয়? এর মাধ্যমে আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ, ব্রণ, পিগমেন্টেশন ইত্যাদি দূর করতে পারবেন। তাই এটা ব্যবহার করতে পারেন। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪