গলায় বা বুকে খাবার আটকে গেলে করনীয় সম্পর্কে জানুন
অনেকের বুকে খাবার আটকে গেলে বিভিন্ন টেনশনে পড়ে যান, তাই বুকে খাবার আটকে গেলে করনীয় সম্পর্কে যদি আপনার প্রাথমিক ধারণা থাকে, তাহলে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। চলুন, কিভাবে বুকে খাবার আটকে গেলে সমাধান করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি খাবার সময় অতি তাড়াহুড়া করে খেতে থাকেন এবং গল্প করতে থাকেন, কথাবার্তা বেশি বলতে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে আপনার বুকে খাবার আটকে যেতে পারে। তাই বুকে খাবার আটকে গেলে করনীয় সম্পর্কে জানার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃগলায় বা বুকে খাবার আটকে গেলে করনীয় সম্পর্কে জানুন
বুকে খাবার আটকে যাওয়ার কারণ
বিভিন্ন কারণে বুকের খাবার আটকে যায় তাই বুকে খাবার আটকে যাওয়ার কারণ গুলো যদি আপনি জানতে পারেন, তাহলে আগে থেকেই সতর্ক থাকবেন। চলুন, কারণগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বুকে খাবার যদি আটকে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা বুঝতে পারি কিন্তু যদি খাওয়ার অনেকক্ষণ পরে বুকে ব্যথা করে সেই ক্ষেত্রে কি কারনে বুকের ব্যথা হচ্ছে সে কারণ জানার প্রয়োজন।
খাদ্যনালীর খিচুনিঃ খাদ্যনালীতে অনেক সময় খিচুনি দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের খাবারের কারণে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে কোল্ড ড্রিংকস, ঝাল জাতীয় খাবার গুলো খাওয়ার কারণে বুকে ব্যথা করে। কেননা এ সময় খাদ্যনালী অনেকটাই সংকুচিত হয়ে যায়। যার কারণে খাবার খেলে বুকে আটকে যায়।
গ্যাস্ট্রিকের কারণেঃ যাদের প্রচুর পরিমাণে গ্যাস্ট্রিক রয়েছে তাদের খাদ্যনালীতে প্রচুর পরিমাণ অ্যাসিড জমে থাকে। এ অবস্থায় খাবার খেলে বুকে আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথার সাথে সাথে খাবার খাওয়ার কারণে বুকে ব্যথা বৃদ্ধি পায়।
হিয়াটাল হার্নিয়াঃ এটা এমন একটি রোগ যার কারণে খাবার খেলে সাধারণত বুকে আটকে যায়। যে কোন খাবার খেলে গিলার জন্য সমস্যা হয়। খাদ্যটা নিচে নামতে চায় না, এটাই মূলত এই ধরনের রোগের লক্ষণ।
বুকে খাবার আটকে গেলে করনীয়
অনেকেই খাবার খাওয়ার সময় তাদের বুকে আটকে যায়, যার কারণে সমস্যা দেখা দেয়। তাই বুকে খাবার আটকে গেলে করনীয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক
আপনার বুকে যদি হঠাৎ করে খাবার আটকে যায় সে ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং বুঝতে হবে যে বুকে খাবার আটকে গেছে তা না হলে মৃত্যু হতে পারে তাই এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং কিছু ঘরোয়া টিপস প্রয়োগ করলে আপনি মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যেতে পারেন।
সোজা হয়ে বসুনঃ আপনি যদি বুঝতে পারেন যে বুকে খাবার আটকে যায়, তাহলে সোজা হয়ে বসতে পারেন। এজন্য আপনার গ্যাস্ট্রিকের রিফ্লেকশন হবে না এবং খাদ্যনালীতে চাপ কম লাগবে।
গরম পানি পান করুনঃ হালকা কুসুম গরম পানি অল্প অল্প করে খেতে পারেন, তাহলে আপনার খাদ্যনালী দিয়ে খাদ্যটা ভিতরে চলে যাবে। খাবারটা অনেকটাই নরম হয়ে যাবে, যার কারণে অতি দ্রুত চলে যাবে অথবা গরম চা খেতে পারেন যে চা গুলোতে ক্যাফিন কম থাকে।
অতিরিক্ত খাবেন নাঃ আপনার বুকে যদি খাবার আটকে যায় এটা যদি বুঝতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আর অতিরিক্ত কোন খাবার খাবেন না। এটারও সমস্যা সৃষ্টি হবে তাই এক্ষেত্রে খাবার না খেয়ে চুপচাপ বসে থাকবেন যতক্ষণ না আপনার ব্যথা কমতে থাকে।
শ্বাস নিনঃ খাদ্যনালীতে যদি খাবার আটকে যায় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুত শ্বাস নেবেন না, ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে থাকবেন। এতে করে আপনার খাদ্যনালী সংকুচিত হবে না। আপনার ব্যথা ও আপনার মানসিক টেনশন অনেকটাই কমে যাবে।
এন্টাসিড খাবেনঃ আপনার যদি খাবার খাওয়ার পরে মনে হয় বুকে আটকে গেছে সে ক্ষেত্রে এন্টাসিড ট্যাবলেট খেতে পারেন। এতে আপনার বুকের ব্যথা কমে যাবে এবং খাদ্যনালীতে খাবারটা চলে যেতে পারে। মূলত চিকিৎসকরা এ পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আপনার খাবার যদি বুকে আটকে যায় সে ক্ষেত্রে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যার কারণে আপনার মস্তিষ্কে এবং হৃদযন্ত্রে অক্সিজেন না যাওয়ার কারণে অনেক সময় মানুষ মারা যেতে পারে। তাই খাবারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং খাবার যদি বুকে আটকে যায় সেটা অবহেলা করা যাবে না। অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে ১০ মিনিটের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা গুলো করতে হবে তা না হলে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। সাধারণত কাশি, বুকে ব্যথা, বমি,জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে।
যদি কারো খাবার খাওয়ার কারণে বুকে আটকে যায় সে ক্ষেত্রে এমন একটি চিকিৎসা রয়েছে যে পদ্ধতিটা অবলম্বন করলে খাদ্যনালী থেকে খাবারটা নিচে চলে যাবে, এ পদ্ধতির টার নাম হল হেইমলিচ ম্যানিউভার। অনেকেই বুকে খাবার আটকে গেলে সাধারণত পিঠে চাপড় দেয়, এতে করে খাবার আরো বেশি আটকে যায়। তাই এক্ষেত্রে হেইমলিচ ম্যানিউভার পদ্ধতিটি অবলম্বন করা যেতে পারে।
এজন্য আপনি রোগীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরবেন এবং পেট ও পাঁজরের যে সংযোগ রয়েছে সেখানে হাত দিয়ে জোরে ধাক্কা দিলে উপর দিকে খাবার চলে আসবে। মুখ দিয়ে বের হয়ে আসবে এ ব্যাপারে অনেক রোগী মৃত্যুর মুখে থেকে বেঁচে গেছে। কেননা পাঁচ থেকে দশ মিনিটের মধ্যে যদি আপনি এই পদ্ধতি অবলম্বন না করে খাবার মুখ দিয়ে বের করে না নিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই রোগী শ্বাসকষ্ট হয়ে এবং দম বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারে।
তবে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা যাবে না, দ্রুত গতিতে হাসপাতালে নিতে হবে তাহলেই বেঁচে থাকতে পারে।
নিজে আক্রান্ত হলে যা করবেনঃ যদি আপনার গলায় খাবার আটকে যায় সে ক্ষেত্রে আশেপাশে যদি কেউ না থাকে তাহলে অবশ্যই বসে কোন কিছুতে মাথা রাখবেন এবং পেটটা বুকের মধ্যস্থলে রেখে দিলে খাবার বের হয়ে আসবে।
শ্বাসনালী এবং খাদ্য নালী পাশাপাশি থাকার কারণে এই অংশটাতে অনেক সময় খাবার চলে যেতে পারে তাই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এজন্য আপনি যখন শুকনো জাতীয় খাবার গুলো যেমন বিস্কুট মুড়ি, কেক এই খাবারগুলো খাওয়ার সময় কখনই তাড়াহুড়া করবেন না এবং কথাবার্তা বলা যাবে না। অন্য কোন কাজ করা যাবে না, তাহলে আপনার কাজগুলো করে ফেলেন তাহলে খাদ্যনালী তে নারী শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়বে এবং শ্বাসকষ্ট বন্ধ হয়ে যায় মারা যেতে পারে।
আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে যদি আপনি অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে অন্য কাউকে গলার ভিতরে আঙ্গুল ঢুকাতে দেবেন না। খাবার বের করার চেষ্টা করবেন না, এতে করে আপনি আরো অসুবিধায় পড়ে যাবেন। তাই সময় নষ্ট না করে দ্রুত গতিতে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
সতর্কতা ও পরামর্শঃ আপনি যে কোন খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কথা বলা মনে করতে হবে। এক্ষেত্রে বেশি কথাবার্তা বলা যাবে না, গল্প করা যাবে না, ধীরে ধীরে খেতে হবে এবং চিবিয়ে খেতে হবে ছোট ছোট করে টুকরা টুকরা করে খেতে পারেন এবং মাঝে মাঝে অল্প করে পানি খেতে পারেন।
যারা অতিরিক্ত মোটা মানুষ এবং বুকে বা অনেক চর্বি জমা রয়েছে তাদের এবং ওজন বেশি তাদের ক্ষেত্রে গলার চর্বি থাকার কারণে আপনার খাবার খেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গলার চর্বি কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেনঃ আপনি যখন প্রাথমিক চিকিৎসা গুলো করার পরে যদি আপনার খাবার বুকে আটকে থাকে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। চলুন এই মুহূর্তে আপনি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য কি ব্যবস্থা বলেন নিতে পারেন সে সম্পর্কে জানা যায়
যদি দেখেন প্রচুর পরিমাণে বুকে ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে এবং কমছে না আমি মৃত্যুর অবস্থায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এক্ষেত্রে এক ধরনের বুকে চাপ অনুগত হতে পারে।
যদি শ্বাস নিতে অনেকটাই কষ্ট হয় এবং বাধা প্রাপ্ত হয়ে যায় কোন কিছু গিলতে পারে না, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এই সময় ঠোঁট এবং মুখে নীল হয়ে যেতে পারে।
যখন আপনার বুকের ব্যথা শুরু হবে এর পাশাপাশি ঘাড় এবং চোয়ালে প্রচুর পরিমাণ ঘামতে থাকবে সেই ক্ষেত্রে মাথা ঘুরাতে পারে বমি বমি হতে পারে এবং হার্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই পরিস্থিতি অবশ্যই চিকিৎসকের নিয়ে যেতে হবে।
বাচ্চার শ্বাসনালীতে কিছু আটকে গেলে
আপনার শিশু যদি শ্বাসনালীতে কোন কিছু ওঠে আটকে যায় সে ক্ষেত্রে বাচ্চার শ্বাসনালীতে কিছু আটকে গেলে করণীয় সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার শিশুটি সুস্থ হয়ে যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আপনার বাসায় যদি ছোট শিশু থাকে সেক্ষেত্রে অনেক সময় বিভিন্ন খাবারের বস্তু মুখে দিয়ে ফেলে গলায় অথবা বুকে আটকে যেতে পারে। শ্বাসনালীতে আটকে যাওয়ার কারণে অসুবিধা দেখা দিতে পারে। তাই আপনার শিশুর খেলা মুখে না দিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও অবশ্যই সঠিক খেলনা নির্বাচন করতে হবে যেন আপনার বাচ্চা মুখে দিতে না পারেন।
অবশ্যই কিছু খেলনার দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেমন কিছু বিষাক্ত খেলা রয়েছে যেগুলো মুখে দিলে শরীরে বা পয়সা জাতীয় গলার ভিতরে আটকে যেতে পারে। এদিকে আপনাকে নজর দিতে হবে এমন কিছু ধারালো জিনিস রাখবেন না যেটা আপনার শ্বশুর যদি খেয়ে ফেলে তাহলে কেটে যেতে পারে অথবা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।
বাঁচার গলায় যদি কোন কিছু আটকে যায় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে যে কাজটি করতে পারেন। বাচ্চাটি যদি দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে হলে তাহলে অবশ্যই বাম হাতের উপর শুয়াবেন, পিঠের দিকটা একটু উঁচু করে দিয়ে রাখবেন এবং মুখের দিকটা নিচের দিকে রাখবেন, এরপরে ডান হাতের তালু দিয়ে পিঠের উপরে কাদের কাছে আসতে করে কাপড় দিতে পারেন। দেখবেন দিয়ে গলায় আটকে যাওয়া খাবারটি বের হয়ে আসবে
গলায় বা বুকে খাবার আটকে যাওয়া সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন
বুকে খাবার ঢুকলে কি হয়?
যখন আপনার এই ধরনের সমস্যা হবে তখন আপনার শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে এবং কাশি হতে পারে। এছাড়া অনেকের ফুসফুস কাজ করে না এছাড়াও ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায় এবং নিউমোনিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
খাবার খাওয়ার সময় গলায় আটকে যায় কেন?
আপনার যখন খাবারটা গিলতে থাকেন তখন গলার কাছে গিয়ে অনেক সময় আটকে যেতে পারে। এটা সাধারণত তাড়াহুড়া করে খাওয়ার কারণে এই সমস্যাটা বেশি হয় আবার অনেকের কথা বলার কারণে খাওয়ার আটকে যায় অথবা শুকনো খাবার খাওয়ার সময় গিলতে কষ্ট হওয়ার কারণে শ্বাসনালী দিয়ে খাবারটা বের হতে না পেরে, দিয়ে খাবারটা ঢুকতে না পেরে দেখা যায় আটকে যায় এবং অক্সিজেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খাদ্যনালীতে আটকে থাকা খাবার কি শেষ পর্যন্ত নেমে যাবে?
যদি আপনার খাবার আটকে যায় সে ক্ষেত্রে আর পরবর্তী কোন খাবার খাবেন না। তবে এক্ষেত্রে যদি আপনি পরবর্তী খাবার না খান তাহলে ধীরে ধীরে খাবারটা পাকস্থলীতে চলে যাবে। এতে যদি সমস্যা দেখা যায় তাহলে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
বাচ্চার গলায় দুধ আটকে গেলে কী করণীয়?
সাধারণত বাচ্চার যদি শ্বাসনালীতে দুধ আটকে যায় সেই ক্ষেত্রে মা যদি বুঝতে পারে এ সময় তার শিশুটিকে মাথাটা নিচু করে মুখ ফাঁকা করে পিঠে হালকা চাপড় দেবে তাহলে দুধ বেরিয়ে আসবে।
শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনার বুকে খাবার আটকে যায় সে ক্ষেত্রে উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলো নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আশা করি এই প্রাথমিক চিকিৎসা গুলো করলে আপনার বুকের খাবার চলে যাবে, তাই গলায় বা বুকে খাবার আটকে গেলে করনীয় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশাকরি আপনার উপকার হবে প্রস্তু ভালো লাগলে পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url