সার্বিয়া দেশে যেতে কত টাকা লাগে সর্বশেষ আপডেট জানুন
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে, তাই সার্বিয়া দেশে যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানা থাকলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। চলুন, কোন কাজে কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সার্বিয়াতে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন কাজের জন্য লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে, এজন্য কাজের উপর নির্ভর করেই ভিসার দাম কম বেশি হয়ে থাকে। তাই সার্বিয়া দেশে যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃসার্বিয়া দেশে যেতে কত টাকা লাগে সর্বশেষ আপডেট জানুন
সার্বিয়া দেশে যেতে কত টাকা লাগে
ইউরোপের একটি উন্নত রাষ্ট্র অনেকেই যেতে চায়, তাই সার্বিয়া দেশে যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানলে আপনার সুবিধা হবে। চলুন, এই দেশে যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এ দেশটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে পরিচিত। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন কাজের জন্য এ দেশে লোকজন যাচ্ছে এবং এদেশের সরকারও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিচ্ছে। ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক যুবকেরা কাজ করার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে এবং ভালো বেতনে কাজ করছে।
বর্তমানে দেশটি বাংলাদেশ থেকে লোক নেয়ার উদ্দেশ্যে গ্রহণ করেছে, এদেশের লোকজন নেওয়ার জন্য তারা অনেকটাই আগ্রহ। এদেশের বিভিন্ন কাজ রয়েছে সকল কাজের উপর ভিত্তি করেই বেতন ভাতা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে এবং ভিসার দাম ও নির্ধারণ করা হয়।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা থাকার কারণে ভিসার মূল্য বিভিন্ন রকম হবে। আপনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন ভিসার মাধ্যমে এ দেশে যাবেন। যে কাজের উপর অভিজ্ঞতা আছে সেই কাজের উপর ভিসা করাই ভালো হবে। সে সিদ্ধান্ত নিলেই আপনি জানতে পারবেন কোন ভিসার কত টাকা। চলুন, বিভিন্ন ভিসা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লোক নিয়ে থাকে।
- টুরিস্ট ভিসা প্রচুর পরিমাণে লোক যায়
- স্টুডেন্ট ভিসায় অনেকে যায়
- বিজনেস ভিসায় যাওয়া যাবে
- এছাড়াও পরিবার সংযুক্তিকরণ ভিসাও যেতে পারবেন।
উপরোক্ত এই ভিসা গুলোর মাধ্যমে আপনি এ দেশে যেতে পারবেন। এখন আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন ভিসার মাধ্যমে এ দেশে যেতে চাচ্ছেন। তার ওপর ভিত্তি করেই আপনার ভিসার মূল্য নির্ধারণ করা হবে। চলুন, কোন ভিসার দাম কত সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে চান সেই ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি টাকা লাগবে। এই ভিসার মাধ্যমে আপনি গেলে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। যার কারণে এই ভিসার দাম সবচেয়ে বেশি। এই ভিসার মাধ্যমে যদি আপনি যেতে চান সে ক্ষেত্রে সকল যাবতীয় খরচ সহ ৭ লাখ ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এই ভিসায় কাজের জন্য যেতে চান সেই ক্ষেত্রে মেয়াদ হবে ১ বছরের। মূলত তারা ১ বছরের জন্য আপনাকে ভিসা দেবে তারপর আপনার সেখানে গিয়ে প্রতিবছরের রিনিউ করতে হবে। আপনি বর্তমানে এদেশে গিয়ে এই ভিসার মাধ্যমে যে কাজগুলো করতে পারবেন। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
- ড্রাইভিং এর কাজ করতে পারবেন
- মেকানিক্যাল এর কাজ করা যাবে
- ইলেকট্রনিক্স এর কাজ করতে পারবেন
- ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করা যাবে
- হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজ করতে পারবেন
- পাইপ ফিটিংয়ের কাজ করা যাবে অথবা পাম্পিংয়ের কাজ করতে পারবেন।
- নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে পারবেন।
ভিজিট বা টুরিস্ট ভিসাঃ অনেকেই বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে পছন্দ করে, তাই তারা এই দেশটিতে যেতে পারেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন, এছাড়াও খুবই সুন্দর একটি দেশ আবহাওয়ার দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া অনেকে জানতে চায় যে এদেশে ভ্রমণ ভিসায় যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে। আপনি যদি ভ্রমণ ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার মেয়াদ হবে ৩ মাস অথবা সর্বত্র ৬ মাস।
৩ মাস মেয়াদীর ক্ষেত্রে ২ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ ২০ হাজারের মতো টাকা লাগতে পারে। আর যদি ৬ মাসের জন্য যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে।
স্টুডেন্ট ভিসায় খরচঃ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মতো এই মধ্যম আয়ের দেশটিতেও অনেক উন্নত মানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। চাইলে আপনি সেখানে স্নাতক বিষয়ে পড়ালেখা করতে পারেন, খুবই কম খরচে এখানে আপনি লেখাপড়া করতে পারবেন। ভালো মানের লেখাপড়া করা যেতে পারে।
এদেশে লেখাপড়ার পাশাপাশি আপনি পার্ট টাইম জব করতে পারবেন। এতে আপনি ভাল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভাষা জানতে হবে, তাহলে জব করতে পারবেন ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পারবেন। লেখাপড়া শেষে আপনি এ দেশে ভালো মানের জব করে অনেক বেতন পাবেন।
এখন অনেকেই জানতে চায় এই দেশে লেখাপড়া করার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে। আপনি যদি কোন পরিচিত লোকের মাধ্যমে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে অনেক টাকা খরচ কম হবে। আর যদি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে বেশি খরচ হবে।
সর্বমোট আপনার খরচ হতে পারে ৪ লক্ষ ১০ হাজার থেকে শুরু করে ৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। আর যদি আপনি লেখাপড়া করার উদ্দেশ্যে যেতে চান সে ক্ষেত্রে পড়াশোনা বাবদ সকল কিছু মিলে মোট খরচ হতে পারে ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে।
তবে যদি আপনি এদেশে স্কলারশিপ নিয়ে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার টিউশন ফি অনেক কমে যাবে এবং যদি আপনি সুন্দর মতো আবেদন করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি ফুল ফ্রি স্টুডেন্টশিপ হিসাবেও বিনা বেতনে পড়ালেখা করতে পারবেন।
সার্বিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
এ দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তবে সার্বিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার সুবিধা হবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি যখন কোন একটি দেশে যাবেন সেক্ষেত্রে আপনি ওই দেশের কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই কাজের আপনার অভিজ্ঞতা আছে কিনা? সে সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করে গেলে সবচেয়ে বেশি বেতন পাবেন। তাই এই বিষয়ে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং জেনে নিতে হবে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি।
কৃষি কাজঃ কৃষি একটি সম্মানজনক পেশা সকল দেশের ক্ষেত্রেই। তাই এদেশটিতেও কৃষি শ্রমিকদের জন্য ভালো বেতনে জব দিয়ে থাকে। এখানে বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফসলের কাজের জন্য শ্রমিক নিয়ে থাকে। তাই আপনি কৃষি কাজ করার জন্য এদেশে যেতে পারেন।
মেকানিক্যাল কাজঃ বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তির কাজ রয়েছে বিশেষ করে মেকানিক্যাল কাজের মধ্যে যেমন যন্ত্রপাতির বিভিন্ন ধরনের কাজ অটোমোবাইল, মেকানিক্যাল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনিশিয়ান হিসাবে আপনি কাজ করতে পারবেন। তাই আপনার যদি অভিজ্ঞতা থাকে এই বিষয়ে প্রচুর পরিমাণে চাহিদা আছে।
ড্রাইভিং এর কাজঃ আপনার যদি ড্রাইভিং এর কাজের উপর অভিজ্ঞতা থাকে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি এদেশে যেতে পারেন। কেননা এই ড্রাইভিং এর কাজের উপরে প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে বিশেষ করে ট্রাকচালকদের বেশি গুরুত্ব রয়েছে।
হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টঃ এ দেশটি যেহেতু বিভিন্ন পর্যটকের কাজ রয়েছে সে হিসেবে বিভিন্ন হোটেল বা রেস্টুরেন্ট সেখানে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের প্রচুর লোক নিয়ে থাকে। তাই আপনার যদি এই কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি রেস্টুরেন্টের কর্মী হিসেবে যেতে পারেন।
আইটি ও প্রযুক্তি বিষয়ঃ প্রত্যেকটা দেশ উন্নত করার জন্য অবশ্যই প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল করতে হয়। তাই প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে আর দেশকে অগ্রসর করার জন্য অবশ্যই প্রযুক্তির গুরুত্ব দিতে হবে। তাই এই দেশটিও আইটি সেক্টরে দক্ষ লোকের প্রয়োজন হয়। তাই তারা দক্ষ লোক খুঁজে থাকেন এবং নিয়োগ দিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের যে সকল লোকজন আইটি বিষয়ে এবং প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে তারাও এদেশে গিয়ে কাজ করতে পারেন।
স্বাস্থ্য সেবাঃ প্রত্যেকটা দেশের স্বাস্থ্যসেবা কে গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তাই তারা উন্নত মানের চিকিৎসার জন্য বড় বড় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছে। সেখানে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী এবং ডাক্তার এর প্রয়োজন হয়, এছাড়াও নার্স, স্বাস্থ্য সহকারী বিভিন্ন ধরনের পদের লোকের প্রয়োজন হয়। তাই আপনার এই কাজের প্রতি যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি যেতে পারেন।
কনস্ট্রাকশন এর কাজঃ প্রত্যেকটা দেশের উন্নয়নশীল এর জন্য বড় বড় ধরনের নির্মাণ কাজ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রমিকের প্রয়োজন হয়, তাই তারা বিভিন্ন দেশ থেকে নির্মাণ শ্রমিক নিয়ে থাকেন। আপনি যদি এই কাজের প্রতি আগ্রহী থাকেন, তাহলে কনস্ট্রাকশনের কাজের করার জন্য যেতে পারেন অনেক চাহিদা রয়েছে।
উৎপাদন কারখানার কাজঃ বিভিন্ন ধরনের উৎপাদন করার জন্য বিভিন্ন কলকারখানা রয়েছে। এজন্য উৎপাদন এর কাজ করার জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। তাই বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য শ্রমিক নিয়ে থাকে এ কাজের উপর অনেক চাহিদা রয়েছে।
সার্বিয়া বেতন কত
আপনি যদি সার্বিয়া তে যেতে চান সে ক্ষেত্রে বেতন কত হবে সে সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন। তাই সার্বিয়া বেতন কত? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কোন কাজের কি পরিমান বেতন দেয়া হয় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এদেশে শ্রমিকের অভাবের কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকেন। তাদের বেতন নির্ধারণ করে থাকেন বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের বেতন নির্ধারণ করে থাকে। বাংলাদেশের শ্রমিকের অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি যদি এদেশের শ্রমিক হিসেবে যান সে ক্ষেত্রে ৮ ঘন্টা আপনাকে কাজ করতে হবে। সেই হিসেবে তারা বেতন দেবে ৫০০ থেকে ৬০০ ইউরো। যা বাংলাদেশের টাকায় সাধারণত ৬০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকার মতো।
এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যার উপর ভিত্তি করে আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে। আর বেতন নির্ধারণ করা হবে এখানে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন দিয়ে থাকে। চলুন, কোন কাজের কত বেতন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
- আপনি যদি এদেশে গিয়ে কৃষি কাজ করেন সেক্ষেত্রে আপনার বেতন হবে ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মত।
- ইলেকট্রিশিয়ানের যদি কাজ করেন সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন পাবেন ৮০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মত।
- ডেলিভারি ম্যান হিসেবে যদি কাজ করেন সেক্ষেত্রে আপনি বেতন পাবেন ৮০ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত।
- ড্রাইভিং এর কাজ যদি করেন সে ক্ষেত্রে বেতন পাবেন ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মতো।
- আপনি যদি নির্মাণ শ্রমিক বা কনস্ট্রাকশনের কাজ করেন সেক্ষেত্রে বেতন পাবেন ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।
- অটোমোবাইল সার্ভিসের যদি কাজ করেন সেক্ষেত্রে বেতন পাবেন ৮০ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত।
- প্লাম্বার হিসেবে যদি কাজ করেন সেই ক্ষেত্রে বেতন পাবেন ৬৫ থেকে ১ লক্ষ টাকা।
- শেভ হিসাবে যদি কাজ করেন সে ক্ষেত্রে আপনি বেতন পাবেন ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মত।
- রিসেপশনিস্ট এর কাজ করলে আপনি বেতন পাবেন ৭৫ থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো।
- আপনি যদি কোন কল কারখানায় কাজ করেন সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন হবে ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মত।
- আপনি যদি কোন হোটেলের ওয়েটার হিসেবে কাজ করেন সে ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মত বেতন পাবেন।
তবে এই দেশে সর্বনিম্ন বেতন আপনার ৪০০ থেকে ৫০০ এর মত হয়ে থাকে। এছাড়াও কাজের ধরন এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আপনার বেতন বাড়তে থাকবে। আর সেই হিসেবে আপনি যদি কৃষি কাজ, নির্মাণ কাজ, কল কারখানার কাজ ইত্যাদি যদি কাজগুলো করে থাকেন সেক্ষেত্রের ন্যূনতম বেতন পাবেন বাংলাদেশের টাকায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো।
সার্বিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
প্রতিটা দেশে কাজ করার জন্য একটা উপযুক্ত বয়স লাগে, তাই সার্বিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে? এ দেশে একটি নির্ধারিত বয়স রয়েছে। চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আপনার সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স হতে হবে তাহলে আপনি কাজের ভিসা পাবেন। এছাড়াও যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যান সে ক্ষেত্রে ১৮ বছর বয়স হতে হবে, চাকরি ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের বয়সের রিকোয়ারমেন্ট করে।
তবে আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার বয়সের ক্ষেত্রে বাধা থাকবে না। ১৮ বছরের কম হলেও চলবে যদি তার অভিভাবকের অনুমতি থাকে। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে কখনোই আঠারো বছর নিচে বয়স লোক যেতে পারবে না। এক্ষেত্রে ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বয়স হওয়া বাধ্যতামূলক।
সার্বিয়া দেশ সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন জানুন
সার্বিয়া প্রতি ঘন্টায় বেতন কত?
সাম্প্রতিক সময়ে এই দেশটি একটি নূন্যতম বেতনের নির্ধারণ করেছে। প্রতি ঘন্টায় ৩০৮ আরএসডি নির্ধারণ করে দিয়েছে। যা মার্কিন ডলার হিসেবে ২.৬৮ মার্কিন ডলারের সমমূল্য হবে। তবে সাধারণত এ দেশটিতে মাসিক বেতন ঘন্টা হিসেবে খুবই কম দিয়ে থাকে।
সার্বিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত?
এদেশে যত লোকজন কাজ করতে যায় তার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বেতন হলো ৩৩২ ইউরো। এছাড়াও বিভিন্ন প্রদেশ বা রাজধানী হিসেবে বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তাই এক একটা প্রদেশে এক এক রকমের বেতন নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশে কি সার্বিয়া এম্বাসি আছে?
বাংলাদেশে এদেশের কোন দূতাবাস নাই বা অফিসও নেই। তবে যদি বাংলাদেশের কোন লোকজন যেতে চায় সেক্ষেত্রে দিল্লিতে এই দেশটির ভিসা এম্বাসি রয়েছে। সেখানে আবেদন করার মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন।
সার্বিয়া কি ইউরোপীয় ইউনিয়ন?
সার্বিয়া দেশটি ইউরোপে ইউনিয়নের সদস্য নয়, তবে আবেদন করেছে এখন পর্যন্ত তারা সদস্য হয়নি।
সার্বিয়ান ডলার বাংলাদেশের কত টাকা?
এদেশের মুদ্রার নাম দিনার যা বাংলাদেশের টাকায় পরিবর্তন করলে হবে ১ আরএসডি সমান ১.১৬ বাংলাদেশি টাকায় হবে।
উপসংহারঃ সার্বিয়া দেশে যেতে কত টাকা লাগে সর্বশেষ আপডেট জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি সার্বিয়াতে যেতে চান সেক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন কাজের উপর আপনি যাবেন। তার ওপর নির্ভর করবে কত টাকা লাগতে পারে। তাই সার্বিয়া দেশে যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আরটিকালের বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি সেখান থেকে জেনেছেন। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url