ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা বেতন কত আপডেট তথ্য জানুন

ক্রোয়েশিয়া দেশটি অনেক উন্নত হওয়ায় বিভিন্ন কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকে। তাই ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা বেতন কত? সম্পর্কে আপনার জানা থাকতে হবে। চলুন, কোন কাজের কত বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
এই দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়ে থাকে। তাই আপনিও এই দেশটিতে যেতে পারেন। তবে বেতন সম্পর্কে জানতে হবে। তাই ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা বেতন কত? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা বেতন কত আপডেট তথ্য জানুন

ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা বেতন কত

অনেকে জানতে চায় যে ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা বেতন কত? আসলে বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করে বেতন। তাই আপনি কোন কাজের উপরে ভিসা করবেন তা নির্ভর করবে আপনার বেতন। চলুন, এ বিষয় বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

এই দেশটি মূলত সেনজেন ভুক্ত দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথেও যুক্ত হয়েছে। যার কারণে বেতন একটু বেশি, তবে এই দেশের সরকার সাধারণত সর্বনিম্ন বেতন ভাতা নির্ধারণ করে দেয়। সেই হিসেবে সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ৮৪০ ইউরো যা বাংলাদেশের টাকায় ১ লক্ষ টাকার মত হবে।

এই দেশটিতে একজন কর্মীর মাসিক গড়ে বেতন পায় ১৬৩০ ইউরো যা বাংলাদেশের টাকায় হবে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা এবং তারা ডিউটি করে থাকে আট ঘন্টা। সেই হিসাবে একজন বাঙালি প্রতিমাসে ৮০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকার মতো বেতন পেয়ে থাকে। সপ্তাহে ৪০ ঘন্টার মত ডিউটি করা লাগে।

যাদের দক্ষতা খুবই কম সেই সকল শ্রমিকরা বেতন পায় ৭০০ থেকে ৯০০ ইউরোর মত যা বাংলাদেশী টাকায় ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার মত বেতন পেয়ে থাকে। আর যারা দক্ষ শ্রমিক রয়েছেন এবং ওই কাজের উপর অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা ১২০০ থেকে ১৮০০ ইউরোর মত বেতন পেয়ে থাকে। যা বাংলাদেশে টাকায় ১ লক্ষ ৪৫০০০ থেকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত বেতন পায়।

এই দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে এবং কিছু কাজের চাহিদা রয়েছে, সে হিসেবে আপনার যে কাজের দক্ষতা রয়েছে সেই কাজের উপর ভিত্তি করে যদি এদেশে যেতে পারেন। তাহলে আপনি উপযুক্ত বেতন পাবেন, সে ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই অভিজ্ঞতা এবং সার্টিফিকেট লাগবে। তাহলে সর্বোচ্চ বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অবশ্যই আপনি যে কাজগুলোর চাহিদা রয়েছে সেই কাজগুলোর উপরে অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন।

এ দেশটিতে যে কাজগুলোর সবচাইতে চাহিদা বেশি এবং বেতন বেশি চলুন যে কাজগুলোর সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • কনস্ট্রাকশন
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • মেকানিক্যাল
  • ড্রাইভিং
  • টাইলস মিস্ত্রি
  • রাজমিস্ত্রি
এই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, সে কাজগুলোর উপর এ দেশে যেতে পারেন। তাহলে আপনি সর্বোচ্চ বেতন পাবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার মাসিক বেতন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ ইউরো থেকে শুরু করে ৮২০০ ইউরো পর্যন্ত যা বাংলাদেশের টাকায় পরিবর্তন করলে হবে ৭৪০০০ থেকে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা পাওয়া যাবে।
এছাড়াও আরো কিছু কাজ রয়েছে যেগুলোর বেতন অনেক বেশি পাওয়া যায় যেমন;
  • হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ওয়েটার হিসাবে কাজ
  • তাছাড়া ক্লিনার
  • ডেলিভারি বয়
  • ফুড প্যাকেজিং এর কাজ
  • ও গবাদি পশু পালনের ক্ষেত্রেও ভালো বেতন দিয়ে থাকে
এই কাজে যদি আপনার ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি অনেক বেতন পাবেন। বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে প্রায় বেতন পাবেন ২৮০০ ইউরো থেকে শুরু করে ৪ হাজার ইউরো পর্যন্ত বাংলাদেশের টাকা হিসেবে পেতে পারেন ৪৪ হাজার টাকা থেকে ৬৫ হাজার টাকার মত।
এই দেশটিতে সাধারণত কাজের উপর নির্ভর করে আপনার বেতন হবে। এরা সাধারণত মাসিক হিসেবে বেতন দিয়ে থাকে, একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তবে যদি কাজের অভিজ্ঞতা থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই বেতন বেশি হবে। অনায়াসে আপনি ১ লক্ষ টাকার বেশি বেতন পেতে পারেন। চলুন, আরো কিছু কাজের বেতন সম্পর্কে জানা যাক।
  • আপনি যদি হোটেলের কাজ করেন তাহলে সাধারণত ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারেন
  • এছাড়াও যদি কৃষিকাজ করেন মাঠে কাজ করেন সে ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকার মতো বেতন পেতে পারেন।
  • আর যদি কারখানার শ্রমিক হিসাবে বা কল কারখানা বা গার্মেন্টস শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন সে ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মত বেতন পাবে।
  • এছাড়াও যদি আপনি লেবারের কাজ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো বেতন পাওয়া যাবে।
এই দেশটিতে সরকারি কাজের বেতন অনেক বেশি পাওয়া যাবে যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে। যেরকম আমাদের দেশের সরকারি চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন। তবে এই দেশটিতে যদি আপনার যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি সরকারি চাকরি অনায়াসেই পেয়ে যাবেন। এতে কোন দুর্নীতি বা অযোগ্য লোককে কখনোই তারা চাকরি দেবে না। যোগ্যতা সম্পন্ন লোককে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।

তাই আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে অবশ্যই এদেশে চাকরি করা খুবই সহজ হবে। একজন সরকারি চাকরিজীবীর এদেশের সর্বনিম্ন বেতন ধরা হয় ৭৫ থেকে ৯০ হাজার টাকার মতো। এছাড়াও ভাতা বোনাস ইত্যাদি রয়েছে সব মিলিয়ে একজন সরকারি চাকরিজীবী বেতন পায় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মত।

ক্রোয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

প্রত্যেকটা দেশেই কিছু বিশেষ কাজের চাহিদা থাকে তাই ক্রোয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? এই সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে, তাহলে আপনি সে দেশে গিয়ে ভালো বেতনের চাকরি করতে পারবেন। চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণেই এ দেশে লোকজন যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে থাকে, সেই ক্ষেত্রে তারাও এ দেশ থেকে অনেক লোক নিয়ে থাকে। বিশেষ কিছু কাজের চাহিদা রয়েছে যে কাজগুলো বাংলাদেশের লোকজনে খুবই সুন্দর মত করতে পারে। আর সে ক্ষেত্রে আপনার যদি এই কাজগুলোর প্রতি অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি এদেশে যেতে পারেন এবং ভালোভাবে কাজ করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন, কোন কাজগুলোর চাহিদা রয়েছে বেশি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • কনস্ট্রাকশনের কাজ করতে পারেন অনেক চাহিদা রয়েছে
  • এছাড়াও মেকানিক্যাল কাজ করতে পারেন
  • ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করা যায়
  • ড্রাইভিং এর কাজের চাহিদা আছে
  • ক্লিনারের কাজের চাহিদা আছে
  • হোটেল বা রেস্টুরেন্টের কাজ করতে পারেন
  • রাজমিস্ত্রির কাজ করতে পারেন
  • গবাদি পশু পালনের কাজের চাহিদা আছে
  • এছাড়াও ফুড প্যাকেজিংয়ের কাজের ক্ষেত্র অনেক গুরুত্ব আছে।
উপরোক্ত কাজগুলো যদি আপনার জানা থাকে তাহলে যে কোন একটি কাজের উপর ভিত্তি করে ভিসা করে এ দেশে যেতে পারেন। এতে ভালো বেতনের চাকরি পাবেন এবং মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই এই কাজের উপর অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতা বা সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এই কাজের উপর তারা আপনার ভাইবা নিবে এবং অভিজ্ঞ লোকদের অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

ক্রোয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে

অনেকেই এই দেশে যেতে চায় কিন্তু জানেনা কত টাকা লাগতে পারে। তাই ক্রোয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে তাহলে অতিরিক্ত টাকা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। চলুন বিষয় জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
এ দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দেশটির অনেক সুনাম এবং ভিসার দাম আছে। এছাড়া ভিসা পাওয়াটা অনেকটাই কঠিন এবং জটিল। তাই আপনি সরকারিভাবে বোয়েসেলের মাধ্যমে যদি যেতে পারেন তাহলে কম খরচে যেতে পারবেন।
আর যদি বেসরকারি বা এজেন্সির মাধ্যমে বা দালালের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে অনেক টাকা লাগবে। তাই আপনি চেষ্টা করবেন সরকারি ভাবে তবে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার বিভিন্ন দাম রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
  • আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা যেতে চান সেক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে খরচ হবে ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত
  • কনস্ট্রাকশনের কাজের উপর যদি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার ৬ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে।
  • ভিজিট ভিসায় যদি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত।
  • কৃষি কাজের উপর যদি ভিসা করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মত।
  • ড্রাইভিং ভিসায় যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৭ থেকে ৯ লক্ষ টাকার মত।
  • শ্রমিক ভিসায় যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মতো।
  • রেস্টুরেন্টের ভিসায় যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
উপরোক্ত কাজগুলোর প্রতি চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের উপর গেলে কত টাকা হবে আশা করি সেটা বুঝতে পেরেছেন। আপনি এখন সিদ্ধান্ত নেবেন উপরোক্ত কোন কাজটা আপনার অভিজ্ঞতা আছে এবং কত টাকা লাগবে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আপনি যেতে পারেন।

ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনি যদি এই দেশটিতে কাজের উদ্দেশ্যে যান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। তাই ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানতে হবে। কত টাকা খরচ হতে হবে ইত্যাদি জানার পরে আপনি যাবেন চলুন এ বিষয়ে যেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি এই দেশটিতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এই ভিসা করতে হবে। তাছাড়া আপনি ওই দেশে গিয়ে কাজ করতে পারবেন না। দুই রকমের ভিসা হয়ে থাকে একটি হল অল্প সময়ের মধ্যে আপনাকে থাকতে হবে। আর আরেকটি হলো লং টাইম হিসেবে আপনি কাজ করতে পারবেন। শর্ট টাইম হিসাবে আপনি ১ বছরের জন্য কাজ করতে পারবেন।

আর দীর্ঘ মেয়াদী কাজের জন্য ১ বছরের বেশি কাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে এই ভিসা করতে হবে এবং আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার সকল ডকুমেন্ট দিয়েই এই দেশে যেতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

আপনার কাগজপত্র যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন। আবেদন করতে পারেন তাহলে এই দেশটির কোম্পানিগুলো আপনার সাথে যোগাযোগ করে আর সকল কিছু ব্যবস্থা করে দেবে এবং আপনাকে যদি পছন্দ হয় ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মনে হয় তাহলে তারা তাদের কোম্পানির জন্য আপনাকে উপযুক্ত নিয়োগ দেবেন।

ক্রোয়েশিয়া যেতে কি কি লাগে

এই দেশটিতে যাওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার ডকুমেন্টস লাগে। তাই ক্রোয়েশিয়া যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে পারবেন। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

এ দেশটিতে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ভিসার প্রয়োজন আর সেটার জন্য অবশ্যই আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরমটার সাথে প্রয়োজনে কিছু কাগজপত্র দিতে হবে। এছাড়াও অনলাইনে আপনার এই কাগজপত্র জমা দেওয়া লাগবে। সে ক্ষেত্রে যে ডকুমেন্টস বা কাগজগুলো লাগে সেগুলো অবশ্যই নির্ভুলভাবে আপনাকে দিতে হবে। চলুন যে কাগজগুলো লাগে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • প্রথমে আপনাকে ভিসার আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে
  • ছয় মাস মেয়াদী আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকা লাগবে
  • জাতীয় পরিচয় পত্র অবশ্যই থাকতে হবে অথবা অনলাইনে জন্ম সনদ থাকা লাগবে
  • আবেদনকারীর মেডিকেল রিপোর্ট প্রয়োজন
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন
  • সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে
  • করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট লাগবে
  • এছাড়াও আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ছয় মাসের ব্যাংকে স্টেটমেন্ট দিতে হবে।
  • এবং সর্বশেষ প্রজেক্ট কোম্পানির মাধ্যমে আপনি যেতে চান সেই কোম্পানির কাজের অফার লেটার লাগবে।
উপরোক্ত এই ডকুমেন্ট কাগজপত্র গুলো যদি আপনার সঠিক থাকে তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদনপত্র যদি ভালোভাবে করতে পারেন সে ক্ষেত্রে তারা আপনাকে পছন্দ করে জানিয়ে দেবে তাদের কোম্পানিতে নিয়োগ দিবে।

ক্রোয়েশিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে

এ দেশটিতে যাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট বয়সের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই ক্রোয়েশিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে? এ সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে তাহলে আপনি সঠিকভাবে জেনে শুনে যেতে পারবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে এই দেশটিতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আবেদন করতে হবে। আর আবেদন করার ক্ষেত্রে বয়সের সীমাবদ্ধতা রয়েছে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ২১ বছর সর্বনিম্ন হতে হবে এবং সর্বোচ্চ ৪৫ বছর পর্যন্ত আপনি আবেদন করতে পারবেন।
আর যদি ভিজিট ভিসায় আপনি এ দেশটিতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে বয়সের কোন সীমাবদ্ধ থাকবে না। যদি আপনি অনেক ছোট হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই বাবা-মার অনুমতি পত্র লাগবে। তাহলেই আর কোন সমস্যা হবে না। তাই অল্প বয়সেও আপনি নিশ্চিন্তে যেতে পারবেন এতে কোন সন্দেহ নেই।

ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসার বেতন সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন জানুন

বাংলাদেশে কি ক্রোয়েশিয়ার দূতাবাস আছে?

বাংলাদেশের সাথে এই দেশটির কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং এদেশে একটি দূতাবাস রয়েছে ঢাকার মধ্যে অবস্থিত। তাই দেশের এই দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন কূটনীতিক যোগাযোগ করার জন্যই এই দেশটিতে একটি দূতাবাস রয়েছে।

ক্রোয়েশিয়া ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

এদেশের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগে তবে সর্বনিম্ন দুই মাস থেকে তিন মাসের মধ্যে দিতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে?

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে প্রায় ১৮ থেকে ২০ ঘন্টার মত লাগতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়া বিমান ভাড়া কত?

বাংলাদেশ থেকে এই দেশটি যদি আপনি যেতে চান সে ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া পড়বে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার মত।

বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়া কত কিলোমিটার?

বাংলাদেশ থেকে এই দেশটির দূরত্ব ৭ হাজার ২৮ কিলোঃ এর মত।

শেষ কথাঃ ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা বেতন কত আপডেট তথ্য জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে ক্রোয়েশিয়া একটি উন্নত দেশ যেখানে যাওয়ার জন্য অনেকেই আগ্রহ হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি এই দেশটিতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, সেক্ষেত্রে ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা বেতন কত? এ সম্পর্কে আপনাকে জেনে যেতে হবে। তাহলেই আপনার সুবিধা হবে তাই কোন কাজের কত বেতন এর সম্পর্কে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনার উপকার হবে, পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪