বাংলাদেশ থেকে উগান্ডা বিমান ভাড়া সম্পর্কে আপডেট তথ্য জানুন
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এই দেশে ভ্রমণ করতে যেতে চায়, তাই বাংলাদেশ থেকে উগান্ডা বিমান ভাড়া সম্পর্কে তারা জানতে আগ্রহী। চলুন, উগান্ডায় যাওয়ার জন্য কোন বিমানের কত টাকা ভাড়া কত এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে যেতে চান, সেক্ষেত্রে সরাসরি যেতে পারবেন না। ভারতের দিল্লিতে গিয়ে আবেদন করে এ দেশের বিমানের মাধ্যমে যেতে পারবেন। তাই বাংলাদেশ থেকে উগান্ডা বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে উগান্ডায় যেতে বিমান ভাড়া কত? জানুন
বাংলাদেশ থেকে উগান্ডা বিমান ভাড়া
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই উগান্ডায় ভ্রমণের জন্য বেশিরভাগ যায়। তাই বাংলাদেশ থেকে উগান্ডা বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, উগান্ডার বিমান ভাড়া কত হতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।
এ দেশটিতে ভ্রমণ করার জন্য মানুষ বেশি যায় কেননা এটা একটি সহজ প্রক্রিয়া এবং খুবই কম খরচেই ভ্রমণ করা যায়। তাই ভ্রমণকারীদের জন্য আকর্ষণীয় একটি দেশ এবং প্রকৃতি খুবই সুন্দর ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। আপনি চাইলে এই দেশটিতে ভ্রমন করতে পারবেন এবং এদেশের সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে এই দেশে যদি আপনি যেতে চান, সে ক্ষেত্রে বিমানের মাধ্যমে যেতে হবে। তাই অনেকে জানতে চায় যে বিমান ভাড়া কত হতে পারে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে বাংলাদেশ থেকে যদিও সরাসরি যেতে পারবেন না, সে ক্ষেত্রে ভারত হয়ে যেতে হবে। তাই আপনি যদি বিমানের মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে ভাড়া হবে ৪০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো।
তবে এ ক্ষেত্রে বিমানের উপর নির্ভর করবে, তাই ভাড়া কম বেশি হতে পারে। আপনি যাচাই-বাছাই করে যে বিমানের মাধ্যমে গেলে ভালো হবে এবং আপনার টাকা সাশ্রয় হবে সেই বিমানটি বেছে নিবেন। চলুন, এই দেশটিতে যে বিমানগুলো যাতায়াত করে থাকে, সে বিমানগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- উগান্ডা এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যেতে পারেন
- সাউথ আফ্রিকান এয়ারওয়েজ নিয়মিত যাতায়াত করে
- ইথিওপিয়ান এয়ার লাইন্স এর মাধ্যমে যাওয়া যাবে
- তুর্কিস এয়ারলাইন্স নিয়মিতভাবে যায়
- এমিরেটস এই বিমানের মাধ্যমে যেতে পারবেন
- কেনিয়া এয়ারওয়েজ মাধ্যমে যাওয়া যায়
- কাতার এয়ারওয়েজ মাধ্যমে যেতে পারেন
- ব্রাসেলস এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যাওয়া যায়
- ফ্লাই দুবাই এর মাধ্যমে যেতে পারবেন।
উপরোক্ত বিমানগুলোর মাধ্যমে আপনি এ দেশটিতে যেতে পারবেন, খুবই কম খরচে। তবে অবশ্যই এই বিমানগুলোর সাথে যোগাযোগ করে এই দেশটিতে যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে উগান্ডা যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই এ দেশটিতে যেতে চায়, তাই বাংলাদেশ থেকে উগান্ডা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি সহজ ভাবে যেতে পারবেন। চলুন, কিভাবে উগান্ডা যাওয়া যায় সে সম্পর্কে জানা যাক।
বাংলাদেশ থেকে এ দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই কঠিন হয়, সরাসরি আপনি যেতে পারবেন না। এজন্য অবশ্যই ইন্ডিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে অথবা অন্য কোন দেশের মাধ্যমে যাওয়া লাগবে। তাই আপনি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ভারতের দিল্লিতে গিয়ে সেখানে বিমানের মাধ্যমে যেতে পারবেন এবং সেখান থেকে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ভারতের দিল্লিতে এ দেশের এম্বাসি রয়েছে, তাই এখানে যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন।
সেখানে ভিসার জন্য আবেদন করবেন, আবেদনের সকল কিছু পূরণ করতে হবে এবং ডকুমেন্টসগুলো দিতে পারেন। তাহলে আপনার আবেদন অনুমোদন হবে এবং বর্তমানে এই দেশটির সরকার ই ভিসা চালু করেছে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতির মাধ্যমে ভিসা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে আপনি দিল্লি এম্বাসিতে গিয়ে ভিসা আবেদন করতে পারবেন এবং নিরাপদে যেতে পারবেন।
এই দেশটি অত্যন্ত শান্ত প্রিয় এবং সেখানকার মানুষও খুবই ভালো। এই দেশে ব্যবসা বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে দারুন একটা পরিবেশ রয়েছে। তাই বিভিন্ন দেশের লোকজন এই দেশটিতে জায়গা কিনে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে অথবা অনেকে বাড়িঘর করে সেখানে স্থায়ীভাবে শান্তি ভাবে বসবাস করার জন্য যাচ্ছে। কেননা এই দেশটিতে খুবই কম দামে জমে বিক্রি করা হয়, যার কারণে অনেকেই এখানে জমি কিনে বসবাস করার চিন্তা ভাবনা করছে।
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে এই দেশটি অত্যন্ত শান্ত সৃষ্ট এবং রাষ্ট্রের মানুষগুলোই খুবই ভালো। তাছাড়া লোকজন খুবই কম বসবাস করে, এজন্য অন্যান্য দেশ থেকেও অনেকেই জমি কিনে ব্যবসা-বাণিজ্য করা শুরু করেছে।
যদি বাংলাদেশ থেকে এই দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য অথবা ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা ভ্রমণ করার জন্য যেতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ইন্ডিয়ায় গিয়ে ই-ভিসার মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন এবং প্রসেজটা সহজ হবে কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আপনার এই দেশটিতে যাওয়া খুবই কঠিন হবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ভিসা করতে হবে, তাহলে আপনি এই দেশটিতে যেতে পারবেন।
কিভাবে উগান্ডার ভিসা পাবেন
যে পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি ভিসা পেতে পারেন, তাই কিভাবে উগান্ডার ভিসা পাবেন? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, সহজ পদ্ধতিতে কিভাবে আপনি ভিসা পাবেন সে সম্পর্কে জানা যাক।
আপনার ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু ডকুমেন্টস লাগবে, এজন্য প্রথমে আপনি আবেদন ফরমটি সম্পন্নভাবে পূরণ করবেন। যেন কোন সমস্যা না হয় এবং ভুলত্রুটি না হয়। অবশ্যই বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করা লাগে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সুন্দর মতে আপনার সকল তথ্য নির্ভুলভাবে পূরণ করবেন।
আপনি যদি কাজ করার জন্য যে ভিসাটি করতে চাচ্ছেন তা প্রথমে ওয়েবসাইট থেকে ফরমটি ডাউনলোড করা লাগবে এবং সঠিকভাবে পূরণ করবেন।
আপনার যদি কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে সেক্ষেত্রে তাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমেও কিভাবে সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণ করা যায় তাদের থেকে জেনে নিবেন।
আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা যাওয়ার জন্য ইচ্ছা করেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অগ্রিম হোটেল বুকিং করা লাগবে এবং সেই তথ্য তার ডকুমেন্টস প্রিন্ট কপি জমা দিতে হবে।
আপনি ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন কিনা সেই বিষয়টি জানাতে হবে এবং সে ডকুমেন্টসগুলোও দিতে হবে।
আপনি সেখানে কতদিন থাকবেন সকল তথ্য এবং ফিরে আসার সময় যে টিকিট গ্রহণ করবেন সেটা আপনাকে আগে থেকে কেটে রাখা লাগবে এবং তার প্রিন্ট কপি জমা দিতে হবে।
এছাড়া আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ আছে।
জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দিতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের কিছু ডকুমেন্টস লাগবে যা আপনি এজেন্সির মাধ্যমে জেনে নিবেন এবং তাদের সহযোগিতা নিয়ে সঠিকভাবে তথ্যগুলো পূরণ করবেন।
উগান্ডা ভ্রমণ খরচ
আপনি যদি ভ্রমণ করার জন্য যেতে চান সেক্ষেত্রে উগান্ডা ভ্রমণ খরচ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, ভ্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত এবং খরচ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এই দেশটির ভিসা অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে এবং এদের দূতাবাস কমিশনে যোগাযোগ করতে হবে। তাছাড়া আপনি যদি বৈধ পাসপোর্ট করে থাকেন সেক্ষেত্রে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তাই অনলাইন ই ভিসার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে, এক্ষেত্রে আপনার আবেদন ফি ৫১ মার্কিন ডলারের মত লাগবে। যা পূর্ব ১০১ মার্কিন ডলার লাগতো বর্তমানে এই দেশটিতে অনলাইনে ভিসা করার সুযোগ দেওয়ার কারণে খরচ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।
আপনি যদি ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যান সে ক্ষেত্রে ৯০ দিন থাকতে পারবেন, এক্ষেত্রে আপনার আবেদন ফি ৫১ মার্কিন ডলারের মত লাগবে। এছাড়াও এর বেশি আপনি থাকতে পারবেন না, ৮৯ দিনের আগে আপনাকে চলে আসতে হবে।
একাধিক প্রবেশের ভিসার জন্য আপনার খরচ ব্যয়বহুল হবে। এ জন্য কূটনৈতিক মিশন থেকে আপনাকে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে, আপনি এখানে ৯০ দিনের বেশি থাকতে পারবেন না। তবে আপনি অনেকবার ভ্রমণ করার জন্য বারে বারে ভিসা করতে পারবেন, এই সুযোগটি তারা দিয়েছে। যা আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
উগান্ডা এর বিভিন্ন FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জেনে নিন
উগান্ডায় কাজ করার ভিসা লাগে?
যদি আপনি কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে উগান্ডার ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়?
এই দেশটি বর্তমানে ই ভিসা চালু করেছে যার মাধ্যমে সহজভাবে ভিসা আবেদন করা যায় এবং অনলাইনের মাধ্যমেই সকল ডকুমেন্ট জমা দেওয়া যাবে। তাই আপনি ইলেকট্রনিক ভিসা পদ্ধতির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করে ভিসা পেতে পারেন।
উগান্ডা ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
যেহেতু ই ভিসা চালু করেছে সে ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে কাজ হয়ে থাকে, তাই ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই ভিসার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে ভিসা পেতে পারেন।
উগান্ডা বিমান যেতে কত সময় লাগে?
আপনি বিমানের মাধ্যমে একদিকে যখন যাবেন সেক্ষেত্রে ২০ ঘন্টা ৯ মিনিটের মত সময় লাগতে পারে।
উগান্ডায় কতদিন থাকা যায়?
যেহেতু আপনি পর্যটন, চিকিৎসা, পারিবারিক পরিদর্শন, ভ্রমণ ইত্যাদি ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন সেই ক্ষেত্রে ৩ মাসের বেশি থাকতে পারবেন না।
শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বিমানের মাধ্যমে এই দেশে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে বিমানের উপর নির্ভর করবে কত টাকা ভাড়া লাগবে। তাই বাংলাদেশ থেকে উগান্ডা বিমান ভাড়া সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা আছে। আশা করি উপকার হবে, পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url