বাংলাদেশ থেকে মিশর যেতে কত টাকা লাগে ও গার্মেন্টস ভিসা সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশের অনেক লোক মিশরে কাজ করার জন্য যায় তবে বাংলাদেশ থেকে মিশর যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে হয়তো তাদের ধারণা নেই। চলুন, মিশরে বিভিন্ন ভিসার খরচ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যদি মিশরে যেতে চান সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশ থেকে মিশর যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে মিশর যেতে কত টাকা লাগে ও গার্মেন্টস ভিসা সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশ থেকে মিশর যেতে কত টাকা লাগে

অনেকে জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে মিশর যেতে কত টাকা লাগে? আসলে আপনি কোন ভিসায় যাবেন তার ওপর নির্ভর করবে কত টাকা লাগতে পারে। চলুন, কোন ভাষায় কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কাজের ভিসা খরচঃ আপনি যদি কাজ করার উদ্দেশ্যে এই দেশটিতে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে একটু বেশি খরচ পড়বে। কেননা প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক লোক এই দেশে কাজ করতে আসে। বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক কাজ করার উদ্দেশ্যে যায়। তবে এদেশটিতে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে খুব কম লোক যায়। অধিকাংশ মানুষ বাংলাদেশ থেকে এই দেশে যায় সাধারণত ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্য অথবা ভ্রমন করার জন্য।

তাই বাংলাদেশ থেকে আপনি যখন এ দেশে যাবেন সেক্ষেত্রে কাজের ভিসার খরচ ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। তবে অবশ্যই আপনি সরকার অনুমোদিত ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে গেলে এই টাকার মধ্যে যেতে পারবেন কিন্তু যদি কোন দালালের মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে কিন্তু প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে আবার খরচ বেশি হবে।

যদি কোন দালালের মাধ্যমে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার মত লাগবে। তবে চেষ্টা করবেন আপনার যদি কোন আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধব পরিচিত কেউ থাকে তাদের মাধ্যমে গেলে আপনি কম খরচে যেতে পারবেন এবং নিরাপদে যেতে পারবেন।

টুরিস্ট ভিসা খরচঃ যেহেতু এই দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে। তার মধ্যে যেমন পিরামিড আছে, এটা দেখার জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ আসে। তাছাড়াও আরো কিছু আশ্চর্যজনক জিনিস রয়েছে যেগুলো দেখার জন্য মানুষজন আসে। তাছাড়া এখানে নদী নালা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরপুর তাই মানুষ ভ্রমণ করার জন্য আসেন।

বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক ভ্রমণ করার জন্য আসে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের লোকজনের এখানে ভ্রমণ করার জন্য খরচ একটু কমই হয়ে থাকে। আপনি যদি এই দেশটিতে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্য আসেন তাহলে ভিসা খরচ হবে মাত্র ৪০০০ থেকে ৫ হাজার টাকার মত। তবে বিমান ভাড়া আপনাকে বেশি দিতে হবে সে ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে।

গার্মেন্টস ভিসা খরচঃ আপনি যদি এই দেশে গার্মেন্টস ভিসার মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে, এই দেশে আপনি অনেক টাকা বেতনের চাকরি করতে পারবেন। তবে এই পেশায় যদি আসতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। মূলত গার্মেন্টস ভিসা নামে কোন ভিসা নেই।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত এ দেশে প্রচুর পরিমাণে গার্মেন্টস রয়েছে, যেখানে তারা প্রতি বছরে হাজার হাজার লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই বিভিন্ন দেশ থেকে এ দেশে গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য আসে। তাই বাংলাদেশ থেকেও অনেক লোক এ দেশে গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করার জন্য আসে।

কেননা এই দেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের চাহিদা বেশি এবং বেতন অনেক দিয়ে থাকে। বিশেষ করে এখানে টেক্সটাইল ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাকশন সুপারভাইজার পদে অনেক লোক নিয়ে থাকে, এক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

চাকরির অফারঃ এই ভিসায় যেতে হলে অবশ্যই এ দেশটির গার্মেন্টস কোম্পানির চাকরির অফার লেটার লাগবে।

ওয়ার্ক পারমিটঃ আপনাকে যখন নিয়োগ দেওয়া হবে সে ক্ষেত্রে নিয়োগ কর্তা থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে, এ ক্ষেত্রে অবশ্যই এদের ম্যানপাওয়ার মন্ত্রণালয় আবেদন করা লাগবে।

কাগজপত্রঃ যখন আপনি এখানে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাইবেন সেক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে সেগুলো সংগ্রহ করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে আপনি যখন এই ভিসায় যাবেন, সেক্ষেত্রে আপনার কত টাকা খরচ করতে পারে সেটা নির্ভর করবে বিভিন্ন এজেন্সির উপরে। এক্ষেত্রে আপনার ভিসা ফি বিমান ভাড়া এছাড়া আনুষঙ্গিক কারো কিছু খরচ রয়েছে, সবকিছু মিলিয়ে আপনার খরচ হতে পারে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মতো। তবে এটা এজেন্সির উপর নির্ভর করবে।

যদি কোন সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে উপরোক্ত এই টাকার মধ্যে যেতে পারবেন। কিন্তু যদি কোন দালানের মাধ্যমে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে বেশি খরচ হতে পারে।

স্টুডেন্ট ভিসা খরচঃ আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এ দেশটিতে পড়াশোনা করতে যেতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে যে, কোন বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করতে চাচ্ছেন। কেননা এই দেশে অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখানে প্রতিবছর বাংলাদেশের অনেকে পড়াশোনা করতে যায়।

তবে স্টুডেন্ট ভিসায় যদি আপনি যেতে চান সেক্ষেত্রে খরচটা নির্ভর করবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর। কেননা সেখানে ভর্তি চিঠি লাগবে, পাসপোর্ট, আর্থিক প্রমাণপত্র লাগবে। এছাড়াও ৫ বছর পর্যন্ত থাকতে বৈধ কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। চলুন স্টুডেন্ট ভিসা করার জন্য যে প্রক্রিয়ায় যেতে হবে সেগুলো সম্পর্কে জানা যাক।

ভর্তির চিঠিঃ আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চাচ্ছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির নিশ্চয়তা পত্র লাগবে।

আবেদন প্রক্রিয়াঃ আপনি যখন আবেদন করবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এদেশের দূতাবাসে আবেদন করা লাগবে, সেক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। চলুন, সেই সম্পর্কে জানা যাক।
  • অবশ্যই আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকা লাগবে
  • ভর্তির আবেদন পত্র বা চিঠি লাগবে
  • সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির প্রয়োজন হবে।
  • ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দিতে হবে
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে মেডিকেল সার্টিফিকেট দিতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি ৯০ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত যেখানে থাকবেন, সেরকম বৈধ তা থাকতে হবে এবং এটা আপনি যে কোর্স করবেন তার উপর নির্ভর করবে।

এক্ষেত্রে আপনার বাংলাদেশ থেকে যদি এ দেশে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ভিসা খরচ বাবদ ১ থেকে ২ লাখ টাকার মত লাগবে। এছাড়াও বিমান ভাড়া, ভিসা, থাকা খাওয়ার খরচ এগুলো আপনার নিজের বহন করতে হবে।

তবে বিমান ভাড়া ক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মত। তাছাড়া থাকা খাওয়ার খরচ নির্ভর করবে কেমন ধরনের হোটেলে আপনি থাকবেন অথবা ক্যাম্পাসের হোস্টেলে যদি থাকতে পারেন তাহলে খুবই কম খরচ হবে। সেক্ষেত্রে আপনার মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে।

এছাড়া আরো কিছু দৈনন্দিন খরচ হতে পারে যেমন বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করা সব মিলে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার মত লাগবে।

মিশর কাজের বেতন

আপনি যদি এই দেশে কাজের উদ্দেশ্যে যান সে ক্ষেত্রে বেতন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, মিশর কাজের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যখন কাজের ভিসায় যাবেন সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করবে বেতন কেমন হবে। তাছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা যদি থাকে তাহলে কোম্পানিগুলো বেশি বেতন দিয়ে থাকে। তাই চলুন কোন কাজের কত টাকা বেতন হতে পারে সে সম্পর্কে তুলে ধরা হল;

সকল কাজের ক্ষেত্রে বা গড় একটা বেতন দেওয়া হয় তাহল; মাসে ৬ হাজার থেকে ৯০০০ পাউন্ড এর মত। এছাড়া সরকারীভাবে বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭০০ পাউন্ড এর মত।

আর যদি কোন শিল্প কল কারখানা, গ্যাস, তেল ও তথ্য প্রযুক্তি, টেকনিক্যাল, টেলিমেডিসিন ইত্যাদি কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে অন্যান্য কাজের তুলনায় একটু বেশি বেতন পাবেন। যদি আপনার অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ভালো থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যান্য কাজের চেয়ে বেশি বেতন পাবেন। তবে এদেশের জীবন যাত্রার মান ব্যয়বহুল।

বাংলাদেশ থেকে মিশর বিমান ভাড়া কত

বিমান ভাড়া একটু বেশি হয়ে থাকে তাই বাংলাদেশ থেকে মিশর বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি একটি ধারণা পাবেন। চলুন, কোন বিমানে কত টাকা ভাড়া হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যদি এয়ার এরাবিয়া বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ৫২ হাজার ৩৬০ টাকা এর মত খরচ হতে পারে।

এয়ার এরাবিয়া আবুধাবি এই বিমানের মাধ্যমে যদি যাওয়ার ইচ্ছা করেন এক্ষেত্রে খরচ হবে ৫৪ হাজার ৮৬৫ টাকার মত।

তাছাড়া যদি আপনি চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ৬০ হাজার ২৩৫ টাকার মত লাগবে।

সৌদি আরাবিয়ান এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৬৪ হাজার ৭১৫ টাকার মত লাগবে।
গালফ এয়ার এই বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ৬৬ হাজার ৮২০ টাকার মত।

আপনি যদি কাতার এয়ারওয়েজ এই বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৭০ হাজার ৮৫০ টাকার মত খরচ হবে।

টার্কিশ এয়ারলাইন্স এই বিমানের মাধ্যমে যদি যান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৭৩ হাজার ১০০ টাকার মত।

এমিরেটস এয়ারলাইন এই বিমানের মাধ্যমে যদি যান সে ক্ষেত্রে আপনার ৭৫ হাজার ৮০০ টাকার মতো খরচ হবে।

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যদি যান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৮২ হাজার ৯০০ টাকার মত।

এছাড়া এয়ার ইন্ডিয়া মাধ্যমে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৮০ হাজার ৩০০ টাকা।

তাছাড়া এতিহাদ এয়ারওয়েজ এর মাধ্যমে যদি যান সে ক্ষেত্রে ৯৭৯০০ টাকা খরচ হবে।

এছাড়াও যদি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই বিমানের মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে ৯৫ হাজার ৮০০ টাকার মত খরচ লাগতে পারে।

মিশরে কোন কাজের বেতন বেশি

মিশরের বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তবে কিছু কাজের গুরুত্ব বেশি। তাই মিশরে কোন কাজের বেতন বেশি? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কোন কাজের বেতন বেশি সে সম্পর্কে জানা যাক।

আপনি যখন এই দেশটিতে যাবেন তখন অবশ্যই আগে জানতে হবে বাঙালিরা এখানে কি কাজ করে থাকে এবং সে কাজের গুরুত্ব কত? বেতন কি রকম দিয়ে থাকে ইত্যাদি বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন। এদেশে সাধারণত বাঙালীরা অধিকাংশ কাজ করে কৃষি ও নির্মাণ কাজ। এই কাজের প্রতি তাদের অনেক অভিজ্ঞতাও থাকে এবং এই দেশটি তাদের দ্বারাই কাজটা করাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বা পছন্দ করে থাকে।

তাছাড়াও এই দেশটিতে অধিকাংশ লোকজন বিভিন্ন ধরনের পরিছন্নতা কর্মী, বিশেষ করে মসজিদ, মাদ্রাসার পরিছন্নতার কর্মী হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও রেস্টুরেন্ট বা রিসোর্ট হোটেল এর পরিচ্ছন্নতা বয় বা কর্মী হিসেবে কাজ করে থাকে।

যেহেতু এটি মুসলিম রাষ্ট্র সেহেতু এ দেশের অধিকাংশ জায়গায় বিভিন্ন মসজিদ তৈরি করা হয়। বিভিন্ন নকশা বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য টাইলসের ব্যবহার বেশি করা হয়। সে ক্ষেত্রে টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে যদি আপনার কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে এই কাজে যেতে পারেন। এই কাজের চাহিদা অনেক রয়েছে এবং বেতন বেশি পাওয়া যায়।

আপনি যদি উচ্চশিক্ষিত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোতে বেশি কাজের চাহিদা রয়েছে তাহল; বিশেষ করে আইটি সেক্টরে যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গেম ডেভেলপমেন্ট ও নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভালো চাহিদা রয়েছে। তাই এ বিষয়ে যদি আপনার অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি যেতে পারেন, এতে তারা উচ্চ মানের বেতন দিয়ে থাকে।

মিশর যাওয়ার উপায়

আপনি যদি এ দেশটিতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে মিশর যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে এবং কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিতে হয়। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি বৈধ ভাবে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একটা বৈধ পাসপোর্ট লাগবে এবং তার মেয়াদ অবশ্যই ৬ মাস পর্যন্ত থাকতে হবে।

এদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে, সেক্ষেত্রে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার মত।

আপনি যদি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্য ট্রেড লাইসেন্স লাগবে এবং সেটা ইংরেজিতে হতে হবে।

আপনি যদি চাকরি করার উদ্দেশ্যে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে এবং সেটার প্রমাণপত্র দিতে হবে।

এছাড়াও সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপনাকে দিতে হবে।

মিশর ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন লাগে

অনেকে জানতে চায় যে মিশর ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন লাগে? আসলে এটা নির্ভর করবে ভালো মানের এজেন্সির উপরে। যদি আপনি ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে কম সময় লাগবে। তাই চলুন এ বিষয়ে জানা যাক।
ছবি
আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে সঠিকভাবে ভিসা আবেদন করে থাকেন এবং কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দিতে পারেন, তাহলে আপনার ভিসা প্রসেসিং হতে সর্বোচ্চ সময় লাগবে ১০ থেকে ২০ দিনের মত। এই সময়ের মধ্যেই ভিসা প্রসেসিং হয়ে যাবে, শুধুমাত্র আপনি বিমানের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করে এ দেশটিতে যেতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে মিশর কত কিলোমিটার

অনেকে জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে মিশর কত কিলোমিটার? আসলে এটা নির্ভর করবে দূরত্বের উপর। যেহেতু বাংলাদেশ থেকে এই দেশটি অনেক দূরে অবস্থিত।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এই দেশে যেতে চান সে ক্ষেত্রে একটু দূরত্ব বেশি হয়ে থাকে এবং সময়ও বেশি লাগবে। তাই বাংলাদেশ থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫৯৪০ কিলোমিটার এর মত। যেহেতু বাংলাদেশ থেকে একটু দূরত্ব বেশি তাই সেভাবে আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে মিশর যেতে কত সময় লাগে

বাংলাদেশ থেকে যেহেতু এ দেশটি অনেক দূরে অবস্থিত। তাই বাংলাদেশ থেকে মিশর যেতে কত সময় লাগে? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে সেভাবে প্রস্তুত নেওয়া যেতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

যেহেতু এই দেশটি বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। তাই সময় বেশি লাগবে তবে এটা নির্ভর করবে বিমানের উপরে। কেননা ভালো মানের বিমানগুলো অল্প সময় লাগে, যদি বিমান অন্য একটি রাষ্ট্রের ভিতরে বিরতি দেয়, তাহলে সে ক্ষেত্রেও সময় বেশি লাগতে পারে।

তবে ধারণা করা হয় যে বাংলাদেশ থেকে এ দেশটিতে ভালো মানের কোন বিমানের মাধ্যমে গেলে সময় লাগতে পারে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার মতো। আর যদি কোন লোকাল বিমানের মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে আপনার সময় লাগবে ২২ থেকে ২৪ ঘন্টার মত।

বাংলাদেশ থেকে মিশর যাওয়ার ক্ষেত্রে FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন

মিশর যাওয়ার সবচেয়ে কম খরচ কোন মাসে হয়?

আপনি যদি কম খরচে যেতে চান তাহলে নির্দিষ্ট মাসে গেলে খরচ কম হবে, সেই ক্ষেত্রে জুন থেকে আগস্ট মাস এবং ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে সাধারণত লোকজন কম ভ্রমণ করে থাকে এবং হোটেল ভাড়া ইত্যাদি সকল কিছু খরচ কম হয়।

মিশরে ১ ডলার কত?

১ ডলার সমান ৫০ পাউন্ড।

মিশরে কি ডলার নেওয়া যায়?

হ্যা, আপনি নিতে পারবেন তবে যেকোনো দেশের বৈদেশিক মুদ্রা নিতে হলে অবশ্যই ১০ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ নিতে হবে।

মিশরে কত টাকা আনা যায়?

আপনি যদি এদেশে আসতে চান সে ক্ষেত্রে ৫ হাজার পাউন্ড নিয়ে আসতে পারবেন বা এর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্যঃ বাংলাদেশ থেকে মিশর যেতে কত টাকা লাগে ও গার্মেন্টস ভিসা সম্পর্কে জানুন

অবশেষে বলা যায় যে আপনি যদি মিশর যেতে চান সেক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হবে সেটা নির্ভর করবে কি কাজের জন্য আপনি যাচ্ছেন। আসলে এই দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে বেশি লোক নিয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে মিশর যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি ধারণা পাবেন। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪