চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল এর উপকারিতা
যদি আপনি প্রাকৃতিক তেল দিয়ে চুলের যত্ন করতে চান, তাহলে চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল নারী-পুরুষ উভয় ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন, চুলের জন্য মেথি ও কালোজিরার তেল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কালোজিরা ও মেথি বিভিন্ন ভাবে উপকার করে থাকে, তাই মিশ্রণটি চুলে ব্যবহার করলে চুল ঘন ও লম্বা এবং উজ্জ্বল ঝলমলে দেখাবে। তাই চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃচুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল এর উপকারিতা
চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল
চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল এর উপকারিতা রয়েছে। তাই চুলের পুষ্টির জন্য মেথি ও কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
চুলের যত্নে এর ব্যবহারঃ প্রায় সবাই এই প্রাকৃতিক উপাদানটি চুলে ব্যবহার করে থাকে। এটি ঔষধি গুণ হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কেননা এর মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন সি, আয়রন এবং বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা চুলের জন্য খুবই উপকার। চুলকে মজবুত করে এবং ভাঙ্গা চুলকে প্রতিরোধ করতে পারে, এছাড়া মাথার ত্বকের উন্নতির জন্য কাজ করে।
চুলের যত্নে এর উপকারিতাঃ এই মিশ্রনটি চুলকে বৃদ্ধি এবং পুনজ্জীবিত করে। এটি চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে অনেক উপকার করে থাকে। চুলকে স্বাস্থ্যবান এবং মজবুত ও উজ্জ্বল করতে পারে। এর মধ্যে যে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল থাকে তা চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে, এটা চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে থাকে। এই মিশ্রণটি একসাথে মিশিয়ে তেল তৈরি করে নিয়মিতভাবে ব্যবহার করতে পারেন, এতে ভালো ফলাফল পাবেন।
এর মধ্যে থাকে ফলিক এসিড, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, প্রোটিন যা চুলের বৃদ্ধিতে অনেক কাজ করে থাকে ও চুল পড়া কমিয়ে দেয়। তাই নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
হেয়ার অয়েল তৈরি করুনঃ এই দুটি উপাদান পরিমাণ মতো নিয়ে ব্লেন্ডারে গুড়া করে একটি পাত্রে নিতে পারেন এবং নারকেলের তেল গরম করে সেগুলোর সাথে মিক্স করে নিবেন। এরপর কিছুক্ষণ হালকা আচে গরম করে নিয়ে সুন্দর করে ছেঁকে নিবেন। তারপর ঠান্ডা হলে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। আলতোভাবে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে থাকবেন এবং এই মিশ্রণটি ঘন্টা খানেক রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে মাথা পরিষ্কার করতে হবে।
হেয়ার মাস্কঃ এটি দিয়ে আপনি হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন, তবে তৈরি করার পূর্বে এই দানাগুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং পরিমাণ মত টক দই নিয়ে ব্যালেন্ডার করতে হবে। তারপর হেয়ার মাস্ক তৈরি হয়ে যাবে যেটা আপনার মাথায় বা চুলে লাগাতে পারেন। এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করার ঘন্টা খানেক পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
চুলের যত্নে এর পুষ্টিগুণঃ চুলের যত্নের ক্ষেত্রে এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। এর মধ্যে ফ্যাটি এসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে চুলকে পুষ্টি প্রদান করে এবং চুলকে মজবুত ও শক্তিশালী করে।
এই তেল ব্যবহার করার ফলে মাথার ত্বকের মধ্যে যদি কোন সংক্রমণ থাকে, প্রদাহ এবং চুলকানি হয়। তাহলে এই ধরনের সমস্যাগুলো দূর করতে সাহায্য করতে পারে। এই মিশ্রণটি একসাথে ব্যবহার করলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। এজন্য মধুর সাথে এই মিশ্রণটি ব্লেন্ডার করে নিতে পারেন, আপনার প্রয়োজন মত মাথার ত্বকে বা চুলে এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। ৩০ মিনিট পর ভালো শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন।
এই তেল এক ধরনের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেননা এটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নারকেল তেল অথবা জলপাই তেলের সাথে এই তেল মেশালে আরো অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই তেলের মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে সুন্দর করে লাগিয়ে দিবেন। এতে সারারাত রাখার পরে সকাল বেলা ধুয়ে ফেলবেন অনেক উপকার পাবেন।
তবে যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা অল্প পরিমাণ আগে ব্যবহার করে দেখবেন যদি অ্যালার্জি বেশি হয়ে যায়। তাহলে না লাগানোই ভালো। তবে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা নেই তারা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করবেন। কেননা মাঝখানে ব্যবহার করা বাদ দিলে এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন না। যাদের ত্বকের সমস্যা রয়েছে তারা একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরে ব্যবহার করবেন।
কালোজিরার তেল মাথায় ব্যবহারের নিয়ম
চুলে প্রাকৃতিক কালোজিরার তেল মাথায় ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। তাই এই তেল কিভাবে মাথায় ব্যবহার করতে হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
প্রথমে এই তেল আপনি হাতের তালুতে নেবেন এরপরে অপর হাতের আঙ্গুল দিয়ে মাথার চুল যেখানে কম আছে সেই স্থানগুলোতে লাগিয়ে দিন। বিশেষ করে যেখানে টাক মাথা রয়েছে সেখানে লাগিয়ে দেওয়ার ১৫ মিনিট পর ম্যাসাজ করবেন। আধা ঘন্টা পরে পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।
আপেল সিডার ভিনেগার ও এই তেলের ব্যবহারঃ চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য এবং খুশকি মুক্ত করার জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন এবং এর সাথে এই তেল মিশালে আরো পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে। এই দুটির মিশ্রনের কারণে চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এবং চুল অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
এজন্য এর দানা গুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এরপর সুন্দর করে ছেঁকে নিবেন তারপর ভিনেগার মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে কিছুক্ষণ রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করবেন। সপ্তাহে তিন-দিন, দুই মাস ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পেতে পারেন। আপনার চুল অনেক পুষ্টি হবে চুল ঘন এবং উজ্জ্বল দেখাবে।
জলপাই ও এই তেলের ব্যবহারঃ জলপাই ও এই তেল এর মধ্যে এন্টি মাইক্রোবিয়াল থাকার কারণে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুল ঘন হয়। এটা ব্যবহারের জন্য পাত্র নিতে পারেন তার মধ্যে কিছু জলপাই এবং এই তেল মিক্সড করে নিবেন। এরপর মাথার যেখানে কম চুল আছে সেখানে লাগিয়ে দিবেন এবং ম্যাসাজ করতে থাকবেন। কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলবেন, এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
মেহেদী ও এই তেলের প্যাকঃ মেহেদি একটি প্রাকৃতিক উপাদান এর মধ্যে অনেক গুণাগুণ রয়েছে। তাই এটা এই তেলের সাথে যদি মিশানো যায়, তাহলে চুলের জন্য পুষ্টির কাজ করবে। এছাড়াও মাথার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি দেবে, চুলের গোড়ালি শক্ত করবে এবং চুলকে মজবুত করবে। এজন্য আপনি মেহেদীর গুঁড়ো এবং এই তেল একসঙ্গে মিক্সড করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে দিন। আধাঘন্টা রেখে দেওয়ার পর শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে চুল পরিষ্কার করুন।
নারকেল তেলের সাথে এর ব্যবহারঃ নারকেল তেলের মাঝে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং এন্টিব্যাকটেরিয়াল পুষ্টিগুণ থাকে যা মাথার ত্বকের জন্য বিভিন্ন ছত্রাকের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। এছাড়াও চর্ম রোগের কারণে চুল অনেক সময় পড়তে শুরু করে সে ক্ষেত্রে এই দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাবেন।
এজন্য এই তেলের সাথে ১ চামচ পরিমাণ নারকেলের তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। এরপরে এর সাথে মধু যোগ করতে পারেন, এই মিশ্রণটি আপনার মাথার টাক স্থানে ব্যবহার করুন। এতে ভালো ফলাফল পাবেন, তারপর একটি হালকা গরম তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে দিতে পারেন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে সপ্তাহে ১বার ব্যবহার করতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
এই তেল এবং লেবুর রসঃ লেবুর মাঝে আছে ভিটামিন সি যা ত্বকের এবং চুলের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। এই তেলের সাথে মিশিয়ে নিয়ে আপনার চুলের ব্যবহার করতে পারেন। এতে দ্রুত চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং নতুন চুল উঠতে থাকবে। কেননা এই তেলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটা চুল পড়া রোধে কাজ করে এবং চুল বৃদ্ধি করতে পারে।
এজন্য মাথার যে অংশগুলোতে চুল কম থাকে সাধারণত সেখানেই মিশ্রণটি প্রয়োগ করবেন। ১৫ মিনিট রেখে দেওয়ার পর শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিবেন। চুল শুকিয়ে যাওয়ার পর এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।
চুলে কালোজিরা তেলের উপকারিতা
চুলে কালোজিরা তেলের উপকারিতা রয়েছে। তাই আপনি যদি নিয়মিতভাবে চুলে কালোজিরা তেল ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে অনেক উপকার পাবেন। চলুন, এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মানুষের সৌন্দর্য প্রকাশ পায় তার সুন্দর চুলের কারণে, তাই আপনার চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এর মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান আছে তা চুলের জন্য খুবই উপকার করে থাকে। তাই আপনি যদি নিয়মিত ভাবে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
যদি আপনার চুলের সৌন্দর্য ঠিক রাখতে চান তাহলে অবশ্যই এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এর মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান আছে তা চুলের গোড়ালি শক্ত এবং মজবুত, চুল লম্বা, ঘন করে। তবে এর সাথে আরো অন্য কিছু যোগ করতে পারলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
এই তেল যদি কেউ চুলে ব্যবহার করে থাকে তাহলে তার চুল আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে যাবে। আর এটা ব্যবহার করার কারণে চুলের পুষ্টি পাবে। কেননা মানুষের খাদ্য যেমন পুষ্টির দরকার থাকে ঠিক তেমনি চুলেরও পুষ্টির দরকার হয়।
এজন্য এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এই তেল সম্পর্কে রাসূল সাঃ অনেক হাদিসে বর্ণনা করেছেন এর গুনাগুন সম্পর্কে। তাই এটা আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও এই তেল ব্যবহার করার ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
এই তেল ব্যবহার করলে আপনার মাথায় যদি খুশকি থাকে সেটা দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও মাথার চুল পাতলা থাকলে ঘন হবে, যদি আপনি নিয়মিত এটা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও নতুন চুল গজাতে থাকবে এবং চুল যদি অনেকের ছোট হয়, সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে চুল লম্বা এবং বড় হতে থাকবে। চুলের প্রোটিনের জন্য এই তেল ভালো কার্যকারিতা রয়েছে। তাই এই তেল আপনি নিজে হাতে বানিয়ে ব্যবহার করবেন,তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
কালোজিরার তেল বানানোর পদ্ধতি
কালোজিরার তেল বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,
সাধারণত এই তেল বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায় অনেকেই কিনে ব্যবহার করে থাকে কিন্তু এতে ভেজাল থাকতে পারে এবং যাদের সামর্থ্য নাই তারা হয়তো কিনতে পারেন না। তারা কিভাবে এই তেল তৈরি করবেন, সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
- প্রথমতঃ ১ চামচ কালোজিরা নিতে হবে
- দ্বিতীয়তঃ ১ চামচ পরিমাণ মেথি বীজ নিতে হবে
- তৃতীয়ঃ ২০০ মিলি নারিকেল তেল নিতে হবে
- চতুর্থঃ নারিকেল তেলের সাথে ক্যাস্টর তেল ৫০ মিলি ব্যবহার করতে পারেন এবং সবগুলো উপাদান একসাথে করে একটি পাত্রের মধ্যে পরিষ্কার করে রেখে দিতে পারেন।
উপরের চারটি জিনিস যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে এগুলো দিয়ে আপনি নিজেই এই তেল বানাতে পারবেন। এই চারটি উপাদান নিয়ে কিভাবে আসলে এই তেল বানাবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
প্রথমত, আপনি এর সাথে মেথি নিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করে ভালোভাবে ব্লেন্ডার করবেন। ব্লেন্ডার যদি না করতে পারেন তাহলে ভালো করে পিসে নিতে হবে যেন এগুলো অক্ষত না থাকে। তারপর এই গুড়াগুলো পরিষ্কার কাচের বাটির মধ্যে রেখে দিবেন, তারপর পাতিলে ৫০ মিলি ক্যাস্টর অয়েল এবং ২০০ মিলি নারকেলের তেল ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
তারপর এই মেশানো পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে সুন্দর করে ঢেকে দিতে হবে এবং এই ঢাকনা থাকা অবস্থায় সূর্যের আলোতে রেখে দিতে হবে। এভাবে পাতিলের মধ্যে নেওয়ার পরে পাতিলটা ঢাকনা বন্ধ করে সূর্যের আলোতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ রাখতে পারবেন।
চুলের যত্নে মেথির প্যাক
চুলের যত্নে মেথির প্যাক তৈরি করতে পারেন, এতে অনেক উপকার হবে। এটা চুলের জন্য বিভিন্নভাবে উপকার করে থাকে, চুলকে উজ্জ্বল করতে পারে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
এর মাঝে আয়রন এবং প্রোটিন আছে তাই এটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং চুল মজবুত হবে খুশকি দূর হবে। তাই এটা নিয়মিতভাবে ব্যবহার করতে পারেন। কেননা চুলের যত্নের ক্ষেত্রে এই প্যাক অনেক উপকার করে থাকে।
এই দানা গুলো ভিজিয়ে রাখার পর সুন্দর করে ছেকে নিবেন, তারপর একটি স্প্রে বোতলের মধ্যেই পানিটুকু ঢেলে নিবেন। তারপর সকাল বেলা স্প্রে মেশিন দিয়ে আপনার চুলে স্প্রে করতে থাকবেন।
এরপর এটি সারারাত পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখার পর, পরের দিন সুন্দর করে বেটে আপনার চুলে লাগাতে পারেন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ভালো কাজ করে।
এই দানা গুলো বেটে নেওয়ার পরে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে নেবেন। এর সাথে যদি আরও একটু অ্যালোভেরা জেল দিতে পারেন, তাহলে আরো ভালো ফলাফল পেতে পারেন। এতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে থাকে। চুলে লাগানোর কিছুক্ষণ পরে পরিষ্কার করবেন। তাহলে চুল পড়া কমে যাবে।
এই দানা গুলো ২ চামচ সারারাত ভিজিয়ে রাখার পরে, পরের দিন বেটে নিবেন। এরপর ১ চামচ লেবুর রস মিশাবেন। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে। আধা ঘন্টা রেখে দেওয়ার পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল সুন্দর করে পরিষ্কার করবেন। সপ্তাহে ১বার ব্যবহার করতে পারলে চুলের অনেক ভালো কাজ করে থাকে। মাথার ত্বকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তেলভাব যদি থাকে তাহলে সেটাও দূর করতে সাহায্য করবে।
এর সাথে আধা কাপ দই নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে পারেন এবং পরের দিনে একসঙ্গে মিক্সড করে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। আধা ঘন্টা রাখার পরে শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে পরিষ্কার করবেন, এতে ভালো ফলাফল পাবেন। এই হেয়ার প্যাকটি খুশকি দূর করতে ভালো কাজ করে এবং চুলকে উজ্জ্বল রাখে।
৩ চামচ এর গুড়ার সাথে নারকেলের তেল মিক্সড করে নিবেন এবং চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে। ১ ঘন্টা রাখার পরে শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করে ফেলুন। দেখবেন ভালো উপকার পাবেন।
এর সাথে ১ চামচ পরিমাণ নারকেলের তেল মিশিয়ে নেওয়ার পর চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে আপনি চুলের গোড়ালী শক্ত হবে এবং মজবুত হবে। এছাড়াও এর পাশাপাশি এর সাথে কালোজিরা তেল মিক্সড করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
মেথি ও কালোজিরা সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন
মেথির পানি চুলে দিলে কি হয়?
যদি আপনি এর পানি চুলে দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে চুল উজ্জ্বলতা, সিল্কি হবে। এছাড়া এটা কন্ডিশনার এবং মশ্চারাইজিং এর কাজ করবে।
মেথি খেলে চুল কত দিনে গজায়?
এটা যদি আপনি নিয়মিতভাবে খেতে পারেন সেই ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে চুল নতুন করে গজাতে শুরু করবে।
মেথির সাথে কী দিলে চুল পড়া কমে?
এর সাথে নারিকেলের তেল এবং সরিষার তেল মিশিয়ে হালকা গরম করে নিয়ে যদি আপনার চুলে দিতে পারেন, তাহলে চুল পড়া বন্ধ করবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
কালোজিরা কি চুল পড়া কমায়?
এটা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে, এছাড়া চুলের গোড়ালি মজবুত করে। কেননা এর মধ্যে এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
কালোজিরা কি চুল গজাতে সাহায্য করে?
এর মাঝে এন্টি ইনফ্লেমেটরি থাকার কারণে চুলের গোড়ালি মজবুত করবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
উপসংহারঃ চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল এর উপকারিতা
পরিশেষে বলা যায় যে চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা তেল সবচেয়ে ভালো উপকার করে থাকে। যদি নিয়মিত ভাবে এবং ধৈর্য ধরে আপনার চুলে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে চুল পড়ার রোধ করবে, চুল ঘন করা এবং চুলের উজ্জ্বলতা, মজবুত ইত্যাদি ধরনের উপকার করে থাকে। তাই আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url