মুখে সাবান মাখলে কি হয় ও ত্বকের যে ক্ষতি করে জানুন

আপনি যদি মুখে সাবান ব্যবহার করতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই সাবানটা যাচাই করতে হবে। তাই মুখে সাবান মাখলে কি হয়? সম্পর্কে জানলে আপনার ত্বকের উপকার হবে। চলুন, মুখে সাবান ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেক মানুষ সাবান শরীরে এবং মুখে ব্যবহার করে। সাবান এর সাথে যে উপাদানটি থাকে তা আমাদের শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই মুখে সাবান মাখলে কি হয়? সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃমুখে সাবান মাখলে কি হয় ও ত্বকের যে ক্ষতি করে জানুন

মুখে সাবান মাখলে কি হয়

অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সাবান মুখে দিয়ে থাকেন কিন্তু মুখে সাবান মাখলে কি হয়? এ সম্পর্কে হয়তো অনেকে জানেন না। চলুন, এ বিষয়ে ভালোভাবে জেনে নেওয়া যাক।

অনেকে সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করে থাকে। আবার কেউ কেউ মুখ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য ব্যবহার করে অথবা অনেকে নিজেকে সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। তবে সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য অবশ্যই আপনার ত্বক অনুযায়ী সাবান ব্যবহার করতে হবে।

সাধারণত পিএইচ স্তর অনুযায়ী বাজারে যে সকল সাবান পাওয়া যায়, তার মধ্যে পিএইচ এর মাত্রা সঠিক নয়। যার কারণে ত্বকের ক্ষেত্রে আপনার পিএইচ বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এজন্য আপনার ত্বকের জন্য যে সাবান প্রয়োজন সেটা বুঝে শুনে কিনে নিতে হবে। কোন সাবান গুলো ব্যবহার করলে ত্বকের তেমন ক্ষতি হবে না। চলুন, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদানঃ এর মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার কারণে পিএইচ মাত্রা ১০ হয়ে থাকে। এজন্য এই সাবান অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ত্বকে শুষ্কতা এবং জ্বালাপোড়া সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই ধরনের সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

অ্যান্টি ব্রণ উপাদানঃ যে সাবানের মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ও আরো বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকে, তা বেশিরভাগই ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। আবার অনেকের মুখে, পিঠে ও বুকে ব্রণ উঠে থাকে। তাই এই সকল ব্রণ দূর করার জন্য অ্যান্টি ব্রণ উপাদান বিশিষ্ট সাবান দিনে দুইবার দিতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ক্ষতি হতে পারে।

ভেষজ উপাদানঃ এই ধরনের সাবানের মধ্যে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনারা ত্বকের র‍্যাডিকেল গুলো দূর করবে। এছাড়াও এর মধ্যে ওটমিল ও আরো কিছু ভেষজ উপাদান থাকে। যা আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করে, তাই এই সাবান ব্যবহার করতে পারেন।

ময়েশ্চারাইজারিং সাবানঃ আপনি যদি এই সাবান ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে অর্থাৎ যাদের ত্বক শুষ্ক থাকে তারা এই সাবানটি ব্যবহার করবেন। এই ধরনের সাবানে তেল বেশি থাকে, যার কারণে আপনার ত্বক শুষ্ক থাকবে না। অর্থাৎ এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম, বাটার, নিউট্রাল ফ্যাট ও আরো কিছু উপাদান থাকে , যা আপনার ত্বকের শুষ্কতা দূর করবে। কারণ এ ধরনের সাবানের মধ্যে ক্ষার কম থাকে যার কারণে এটা ব্যবহার করতে পারেন।

হারবাল সাবানঃ এর মধ্যে এক ধরনের ভেষজ উপাদান থাকে, তাছাড়া এর মধ্যে আরো অলিভ অয়েল ও শিয়া বাটার রয়েছে। যা আপনার ত্বকের ক্ষতি হবে না, কেননা এর মধ্যে পিএইচ এর ভারসাম্য আছে। এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং কোমলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। এজন্য আপনি হারবাল সাবান ব্যবহার করতে পারেন। তবে বেশি ব্যবহার করলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্যঃ আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় সে ক্ষেত্রে অ্যান্টি ব্যাক্টরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের সাবানের মধ্যে থাকে লেভেন্ডার এবং ক্লিনজার যা আপনার ত্বকের এই ধরনের সমস্যা দূর হবে।
সংবেদনশীল ত্বকের জন্যঃ যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয় এবং সংক্রমণ দেখা যায়। এই জন্য ভিটামিন ই যুক্ত প্রসাধনী গুলো ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে যে সকল সাবান গুলোর মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে, সেই সকল সাবান ব্যবহার করতে পারেন, এতে আপনার ত্বক সংবেদনশীলতা দূর হবে।

মিশ্র ত্বকের জন্যঃ যাদের ত্বক মিশ্রণ রয়েছে তারা গ্লিসারিন ভিত্তিক সাবান গুলো ব্যবহার করতে পারেন এতে ভালো কাজ করবে।

অ্যারোমাথেরাপি সাবানঃ এই ধরনের সাবান গুলোর মধ্যে সাধারণত জবা ও সূর্যমুখী তেল থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফুলের নির্যাস দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন এতে অত্যন্ত সুগন্ধি হয়ে থাকে। এজন্য অনেকেই পছন্দ করে তাই আপনিও ব্যবহার করতে পারবেন।

সাধারণ সাবানঃ সাধারণত আপনি যে সকল সাবান ব্যবহার করেন, এটা সাধারণ সাবান বলা হয়ে থাকে। আর এই সাবানকে সাধারণত ক্ষারীয় সাবান বলা হয়ে থাকে। যা ব্যবহার করলে আপনার ত্বক শুষ্কতায় রূপান্তরিত হবে।

স্বচ্ছ সাবানঃ অনেকেই এই স্বচ্ছ সাবান ব্যবহার করে থাকে, তবে জানেনা যে এটা কেন স্বচ্ছ হয়। কারণ এর মধ্যে গ্লিসারিন থাকে যার কারণে সাধারণত স্বচ্ছ দেখা যায়। এই ধরনের সাবানগুলো সাধারণত গ্লিসারিন জন্য স্বচ্ছ দেখা যায়। এতে অসুবিধা হবে না।

গন্ধ নাশক উপাদানঃ এর মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান ও গন্ধ নাশক কিছু উপাদান থাকে। যদি শরীরে গন্ধ বের হয়, তাহলে এটা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও মুখের ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন আবার অনেকেই গন্ধ দূর করার জন্য গন্ধ নাশক সাবান ব্যবহার করতে পারেন।

তরল সাবানঃ এর মধ্যে উচ্চ পরিমাণ নিউট্রাল থাকে যার কারণে এর মধ্যে ক্ষারীয় ভাবটা কম থাকে। তাই একজন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে এই ধরনের এ ধরনের সাবান ব্যবহার করবেন।

মুখে সাবান ব্যবহার করা কতটা উপযোগী

মুখে সাবান ব্যবহার করা কতটা উপযোগী? এ সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। কেননা আপনার ত্বকে যদি কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয়। তাহলে অসুবিধা দেখা দিতে পারে। চলুন, এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে আপনার ত্বকে যদি অসুবিধা হয়, তাহলে কখনোই সাবান ব্যবহার করবেন না। কেননা এর মধ্যে ফ্যাসিডিটিক রয়েছে যা এসব আপনার ত্বকের পিএইচ ৪.৬ থেকে ৫। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের তেল বা কম ক্ষারযুক্ত অনেক সাবান  রয়েছে যেগুলো আপনি ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

ব্রণের জন্য কোন সাবান ভালো

অনেকের ত্বকে প্রচুর পরিমাণে ব্রণ রয়েছে। তাই ব্রণের জন্য কোন সাবান ভালো? এ সম্পর্কে জানা থাকলে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। অবশ্যই ব্রণ দূর হয়ে যাবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেকে ব্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহার করেছে কিন্তু কোনো মতেই কাজ হয় না। এজন্য সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং ভালো মানের ঔষধ ও সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে মনে রাখবেন মুখে ব্রণ উঠেছে সাধারণত হরমোন পরিবর্তন কারণ। এজন্য আপনার জীবনযাত্রা খবর-দাবার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সকল কিছু ও ড্রেস পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। এছাড়া আপনি কোন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করবেন না এতে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

আপনার যদি ব্রণ উঠেই থাকে তাহলে কখনোই সাবান ব্যবহার করবেন না। তবে প্রয়োজনের খাতিরে কিছ সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন, চারকোল, নিমের সাবান, লাইট বয়, এগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কোন সাবানটা আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত, সেটা আপনি নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

মুখে সাবান দিলে কি ক্ষতি হয়

আপনার ত্বকে যদি সাবান দেন সে ক্ষেত্রে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই মুখে সাবান দিলে কি ক্ষতি হয়? এ সম্পর্কে জানা থাকা প্রয়োজন, তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। চলুন, সাবান মুখের কি ক্ষতি করতে পারে সেটা জেনে নেওয়া যাক।

ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়ঃ আপনার ত্বক আগে থেকেই যদি শুষ্ক হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সাবান ব্যবহার করবেন না। কেননা অধিকাংশ সাবানের মধ্যে অতিরিক্ত ক্ষার দেওয়া থাকে, যার কারণে আপনার ত্বকের পিএইচ এর সাথে ভারসাম্য হয় না। অধিকাংশ সাবানের মাঝে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য থাকে যার কারণে ত্বকের আর্দ্রতা সরিয়ে দিতে পারে, যার কারণে ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যাবে। আপনার ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক হয় সেক্ষেত্রে ব্রেক আউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

জ্বালাপোড়া করেঃ আপনার যদি ত্বক সংবেদনশীল হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে কিছু সাবান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে জ্বালাপোড়া করতে পারে, চুলকানি, ফুসকুড়ি, লালচে ভাব ইত্যাদি সমস্যা গুলো দেখা দেয়। এটা মূলত হয়ে থাকে যে সকল সাবানের মধ্যে অতিরিক্ত রাসায়নিক থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের রং ও সুগন্ধি মিশ্রণ করে থাকে।

অস্বাস্থ্যকর সাবানঃ এটা আপনি ব্যবহার করলে আপনার শরীর পরিষ্কার হবে না। বরং শরীরে আরো ময়লা, ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পাবে। যার কারণে আপনার ত্বকে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস এগুলো ময়লা আটকে গেলে ছিদ্র সৃষ্টি করবে।

ত্বকের জন্য ক্ষতি করেঃ আপনি যদি নিয়মিত ভাবে মুখে ব্যবহার করতে থাকেন, সেক্ষেত্রে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। কেননা এর মধ্যে ক্ষার বেশি থাকে। যার কারণে আপনার ত্বকে ছোট ছোট বলি রেখা দেখা দিবে। এ জন্য আপনাকে বার্ধক্য মনে হবে, এতে আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে। যার কারণে সূর্যের আলোতে আপনার ত্বকের আরো বেশি ক্ষতি হবে। এই সকল সাবান যদি আপনি দীর্ঘদিন দিতে থাকেন তাহলে ত্বকে উজ্জ্বলতা হারাবে।

এলার্জির সমস্যাঃ আপনার ত্বকে যদি এলার্জি থাকে তাহলে সাবান ব্যবহার করবেন না। এতে করে আপনার ত্বকের জ্বালাপোড়া বৃদ্ধি পেতে পারে, চুলকানি, লালচে ভাব হতে পারে। কেননা এই সকল সাবানের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সুগন্ধি ও প্রিজারভেটিভ দেওয়া থাকে যার কারণে আপনার ত্বকের এলার্জির সৃষ্টি হতে পারে।

শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ঃ আপনি যদি নিয়মিত ভাবে গোসল করার সময় প্রতিনিয়ত সাবান ব্যবহার করতে থাকেন, তাহলে শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা যাবে। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে এবং কোন রোগের সংক্রমণকে প্রতিহত করতে পারবেনা। এজন্য সাবান প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে না কয়েকদিন পর পর ব্যবহার করতে পারবেন।

মুখে সাবান না ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত

অনেকেই বাহির থেকে এসে মুখ পরিষ্কার করার জন্য ফেসওয়াশ দিয়ে থাকে। তাই মুখে সাবান না ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত? এ সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা যাক।
ছবি
আপনার যদি ত্বকের ময়লা অপরিষ্কার থাকে সেক্ষেত্রে প্রতি দিন আপনি যত্ন নিতে পারবেন। এছাড়াও চেষ্টা করবেন আপনার ত্বকের জন্য ভালো মানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করার। যে কোম্পানি গুলো ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পেরেছে সেই সকল ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। যদিও সাবানের চাইতে ফেসওয়াশ মুখের ত্বকের জন্য ভালো উপকার করে।

মাথায় সাবান ব্যবহার করলে কি ক্ষতি হবে

অনেকেই আছে যারা মাথায় সাবান দিয়ে থাকে তাই মাথায় সাবান ব্যবহার করলে কি ক্ষতি হবে? এজন্য এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ বিষয়ের জেনে নেওয়া যাক।
মাথার ত্বকের ক্ষেত্রে সাবান ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে আপনার চুল পড়ে যেতে পারে, জটা লাগতে পারে, এছাড়াও চুল সাদা হয়ে যেতে পারে ইত্যাদি কারণ হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই ভালো মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন তাহলে মাথা পুরোটা পরিষ্কার থাকবে এতে কোন দুর্গন্ধ হবে না।

মুখে সাবান ব্যবহার সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন জানুন

প্রতিদিন সাবান ব্যবহার করলে ত্বকের কি ক্ষতি হয়?

কখনো প্রতিদিন ব্যবহার করবেন না এতে আপনার ত্বকের শুষ্কতা দেখা দিবে। এছাড়াও ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যাবে, তাই প্রতিদিন সাবান ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।

ডেটল সাবান মুখে দিলে কি হয়?

এটা মুখে দিবেন না, কেননা এটা একটি অ্যান্টিসেপটি সাবান। যা আপনার ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করবে কিন্তু এটা ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক শক্ত হয়ে যাবে ও শুষ্কতা দেখাবে।

কোন সাবান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়?

ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হবে না এমন ধরনের কিছু উপাদান রয়েছে যেমন অ্যালোভেরা জেল, নারিকেলের তেল ও আরো কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে যে সাবান তৈরি করা হয়। সেটা ব্যবহার করতে পারেন।

সারা শরীরে কি সাবান লাগানো উচিত?

আপনার সারা শরীরে যদি ময়লা থাকে তাহলে পরিষ্কার করার জন্য এটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে সারা শরীরে যে সাবান ব্যবহার করতে হবে এরকম কোন কথা নেই।

লেখকের শেষ বক্তব্যঃ

পরিশেষে বলা যায় যে সাবান এমন একটি উপাদান যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্ষার থাকে, যা আমাদের ত্বকের ক্ষেত্রে খুবই ক্ষতিকর। তাই মুখে সাবান ব্যবহার করবেন না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মুখে সাবান মাখলে কি হয়? সম্পর্কে আর্টিকেলে ভালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪