বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম যেতে কত টাকা লাগে আপডেট জানুন

বাংলাদেশের অনেক মানুষ এ দেশে কাজ করছে কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে অনেকের হয়তো সঠিক ধারণা নেই। তাই ভিয়েতনাম ভিসা খরচ কত হতে পারে সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি কোন কাজের উপরে ভিসা করতে চাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করবে কত টাকা লাগতে পারে। তবে কাজের ভিসার ক্ষেত্রে একটু বেশি খরচ হতে পারে। তাই বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম যেতে কত টাকা লাগে আপডেট জানুন

বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ভিয়েতনাম যেতে চায় কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে হয়তো অনেকের ধারণা নেই। চলুন, কত টাকা খরচ হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এই দেশে যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে তা নির্ভর করবে কোন ক্যাটাগরির ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন। আপনি যদি কোন আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে খুবই কম খরচ হবে। এক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকার মত। এতে আপনি কাজের ভিসা মাধ্যমে যেতে পারবেন। তাই চেষ্টা করবেন আপনার কোন পরিচিত বা আত্মীয়ের মাধ্যমে যাওয়ার জন্য তাহলে খরচ কম হবে।

এছাড়া আপনি যদি সরকারি মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে সরকারি বোয়েসেলের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার খুবই কম খরচ হবে, এতে আপনার খরচ হতে পারে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত এবং এর সাথে আরো কিছু আনুষঙ্গিক খরচ হবে। সব মিলিয়ে খরচ হবে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত।

যদি আপনি বেসরকারি ভাবে যেতে চান, সেক্ষেত্রে খরচ একটু বেশি হবে। তবে অবশ্যই চেষ্টা করবেন সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার জন্য। এক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত। তবে এটা নির্ভর করবে বিভিন্ন এজেন্সির উপরে হয়তো কম বেশি লাগতে পারে। তবে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে। সকল ক্যাটাগরির একটা ধারণা হিসেবে বলা যেতে পারে যে, আপনি এজেন্সির মাধ্যমে গেলে ৬ লাখ টাকার মত লাগবে।

তাছাড়া বর্তমানে যদি আপনি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ যেমন; স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পুলিশ ভেরিফিকেশন ইত্যাদি সকল কিছু মিলে আপনার ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে। তবে কোনো দালালের মাধ্যমে যাবেন না এতে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। তাই বিশ্বাস্ত এজেন্সির মাধ্যমে যেতে হবে।

ভ্রমণ ভিসা খরচঃ এ দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে এবং আপনার ভ্রমন করতে ভালো লাগবে। তাই আপনি যদি এ দেশে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা আবেদনের জন্য খরচ হতে পারে ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকার মত।

তাছাড়া থাকা খাওয়া আসা যাওয়া এবং সেখানে দুই দিন তিন রাত থাকতে পারবেন। সকল কিছু মিলে ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হবে। যদি আপনি বিমানের টিকিট আগে থেকে করে রাখতে পারেন তাহলে খরচ আরো কম হবে।

এ দেশে ১দিনে যদি রাত্রে কোন হোটেলে থাকেন, সেক্ষেত্রে প্রতি জন ব্যক্তির ৩০০০ থেকে ৭ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এখানে অনেক উন্নত মানের হোটেল রয়েছে, তাই অবশ্যই আগে থেকেই আপনাকে বুকিং দিয়ে রাখতে হবে। এদেশের শহরগুলো অত্যন্ত সুন্দর এবং খাবারের মান অনেক ভালো।

গার্মেন্টস ভিসা খরচঃ যেহেতু এ দেশটিতে গার্মেন্টস সেক্টরে কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বের মধ্যে প্রথম সারির পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে এ দেশটি অন্যতম। তাই বাংলাদেশি লোকজন যেহেতু গার্মেন্টসের কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা রয়েছে, এজন্য বাংলাদেশের শ্রমিকদের এ দেশে অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই আপনার যদি গার্মেন্টসের অপারেটর, সুপারভাইজার, সুইং অপারেটর ইত্যাদি কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে এদেশে নিরাপদে যেতে পারেন।

তবে গার্মেন্টস ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে দূতাবাস রয়েছে সেখানে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তাই আপনার এদেশের ভিসা নিতে এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ থেকে এই দেশটিতে প্রচুর পরিমাণে গার্মেন্টস শিল্পের কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকে। এই ভিসার মাধ্যমে আপনি আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট এবং যে কাজ করবেন তার অফার লেটার এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে।

কাজের ভিসাঃ আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এ দেশে কাজের জন্য যেতে চান, সে ক্ষেত্রে কাজের ভিসার প্রয়োজন হবে। তাই বাংলাদেশের সরকার অনুমোদিত যে সকল এজেন্সি রয়েছে, তাদের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। তাহলে অতি সহজে এই ভিসায় যেতে পারবেন। তাছাড়া প্রতিবছরে প্রচুর লোক নিয়ে থাকে, এই ভিসার মাধ্যমে। তাই আপনি এদেশের এম্বাসিতে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করা লাগবে।

তবে সচেতন বা সতর্কতা অবলম্বন করবেন, দালাল থেকে বিরত থাকবেন। এতে আপনার অনেক টাকা খরচ হবে এবং অনেক সময় প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার। সেই ক্ষেত্রে আপনার ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে।

অন এরাইভাল ভিসা খরচঃ আপনি যদি এই অন এরাইভাল ভিসার মাধ্যমে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ৪০০০ টাকার মত লাগবে। এতে আপনি নিশ্চিন্তে ভিসা করতে পারবেন, আর দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই একটি মেইল চলে আসবে। সে ক্ষেত্রে অনুমতি পত্রকে পেয়ে যাবেন।

আপনি এই দেশটিতে যাওয়ার পরে ২৫ ডলার দিবেন, তাহলে তারা সরাসরি আপনাকে ভিসা দিবে। দেশটিতে নামার পরে এদের কাছ থেকে আপনি যদি স্টিকার ভিসা নিতে পারেন, তাহলে আরো সুবিধা হবে। সেক্ষেত্রে আপনার ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে।

স্টিকার ভিসার খরচঃ এই ভিসাটা এমন একটি ভিসা যা এদেশে যাওয়ার পূর্বেই যখন ভিসা চেক দেবে, সেই সময় বাংলাদেশ থেকে আপনাকে একটি স্টিকার মেরে দেওয়া হবে। যদি আপনার ভোগান্তি বা কোন ঝামেলার সৃষ্টি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে এ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। এই স্টিকার ভিসার ক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ১৫ হাজার টাকার মত। এর চেয়ে কম বা বেশি হতে পারে।

তবে যদি আপনি স্টিকার ভিসা নিয়ে যেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। এজন্য যদি আপনি এ দেশে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে কোন এজেন্সির মাধ্যমে যখন বিমানের টিকিট সংরক্ষণ করবেন। তখনই এই ভিসা নিতে হবে। এছাড়া যদি কোন সমস্যায় পড়েন সেই ক্ষেত্রে এজেন্সির সহযোগিতা নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এজন্য এই স্টিকার ভিসা আপনি নিজে কখনোই করতে যাবেন না। অবশ্যই এজেন্সির মাধ্যমে করার চেষ্টা করবেন এতে সুবিধা হবে।

বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম বিমান ভাড়া কত

অনেকে জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম বিমান ভাড়া কত? আসলে এটা নির্ভর করবে আপনি কেমন ধরনের বিমানের মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন। তাই বিমানের ক্যাটাগরির উপরে এই ভাড়া নির্ভর করবে। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি কোন ভাল ইকোনমিক ক্লাসের বিমানের মাধ্যমে যেতে চান, সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে এ দেশটিতে যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া হবে প্রায় ৫৭ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মত। তাছাড়া এর চেয়েও যদি আরো ভালো মানের বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার সর্বোচ্চ বিমান ভাড়া হতে পারে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকার মত।

আপনি যদি বিজনেস ক্লাসের বিমানের মাধ্যমে এ দেশটিতে যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে আপনার বিমান ভাড়া ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে। তবে এই বিজনেস ক্লাসের ভালো মানের বিমানের মাধ্যমে যদি ঢাকা থেকে এই দেশটিতে যেতে চান সেক্ষেত্রে প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।

ভিয়েতনাম কাজের বেতন কত

আপনি যদি এদেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান, সেক্ষেত্রে বেতন সম্পর্কে জানতে হবে। তাই ভিয়েতনাম কাজের বেতন কত? এটা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের কাজ করবেন তার ওপরে বেতন হতে পারে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যদি দক্ষ শ্রমিক হয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে বেতন বেশি পাওয়া যাবে। তবে যদি সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চান সেই ক্ষেত্রে মাসে প্রায় ৪৮ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকার মতো বেতন পেতে পারেন।

এছাড়া আপনি যদি দক্ষ শ্রমিক হয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে আরো বেশি বেতন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনি মাসে বেতন পেতে পারেন ৮৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত। চলুন, কোন কাজের কত টাকা বেতন সে সম্পর্কে জানা যাক।

আপনি যদি ফার্নিচার কোম্পানিতে চাকরি করেন সে ক্ষেত্রে বেতন ভাল পাবেন। এই ক্ষেত্রে আপনার বেতন হতে পারে মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত। এখানে আপনার কাজ করতে হবে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মত। এছাড়াও যদি আপনি ওভারটাইম করতে পারেন তাহলে আরো বেশি বেতন পাবেন।
আপনি যদি জাহাজ নির্মাণ করে এই ধরনের কোম্পানিতে কাজ করতে পারেন, সেই ক্ষেত্রে ভালো বেতন পাওয়া যাবে। যদি এই কাজে আপনার দক্ষতা থাকে তাহলে মাসে প্রায় ৪৫ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকার মতো বেতন পেতে পারেন।

আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা ভালো থাকে এবং অনেক সার্টিফিকেট ভালো থাকে অথবা ইংলিশে পারদর্শী হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে এদেশে অনেক জব রয়েছে। এজন্য আপনি ইংলিশে শিক্ষকতা করতে পারবেন, এই ক্ষেত্রে আপনার মাসে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ ডলারের মত বেতন পেতে পারেন।

আপনার যদি জুতার ফ্যাক্টরিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে জুতার শোরুমে কাজ করতে পারেন। এতে অনেক বেতন পাবেন, কেননা এই দেশটি জুতার ক্ষেত্রে অনেক নামিদামি ফ্যাক্টরি রয়েছে। এ দেশের জুতার চাহিদা অনেক বেশি, তাই এ সকল কোম্পানিতে যদি আপনি চাকরি করতে চান সে ক্ষেত্রে ৪০০ থেকে ৫০০ ডলারের মতো বেতন দেবে।

তবে অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, কেননা এ দেশে বড় বড় জুতার ব্র্যান্ড রয়েছে, এশিয়া মহাদেশের মধ্যে জুতার মানের ক্ষেত্রে অনেক ভালো, অনেক বিক্রি করে থাকে বা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে থাকে। তাই আপনার যদি দক্ষতা থাকে তাহলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যেহেতু বাংলাদেশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি চাহিদা অনেক রয়েছে, তাই অনেক লোকই এই কাজের প্রতি দক্ষতা থাকে। বিশেষ করে যদি আপনার সুপারভাইজার পদে অথবা সুইং অপারেটর ক্ষেত্রে যে দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি এই দেশটিতে যেতে পারেন। কেননা এ দেশে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের লোকদেরকে প্রচুর পরিমাণ নিয়ে থাকে।

এছাড়াও এদেশের পোশাক শিল্প অনেক উন্নত মানের এবং বহির্বিশ্বে রপ্তানি করে থাকে। এজন্য এ দেশের গার্মেন্টসের কাজের চাহিদা রয়েছে, তাই এই কাজে যদি আসতে চান তাহলে ভালো মানের বেতন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার প্রতি মাসে বেতন আসতে পারে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত।

উপরোক্ত এই কাজের গুলোর ক্ষেত্রে সরকারি একটা নিয়ম রয়েছে, সেই ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটি থাকে এবং কর্ম সপ্তাহ সোমবার থেকে শুক্রবার। প্রতি সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করতে হবে। এছাড়া ওভার টাইম করলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই বেতন বেশি পাবেন। এছাড়া আপনি বছরে ১২ দিন ছুটি নিতে পারবেন। তাছাড়া সরকারি ছুটির দিন গুলোতে ছুটি থাকবে। লাঞ্চের ছুটির জন্য ৩০ মিনিট সময় পাবেন। এ ছাড়া আরো অন্যান্য ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম যেতে কত সময় লাগে

অনেকে জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম যেতে কত সময় লাগে? আসলে এটা নির্ভর করবে বিমানের বিরতি এবং কোয়ালিটির উপর। চলুন, এই ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

যেহেতু বিভিন্ন ধরনের বিমান রয়েছে, তাই ফ্লাইট এর ক্ষেত্রে অনেকে বিরতি দিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রের সময় একটু বেশি লাগতে পারে। তবে সর্বদিক বিবেচনা করে প্রায় ৩ থেকে ৫ ঘন্টার মত সময় লাগবে। যদি ভালো মানের বিমানের মাধ্যমে যেতে পারেন।

আপনি যদি একটু কোয়ালিটি কম সম্পন্ন বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ৭ ঘন্টা থেকে শুরু করে প্রায় ১৩ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রায় ১৮ ঘণ্টা থেকে ১ দিনের মতো সময়ও লেগে যেতে পারে। তাই আপনি ধরে রাখবেন ১দিনের মত সময় লাগতে পারে। তবে যদি আপনি ভালো মানের বিমানের মাধ্যমে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৬ ঘন্টার মত সময় লাগবে।

ভিয়েতনাম যেতে কি কি লাগে

আপনি যদি ভিয়েতনাম যেতে চান সে ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগবে। তাই ভিয়েতনাম যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আগে থেকে আপনি সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কি কি লাগতে পারে।
ছবি
বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি এই দেশটিতে বিমানের টিকিট করে থাকেন এবং বৈধ ভিসা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। চলুন, সে কাগজপত্রগুলো সম্পর্কে জানা যাক।

অবশ্যই আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে, যার ন্যূনতম ৬ মাস থাকা লাগবে এবং এই পাসপোর্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে পৃষ্ঠা থাকতে হবে।

আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে,এছাড়াও মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
যদি আপনার পিতা-মাতা জাতীয় পরিচয় পত্র থাকে সে ক্ষেত্রে নিয়ে যেতে হবে।

এছাড়া আপনার অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের সনদ লাগবে, যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এর ফটোকপি লাগবে।

পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে এবং ব্যাংকের স্টেটমেন্ট যদি থাকে সেটা দিতে হবে।

তবে আপনার সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য বলা যেতে পারে যে যদি আপনার কোন কাগজপত্র ত্রুটি থাকে, তাহলে অবশ্যই আগে থেকেই এটা প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। যাতে করে নির্ভুল ভাবে আপনি কাগজপত্র দিতে পারেন।

ভিয়েতনাম যাওয়ার ক্ষেত্রে FAQ সম্পর্কে প্রশ্ন জানুন

ভিয়েতনাম যেতে কত বছর বয়স লাগে?

বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি এদেশে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে ন্যূনতম ২১ বছর বয়স হতে হবে। তাছাড়া যদি ভ্রমণ ভিসায় যেতে চান, এক্ষেত্রে বয়স যদি কম হয় তাহলে অভিভাবকের অনুমতি পত্র লাগবে।

বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম কত কিলোমিটার?

বাংলাদেশ থেকে এ দেশ একটু দূরে অবস্থিত তাই এর দূরত্ব প্রায় ৩৩৩৩ কিলোমিটার।

ঢাকা থেকে ভিয়েতনামের বিমানের টিকিট কতদিন আগে বুক করা উচিত?

যেহেতু বিমানের টিকিট বিভিন্ন সময় ছাড় দিয়ে থাকে, তাই আপনি যদি ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে ১মাস আগে থেকে টিকিট বুক করে রাখতে পারেন।

ভিয়েতনামে স্টুডেন্ট ভিসায় কাজ করা যায় কি?

হ্যাঁ, কাজ করতে পারবেন। তবে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া আছে এবং কত ঘন্টা কাজ করবেন সেটাও নির্ধারণ করা আছে।

ভিসা বাতিল হলে কি করনীয়?

আপনার যদি ভিসা বাতিল হয় তাহলে অবশ্যই দ্রুত এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করবেন এবং পুনরায় আবেদন করবেন।

উপসংহারঃ বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম যেতে কত টাকা লাগে আপডেট জানুন

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি ভিয়েতনাম যেতে চান সেক্ষেত্রে কোন কাজের উপরে যাবেন সেটা আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারপর নির্ভর করবে আপনার ভিসা খরচ। তাই বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনি বুঝতে পারবেন। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪