তাইওয়ান যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত
অনেকে জানতে চায় যে, তাইওয়ান যেতে কত টাকা লাগে? আসলে বাংলাদেশের লোকজনের সরাসরি কাজের ভিসা করার অনুমতি নাই। তবে অন্য পদ্ধতিতে যেতে পারবেন। চলুন, তাইওয়ান যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
যেহেতু তাইওয়ান একটি উন্নত রাষ্ট্র তাই অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত। এ দেশে প্রতিবছরে প্রচুর পরিমাণ লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই তাইওয়ান যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃতাইওয়ান যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত
তাইওয়ান যেতে কত টাকা লাগে
আপনি যদি তাইওয়ান যেতে চান, সেক্ষেত্রে তাইওয়ান যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে হবে। যদিও বাংলাদেশ থেকে তাইওয়ান সরাসরি যাওয়া যায় না। চলুন, কিভাবে যাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি এ দেশটিতে কাজের ভিসায় যাওয়া যায় না। কেননা বাংলাদেশের সাথে এ দেশের কোন চুক্তি নেই। যার কারণে বাংলাদেশীরা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন না। এজন্য অন্য দেশের মাধ্যমে আপনাকে যেতে হবে এতে খরচ বেশি হবে।
এ দেশে যাওয়ার জন্য আপনাকে অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে এবং এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়া লাগবে। যেহেতু কাজের ভিসা দেয় না, তাহলে অন্য কোন ভিসার মাধ্যমে আপনাকে যেতে হবে। তবে এই ভিসায় যদি সরকারি মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাগবে, এর মাঝে বিমান ভাড়া অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তবে যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে খরচ বেশি হবে অথবা কোন দালালের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার মত লাগতে পারে। তবে দালালের মাধ্যমে গেলে ঝুঁকি থাকবে। আপনি সরকার অনুমোদিত যেকোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারেন এতে আপনার সুবিধা হবে।
কাজের ভিসা খরচঃ যেহেতু বাংলাদেশের লোকজন কাজের জন্য কাজের ভিসার মাধ্যমে এ দেশে যেতে পারে না। কেননা বাংলাদেশের সাথে এ ধরনের কোন চুক্তি নেই। শুধুমাত্র বিজনেস ভিসা এবং পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যাওয়া যাবে। এজন্য কাজের ভিসার মাধ্যমে যেতে হলে আপনাকে অন্য দেশের মাধ্যমে যেতে হবে। এ দেশের সরকার মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।
আপনি মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় প্রথমে গিয়ে কিছুদিন থাকার পরে সেখান থেকে তাইওয়ানে যাওয়ার জন্য ভিসা করতে পারবেন। এতে আপনার খরচ হতে পারে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মত। যেহেতু এটি একটি উন্নত রাষ্ট্র তাই কাজের ভিসার জন্য মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার লোক বেশি নিয়ে থাকে কারণ তারা অনেক দক্ষ। তাই আপনিও যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।
আরেকটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন তাহল; যেহেতু বাংলাদেশের লোকজন পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে পারবে, সে ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার পরে ৬ মাস বা এক সেমিস্টার পার করার পরে আপনি তাওয়ান অবস্থান করার জন্য কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম চাকরি করতে পারবেন। পার্ট টাইম কাজ গুলো হল বিক্রয় সহকারী অথবা খন্ডকালীন বিভিন্ন ধরনের চাকরি রয়েছে সেই চাকরিগুলো করে ৪৫০ থেকে ১০০০ ডলারের মত ইনকাম করতে পারবেন।
টুরিস্ট ভিসা খরচঃ আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি পাবেন। এখানে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন পরে পর্যটন, সামাজিক ভ্রমন, ব্যবসা সম্মেলন বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি টুরিস্ট ভিসায় গিয়েও সেখানে পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে পারবেন।
তাই টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনাকে ভিসা ফি দিতে হবে ১৬০০ ডলারে মত। আবেদনের জন্য এর সাথে আরো ৫০ মার্কিন ডলারের মত লাগবে। আপনি ভ্রমণ করার উদ্দেশ্য গেলে ব্যাংকের তহবিল দেখাতে হবে, সে ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার মতো দেখাতে হবে, ফিরে আসার টিকিট বুকিং দেখাতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসা খরচঃ অনেকেই এদেশে পড়াশোনার জন্য যায়। কেননা এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক উন্নতমানের এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মান সারা বিশ্বে প্রথম সারির মধ্যে রয়েছে। তাই আপনি এখানে পড়াশোনা করতে যেতে পারেন। যদি আপনি স্কলারশিপ এর মাধ্যমে যেতে পারেন তাহলে সেখানে পড়াশোনা খরচ খুবই কম হবে। তবে আপনি যদি স্কলারশিপ পান সে ক্ষেত্রে আপনাকে তাইওয়ান সরকার মাসে প্রায় ৯৫ হাজার টাকার মত উপবৃত্তি দিবে।
তাছাড়া আপনার পড়াশোনার পাশাপাশি জীবন ধারণের জন্য যে টাকা পয়সা লাগবে সেক্ষেত্রে প্রতিবছরে ১ লাখ ৯০ হাজার থেকে শুরু করে ৩ লাখ ১৪ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। সব মিলিয়ে যখন আপনি পড়াশোনা শেষ করবেন সে ক্ষেত্রে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার মত খরচ হয়ে যাবে। আর যদি স্কলারশিপ এর মাধ্যমে যেতে পারেন, তাহলে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের যে খরচ একদম ফ্রি।
তাছাড়া খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার প্রতি মাসে ৩০০০ মার্কিন ডলারের মতো খরচ হবে। এছাড়াও যাতায়াতের ক্ষেত্রে যে বাস গুলো রয়েছে সেক্ষেত্রে আপনার ৫০০ ডলারের মত লাগতে পারে এবং যদি আবাসন ভাড়া নিতে চান সে ক্ষেত্রে অবস্থানের উপর নির্ভর করে এ ক্ষেত্রে মাসে প্রায় ১২ হাজার ডলার অর্থাৎ ৪৪ হাজার টাকার মত লাগতে পারে।
যারা এখানে অন্য দেশ থেকে পড়াশোনা করতে আসে তারা ১ সেমিস্টার হয়ে গেলে পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে ২০ ঘন্টার মত সপ্তাহে কাজ করতে পারবে, পার্টটাইম কাজের সুযোগ থাকবে সে ক্ষেত্রে ভালো টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।
বিজনেস ভিসাঃ বাংলাদেশের অনেক লোকজন বিজনেস করতে যেতে চায়, সেক্ষেত্রে ব্যবসায়িকরা যদি যেতে চান তাহলে আপনাকে চুক্তিবদ্ধভাবে যেতে হবে অর্থাৎ ওই দেশের যে কোম্পানির কাছে আপনি যাচ্ছেন বা কোন প্রোডাক্ট কিনতে যাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কোম্পানির চুক্তিপত্র বা ইনভাইটেশন লেটার লাগবে। এছাড়াও আপনার এই দেশের দূতাবাসে গিয়ে ট্রেড অফিস কোম্পানির ইনভাইটেশন লেটার বা গ্যারান্টি লেটার লাগবে। এছাড়া আরো কিছু ডকুমেন্টস তৈরি প্রয়োজন হবে।
আপনার বিজনেস ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। অল্প সময়ের মধ্যে মাত্র ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যেই এই ভিসা পেয়ে যাবেন।
রেসিডেন্ট ভিসাঃ এই ভিসায় যদি যাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে আপনার কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে। চলুন সে ডকুমেন্টস গুলো সম্পর্কে জানা যাক।
আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে যার মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে।
আর যে আবেদন পত্র ডাউনলোড দিবেন সেটা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হবে, অবশ্যই সাম্প্রতিক তোলা ছবি হতে হবে।
আপনি যে ভিসার জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন সেই ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পত্র লাগবে।
এ ছাড়া আপনার স্বাস্থ্য সনদের প্রয়োজন হবে ইত্যাদি আরো কাগজপত্র লাগতে পারে।
এই ভিসার মাধ্যমে যখন আপনি যাবেন সেক্ষেত্রে ওখানে পৌঁছানোর পরে থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আপনাকে ইমিগ্রেশন এজেন্সি পরিষেবা কেন্দ্র আছে সেখান থেকে রেসিডেন্ট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করা লাগবে। এরপরে যদি অনুমোদন করে তাহলে সেখান থেকে অনুমোদন পেলে আপনি বৈধভাবে থাকতে পারবেন।
আপনি যদি এদেশে ভিজিটর হিসেবে যেতে চান সে ক্ষেত্রে যাওয়ার পরে আইন অনুযায়ী রেসিডেন্ট ভিসায় পরিবর্তন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন অনুযায়ী এই ভিসায় পরিবর্তন করার অনুমতি পাবেন।
তাইওয়ান যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে
তাইওয়ান যেতে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগতে পারে। তাই তাইওয়ান যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে? এই কাগজপত্র গুলো আপনাদের সংগ্রহ করে রাখতে হবে। চলুন, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এ দেশে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে আবেদন করার ক্ষেত্রে, আবেদনের সময় এই ডকুমেন্টসগুলো সঠিকভাবে জমা দিতে হবে। তাছাড়া আপনার আবেদনটি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
অবশ্যই ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ডাউনলোড করে সঠিকভাবে পূরণ করা লাগবে।
আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করার জন্য যেতে চাচ্ছেন সেই কোম্পানির ইনভাইটেশন লেটার অবশ্যই প্রয়োজন হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও জন্ম নিবন্ধনের ডিজিটাল ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
যে কাজের জন্য যাচ্ছেন সেই কাজের দক্ষতা থাকতে হবে এবং এর সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
অবশ্যই আপনার বৈধ পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে যার কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ আছে।
ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দিতে হবে এবং যে একাউন্টে সব সময় টাকা লেনদেন করেছেন এই ধরনের ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট লাগবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকতে হবে।
সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে অবশ্যই ছয় মাসের মধ্যেই ছবিগুলো তোলা থাকতে হবে।
তাই যারা তাইওয়ান যেতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই উপরুক্ত ডকুমেন্টস গুলো সংগ্রহ করে রাখবেন। যদি কোন ডকুমেন্টস হারিয়ে যায় সে ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। তাই আপনার এজেন্সির মাধ্যমে জেনে নিবেন যদি আরও কোন কাগজপত্র লাগে সেগুলো সংগ্রহ করে রাখবেন।
তাইওয়ানে কোন কাজের চাহিদা বেশি
তাইওয়ান এ বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। তাই তাইওয়ানে কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি আগে থেকে অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন এবং এ দেশে গিয়ে বেশি টাকা বেতন পাবেন। চলুন, জেনে নেয়া যাক।
এ দেশে প্রচুর পরিমাণে কাজ রয়েছে কেননা দেশটি উন্নত রাষ্ট্র। যার কারণে প্রতিবছরে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ শ্রমিক বা কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকে এবং বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক তারা এই কাজের উপরে যায়। বিশেষ করে তারা পরিচ্ছন্ন কর্মী অথবা হোটেল ও রেস্টুরেন্টের কাজের জন্য গিয়ে থাকে।
তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে বাংলাদেশ থেকে কিন্তু সরাসরি কোন কাজের ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যায় না। তাই কোন দালালের খপ্পরে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। অবশ্যই আপনাকে অন্য দেশের মাধ্যমে এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসা আবেদন করা লাগবে এবং এই কাজগুলো আপনি করতে পারবেন।
তবে এই দেশটিতে আইটি ক্ষেত্রে বাঙালিরা খুবই কম যায়। এছাড়াও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি অনলাইন ভিত্তিক অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো ক্ষেত্রে বাংলাদেশের লোকজন খুবই কম নিয়োগ দিয়ে থাকে।
তাইওয়ানে কাজের বেতন কত
তাইওয়ান অনেক উন্নত তাই কাজের বেতন অনেক বেশি। তাই তাইওয়ানে কাজের বেতন কত? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার উপকার হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
যেহেতু বিভিন্ন ধরনের কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বেতন দিয়ে থাকে যা কমবেশি হয়ে থাকে। তবে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত যার কারণে তারা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সব সময় বেতন বেশি দিয়ে থাকে।
এজন্য বিভিন্ন দেশ থেকে প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাদের এই দেশকে আরো উন্নত করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে অর্থ বাজেট করা থাকে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে এবং বেতন ভাতা অনেক বেশি দেয়।
এই ক্ষেত্রে যারা কাজ করে থাকেন অর্থাৎ আইটি সেক্টরে যারা কাজ করে তারা মাসে প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার মত বেতন পায়। তাই আপনার যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে এই কাজের জন্য যেতে পারেন। তবে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার অনুমতি নাই, তাই অন্য দেশের মাধ্যমে আপনাকে যেতে হবে।
এছাড়াও যারা কনস্ট্রাকশনের কাজ করে থাকে, তারা ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত মাসে বেতন পায়। আবার যারা পরিচ্ছন্ন কর্মী বা হোটেল বা রেস্টুরেন্টের কর্মী হিসেবে কাজ করে থাকে, তারা মাসে প্রায় ১ লক্ষ টাকার উপরে বেতন পেয়ে থাকে। এছাড়াও তাদের ওভার টাইম রয়েছে। সব মিলিয়ে অনেক টাকাই বেতন পায়।
তাইওয়ান যাওয়ার ক্ষেত্রে FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন
তাইওয়ানে কাজের পাশাপাশি পড়াশোনা করা যায় কি?
হ্যাঁ, আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম হিসেবে কাজ করতে পারবেন, এই ধরনের অনুমতি আছে।
ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পরে পরিবার নিয়ে যাওয়া যায় কি?
আপনি অনেকদিন যাবত কাজ করলে তারা যদি বিশ্বাস করে তাহলে আপনাকে ডিপেন্ডেন্ট ভিসায় আবেদন করা লাগবে তারপর আপনি পরিবার নিয়ে যেতে পারবেন।
তাইওয়ান ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
যদি আপনার ভিসা প্রক্রিয়ার কাজ দ্রুত করা হয় সেক্ষেত্রে ৩-৫ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।
তাইওয়ানে গোল্ড ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
যদি আপনি বসবাসের অনুমতি পেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে গোল্ড ভিসার আবেদন করা লাগবে। এজন্য সকল নথিপত্র জমা দিতে হবে। এই কাজ সম্পন্ন করতে ৩০ থেকে ৬০ দিনের মতো লাগতে পারে।
ভারত থেকে তাইওয়ান যেতে কত সময় লাগে?
ভারত থেকে যদি আপনি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে বিরতিহীন ফ্লাইটে গেলে ৬ ঘন্টা ৩০ মিনিট এর মত সময় লাগতে পারে। আর যদি বিরতি দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগবে।
শেষ কথাঃ তাইওয়ান যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে তাইওয়ানে সরাসরি যাওয়ার অনুমতি নেই। বিশেষ করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে। তাই আপনাকে বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে কত টাকা লাগতে পারে সেটা নির্ভর করবে আপনার এজেন্সির উপরে। তাই তাইওয়ান যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার কাজে আসবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url