বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে সর্বশেষ তথ্য জানুন
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কম্বোডিয়া যায়, তাই বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এটা নির্ভর করবে আপনার কাজের উপরে। চলুন,কম্বোডিয়া যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে। 

কম্বোডিয়া বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য প্রতিবছরের বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক নিয়ে থাকে। তাই আপনার কাজের বেতন ও ভিসা খরচ কত জানা প্রয়োজন, তাই বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে সর্বশেষ তথ্য জানুন
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই কম্বোডিয়া যেতে চায় কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে? সম্পর্কে হয়তো অনেকে জানেন না। চলুন, কম্বোডিয়া যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এ দেশটিতে যাওয়ার জন্য ভিসা খরচ কত হবে সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের ভিসার উপরে যাবেন। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার চেষ্টা করে থাকে। সেক্ষেত্রে এই ভিসায় আপনার খরচ হতে পারে প্রায় ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত।
তবে এই খরচ আপনার এজেন্সির উপর নির্ভর করবে, যদি এজেন্সি ভাল হয় সেক্ষেত্রে এর চাইতে খুব একটা কম বেশি খরচ হবে না। আর যদি দালালের মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে খরচ বেশি হবে। আনুমানিক ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে।
আপনার যদি এই দেশটিতে আত্মীয়-স্বজন থাকে অথবা বন্ধু-বান্ধব থাকে, সেই ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনার খরচ হতে পারে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত এবং নিরাপদে যেতে পারবেন। তাই চেষ্টা করবেন আপনার কোন আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে যাওয়ার জন্য।
সাধারণত বাংলাদেশ থেকে এ দেশে বিভিন্ন ধরনের ভিসায় গিয়ে থাকে তার মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভিসা রয়েছে। চলুন সেই ভিসা গুলোর দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি কাজের ভিসা যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে।
ট্যুরিস্ট ভিসায় যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।
স্টুডেন্ট ভিসায় যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে।
এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের ভিসায় চাওয়া যেতে পারে যেমন প্লাম্বিং, হোটেল ভিসা, বিজনেস, ভ্রমণ সহ বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। সেগুলো আলাদাভাবে জেনে নেওয়া যাক, কোন ভিসার কত টাকা দাম।
- কৃষি ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মতো।
- গার্মেন্টস ভিসায় যেতে চাইলে সেক্ষেত্রে ভিসা খরচ হবে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত।
- প্লাম্বিং ভিসার খরচ পড়বে ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা মতো।
- কনস্ট্রাকশন ভিসার খরচ হবে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত।
- হোটেল ভিসার খরচ হবে ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মতো।
- বিজনেস ভিসায় খরচ হবে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মত।
- ফুট প্যাকেজিং ভিসার খরচ পড়বে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকার মতো।
টুরিস্ট ভিসা খরচঃ সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এ দেশটিতে ভ্রমণ করতে আসে। বিশেষ করে আকর্ষণীয় স্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঐতিহাসিক স্থান ইত্যাদি উপভোগ করার জন্য। পূর্বের টুরিস্ট ভিসা যে খরচ ছিল তার চেয়ে একটু বৃদ্ধি পেয়েছে, সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ভ্রমণ করতে চান এবং এই ভিসা করতে চান তাহলে আপনার ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। যদি আপনি আরও বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে চান সেই ক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা।
গার্মেন্টস ভিসা খরচঃ যেহেতু এই দেশটিতে শিল্প কল কারখানা রয়েছে তাই তাদের প্রচুর পরিমাণে শ্রমিকের প্রয়োজন। এজন্য বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক এই ভিসায় যায়, আপনার যদি অভিজ্ঞতা থাকে আপনিও যেতে পারেন। চলুন বিস্তারিত জানা যাক।
গার্মেন্টস ভিসায় যদি আপনি যান সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন ৪০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মত হবে। এই ভিসা করতে আপনার খরচ পড়বে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মতো। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন পাসপোর্ট, ছবি, সার্টিফিকেট, মেডিকেল সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে।
এছাড়া আপনার গার্মেন্টস কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং সেই সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে। গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে যদি আপনি যান, সেক্ষেত্রে থাকা খাওয়ার সুবিধা কোম্পানি দিয়ে থাকবে। তাহলে আপনার অনেক টাকা বেঁচে যাবে, গার্মেন্টস ভিসায় যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে সে ক্ষেত্রে এর চেয়ে আরো বেশি বেতন পেতে পারেন। তাছাড়া ওভারটাইম তো থাকছেই এ টাকা মিলে আপনার প্রায় ১ লক্ষ টাকার উপরে বেতন পেতে পারেন।
কম্বোডিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
কম্বোডিয়া বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তবে কিছু কাজের গুরুত্ব আছে। তাই কম্বোডিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার অভিজ্ঞতা দিয়ে যেতে পারবেন। চলুন, এ বিষয় জানা যাক।
এ দেশে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশি লোকজনদের কর্মসংস্থানের নতুন পথ শুরু হয়েছে। তাই এ দেশটিতে যে সকল কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন এবং সেই কাজগুলোর উপর অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি বেশি বেতন পাবেন। যেহেতু দেশটি অর্থনীতি এবং উন্নয়নশীল একটি দেশ, শিল্প কল কারখানা রয়েছে। যা চাকরির ক্ষেত্রে প্রচুর সুযোগ সুবিধা পাবেন।
এখানে প্রচুর পরিমাণে প্রযুক্তি, পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ এবং কৃষি ক্ষেত্রে যদি দক্ষতা থাকে এই সকল শ্রমিকদের অনেক চাহিদা বেশি, যেহেতু দেশটিতে অবকাঠামো উন্নয়ন করে থাকে। নির্মাণ কাজ উপরে শ্রমিকদের এবং ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, মেশিন অপারেটর এই সকল কাজের প্রতি গুরুত্ব রয়েছে। চলুন, আরো কিছু কাজ সম্পর্কে জানা যাক।
- কনস্ট্রাকশনের কাজের জন্য যেতে পারেন চাহিদা আছে
- হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর কাজের চাহিদা রয়েছে
- কৃষি কাজের অনেক চাহিদা
- ফুড প্যাকেজিং এর কাজের গুরুত্ব রয়েছে
- পরিছন্নতা কর্মীর অনেক চাহিদা আছে।
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া বিমান ভাড়া কত
আপনি যদি কম্বোডিয়া যেতে চান সে ক্ষেত্রে বিমানের মাধ্যমে যেতে হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া বিমান ভাড়া কত? বিভিন্ন ধরনের বিমান রয়েছে, তার কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে কত টাকা খরচ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি এই দেশটিতে যেতে চান, সেক্ষেত্রের বিভিন্ন ধরনের বিমানের মাধ্যমে যেতে পারবেন। যে বিমানের মাধ্যমে যাবে সেই বিমান বিরতি দেবে তারপর সেখান থেকে আবার আপনাকে নিয়ে পৌঁছে দেবে।
তাছাড়া এই বিমানগুলোতে অনেক সুযোগ সুবিধা থাকে এবং ভাড়াও কম বেশি হয়। যদি আপনি অল্প খরচ দিয়ে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ১ থেকে ২ বার বিরতি দিতে সেই বিমানের মাধ্যমে যেতে পারেন। চলুন, বিমানের ভাড়া সম্পর্কে জানা যাক।
বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি বিমানের মাধ্যমে এই দেশটিতে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানের খরচ পড়বে ৪৮ হাজার টাকার মতো।
এয়ার এশিয়া বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৪৯ হাজার টাকার মত
এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আরো একটি বিমান যায় যেটা নাম হল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে গেলে আপনার খরচ পড়বে ৩৯ হাজার টাকার মতো।
থাই এয়ারওয়েজ এই বিমানের মাধ্যমে গেলে আপনার খরচ পড়বে ৪৭ হাজার টাকার মত।
ব্যাংকক এয়ারওয়েজ এই বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৪৯ হাজার টাকার মত।
কম্বোডিয়া কাজের বেতন কত
কম্বোডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে এবং বেতনও ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তাই কম্বোডিয়া কাজের বেতন কত? আপনি যে কাজটি করবেন তার বেতন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। এ বিষয়ে জানা যাক,
দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যার কারণে অনেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মসংস্থানের জন্য যায় এবং দেশটিতে নতুন নতুন অনেক কাজ থাকার কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোকজন যাচ্ছে। তাদের বেতন এবং যোগ্যতা, দক্ষতা অনুযায়ী নির্ভর করবে কত টাকা পাবে। তাছাড়া বেতনটা নির্ভর করে নির্দিষ্ট শহর কোম্পানি এবং কাজের অভিজ্ঞতার উপরে।
বেতনের সাথে অনেকের থাকা খাওয়া ফ্রি থাকে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের লোকজন এই সুযোগ সুবিধা টা কম পায়। তাছাড়া এ দেশটিতে সর্বনিম্ন বেতন ধরা হয় ৩০ হাজার টাকার মত, যদি আপনি শহরে কাজ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি বেতন পাওয়া যাবে। চলুন, অন্যান্য কাজের বেতন কত জানা যাক।
আপনি যদি কম্পিউটার অপারেটর কাজের অভিজ্ঞতা যদি থাকে সেক্ষেত্রে ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত বেতন পাবেন।
ফুড প্যাকেজিং এর কাজ যদি করেন সে ক্ষেত্রে মাসে বেতন পাবেন ৫০০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মত
কনস্ট্রাকশনের কাজ যদি করেন সে ক্ষেত্রে বেতন পাবেন ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মত।
কম্পিউটারের যদি অভিজ্ঞতা না থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি বেতন পাবেন ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মত।
কৃষি কাজ যদি করেন তাহলে বেতন পাবেন ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মতো।
পরিছন্নতা কর্মীর অনেক প্রয়োজন রয়েছে সে ক্ষেত্রে বেতন পাবেন যেমন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত।
হোটেল রেস্টুরেন্টের কাজের গুরুত্ব রয়েছে এক্ষেত্রে আপনি মাসে বেতন পাবেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত।
কম্বোডিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
কম্বোডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিন্ন রকমের বয়স নির্ধারণ করা হয়। তাই কম্বোডিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি কোন বয়সে কোন কাজ করবেন সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- যদি টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার আঠারো বছর বা তার বেশি হতে হবে
- স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চাইলে ১৮ বছরের বেশি হতে হবে
- রিটায়ারমেন্ট ভিসায় যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৫৫ বছর বা তার বেশি হওয়া লাগবে
- ব্যবসায়িক ভিসায় যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে ১৮ বছরের উপরে থাকতে হবে।
এক কথায় ১৮ বছরের কম বয়সে কোন লোক কাজের ক্ষেত্রে এই দেশটিতে যেতে পারবে না। তবে যদি ভ্রমণ করতে যেতে চায় সেক্ষেত্রে পিতা-মাতা বা তার অভিভাবকের সাথে যেতে পারবে এক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না।
কম্বোডিয়া যেতে কি কি লাগে
এই দেশটিতে যেতে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। তাই কম্বোডিয়া যেতে কি কি লাগে? সেই কাগজপত্র গুলো আপনার সংগ্রহ করতে হবে, আবেদন করার পরে এগুলো জমা দিতে হবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
এ দেশটির ভিসা দুই রকম ভাবে করা যায় সরাসরি আপনি এম্বাসিতে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন অথবা অনলাইনের মাধ্যমে ই ভিসা আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করলে আপনি এই দেশটির ওয়েব সাইটে গিয়ে পার্সোনাল তথ্যগুলো আবেদন ফরমে পূরণ করবেন, এরপর একটা ভিসা ক্যাটাগরি ফি আসবে সেটা পরিশোধ করা লাগবে।
তারপর আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিতে হবে সেগুলো আপলোড এর মাধ্যমে দিয়ে দিবেন। আপনি চাইলে যে কোন বেসরকারি এজেন্সি অর্থাৎ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে এ কাজগুলো করে নিতে পারবেন। এতে আপনার কোন কাজ করতে হবে না। চলুন যে ডকুমেন্টগুলো লাগে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
- অবশ্য আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার বয়স কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে
- ইমেইল থাকতে হবে
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হয়
- এয়ার টিকিট প্রয়োজন
- ডিজিটাল পাসপোর্ট ছবি লাগবে
- ওয়ার্ক পারমিট লাগবে
- দক্ষতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন
- এছাড়া মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রয়োজন আছে
- একাডেমিক সার্টিফিকেট যদি প্রয়োজন হয় দিবেন
- পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট লাগবে।
কম্বোডিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন
কম্বোডিয়া টাকার মান কত?
এ দেশের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের ৩ পয়সা অর্থাৎ এই দেশটির যখন ৩৪ রিয়াল হবে তখন বাংলাদেশের ১ টাকা সমান।
কম্বোডিয়া ভিসা আবেদন কোথায় করতে হয়?
বাংলাদেশ এর কোন এম্বাসি নাই, ভারতে গিয়ে ভিসা আবেদন করা লাগবে। ভারতে এর এম্বাসি আছে।
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত সময় লাগে?
বিমানের উপর নির্ভর করবে কত সময় লাগবে, সেক্ষেত্রে যদি একবার বিরতি দেয় তাহলে ৬ ঘন্টা থেকে ১২ ঘণ্টার মতো লাগতে পারে।
ড্রাইভিং ভিসায় কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে?
আপনি যদি ড্রাইভিং ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার নূন্যতম ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে।
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ার দূরত্ব কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে এই দেশের দূরত্ব প্রায় ২৯৭৬ কিলোমিটার।
শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার কত টাকা লাগতে পারে এটা জানা প্রয়োজন। মূলত এটা নির্ভর করবে আপনার কাজের উপরে আপনি কোন ভিসায় যাবেন তার ওপরে। তাই বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা আছে, পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url