জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ও বেতন সম্পর্কে জানুন
অনেকে জানতে চায় জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন সম্পর্কে। তাই আপনি যদি জার্মানিতে কাজ করার জন্য যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। চলুন, কিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
জার্মানি প্রতি বছর তাদের বিভিন্ন কাজের জন্য লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে লোক জার্মানিতে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। তাই জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃজার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ও বেতন সম্পর্কে জানুন
জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই জার্মানি কাজের ভিসায় যেতে চায়। তাই জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য যে নিয়ম কানুন রয়েছে। সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, চলুন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি এ দেশে কাজ করতে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। বর্তমানে এই ভিসা চালু রয়েছে। তবে আপনি যদি এই ভিসায় যেতে চান তাহলে একটু খরচ বেশি হবে। যেহেতু এটি উন্নত রাষ্ট্র। তাই জার্মানির সরকার প্রতিবছরে নির্দিষ্ট সময়ে তারা বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি এই ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
তবে ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে এজেন্সি অবশ্যই সরকার অনুমোদিত হতে হবে। আপনি যেকোন কাজ করার ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রয়োজন হবে। এই ভিসা যদি আপনি করতে পারেন তাহলে এদেশে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় এ দেশের কাজের দাম অনেক বেশি এবং কোম্পানিগুলো বেশি বেতন দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি কোম্পানি গুলোতে চাকরি করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এদেশের ওয়েবসাইটে গুলোতে সার্চ করতে হবে। কোম্পানি গুলো যখন সার্কুলার দেয় সেই সার্কুলার অনুযায়ী আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন।
এ দেশে প্রতি বছর বিভিন্ন কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়ে থাকে। এজন্য তারা বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ লোক নিয়োগের মাধ্যমে নিয়ে থাকে। কেননা দেশটি যেহেতু উন্নত তাই তারা দক্ষ লোক কাজের জন্য বাছাই করে থাকে।
তাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে যে কাজগুলো আপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই কাজগুলোর ভিসা আবেদন করতে পারেন। যেমন আপনি ড্রাইভিং এর কাজ জানা থাকলে যেতে পারবেন, হোটেল বা রেস্টুরেন্টের কর্মী হিসেবে, নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে, ইঞ্জিনিয়ার, মেডিকেল, ক্লিনার ভিসা, ছাত্রদের জন্য খন্ডকালীন চাকরি আছে। যদি আপনি এই কাজগুলোতে যেতে চান তাহলে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় করতে হবে।
আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কোম্পানির বৈধ অফার লেটার থাকতে হবে। এছাড়াও আপনি যে কোম্পানিতে জব করবেন সেই কোম্পানির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি আপনাকে তারা যাচাই-বাছাই করার পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করবে। সে ক্ষেত্রে আপনি জব লেটার পেয়ে যাবেন।
এছাড়া আপনার জার্মানি ভাষা শিখতে হবে, এরপর কাজের অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা থাকতে হবে। তারপর অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে, এরপর তারা যাচাই-বাছাই করে আপনাকে চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত করবে। এক্ষেত্রে কিছু ডকুমেন্টস এবং কাগজপত্র দিতে হবে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করার ক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র ও ডকুমেন্টগুলো লাগবে সে সম্পর্কে নিম্নে দেওয়া হলো;
অবশ্যই আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং সেই পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাস থাকতে হবে।
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
এছাড়াও সাম্প্রতিক তোলা আপনার পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি লাগবে।
যে কোম্পানিতে আপনি চাকরি করবেন সেই কোম্পানির জব অফার লেটার এর ফটোকপি দিতে হবে।
আপনার জীবন বৃত্তান্ত এর কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
এছাড়া মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
ব্যাংকের স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে, যে একাউন্টে ১ বছরের লেনদেন রয়েছে, এই ধরনের অ্যাকাউন্ট দিতে হবে।
পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট জমা দেওয়া লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে
আপনি যখন জার্মানিতে যাবেন সেক্ষেত্রে ভিসা খরচ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে? সে সম্পর্কে জানা থাকলে সুবিধা হবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
এ দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে ইলেকট্রিশিয়ান এর ভিসা, ইঞ্জিনিয়ারিং ভিসা, ড্রাইভিং, হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজ, কৃষি কাজ, ক্লিনার ইত্যাদি ভিসা গুলোতে আপনি যেতে পারবেন। এ সকল ভিসার সাধারণত খরচ পড়বে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মতো। তবে বিভিন্ন এজেন্সির কারণে হয়তো কিছু কম বেশি হতে পারে।
এছাড়া আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মত লাগবে।
আপনি যদি কোম্পানি ভিসার মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার মত লাগবে।
এছাড়া আপনি যদি ড্রাইভিং ভিসায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত লাগবে।
আপনি যদি ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে যেতে চান, তাহলে টুরিস্ট ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার টুরিস্ট ভিসার দাম ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকার মতো।
আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ভিসার খরচ পড়বে ২ লাখ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজারের মতো।
জার্মানি কাজের বেতন কত
অনেকে জানতে চায় যে জার্মানি কাজের বেতন কত? আসলে বেতন নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের কাজ করেন। চলুন, কোন কাজের কি পরিমান বেতন দেয়, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি একজন দক্ষ শ্রমিক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে বেতন বেশি পাবেন। তবে যদি আপনি নতুন শ্রমিক হন সে ক্ষেত্রে একটু তুলনামূলক কম বেতন পাবেন। তাই নতুন শ্রমিকের বেতন সাধারণত মাসে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মত হয় । এছাড়া ওভারটাইম করতে পারবেন এজন্য আরো কিছু বাড়তি টাকা মিলে মাসে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারবেন।
যদি আপনি দক্ষ শ্রমিক হন সে ক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই বেতন বেশি হবে এবং এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার থাকলে কাজের ক্ষেত্রে আরো বেশি বেতন দেওয়া হয়। তাই আপনি যে কোন কাজের ক্ষেত্রে বেতন পেতে পারেন ৮০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকার মত।
জার্মানি কাজের ভিসা পাওয়ার উপায়
জার্মানিতে আপনি যদি কাজ করতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে জার্মানি কাজের ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি কিভাবে বৈধভাবে যাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা যাক।
যেহেতু এটি একটি উন্নত রাষ্ট্র এবং অর্থনীতির দিক দিয়ে অনেক শক্তিশালী একটি দেশ। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমানে লোক কাজ করার জন্য আগ্রহী, এই জন্য আপনাকে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে।
এই ভিসায় আপনি যদি যেতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। এজন্য বাংলাদেশ থেকে যদি সরাসরি যেতে চান সে ক্ষেত্রে একটু কঠিন হবে। তবে সরকারিভাবে আপনি বোয়েসেলার অথবা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে পারেন। এরপরে বেসরকারিভাবে সরকারি অনুমোদনকৃত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।
তবে যদি আপনি বেসরকারি উপায়ে এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে খরচ বেশি হবে। এজন্য আপনি নিজেও অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন। তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করতে পারেন, এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কাজ খুঁজতে হবে তারপর আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ লাওস যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত
যখন আপনি আবেদন করবেন তখন কোম্পানি আপনাকে যাচাই-বাছাই করে নির্বাচিত করবে। এছাড়া আপনাকে জবের অফার লেটার পাঠিয়ে দিবে। সে ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনলাইনের মাধ্যমে জার্মানির দূতাবাসে জমা দিতে হবে। এরপরে সেখানে আবেদন প্রক্রিয়ার সম্পন্ন হলে আপনাকে এপয়েন্টমেন্ট লেটার দেবে। এরপরে সাক্ষাৎকার নিয়ে কাজের ভিসার জন্য প্রসেসিং শুরু হবে।
যেহেতু এই দেশটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি অন্তর্ভুক্ত দেশ। তবে দেশটি অনেক উন্নত এজন্য আপনাকে অবশ্যই বৈধ ভিসার মাধ্যমে যেতে হবে। এজন্য এখানে কয়েক ধরনের ভিসা রয়েছে চলুন যে বিষয় গুলো সম্পর্কে তুলে ধরা যাক।
আপনি যদি এখানে দক্ষতার সাথে কাজ করতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে এবং কোম্পানি যদি আপনাকে পছন্দ করে নির্বাচিত করে তাহলে আপনাকে জব অফার লেটার পাঠিয়ে দিবে। এরপর আপনি বৈধভাবে সেখানে যেতে পারবেন।
আপনি যদি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চান সে ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করা লাগবে। এরপরে যে বিশ্ববিদ্যালয় আপনি আবেদন করবেন তারা আপনার সকল কিছু যাচাই-বাছাই করে ভিসার অনুমোদন দেবে। সেক্ষেত্রে আপনার ভর্তির লেটার প্রয়োজন হবে।
আপনি যদি ভ্রমণ করার জন্য টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে টুরিস্ট ভিসায় আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার এই ভিসা পেতে প্রায় ১৫ দিনের মত সময় লাগবে।
জার্মানি কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে
আপনি যদি জার্মানিতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে কিছু ডকুমেন্টস লাগবে। তাই জার্মানি কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে? চলুন, যে সকল কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- আপনার বৈধ পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে যার মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে।
- আপনি যদি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চান সে ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট লাগবে।
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর মেডিকেল সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে।
- এছাড়াও পুলিশ ভেরিফিকেশনের সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে।
- জব অফার লেটার দিতে হবে
- স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট দিতে হবে
- জার্মানি ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেট দেওয়া লাগবে।
উপরুক্ত এই কাগজগুলো অবশ্যই আপনাকে যে কোন ভিসা করার ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হবে। তাই আগে থেকে আপনি সংগ্রহ করে রেখে দিবেন।
জার্মানি কোন কাজের চাহিদা বেশি
জার্মানিতে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে তাই জার্মানি কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার উপকার হবে। চলুন কোন কাজের চাহিদা বেশি।
যেহেতু দেশটিতে দক্ষ শ্রমিকদের মূল্যায়ন করা হয়, তাই অনেকেই এবং বেতন বেশি দেওয়া হয় যার কারণে অনেক দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকরা এদেশে আসার জন্য বেশি আগ্রহ হয়ে থাকে। তবে আপনাকে অবশ্যই কাজের প্রতি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাহলে আপনি এদেশে টিকে থাকতে পারবেন এবং বেশি বেতনের চাকরি করতে পারবেন এ সম্পর্কে তুলে ধরা হলো।
- ফুড ডেলিভারি ম্যান হিসেবে চাহিদা আছে।
- ইলেকট্রিশিয়ান এর চাহিদা আছে
- ডাক্তার নার্স এদের গুরুত্ব আছে
- হাউস কিপিং এর কাজের গুরুত্ব আছে।
- এছাড়াও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মীর চাহিদা আছে।
- ফুড প্যাকেজিং এর কাজের গুরুত্ব আছে।
- ড্রাইভিং এর চাহিদা আছে
- কনস্ট্রাকশনের কাজ করতে পারেন
- যেকোন ফ্যাক্টরির ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করা যাবে
- সিকিউরিটি গার্ডের গুরুত্ব রয়েছে।
- হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ওয়েটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
- মেকানিক্স এর কাজ করা যাবে
- প্লাম্বার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত সময় লাগে
অনেকে জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যেতে কত সময় লাগে? আসলে এটা নির্ভর করবে আপনার যে বিমানের মাধ্যমে যাবেন তার কোয়ালিটির উপরে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আপনার যদি ভিসা প্রসেসিং এবং সকল কিছু ঠিকঠাকমতো থাকে, তাহলে আপনি বিমানের জন্য টিকিট করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভালো মানের বিমান হলে আপনার যাত্রাটা অল্প সময়ের মধ্যেই হয়ে যাবে। যেহেতু বাংলাদেশ থেকে এ দেশটি অনেক দূরে অবস্থিত যার কারণে একটু সময় বেশি লাগতে পারে।
তবে সর্বোপরি আপনার ১০ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে। তবে এটা নির্ভর করবে বিমানের ফ্লাইটের উপরে। যদি বেশি সময় নেয় তাহলে আরো বেশি সময় লাগতে পারে অথবা যদি কোন যায়গায় বিরতি নিয়ে থাকে তাহলে আরো বেশি সময় লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে জার্মানির বিমান ভাড়া কত
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে জার্মানির বিমান ভাড়া কত? এর সম্পর্কে জানার প্রয়োজন চলুন, বিমানের কত টাকা ভাড়া হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ভাড়া পড়বে ৭৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকার মতো।
কাতার এয়ারওয়েজ এই বিমানের মাধ্যমে যদি বাংলাদেশ থেকে যেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার ভাড়া হবে ৯৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মতো।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ভাড়া হবে ৫৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মতো।
এমিরেটস এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে যদি যান সে ক্ষেত্রে আপনার বিমান ভাড়া হবে ১ লক্ষ ৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মত।
ইতিহাদ এয়ারওয়েজ বিমানের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে যদি জার্মানি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ভাড়া হবে ৩ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকার মত।
বাংলাদেশ থেকে জার্মানির দূরত্ব কত কিলোমিটার
আপনি যদি জানতে চান যে বাংলাদেশ থেকে জার্মানির দূরত্ব কত কিলোমিটার? আসলে বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে অবস্থিত হয়েছে। চলুন, বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
যেহেতু বাংলাদেশ থেকে দূরত্ব বেশি সেক্ষেত্রে আপনার সময়ও বেশি লাগে। তারপরও বাংলাদেশ থেকে জার্মানি কতটুকু দূরত্ব হতে পারে সে সম্পর্কে সবারই জানা প্রয়োজন। বাংলাদেশ থেকে জার্মানি দেশের দূরত্ব হলো ৭২৮৭ কিলোমিটার।
জার্মানির যাওয়ার বিষয়ে FAQ প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কে জানুন
জার্মানি ভিসা পাওয়ার সময় কতদিন লাগে?
আপনার কাগজপত্র এবং আবেদন যদি সঠিকভাবে হয়ে থাকে, তাহলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মত সময় লাগবে।
জার্মানি ভিসার খরচ কি ফেরতযোগ্য?
আপনি যদি ভিসা ফি একবার জমা দেন সেটা কখনোই ফেরত পাওয়া যাবে না, এক্ষেত্রে আপনার ভিসা বাতিল হয়ে যাবে।
জার্মানি ভিসার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট কত টাকা থাকতে হবে?
ব্যাংক স্টেটমেন্ট সর্বনিম্ন ৪ থেকে ৬ লাখ টাকার মত দেখাতে হবে।
কিভাবে নিশ্চিত হবো যে আমার ভিসা আবেদন গ্রহণ হয়েছে?
আপনার আবেদন যদি সঠিক হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে আপনাকে ইমেইল করবে।
উপসংহারঃ জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ও বেতন সম্পর্কে জানুন
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে পারেন। এতে করে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন যেমন কৃষি কাজ নির্মাণ ইত্যাদির গুরুত্ব রয়েছে। তাই জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তাই পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url