বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার উপায় ও বেতন কত
অনেকে জানতে চায় যে, বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। তাই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যেতে চান, তাহলে অবশ্যই বৈধ উপায় যেতে হবে। চলুন, কিভাবে বৈধভাবে যেতে পারেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মাল্টা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসা রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিসা হলো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এই ভিসায় যাওয়া একটু কঠিন ও সময় লাগে। তাই বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার উপায় সম্পর্কের জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার উপায় ও বেতন কত
বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশের কিছু লোক মাল্টা যেতে চায়, তাই বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানলে বৈধভাবে যেতে পারবেন। চলুন, কোন উপায়ে গেলে অসুবিধা হবে না, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশ থেকে আপনি সরকারি বা বেসরকারি পদ্ধতিতে যেতে পারবেন। এজন্য আপনি সরকারি বোয়েসেলের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। এই আবেদন সঠিকভাবে পূরণ করতে পারলে আপনি বৈধ ভিসা পাবেন।
তাছাড়া সরকার অনুমোদিত যে সকল এজেন্সি রয়েছে সেই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যেতে পারবেন। এজন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টস দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার আবেদনপত্র সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করার পরে অনুমোদন করা হবে। এছাড়া আপনার যদি কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে তাদের মাধ্যমে যেতে পারেন, তাহলে খুবই কম খরচে এবং নিরাপদে যেতে পারবেন।
কেননা বর্তমানে অনেক দালাল রয়েছে যারা আপনাকে খুবই লোভ দেখিয়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাই এ সকল লোভনীয় প্রস্তাবে রাজি হবেন না, তাহলে আপনার ক্ষতি হয়ে যাবে।
আপনি যদি এ দেশে কাজের ভিসায় যেতে চান, সেক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে এই ধরনের কোন ভিসা আবেদন করা যায় না। সে ক্ষেত্রে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন, এরপরে ভারতে অবস্থিত এ দেশের দূতাবাস থেকে ভাইবা দিবেন। যদি আপনার ভাইবা ভালো হয়, তাহলে ভিসা পেয়ে যাবেন। এরপরে যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অনুমোদন পেয়ে যান, পরবর্তীতে বিমানের টিকিট করে চলে যেতে পারবেন।
প্রতি বছর এ দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় প্রচুর লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেই মাল্টা যাওয়ার জন্য আবেদন করে থাকে। তাই আপনি বাংলাদেশ থেকেও আবেদনের মাধ্যমে যেতে পারবেন। এজন্য আপনাকে অনলাইনে নির্ভরযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে।
অনেকেই এ দেশে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চায়, এজন্য আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসা করতে হবে। তবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে মাল্টা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। তাই আপনি এখানে পড়াশোনা করতে পারেন। তবে একটি মেয়াদ থাকবে, সে অনুযায়ী আপনাকে ভিসা আবেদন করতে হবে। কেননা আপনি যে কোর্স করবেন, তার নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে, মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে এর পরে আপনাকে ফিরে আসতে হবে।
তবে এ দেশে পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি পার্টটাইম চাকরি করতে পারবেন। এতে আপনি কিছু টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাই আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার পরে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা লাগবে। তবে স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করার ক্ষেত্রে কিছু যোগ্যতা লাগবে এবং যে সকল ডকুমেন্টস গুলো লাগবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যে বাংলাদেশী সেই পরিচয় হিসেবে আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে, এতে কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে।
যদি আপনি মাল্টার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে এইচএসসি পাস করতে হবে। তাহলে আপনি যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক করার অনুমতি পাবেন।
যদি আপনি স্নাতকোত্তর করতে চান সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে অনার্স পাস করতে হবে এবং যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট লাগবে।
উপরোক্ত বিষয় গুলোর যোগ্যতা থাকার পরেও ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা নিতে হবে। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই আইএলটিএস করতে হবে, সে ক্ষেত্রে স্কোর কমপক্ষে ৫ পয়েন্ট থাকতে হবে।
এছাড়া আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে, যেন এখানে পড়াশোনার মতো সামর্থ্য আছে এ পরিমাণ টাকা ব্যাংকে থাকতে হবে।
মাল্টা ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে অবস্থিত যা প্রতি বছর অনেকেই ভ্রমণ করার জন্য যায়। তাই ভ্রমণ করার জন্য অবশ্যই টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে টুরিস্ট ভিসায় আবেদন করতে পারেন অথবা বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করতে পারেন। তবে এই দেশে ৩০ দিন থেকে ৯০ দিনের মতো ভ্রমণ করতে পারবেন।
এ দেশে ভ্রমণ করার জন্য আপনার যে পরিমাণ খরচ হতে পারে তা হলো ভিসা আবেদন ফি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মত লাগবে। তাছাড়া ভিসা প্রসেসিং করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু খরচ হবে। সর্বোপরি আপনার টুরিস্ট ভিসায় সব মিলিয়ে খরচ হবে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত।
মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যেতে চান, সে ক্ষেত্রে মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই কোন ভিসায় কত টাকা খরচ হতে পারে। চলুন, বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা যাক।
আপনি যদি এ দেশে কাজের জন্য যেতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। সেজন্য আপনার খরচ হতে পারে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। অবশ্য ভিসা এজেন্সির উপরে নির্ভর করবে কত টাকা লাগতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কম বেশি হতে পারে।
তাছাড়া যদি দালালের মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আরো বেশি খরচ হবে এবং প্রতারণা হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, আর যদিও দালালের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মতো লাগতে পারে। তবে চেষ্টা করবেন সরকার অনুমোদিত বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার জন্য তাহলে কম খরচ হবে।
আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান সেই ক্ষেত্রে কাজের ভিসার চাইতে খরচ কম হবে। তবে এখানে আপনার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে ৯০ দিনের বেশি থাকতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে আপনার ভিসা আবেদন খরচ হতে পারে ২০ থেকে ত্রিশ হাজার টাকার মত। এছাড়া আরো আনুষঙ্গিক খরচ রয়েছে সব মিলিয়ে খরচ হবে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মত।
আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করা লাগবে। এক্ষেত্রে আপনার আবেদন করার জন্য ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত খরচ হবে। এছাড়া আপনার অনলাইনে ভিসা একাউন্ট করার জন্য ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকার মত লাগতে পারে।
তবে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় তেমন একটা বেশি যায় না। তারপরেও আপনি যদি যেতে চান তাহলে বিশ্বাস্ত এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারেন। এতে অল্প টাকার মাধ্যমে যেতে পারবেন। এছাড়াও নিরাপদে যেতে পারবেন।
তবে খরচটা নির্ভর করবে কোন বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করবেন, একাডেমিক খরচাপাতি এবং থাকা খাওয়া সবমিলিয়েই প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মত লাগতে পারে। তবে আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করতে পারবেন, এতে আপনার লেখাপড়ার ক্ষেত্রে থাকা খাওয়ার খরচটা চাকরি করার মাধ্যমে বহন করতে পারবেন।
আপনি যদি সরকারি ভাবে দেশে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত। এছাড়া যদি আপনি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মত লাগবে। তাছাড়া সবচাইতে সুবিধা হয় আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে যদি যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে খুবই কম খরচ হবে। সেক্ষেত্র খরচ হতে পারে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মত। এছাড়াও অনেকে দালালের মাধ্যমে গিয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার মত।
মাল্টা কাজের ভিসা একমাসের বেতন কত
আপনি যদি মাল্টা গিয়ে কাজ করতে চান, সে ক্ষেত্রে বেতন কত হবে তা জানা প্রয়োজন। তাই মাল্টা কাজের ভিসা এক মাসের বেতন কত? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
এ দেশের সরকার প্রত্যেকটা শ্রমিকের বেতন কাঠামো আলাদাভাবে তৈরি করে দিয়েছে, যা প্রতি বছরে বাজারের দামের উপর নির্ভর করে বেতন বাড়ানো হয়। সেক্ষেত্রে কোন কাজের কত টাকা বেতন হয় বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি রেস্টুরেন্টে কাজ করেন সে ক্ষেত্রে প্রতি মাসে বেতন পাবেন প্রায় ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মত।
বিভিন্ন ধরনের অফিসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কর্মী হিসেবে যদি কাজ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে মাসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন। এটা নির্ভর করবে বিভিন্ন কোম্পানির উপরে।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের অনেক মূল্যায়ন করা হয় সেক্ষেত্রে একজন গার্মেন্টস কর্মী মাসে বেতন পায় প্রায় ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার মত। ওভারটাইম করলে আরো বেশি বেতন পাওয়া যায়।
বিভিন্ন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি বা ডেলিভারি ম্যান হিসেবে যদি কাজ করেন, সে ক্ষেত্রে ৮০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মত বেতন পাবেন। এছাড়াও আরো অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
আপনি যদি ড্রাইভিং কাজে দক্ষতা থাকে সেক্ষেত্রে এই দেশে ড্রাইভার হিসেবে চাকরি করলে মাসে প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন।
আপনি যদি কনস্ট্রাকশনের কাজ করেন সে হিসেবে মাসে বেতন পাবেন প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা।
একজন ইলেকট্রিশিয়ানের কাজের মূল্যায়ন অনেক তাই সে মাসে বেতন পায় প্রায় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মত।
এ দেশের বিভিন্ন বাড়িতে গৃহিণী হিসেবে বা রান্না করার জন্য লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। যারা রান্না করেন তারা মাসে প্রায় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজারের মতো বেতন পেয়ে থাকে।
যদি আপনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর জব করেন সেক্ষেত্রে আপনার মাসে বেতন হবে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত।
এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে সে সকল কাজের বেতন সর্বনিম্ন ৬০০০০ থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকার উপরে বেতন দিয়ে থাকে। তাই আপনার যদি কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে এ দেশে গিয়ে জব করতে পারেন।
মাল্টা কোন কাজের চাহিদা বেশি
মাল্টা দেশের বিভিন্ন ধরনের কাজ এর চাহিদা আছে। তাই মাল্টা কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানলে আপনার উপকার হবে। চলুন, কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- ক্লিনার হিসেবে যেতে পারেন
- বিভিন্ন কল কারখানার কাজ
- ফুট ডেলিভারি ম্যান হিসেবে
- ফুড প্যাকেজিং এর শ্রমিক
- কনস্ট্রাকশনের কাজ
- সুপার শপ এর কাজ
- হাউসকিপিং এর কাজ
- ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ করতে পারেন
- এসি মেকানিক্স এর কাজ করা যেতে পারে
- প্লাম্বার হিসেবে কাজ করতে পারেন
- রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে ওয়েটার হিসেবে কাজ করা যাবে
- ট্যুর গাইড হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি এজেন্সির মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। তাছাড়া আপনার যদি কোন নিকট আত্মীয় থাকে তাদের মাধ্যমে জেনে নেবেন।
মাল্টা যেতে কি কি লাগে
আপনি যখন ভিসা করতে যাবেন তখন কিছু ডকুমেন্টস লাগবে। তাই মাল্টা যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আগে থেকেই কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন। চলুন, কি ধরনের কাগজ বা ডকুমেন্টস লাগবে তা আলোচনা করা যাক।
অবশ্যই আপনার বৈধ পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে, যার মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকা লাগবে।
ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপির প্রয়োজন হবে অথবা অনলাইনের জন্ম নিবন্ধন কপি দিতে হবে।
সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি জমা দেওয়া লাগবে।
৬ মাস যাবত যে আপনি ব্যাংকে টাকা লেনদেন করেছেন এই ধরনের ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দিতে হবে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার করার পরে মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
আপনার নামে কোন ফৌজদারি মামলা আছে কিনা, এই ধরনের কাজের সাথে লিপ্ত আছেন কিনা। তা প্রমাণ করার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে।
আপনি যে কোম্পানিতে জব করতে যাবেন সেই কোম্পানির চুক্তিপত্র বা অফার লেটার জমা দিতে হবে।
উপরোক্ত এই কাগজগুলো থাকার পরেও আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন, তাদের থেকে আবারও জেনে নিবেন। এতে আরো যদি কোন কাগজপত্র প্রয়োজন হয়, তাহলে সেগুলো সংগ্রহ করে রাখবেন।
মাল্টা থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
অনেকের স্বপ্ন থাকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার। তাই আপনি প্রথমে মালটা যেতে পারেন এরপরে ইতালি যেতে পারবেন। তাই মাল্টা থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে যদি জানা থাকে তাহলে আপনার সুবিধা হবে। চলুন, কিভাবে যাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ প্রথমে এই মাল্টায় যায়, সেখানে কিছুদিন কাজ করার পরে তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য চিন্তাভাবনা করে থাকে। এখান থেকে যদি আপনি ইতালিতে যেতে চান খুবই সহজ ভাবে যেতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে এ দেশের একটি ছাড়পত্র নিতে হবে। এরপরে সেই ছাড়পত্রের মাধ্যমে ইতালিতে যেতে পারবেন।
তাছাড়া ইউরোপের যদি কোন দেশে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে টিআর কার্ড প্রয়োজন হবে। এই কার্ড হল ভ্রমণ কার্ড যা আপনি সংগ্রহ করলে ইতালিতে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে পারবেন। এজন্য ইমিগ্রেশন অফিসে যত প্রয়োজনীয় তথ্য আছে সেগুলো দিবেন, এরপরে এই টিআর কার্ড দেখাবেন। এরপরে তারা অনুমতি দিবে তাহলে খুব সহজভাবে আপনি ভ্রমণ করার অনুমতি পাবেন। ভ্রমণ করার পর আপনি আবার এ দেশে ফিরে আসতে পারবেন।
তবে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ রয়েছে সে পর্যন্ত আপনি ইতালিতে অবস্থান করতে পারবেন। এর বেশি অতিক্রম করলে আপনি অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবেন। তাই অবৈধ পন্থা অবলম্বন করবেন না এ থেকে সতর্কতা অবলম্বন করুন। এছাড়া আপনি যদি ইতালিতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসা প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে যেতে হবে।
মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
আপনি যদি মাল্টায় কাজ করতে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগবে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যখন কাজের উদ্দেশ্যে এ দেশে যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে চাকরির ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে হবে। যে সকল কোম্পানি গুলো জব অফার করেছে সেই কোম্পানিগুলোতে আপনি আবেদন করতে পারেন। যদি তারা গ্রহণ করে তাহলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনার সকল ডকুমেন্টস যদি সঠিক হয় এবং কোম্পানি যদি মনে করে আপনি তাদের কাজ করার জন্য উপযুক্ত, তাহলে তারাই আপনার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে ভিসা দিয়ে দিবে। এক্ষেত্রে আপনার খুবই কম খরচ হবে। তবে অবশ্যই একটা এজেন্সির মাধ্যমেই আপনাকে যেতে হবে, সে ক্ষেত্রে সরকার অনুমোদিত এজেন্সি এর মাধ্যমে এই পারমিট ভিসায় আবেদন করতে হবে।
এই ভিসায় আবেদন করার পরে আপনার ৫ থেকে ১২ সপ্তাহের মত প্রক্রিয়া হতে সময় লাগে। তাছাড়া এই কাজের ভিসায় সময় একটু বেশি লাগে, সে ক্ষেত্রে অনেকের ৫ থেকে ৬ মাসেও সময় লাগতে পারে। কেননা তারা যাচাই-বাছাই করার পরেই আপনাকে নিয়োগের উপযুক্ত মনে করবে এরপর আপনি ভিসা পাবেন।
তবে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা আবেদন এবং ইন্টারভিউ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে মাল্টার দূতাবাসে গিয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে। তাই বাংলাদেশে যেহেতু এ দেশের দূতাবাস নাই। তাই আপনি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মাধ্যমে গিয়ে ইন্টারভিউ দিতে পারেন। তবে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার ক্ষেত্রে যে কাগজপত্র গুলো বা ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয় সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বৈধ পাসপোর্ট লাগবে কেননা আপনি বাংলাদেশের নাগরিক কিনা সেটা প্রমাণ করার জন্য
এছাড়াও মেডিকেলের সার্টিফিকেট জমা দেওয়া লাগবে
পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে
শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দেওয়া লাগবে
ওয়েবসাইট থেকে ফরম ডাউনলোড করে তা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
এছাড়াও আপনার জীবন বৃত্তান্ত সিভি আকারে তৈরি করে দিতে হবে।
উপরোক্ত এই ডকুমেন্টস গুলো থাকলে অনেক সুন্দর মতে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন এবং কয়েক মাসের মধ্যেই আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন।
মাল্টা যাওয়ার ক্ষেত্রে FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন
মাল্টা যেতে কত বয়স লাগে?
এ দেশে যদি আপনি কাজের জন্য যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে এ দেশে যাওয়ার জন্য সময়টা নির্ভর করবে কোন ধরনের বিমানের মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন, যদি ভালো মানের বিমান হয় সেক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই যেতে পারবেন।
মাল্টা ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
আপনি যদি কাজের ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন, সেক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগবে। তাছাড়া সর্বনিম্ন ২ থেকে ৩ মাসের মত লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে মাল্টা বিমান ভাড়া কত?
বাংলাদেশ থেকে এ দেশের বিভিন্ন ধরনের বিমান যাতায়াত করে থাকে, সেক্ষেত্রে বিমানের কোয়ালিটি অনুযায়ী সর্বনিম্ন ভাড়া ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকার মত।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার উপায় ও বেতন কত
পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি মাল্টায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ভিসা আবেদন করতে হবে। তবে অনেক ধরনের ভিসা থাকে, তার মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসা পেতে একটু সময় বেশি লাগে। তাই ভালো কোনো এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
বিশেষ করে সরকারিভাবে বা কোন আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাই বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, আশাকরি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url