মন্টিনিগ্রো যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত

অনেকে জানতে চায় যে, মন্টিনিগ্রো যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানার পূর্বে, জানতে হবে কোন কাজের চাহিদা বেশি। তাহলে সেই কাজের উপর ভিসা করতে পারবেন। চলুন, কোন ভিসা কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
মন্টিনিগ্রো একটি উন্নত রাষ্ট্র যেখানে প্রতিবছরের বিভিন্ন ধরনের লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের লোকজন সাধারণত কাজের ভিসায় গিয়ে থাকে। তাই মন্টিনিগ্রো যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃমন্টিনিগ্রো যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত

মন্টিনিগ্রো যেতে কত টাকা লাগে

মন্টিনিগ্রো অত্যন্ত সুন্দর একটি দেশ, তাই মন্টিনিগ্রো যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। আসলে আপনি কোন কাজের উপরে যাবেন, তারপর নির্ভর করবে কত টাকা লাগবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

কাজের ভিসা খরচঃ আপনি যদি এ দেশে কাজ করার জন্য যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা লাগবে। তাছাড়া আপনি যে ভিসা করবেন তা অবশ্যই বৈধ হতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি যদি কাজ করার জন্য মন্টিনিগ্রো যান সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে তাদের কাজের অফার লেটার বা চুক্তিপত্র প্রয়োজন হবে। তাহলে আপনি ভিসা করতে পারবেন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের এজেন্সি রয়েছে যেগুলো সরকার অনুমোদিত এজেন্সি সেগুলো থেকে আপনি কাজের ভিসার আবেদন করতে পারেন। এ দেশে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য কঠোর আইন রয়েছে। যেখানে শ্রমিকরা নিরাপত্তার সাথে কাজ করতে পারবে কোন ঝামেলার সৃষ্টি হবে না।

আপনি যদি কাজের ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৭ থেকে ৯ লাখ টাকার মত। তবে এটা নির্ভর করবে বিভিন্ন এজেন্সির উপরে। এজেন্সির লোকজন আপনার ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে সকল কাজকর্ম তারা করে দিবে, এক্ষেত্রে একটু খরচ বেশি হতে পারে।

তবে আপনি যখন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করবেন তখন একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, কোন প্রতারক বা দালাল যেন আপনাকে প্রতারিত করতে না পারে। এদিকে সতর্ক থাকবেন, বিশেষ করে তারা বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতে পারে যেমন অধিক বেতন পাওয়ার কথা বলতে পারে, খুবই কম টাকার মধ্যে যেতে পারবেন, নিরাপদে যেতে পারবেন ইত্যাদি বলতে পারে।

তবে এই বিষয়গুলো আপনি কখনোই বিশ্বাস করবেন না। অনেক দালাল চাকরির অফার লেটার ছাড়া আপনাকে চাকরি দিতে পারবে এ ধরনের কথাও বলে থাকবে কিন্তু এটা কখনোই সম্ভব না। এজন্য কোম্পানির চাকরির অফার লেটার বা চুক্তিপত্র ছাড়া আপনি ভিসা করবেন না।

বাংলাদেশের লোকজন সাধারণত কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় এ দেশে বেশি গিয়ে থাকে। বাংলাদেশের লোকজন সাধারণত ভ্রমণ ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসায় মন্টিনিগ্রোতে খুবই কম যায়। তাছাড়া এই ভিসা গুলো করতে আপনার খরচ কম হবে কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় খরচ বেশি হবে। এই খরচের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খরচ রয়েছে চলুন কোন ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হয় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি সরকারি ভাবে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মত খরচ হবে কিন্তু যদি কোন বেসরকারি উপায় যেতে চান বা এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে। এছাড়া আপনার ভিসা ফি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা, বিমান ভাড়া ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত। এছাড়াও আরো অন্যান্য খরচ রয়েছে, সকল কিছু মিলেই আপনার আরো ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে।

তাই চেষ্টা করবেন মন্টিনিগ্রোতে আপনার যদি কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে তাদের মাধ্যমে গেলে খুবই কম খরচ হবে। এছাড়া যে কোম্পানির জব করতে যাবেন সে যদি আপনাকে সরাসরি নিতে পারে, তাহলে একদমই কম খরচে যেতে পারবেন। তাই চেষ্টা করবেন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের মাধ্যমে যাওয়ার জন্য তাহলে আপনি অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয় পাবেন।

ভ্রমণ ভিসা খরচঃ এতক্ষণে আমরা জেনেছি কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে। চলুন, ভ্রমণ ভিসায় কি পরিমাণ টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।

আপনি মন্টিনিগ্রোতে ভ্রমণ করে খুবই আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন, তবে খরচ নির্ভর করবে আপনি কেমন জায়গায় থাকবেন, কি ধরনের খাবার খাবেন, কোন কোন জায়গায় ভ্রমণ করবেন ইত্যাদি।

আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে বিমানের মাধ্যমে মন্টিনিগ্রোতে যাবেন সেক্ষেত্রে বিমান ভাড়া প্রায় ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। এছাড়া দেশটিতে আরও বিভিন্ন জায়গায় যখন বাস বা বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে যাতায়াত করবেন সে ক্ষেত্রে আরও কিছু খরচ হতে পারে।

আপনি যখন কোন ভালো জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করবেন সে ক্ষেত্রে খরচ একটু বেশি হবে। এক্ষেত্রে এক রাতের জন্য ভাড়া হবে প্রায় ২ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা। খাবারের ক্ষেত্রে প্রতিবেলায় যদি ভালো মানের খাবার খেতে চান সে ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মত খরচ হতে পারে। তবে নিজে রান্না করে খেলে তাহলে খুবই কম খরচ হবে।

এছাড়ার বিভিন্ন স্পট রয়েছে যেখানে আপনি ঘুরে বেড়াবেন সেগুলোতে টাকা দিতে হবে। যেমন সাঁতার কাটা জন্য বিভিন্ন ধরনের স্পিডবোট আছে যেখানে আপনার খরচ করতে হবে প্রায় ১০০০ থেকে ২ হাজার টাকার মত। এরকম আরও বিভিন্ন ধরনের খরচ হতে পারে।

তবে আপনি যদি ভ্রমণ ভিসায় যেতে চান, তাহলে আপনার মোট খরচ হতে পারে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত। এটা কম বেশি হতে পারে, এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখবেন, এই ভ্রমণ ভিসায় ৯০ দিনের বেশি থাকতে পারবেন না। আবার এই সময়ের মধ্যেই ফিরে আসতে হবে।

মন্টিনিগ্রো বেতন কত

আপনি যদি মন্টিনিগ্রোতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে ভালো মানের বেতন পাবেন। তাই মন্টিনিগ্রো বেতন কত? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কোন কাজের কি রকম বেতন হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কাজের ভিসা নিয়ে মন্টিনিগ্রো যায়। তারা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে, বিশেষ করে শ্রমিক হিসেবে বেশি কাজ করে থাকে, এ ক্ষেত্রে সাধারণত একে বারে নিম্ন পর্যায়ে কাজগুলো তারা করে থাকে। তাই তাদের সর্বনিম্ন বেতন ৬৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ভালো কাজগুলো করলে দক্ষতা থাকলে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো বেতন পাওয়া যায়।

যদি কনস্ট্রাকশনের কাজ বা পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন, সে ক্ষেত্রে ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন। এছাড়া আপনি যদি হোটেল বা রেস্টুরেন্টের কাজ করেন সেই ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন এবং দক্ষতা অর্জন করলে ১ লাখের উপর বেতন পেতে পারেন। এছাড়া এই কাজগুলো ছাড়া একটু উচ্চপর্যায়ে কাজগুলোতে বেতন বেশি হয়ে থাকে। চলুন সে সম্পর্কে জানা যাক।

আপনি যদি ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের উপরে যেতে পারেন এবং দক্ষতা থাকে তাহলে মাসে প্রায় ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকার মত বেতন পাবেন।

আপনার যদি কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা ভালো থাকে এবং বাংলাদেশ থেকে শিক্ষাগত করার অভিজ্ঞতা থাকে। পাশাপাশি অবশ্যই ইংরেজির প্রতি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে আপনি এই মন্টিনিগ্রো গিয়ে শিক্ষকতা করতে পারবেন, এক্ষেত্রে আপনার মাসে প্রায় ৭০ থেকে ১ লাখের উপরে বেতন পেতে পারেন।

আপনি যদি ডাক্তারি পেশায় যেতে চান সেক্ষেত্রে দক্ষতা থাকলে ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।

এছাড়া আপনার যদি আইটি সেক্টরে কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকে এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে মাসে প্রায় ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকার মত বেতন পাবেন।

মন্টিনিগ্রো কোন কাজের চাহিদা বেশি

মন্টিনিগ্রো বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকে, তাই মন্টিনিগ্রো কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানা থাকলে। আপনি আগে থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে গেলে অনেক বেতনে চাকরি করতে পারবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
যেহেতু দেশটি উন্নত রাষ্ট্র তাই তাদের বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। তাই বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ বিভিন্ন ধরনের কাজের উপরে গিয়ে থাকে। চলুন, যে কাজগুলো সাধারণত বাংলাদেশের মানুষজন করে থাকে তাহল;
হোটেলে কাজের ক্ষেত্রে হোটেল বয় বা ওয়েটার, রান্নার জন্য শেফ এই কাজগুলো চাহিদা আছে। তাছাড়া দক্ষ শ্রমিক ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক্যাল ইত্যাদিতে অনেক লোক গিয়ে থাকে। এছাড়া সফটওয়্যার ডেভলপর ডাটা এনালাইসিস, ডিজিটাল মার্কেটার ইত্যাদি গুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে।

এছাড়াও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও গৃহকর্মী হিসেবেও নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি উপরোক্ত কাজ গুলোর প্রতি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে কাজের ভিসা করে এ দেশে গিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে

আপনি যখন কাজের ভিসা করতে যাবেন, সেক্ষেত্রে আপনার কিছু ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র লাগবে। তাই মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে জানা থাকলে আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন। চলুন, যে সকল কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এই দেশটি অনেক উন্নত একটি রাষ্ট্র যেখানে কাজের চাহিদা রয়েছে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল্যায়ন করা হয়। তাছাড়া সাধারণ শ্রমিক রয়েছেন তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কঠোর আইন নির্ধারণ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কোন শ্রমিক প্রতারিত হবে না এবং নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে না। তাই আপনি যখন কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার নিম্নক্ত ডকুমেন্টস গুলো দিতে হবে। চলুন জানা যাক।

বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার মেয়াদ ৬ মাস কমপক্ষে থাকতে হবে।

সাম্প্রতিক তোলা রঙিন ছবি জমা দিতে হবে

অবশ্যই আপনি যে জব করতে যাবেন সেই কোম্পানির অফার লেটার জমা দিতে হবে

আপনি যে কাজের জন্য যাচ্ছেন সেই কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট দিতে হবে।

অবশ্যই এদের ওয়েবসাইট থেকে ভিসা ফরম ডাউনলোড করতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মেডিকেলের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সার্টিফিকেট লাগবে।

আপনি কোন অপরাধি কিনা সেটার শনাক্ত করার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।

এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টস লাগতে পারে, তাই আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন তাদের থেকে জেনে নিবেন।

মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে

অনেকে জানতে চায় যে মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে? আসলে কাজের ভিসার ক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগতে পারে। তাই চলুন কতদিন সময় লাগে সম্পর্কে জানা যাক।

আপনার আবেদন যদি সঠিকভাবে হয়ে থাকে এবং কাগজপত্র বৈধ থাকে। তাছাড়া নিয়োগকর্তারা যদি সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে দ্রুতগতিতেই হয়ে যাবে। তবে এরপরেও ধারণা করা যায় কাজের ভিসার ক্ষেত্রে ৬ থেকে ১২ মাসের মত সময় লাগতে পারে। তাই সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণ করবেন এবং বৈধ ডকুমেন্টগুলো জমা দিবেন।

এক্ষেত্রে আপনি যে কোম্পানিতে চাকরি করবেন তারা আপনার কাগজপত্র এবং সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করতে প্রায় ২ থেকে ৩ মাসের মত সময় নিতে পারে। আপনি ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে এ দেশের কাছাকাছি যে দূতাবাস রয়েছে, সেখানে গিয়ে ভিসা আবেদন করবেন। তাহলে ১ থেকে ২ মাসের মধ্যেই ভিসা পেয়ে যাবেন। তাই সকল কাগজপত্র এবং ভিসা আবেদন ইত্যাদি আপনার যাচাই-বাছাই করে ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে আশা করা যায় আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন।

মন্টিনিগ্রো থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়

অনেকেই ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, তাই মন্টিনিগ্রো থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি কিভাবে এই স্বপ্নের রাষ্ট্র যেতে পারবেন। সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের অনেক লোক সাধারণত প্রথমে মন্টিনিগ্রো যায়, তারপরে সেখান থেকেই ইতালি যাওয়ার চিন্তাভাবনা করে থাকে কিন্তু এই ক্ষেত্রে আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা আপনি যদি অবৈধ পথে যান সে ক্ষেত্রে ধরা খেলে আপনাকে জেলে যেতে হবে। এছাড়াও আপনার বড় ধরনের হুমকিও সমস্যা রয়েছে।

অনেকেই সমুদ্রপথে জাহাজের মাধ্যমে গিয়ে থাকে যেখানে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। চেষ্টা করবেন বৈধ পথে যাওয়ার জন্য, আপনাকে অবশ্যই মন্টিনিগ্রো দেশে কিছুদিন কাজ করতে হবে এরপরে সেখান থেকে ভিসা আবেদন করে যেতে পারেন। এ দেশে দীর্ঘদিন থাকার পরে আপনাকে একটি টিআর কার্ড দেবে সেই কার্ড এর মাধ্যমে আপনি ইতালিতে যেতে পারবেন।

অনেকে অবৈধ পথে যেতে চায় সেক্ষেত্রে একা একা যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেননা এতে বিপদগ্রস্ত হতে পারেন, সে ক্ষেত্রে পূর্বে যারা অবৈধ পথে ইতালিতে গিয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে এবং তারা কোন দালালের মাধ্যমে গিয়ে কাজ করছে তাদের মাধ্যমে যদি যেতে পারেন, তাহলে আপনি তেমন একটা অসুবিধা করবেন না।

তবে বৈধ পথে যাওয়ার জন্য সবচাইতে চেষ্টা করব। আপনি যদি কোন দালালের মাধ্যমে বা বিশ্বস্ত লোকের মাধ্যমে যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার খুবই কম খরচ হবে। এক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যেই আপনি মন্টিনিগ্রো থেকে এদেশে যেতে পারবেন।

মন্টিনিগ্রো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

মন্টিনিগ্রো কাজের জন্য যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। তাই মন্টিনিগ্রো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করার ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগে এবং কিছু শর্ত রয়েছে সে সম্পর্কে জানার প্রয়োজন। চলুন জানা যাক,
ছবি
আপনি এই ভিসার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ কর্ম করতে পারবেন, বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র জন্য ট্যুর গাইড, এছাড়াও হোটেল বা রিসোর্ট এর জন্য হোটেল বয় বা ওয়েটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

তাই এই ভিসায় যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা রয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে অনেক টাকা বেতন দিয়ে থাকে, ঠিক তেমনি এ দেশটিতেও সাধারণত শ্রমিকদের ন্যূনতম ভালো বেতন দিয়ে থাকে।
আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসা আবেদন করতে হবে, এক্ষেত্রে সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন ধরনের এজেন্সি রয়েছে, সেই এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে আবেদন করবেন এবং এর সাথে যত কাগজপত্র বা ডকুমেন্টসগুলো রয়েছে সেগুলো জমা দিতে হবে।

এ দেশের সবচাইতে কঠিন ভিসা হলো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তাই এই ভিসা হওয়ার ক্ষেত্রে একটু সময় লাগতে পারে। ১ মাস থেকে শুরু করে প্রায় ৬ মাসও লাগতে পারে। তাই আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে এবং বৈধ ভাবে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এই ভিসার ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি যে কোম্পানির নিকট চাকরি করতে যাবেন, সেই কোম্পানির চুক্তিপত্র ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে জমা দিতে হবে।

মন্টিনিগ্রো সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন জানুন

মন্টিনিগ্রো কাজের ভিসা কি নিরাপদ?

অবশ্যই নিরাপদ হবে, যদি আপনি সরকার অনুমোদিত বিশ্বস্ত কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারেন, তথ্যগুলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করতে পারেন।

মন্টিনিগ্রো ভ্রমণের সেরা মাস?

আপনি যদি এদেশে নিরাপদে ভ্রমণ করতে চান সেজন্য গ্রীষ্মকালে যেতে পারেন অর্থাৎ জুন জুলাই মাস থেকে।

মন্টিনিগ্রো মুদ্রার নাম কি?

এ দেশের মুদ্রার নাম ইউরো তবে দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হয় নাই।

মন্টিনিগ্রোতে চাকরি পাওয়া কি সহজ?

এ দেশে সাধারণত সব চাকরি পাওয়া সহজ নয় তবে কিছু চাকরি রয়েছে। যেগুলো সহজ ব্যাপার যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মী, নির্মাণ শ্রমিক এছাড়া কনস্ট্রাকশনের ইত্যাদি এই জবগুলো আপনি করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ মন্টিনিগ্রো যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি মন্টিনিগ্রো যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। আপনি কোন কাজের জন্য যাবেন সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলে সে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে গেলে আপনি অনেক টাকায় বেতন পাবেন। তাই মন্টিনিগ্রো যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, আশা করি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪