বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানুন
বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক এ দেশে যেতে চায়, তাই বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি বৈধভাবে যেতে পারবেন। চলুন, কিভাবে আপনি লিবিয়াতে বৈধ উপায়ে যেতে পারেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
প্রতিবছর অনেক লোক অবৈধভাবে লিবিয়াতে যাচ্ছে, এতে তারা প্রচুর পরিমাণে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য অবশ্যই আপনি বৈধভাবে যাবেন। তাই বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানুন
বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে অনেকেই লিবিয়াতে যেতে চায়, তাই বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে যদি আপনি জানতে পারেন। তাহলে বৈধভাবে যেতে পারবেন। চলুন, কিভাবে আপনি এই দেশটিতে যেতে পারবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এই দেশটিতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে দুটি উপায়ে যেতে পারবেন। সরকারিভাবে অন্যটি বেসরকারি ভাবে। আর সরকারিভাবে যদি আপনি যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বোয়েসেল এর মাধ্যমে ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় মাধ্যমে যেতে পারবেন।
এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি আবেদন করলে যদি আপনার নিবন্ধন হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনার যে এই দেশের কাঙ্ক্ষিত চাকরি পেয়ে যাবেন। পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করবে সরকারিভাবে এবং আপনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা থাকবে এছাড়াও নিশ্চিত যেতে পারবেন। অপরদিকে যদি আপনি বেসরকারিভাবে যেতে চান সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত লাইসেন্স প্রাপ্ত যে সকল এজেন্সি আছে তার মাধ্যমে যেতে হবে।
আপনি এজেন্সির মাধ্যমে যখন যেতে চাইবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসা প্রসেসিং করা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সকল কিছু জমা দেওয়া লাগবে। এজেন্সি যতগুলো ডকুমেন্টস চাইবে আপনাকে দিতে হবে। তারা দ্রুত কাজ করার চেষ্টা করে। তবে এই ক্ষেত্রে আপনার একটু বেশি খরচ হতে পারে সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
যদিও বাংলাদেশের লোকজনের জন্য এ দেশটি যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কোন দূতাবাস নাই। এজন্য আপনি সরাসরি বাংলাদেশের মাধ্যমে লিবিয়ায় যেতে পারবেন না। অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে এছাড়াও বাংলাদেশী এবং ভারতীয় যারা যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য লিবিয়া বর্তমানে কাজের ভিসা দিচ্ছে না।
তাহলে আপনি যেভাবে যেতে পারেন সরাসরি ভাবে না গিয়ে সে ক্ষেত্রে আপনি প্রথমে দুবাই যাবেন। হয়তো টুরিস্ট ভিসায় গেলেন এর পরে সেখান থেকে আপনি মিশরে চলে গেলেন এবং মিশর থেকে আপনি লিবিয়া যেতে পারবেন।
তবে যদি এই পদ্ধতি আপনি অনুসরণ করেন সেক্ষেত্রে একটু কঠিন বিষয় এবং ঝামেলা হয়ে যাবে। এছাড়া অনেক খরচ হবে সে ক্ষেত্রে আপনি লিবিয়া যাওয়ার জন্য অবশ্যই সরকারিভাবে যদি যেতে পারেন।তাহলে আপনি বলতে পারবেন যেতে পারবেন কেননা এই দেশটি আর সরাসরি ভাবে মাঝেমধ্যে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে।
আপনি এই দেশটিতে কাজের জন্য সরাসরি ভাবে যেতে না পারলেও অন্যান্য ভিসা আপনি পেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি ঐ সকল ভিসায় গিয়ে পরবর্তীতে আপনি কাজের ভিসা করতে পারবেন তাহলে আপনার সুবিধা হবে।
এই দেশটিতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ এর বিভিন্ন দালালগন বিভিন্ন পদ্ধতি বের করে থাকে, বিশেষ করে তারা জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্রপথে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে দেখা যায় অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলাদেশের বহুৎ মানুষ এভাবে যাওয়ার কারণে অনেকে রাস্তায় মারা গিয়েছে অথবা অনেকে অনেকে জেল খাটছে এবং বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। তাই কারো কথায় প্রলোভন না শুনে আপনি সরাসরি সরকারি ভাবে যদি যেতে পারেন তাহলে যাবেন, না হলে অবৈধ পথে কখনোই যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
আরো একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন সে ক্ষেত্রে যদি আপনার কোন আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত ব্যক্তি এই দেশটিতে বসবাস করে। তার মাধ্যমে যদি ভিসা প্রসেসিং কাজ করে নিতে পারেন, তাহলে আপনি ঝামেলা মুক্তভাবে সেখানে যেতে পারবেন।
তাছাড়া এই দেশটিতে বিভিন্ন কোম্পানি এর লোকজনের যখন প্রয়োজন হয় তখন তারা সরকারিভাবে নিয়োগ দিয়ে থাকে, আপনি যদি তাদের ওয়েবসাইটে মাঝেমধ্যে চেষ্টা করে থাকেন তাহলে যখন সার্কুলার হবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হবে তখন আপনি সরকারি ভাবে আবেদন করে বৈধ উপায় যেতে পারবেন।
আর যদি আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমেই যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এজেন্সিকে যাচাই-বাছাই করতে হবে। তাদের লাইসেন্স আছে কিনা সেটা আপনাকে জানতে হবে। এছাড়াও আপনার আপনার কোন পরিচিত লোকজন এই রাষ্ট্রে গিয়ে কাজ করছে সফলভাবে তাদের সাথে কথা বলে তারপর আপনি সেই এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে যেতে চান সেক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায় চলুন এই বিষয়ে বিস্তার জেনে নেওয়া যাক।
এই ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনার অনেক টাকায় খরচ হতে পারে, সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন সেই ধরনের ভিসায় আপনি আবেদন এবং সেই ভিসার উপর নির্ভর করবে কত টাকা লাগতে পারে। মূলত তিনটি প্রধান ভিসা আছে যা সেগুলোর মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন। চলুন এই তিনটি বিষয়ে ভিসা নিয়ে কথা বলা যাক।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন বা এজন্য আপনার ভিসা খরচ নাচতে পারে তিন থেকে চার লক্ষ টাকার মত অবশ্যই আপনি সরাসরি এটা আবেদন করতে পারেন। তাহলে আপনার খাওয়া-দাওয়া একটু কমে যাবে আর যদি মাধ্যমে এজেন্সির মাধ্যমে বা দালালের মাধ্যমে কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে বেশি খরচ হবে।
স্টুডেন্ট ভিসাঃ এটি একটি উন্নত রাষ্ট্র যেখানে অনেক নামকরা বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। পড়াশোনা করতে পারে এজন্য আপনাকে অবশ্যই স্টুডেন্ট ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ৭০ হাজার থেকে 2 লক্ষ টাকার মতো। অবশ্যই আবেদন যদি আপনি নিজে সরাসরি করেন তাহলে খরচ কম হবে আর যদি এজেন্সির মাধ্যমে করেন তাহলে বেশি হবে।
ভিজিট ভিসাঃ ভ্রমণ করার জন্য অত্যন্ত সুন্দর একটি দেশ তাই আপনি এদেশে ভিজিট করার জন্য অপেক্ষা করবেন। যে ভিসা করবেন তার খরচ হতে পারে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকার মত। এই ভিসা যদি আপনি সরকারি মাধ্যমে করে থাকেন তাহলে অনেকটাই কম হবে আর যদি এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে করেন তাহলে আপনার অবশ্যই পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে
লিবিয়া বেতন কত
অনেকে জানতে চায় যে লিবিয়া বেতন কত? আসলে বেতনটা নির্ভর করবে আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে। আপনি যে কাজ করবেন তার ওপরে নির্ভর করবে কত টাকা বেতন পাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি কাজের ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে যে কাজটি করবেন সেখানে সে কাজের চাহিদা কেমন এবং আপনার এই কাজের উপর দক্ষতা আছে কিনা। তার ওপর নির্ভর করবে আপনার বেতন এক্ষেত্রে কে আপনি আই টি সেক্টরে কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে প্রতিমাসে বেতন হতে পারে।
১ লক্ষ থেকে শুরু করে ১ লক্ষ থেকে এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মতো পেতে পারেন আর যদি কোন ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন সে ক্ষেত্রে আপনার ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো বেতন পেতে পারেন।
এছাড়া যদি আপনি কোন রেস্টুরেন্টে বা হোটেলে কাজ করেন সে ক্ষেত্রে আপনার প্রতি মাসে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত বেতন পেতে পারেন। এছাড়া যদি আপনার কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তার উপর ভিত্তি করে তারা কর্মীদের বেতন বেশি দিয়ে থাকে এবং আপনি বেশি বেতন পাবেন।
লিবিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
আপনি যখন এই দেশটিতে যাবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই যে কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জানবেন। তাই লিবিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
প্রত্যেকটা দেশেই বর্তমানে প্রযুক্তি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে আইটি সেক্টরে সবচাইতে গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং বেতন বেশি দেওয়া হয়। প্রতিবছর এই দেশটি প্রচুর পরিমাণে এই সেক্টরটিতে লোক নিয়ে থাকে, বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ডিজিটাল মার্কেটার, ওয়েব ডেভেলপার, ভিডিও এডিটিং এই ধরনের আর যারা জানেন তাদের অনেক বেতন দিয়ে তারা নিয়োগ দিয়ে থাকে। এছাড়াও অনেকে অনলাইনের মাধ্যমে লোক নিয়ে থাকে।
আপনি যদি রেস্টুরেন্টের কাজ করেন সেক্ষেত্রে অনেক চাহিদা আছে এবং যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন। এছাড়াও এখানে আরো কৃষিকাজ আর কনস্ট্রাকশনের কাজ ফ্যাক্টরির কাজ ইত্যাদি কাজগুলোর ব্যাপক চাহিদা আছে।
লিবিয়া যেতে কি কি লাগে
আপনি যখন এই দেশটিতে যাবেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পড়ে যেমন ভাবে তাই লিবিয়া যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে এবং চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যখন কাজ করার উদ্দেশ্যে দেশটিতে যাবেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই হবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন হবে। আর সে ক্ষেত্রে আপনি এই বিষয়ে আবেদন করার জন্য আপনার যে যোগ্যতা এবং কাগজপত্র লাগতে পারে সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- অবশ্যই আপনার বৈধ পাসপোর্ট করতে হবে
- জাতীয় পরিচয় পত্র বাধ্যতামূলক
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে
- কাজের দক্ষতা যদি থাকে তাহলে সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর রিপোর্ট দেখাতে হবে
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে
- শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি থাকে তাহলে অবশ্যই সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে
- আপনি যে কোম্পানিতে যাচ্ছেন সেখানে অবশ্যই অফার লেটার থাকতে হবে।
লিবিয়া যাওয়া সম্পর্কে FAQ কিছু প্রশ্ন জানুন
বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যেতে কত সময় লাগে?
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বিমানে করে যান সে ক্ষেত্রে আপনার 20 ঘন্টা 50 মিনিটের মত সময় লাগবে।
লিবিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে?
বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি এই দেশটিতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার বয়স কমপক্ষে 18 বছর হওয়া লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে এই দেশটির দূরত্ব ৭২৬৭ কিলোমিটার গত এর মত।
বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া বিমান ভাড়া কত?
বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি যেতে চান এই দেশটিতে বিমানে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্য আপনার ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।
আমাদের শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলা যেতে পারে যে বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি বিবিএ যেতে চান সে লিবিয়ায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে বৈধ উপায় যেতে হবে। আর এজন্য অবশ্যই আপনি সরকারিভাবে যাবেন তাহলে আপনার কোন সমস্যা হবে না। তাই বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আরো উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url