জর্জিয়া যেতে কত টাকা লাগে আপডেট জেনে নিন

অনেকে জানতে চায় যে, জর্জিয়া যেতে কত টাকা লাগে? আসলে জর্জিয়ায় যেতে অন্যান্য দেশের তুলনায় একটু খরচ বেশি হয়ে থাকে। চলুন, জর্জিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে কি পরিমান টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
জর্জিয়া একটি উন্নত রাষ্ট্র যেখানে প্রতিবছরে বাংলাদেশের অনেক লোক যায়, তবে তুলনামূলক অন্যান্য দেশের থেকে কম যায়। কারণ এ দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক টাকা লাগে। তাই জর্জিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃজর্জিয়া যেতে কত টাকা লাগে আপডেট জেনে নিন

জর্জিয়া যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি জর্জিয়া যেতে চান, সে ক্ষেত্রে জর্জিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এই খরচটা নির্ভর করবে ভিসা ক্যাটাগরির উপরে। চলুন, কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

আপনি এ দেশে দুটি উপায়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে খরচের পার্থক্য রয়েছে। তাই দুটি পদ্ধতি হলো যদি আপনি বেসরকারিভাবে যেতে চান সে ক্ষেত্রে খরচ বেশি হবে, এক্ষেত্রে মোটামুটি খরচ হবে প্রায় ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত। তবে এটা নির্ভর করবে বিভিন্ন এজেন্সির উপরে।

যদি আপনি সরকারি কোন অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান, সেক্ষেত্রে এই টাকার মধ্যেই যেতে পারবেন। তবে কোন দালালের মাধ্যমে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে এর চেয়ে আরো বেশি খরচ হতে পারে আবার প্রতারণার শিকারও হতে পারেন। তাই এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।

এছাড়া আপনি যদি সরকারি মাধ্যমে জর্জিয়াতে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনার তুলনামূলক ভাবে কম খরচ হবে এবং নিরাপদে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার সর্বমোট খরচ হতে পারে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মত, কম বেশি হতে পারে। তাই আপনি চেষ্টা করবেন সরকারি বোয়েসেলের মাধ্যমে যেতে।
এ দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার কত টাকা খরচ হতে পারে বা আলাদা ভাবে ভিসা খরচ কত টাকা হতে পারে, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ভিসা খরচ হতে পারে ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার মত লাগবে।

বিমান ভাড়া খরচ হতে পারে ৬০০০০ থেকে শুরু করে ৮০০০০ টাকার মতো।

এজেন্সি ফি দিতে হবে প্রায় ৪ থেকে ৬ লাখ টাকার মত।

প্রথম মাসে আপনার থাকা খাওয়া খরচ হবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মত।

সর্বমোট আপনার খরচ হতে পারে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মতো। তবে যদি আপনি কোন সরাসরি কোম্পানির মাধ্যমে যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মধ্যে যেতে পারবেন অথবা আপনার যদি কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে তাদের মাধ্যমে গেলে আরো কম খরচে যেতে পারবেন।

এছাড়া আপনাকে ব্যাংকের ব্যালেন্স দেখাতে হবে, সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যাংকে ৩ থেকে ৬ লাখ টাকার মত থাকতে হবে। তবে এটা ভিসা ক্যাটাগরির উপরে নির্ভর করে থাকে, এক্ষেত্রেও সতর্ক থাকবেন কেননা কোন দালালের খপ্পরে যেন পড়তে না হয়।

জর্জিয়া যাওয়ার উপায়

আপনি যদি জর্জিয়ায় যেতে চান সে ক্ষেত্রে জর্জিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আপনার সুবিধা হবে, সে ক্ষেত্রে কিভাবে যাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা যাক।

আপনি যদি এ দেশটিতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বৈধভাবে যেতে হবে আর বৈধভাবে যেতে গেলে আপনার অবশ্যই ভিসা করতে হবে। এজন্য যে ভিসা আপনি করতে পারবেন চলুন ভিসা গুলো সম্পর্কে জানা যাক।

টুরিস্ট ভিসায় যেতে পারবেন।

স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া যাবে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন।

পারিবারিক ভিসায় যাওয়া যায়।

এছাড়া আপনি সরকারি মাধ্যমে উপরোক্ত ভিসায় যেতে পারবেন, এক্ষেত্রে অনেক কোম্পানিগুলো সরকারি মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধভাবে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করে যেতে পারেন। এতে আপনার কম খরচ হবে এবং নিরাপদে যেতে পারবেন।

আর একটা পদ্ধতিতে যেতে পারেন সেটা হল বেসরকারি ভাবে। তবে অবশ্যই আপনাকে বেসরকারি ভাবে যেতে হলে সরকার অনুমোদিত যে সকল এজেন্সি রয়েছে, যারা প্রতিবছরে নিরাপদে প্রচুর লোক পাঠাচ্ছে ,সেক্ষেত্রে যাচাই বাছাই করে এ সকল এজেন্সি থেকে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

এতে আপনার প্রতারণা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না এবং নিরাপদে যেতে পারবেন। তাছাড়া বাংলাদেশের সাথে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে এবং এ দেশে তাদের দূতাবাস আছে। সেখান থেকে আপনি সকল ডকুমেন্ট জমা দিয়ে যেতে পারবেন।

জর্জিয়া বেতন কত

বাংলাদেশের অনেক লোক জর্জিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে, তাই জর্জিয়া বেতন কত? এটা নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের কাজ করছেন তার ওপরে। তাই কোন কাজের কি পরিমাণ বেতন হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি দক্ষ শ্রমিক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে বেতন বেশি পাবেন, মাসে প্রায় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত। আর যদি দক্ষতা কম থাকে সেক্ষেত্রে বেতন একটু কম পাওয়া যাবে। এই ক্ষেত্রে আপনি প্রতি মাসে বেতন পাবেন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো। তাছাড়া ওভারটাইম করলে আরো বেশি বেতন পাবেন।

এ দেশে সাধারণত আইটি সেক্টরে প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়ে থাকে এবং যাদের দক্ষতা রয়েছে তারা ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা মাসে বেতন পেয়ে থাকে। তাই আপনার যদি এই কাজের প্রতি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি যেতে পারেন। এছাড়া আরো বিভিন্ন সেক্টরে লোকজন কাজ করে থাকে। তাদের বেতন প্রায় ১ লক্ষ টাকার উপরেও রয়েছে। তবে নিম্ন পর্যায়ে যে সকল লোক কাজ করে তাদের সর্বনিম্ন বেতন ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকার মত।

জর্জিয়া কাজের ভিসা

আপনি যদি জর্জিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান সে ক্ষেত্রে জর্জিয়া কাজের ভিসা করতে হবে। তাই কিভাবে ভিসা করলে আপনি এই ভিসা পেয়ে যাবেন। এ বিষয় বিস্তারিত আলোচনা সম্পর্কে জানুন।
ছবি
আপনি যদি এই দেশে বৈধভাবে কাজ করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে। তাই যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে পারেন সে ক্ষেত্রে ১ বছর নিরাপদে কাজ করতে পারবেন। এরপর আবার আপনাকে রিনিউ করতে হবে।

তাছাড়া আপনি কাজের ভিসায় যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে এ দেশের দূতাবাসে যেতে হবে এবং সেখানে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে, সকল ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। তাই অনলাইনে আবেদন করতে যে ডকুমেন্ট গুলো লাগে তাহল;
আপনি যে কোম্পানির নিকট চাকরি করবেন সেই কোম্পানির জব লেটার লাগবে।

বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকা লাগবে। এছাড়াও শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট দিতে হবে। এছাড়াও পুলিশ ভেরিফিকেশনের সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে।

এরপর আপনাকে এ দেশের দূতাবাসে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা লাগবে। তারপরে এ দেশের কর্মকর্তারা তথ্য গুলো যাচাই বাছাই করে ভিসা দিবে, এক্ষেত্রে ভিসা পেতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।

জর্জিয়া স্টুডেন্ট ভিসা

জর্জিয়াতে সাধারণত অনেকেই পড়াশোনা করতে যেতে চায়, তাই জর্জিয়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে যাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি এ দেশে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার কিছু ডকুমেন্টস এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। চলুন, সেই কাগজপত্র কি লাগতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।

আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে চাচ্ছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন লেটার লাগবে।

তাছাড়া আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে, এছাড়াও শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দিতে হবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়।

আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেদে টিউশন ফি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে মোটামুটি ২হাজার থেকে ৫০০০ ডলারের মত খরচ হয়ে থাকে। প্রতিমাসে আপনার খাওয়া দাওয়া বা জীবনযাত্রার মানের ক্ষেত্রে খরচ হতে পারে ৩০০ থেকে ৫০০ ডলারের মত।

তাছাড়া আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যাংকে থাকতে হবে প্রায় ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার ডলারের মত।

এছাড়া আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে আপনার খরচ হবে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মত এবং আরও খরচ দিলে আপনার ৩ থেকে ৫ লাখ টাকার মত খরচ হয়ে যেতে পারে।

জর্জিয়া টুরিস্ট ভিসা

আপনি যদি জর্জিয়াতে ভ্রমণ করতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে জর্জিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রয়োজন হবে। তাই আপনি এই ভিসা কিভাবে পাবেন এবং কত টাকা খরচ হতে পারে বিস্তারিত চলুন, জানা যাক।

এ দেশটির সাধারণত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এবং পাহাড়-পর্বত নদী-নালা দেখতে খুবই সুন্দর। তাই আপনি এখানে ভ্রমণ করে খুবই আনন্দিত হবেন এবং অল্প টাকার মধ্যে ভ্রমন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার একটি অভিজ্ঞতা অর্জন হবে। তবে আপনাকে অবশ্যই ভিসা নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ভ্রমণ ভিসা খরচ এবং সকল কিছু আনুষাঙ্গিক খরচ মিলে মোটামুটি খরচ হতে পারে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে।

তাছাড়া এই দেশটিতে যেতে আপনার একটু সময় বেশি লাগতে পারে, সে ক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মতো। আপনার এটা নির্ভর করবে ট্রানজিটের উপরে এছাড়া আরো একটু বেশি হয়তো সময় লাগতে পারে। কেননা এর মাঝে যদি কোন বিরতি দিয়ে থাকে তাহলে আপনার ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে।

জর্জিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

বাংলাদেশের লোকজন জর্জিয়ার বিভিন্ন কাজের জন্য যায়। তবে জর্জিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনি যেতে পারবেন। চলুন কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়।

সাধারণত বাংলাদেশের লোকজন শ্রমিক হিসেবে খুবই কম যায়। কেননা এখানে যাওয়ার ক্ষেত্রে খরচ একটু বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে লোকজন কাজের ক্ষেত্রে খুবই কম গিয়ে থাকে তবে এই দেশটিতে শ্রমিক হিসাবে প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়ে থাকে। যেমন হোটেল বা রেস্টুরেন্টের কাজের জন্য যেতে পারেন। এই সকল কাজের চাহিদা রয়েছে আবার নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অনেক চাহিদা রয়েছে তবে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ার আইটি সেক্টরে প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে।

তাই আপনার যদি অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে, তাহলে অবশ্যই এই কাজগুলোর উপরে যেতে পারেন। তাহলে অনেক টাকায় বেতন পাবেন। এখানে ছোটখাটো কাজ থেকে শুরু করে বড় কাজ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। প্রতি মাসে ৯০ হাজার থেকে শুরু করে দেড় লক্ষ টাকার মতো বেতন পাওয়া যায়। তবে কিসের কাজগুলোর উপর আপনি যেতে পারেন তাহল;

হোটেল ম্যানেজমেন্ট অথবা ট্যুর গাইড হিসেবে যেতে পারেন, শ্রমিক হিসেবেও যাওয়া যাবে এবং মেকানিক ইঞ্জিনিয়ারের অনেক গুরত্ব রয়েছে। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের উপর অনেক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটরও গুরুত্ব রয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে ইংরেজি শিক্ষকের প্রয়োজন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক এর গুরুত্ব রয়েছে, তাছাড়া আপনি ফলমূল উৎপাদনের ক্ষেত্রে যদি অভিজ্ঞতা থাকে এই ধরনের কৃষি কাজের ক্ষেত্রে যেতে পারেন।

জর্জিয়া যেতে কি কি লাগে

আপনি যখন জর্জিয়াতে যাবেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই ভিসা আবেদন করতে হবে। তাই জর্জিয়া যেতে কি কি লাগে? এ সম্পর্কে জানা দরকার, তাহলে আপনি আগে থেকেই ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক,
  • কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদী আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  • সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির প্রয়োজন হবে।
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার মেডিকেল সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেটের দিতে হবে।
  • আপনি যদি ভ্রমণ করতে চান সে ক্ষেত্রে হোটেল বুকিং এবং ফিরতে টিকিটের বুকিং এর প্রিন্ট কপি দিতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হলে, যদি আপনার প্রয়োজন হয় তাহলে দিতে পারেন।
আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কোম্পানির অনুমোদন পত্র লাগবে।
স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হলে অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন লেটারের প্রয়োজন হবে।

জর্জিয়া ভিসা আবেদন

জর্জিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভিসা আবেদন করা লাগবে। তাই জর্জিয়া ভিসা আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কেননা এটা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
প্রথমে আপনাকে এ দেশের দূতাবাসের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফর্ম ডাউনলোড দিয়ে তারপর এটা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে www.evisa.gov.ge ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনি প্রবেশ করে আবেদন করতে পারেন।
আবেদন ফরম পূরণ হয়ে গেলে এরপর আপনাকে অবশ্যই আবেদন ফি জমা দিতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে, তার মেয়াদ ৬ মাস থাকা লাগবে শিক্ষকতা যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। যদি আপনি ভ্রমণ করতে চান সে ক্ষেত্রে হোটেল বুকিং এবং ফিরতি বিমানের টিকিট এর বুকিং প্রমাণসহ উপমা দিতে হবে।

এছাড়া পাসপোর্ট সাইজের সাম্প্রতিক রঙ্গিন ছবি লাগবে, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। এছাড়া আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগতে পারে, যা আপনি এজেন্সির মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন। সকল কিছু যাচাই-বাছাই করার পরে আপনাকে ভাইবাতে ডাকা হবে এরপর আপনি যদি উত্তীর্ণ হতে পারেন বা তারা যদি আপনাকে পছন্দ করে তাহলে ভিসা পেয়ে যাবেন।

জর্জিয়া সম্পর্কে FAQ প্রশ্নগুলো জানুন

জর্জিয়া কাজের ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

এই ভিসা পেতে আপনার ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে, তবে এটা কোম্পানির এবং আবেদনের উপরে নির্ভর করবে।

জর্জিয়া টাকার মান কত?

এ দেশের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের ৪৪ থেকে ৪৫ টাকার মতো।

জর্জিয়া যেতে কত সময় লাগে?

সময়ের ক্ষেত্রে মূলত নির্ভর করে বিমানের কোয়ালিটির উপরে, তাই আপনার সময় লাগতে পারে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মতো।

জর্জিয়ার মুদ্রার নাম কি?

এ দেশের মুদ্রার নাম হল জর্জিয়ান লারি এই মুদ্রায় তারা ব্যবহার করে থাকে।

জর্জিয়া রাজধানীর নাম কি?

এ দেশের রাজধানীর নাম হলো তবিলিসি।

উপসংহারঃ জর্জিয়া যেতে কত টাকা লাগে আপডেট জেনে নিন

পরিশেষে বলা যেতে পারে যে আপনি যদি জর্জিয়ায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে শ্রমিক ভিসায় অথবা আরও বিভিন্ন ধরনের ভিসায় যাওয়া যেতে পারেন। তবে কাজের ক্ষেত্রে যদি যেতে চাও অবশ্যই আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে, সে ক্ষেত্রে একটু খরচ বেশি হবে। তাই জর্জিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে মোটামুটি আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে ,আশা করি আপনার উপকারে আসবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪