গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয় ও নিরাপদ কিনা জেনে নিন
অনেকে জানতে চায় যে, গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয়? আসলে মৃগেল মাছ খেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আপনি এই মাছ নিশ্চিত খেতে পারেন। চলুন, মৃগেল মাছ খেলে গর্ভবতীর কি উপকার হয় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গ্রামের কিছু বয়োজ্যেষ্ঠ মহিলারা গর্ভবতী মায়েদের বলে থাকে যে, মৃগেল মাছ খেলে গর্ভস্থ শিশুর বিভিন্ন উপকার হবে। তাই গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয় ও নিরাপদ কিনা
গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় অনেকেই মৃগেল মাছ খেতে চায় না, তাই গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। কেননা মৃগেল মাছ একজন গর্ভবতীর অনেক উপকার করে থাকে। চলুন, মৃগেল মাছ গর্ভবতীর কি উপকার করে এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক সুস্থ রাখেঃ গর্ভবতী সাধারণত গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের ক্ষেত্রে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এর প্রয়োজন হয়। তাই আপনি এই মৃগেল মাছ খেতে পারেন। এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। যা শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশের পাশাপাশি তার পুষ্টির চাহিদা মিটাবে। এছাড়াও শিশুর বৃদ্ধির বিকাশে সাহায্য করবে। তাই একজন গর্ভবতী মা এই মাছটি খেতে পারেন, এতে শিশুর মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ এই সময়ে গর্ভবতী মায়েদের রক্তের বৃদ্ধির প্রয়োজন হয়। এজন্য আয়রন, ভিটামিন বি-১২, ফলিক এসিডের প্রয়োজন। কেননা এগুলো গর্ভবতী মহিলার রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করবে। এজন্য আপনি এই মৃগেল মাছ খেতে পারেন। কেননা এই মাছের মাঝে এই উপাদান গুলো পাওয়া যায়। যার কারণে একজন গর্ভবতী মায়ের হিমোগ্লোবিনের চাহিদা পূরণ করবে। তাই গর্ভবতী মহিলা নিয়মিত ভাবে অল্প পরিমাণ করে এই মাছটি খেতে পারেন। এতে আপনার রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করবে।
জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত ফলিক এসিড ও আয়রন, ভিটামিন বি৯ এর অভাবে সাধারণত বাচ্চাদের জন্মগত ত্রুটির সমস্যা দেখা দেয় ও প্রতিবন্ধী হতে পারে। কেননা রক্ত স্বল্পতার কারণে শিশু জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী হতে পারে। তাই যে সকল খাবারের মধ্যে ফলিক এসিড এবং আয়রন রয়েছে, সেই খাবার গুলো বেশি বেশি খাওয়া যেতে পারে। তাই গর্ভবতীর প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য মৃগেল মাছ খাওয়া যেতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়ঃ গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবার গুলো খেতে হয়। তার মধ্যে এই মৃগেল মাছ খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে জিংক, ভিটামিন ডি ইত্যাদি রয়েছে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে, সংক্রমণ ও গর্ভকালীন জটিলতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া গর্ভবতী মহিলারা পরিমাণ মতো এই মাছ খেতে পারেন।
বুকের দুধ বৃদ্ধি করেঃ একজন গর্ভবতী মায়ের সাধারণত এই সময় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং পুষ্টি জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া প্রয়োজন। কেননা সন্তান হওয়ার পরে তার বুকের দুধের জন্য পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন হয়। এজন্য প্রত্যেকটা গর্ভবতীর মাছ-মাংস ও সবুজ শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে, এতে করে বাচ্চা প্রসব হওয়ার পর বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে। তাই গর্ভবতী মায়েদের এই সময় যদি মৃগেল মাছ খাওয়ানো হয় সে ক্ষেত্রে বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ গর্ভবতী মায়েদের মধ্য অনেকের হৃদ রোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে অথবা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য হার্টের সমস্যা বা স্ট্রোক করার সম্ভাবনা থাকে। এই সময়ে ফ্যাটি এসিড কমে যায় তাই একজন গর্ভবতী মহিলা এই মৃগেল মাছ খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। তাছাড়া অনেক গর্ভবতী মহিলাদের প্রি এক্লামশিয়া দূর করার জন্য এই মাছ খাওয়া যেতে পারে।
মৃগেল মাছের পুষ্টিগুণ
এই মাছ আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। তাই মৃগেল মাছের পুষ্টিগুণ আপনার শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য দারুন কাজ করে থাকে। তাই এই মাছটি খাওয়া যেতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
এই মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। বিশেষ করে এর মধ্যে কম ক্যালোরি থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য উপকার। এছাড়াও প্রোটিন, ভালো ফ্যাট থাকে যা চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও খারাপ কোলেস্টেরলকে দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, আয়রন, জিংক, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ওমেগা-৩, ফ্যাটি এসিড থাকে যা আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
এছাড়াও আপনার শরীরের পেশী গঠন করতে সাহায্য করবে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, হৃদরোগের প্রতিরোধের সাহায্য করবে, রক্তস্বল্পতা দূর করবে। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের থাকার কারণে হাড় গঠন ও দাঁতের মজবুত করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। তাই একজন গর্ভবতী মহিলা পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে মাছ খেতে হবে, বিশেষ করে মৃগেল মাছ খাওয়া যেতে পারে।
এই মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ফলিক অ্যাসিড রয়েছে যা গর্ভবতীর জন্য খুবই উপকার। বিশেষ করে এই সময় গর্ভবতীর প্রচুর পরিমাণে রক্তের প্রয়োজন হয়। কেননা এই রক্তের মাধ্যমে গর্ভস্থ শিশু বৃদ্ধি পেতে থাকে তাছাড়া বাচ্চার হাড় গঠন ও দাঁত মজবুত করে থাকে। এছাড়াও গর্ভবতীর বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়ে থাকে, তাই গর্ভাবস্থায় এই মাছ খাওয়া যেতে পারে।
মৃগেল মাছের উপকারিতা
মৃগেল মাছ বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। তাই মৃগেল মাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানা আমাদের প্রয়োজন। চলুন, এই মাছ আমাদের শরীরে কি উপকার করে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
হার্টকে ভালো রাখেঃ মৃগেল মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, যা আমাদের হার্টের সমস্যা দূর করে এবং হার্টকে ভালো রাখে। তাই নিয়মিতভাবে অল্প পরিমাণে মৃগেল মাছ খেতে পারেন। এতে আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, খারাপ কোলেস্টোরল দূর করে। এছাড়াও রক্তনালিকে রক্ত জমাট প্রতিরোধ করতে পারে। হৃদ স্পন্দন ভালো রাখতে সাহায্য করে। এজন্য স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো করেঃ অনেকের চোখের রেটিনার সমস্যা থাকে, চোখে দেখতে পারেনা। পরবর্তীতে অন্ধত্ব হয়ে যায়, এছাড়াও চোখের শুষ্কতা দেখা দেয়, রাতকানা রোগের সমস্যা হতে পারে। তাই দৃষ্টি শক্তিকে ভালো রাখার জন্য এই মিরকা মাছ খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মাঝে ভিটামিন-এ, রয়েছে যা আপনার এই ধরনের সমস্যাগুলো দূর করবে। তাই আপনার দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য নিয়মিত ভাবে পরিমাণ মতো মৃগেল মাছ খেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন জাতীয় বা পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও পাশাপাশি প্রাণিজ প্রোটিন খেতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে মিরকা মাছ খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মাঝে প্রাণিজ প্রোটিন থাকে বিশেষ করে ভিটামিন ডি, জিংক যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। শরীরকে এন্টি বডি করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।
হাড় ও দাঁতের সুস্থতাঃ ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত অনেকেরই ক্যালসিয়ামের অভাবের কারণে হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে বৃদ্ধ মানুষগুলোর ক্যালসিয়ামের অভাবে হাঁটু ব্যথা শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা হতে পারে এবং দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য আপনি মিরকা মাছ খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি ইত্যাদি থাকে। যা আপনার শরীরের হাড় ও দাঁতের গঠন এবং মজবুত করতে সাহায্য করবে।
ত্বক ভালো রাখেঃ অনেকের অল্প বয়সে ত্বকে বার্ধক্য দেখা দেয়। তাছাড়া ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়, শুষ্কতা দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য আপনি মৃগেল মাছ খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে ভিটামিন ই ও সেলেনিয়াম থাকে যা আপনার ত্বককে সুস্থ রাখবে, এছাড়াও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে, প্রদাহ সমস্যাগুলো দূর করবে। অনেকের ত্বকের একজিমার মত সমস্যা থাকে এটা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সূর্যের ক্ষতিকর রশি থেকে রক্ষা করবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ যাদের ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে যাচ্ছে অথবা শরীরের চর্বির বৃদ্ধির কারণে ওজন বাড়তে পারে। এতে করে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি সৃষ্টি হয়। তাই এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য মৃগেল মাছ খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মধ্যে প্রোটিন থাকে বেশি কিন্তু ক্যালোরি কম থাকে। যার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। অতিরিক্ত ক্যালরি খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ থাকবে না, খাদ্য অভ্যাসকে নিয়ন্ত্রণ করবে, মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তাই রক্তের শর্করার মাত্রা কমানোর জন্য মৃগেল মাছ খেতে পারেন। কেননা এর মধ্যে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত ভাবে মৃগেল মাছ খেলে এতে ইনসুলেনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করবে। বিশেষ করে টাইপ-২, ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক উপকার করবে।
মৃগেল মাছ খেলে কি ক্ষতি হয়
অনেকে জানতে চায় যে মৃগেল মাছ খেলে কি ক্ষতি হয়? আসলে এটা আমাদের শরীরে উপকারী বেশি করে থাকে। তবে অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি হতে পারে। চলুন, কি ক্ষতি হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভবতী মহিলারা যদি এই মাছ অতিরিক্ত খায় তাহলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। কেননা এটা মূলত মিঠা পানির মাছ যার কারণে পারদের মাত্রা একটু কম থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা জলাশয়ের মাছ খেয়ে থাকে এবং সেই জলাশয় যদি দূষিত হয়ে থাকে, তাহলে সেই মাছগুলোতে পারদের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। যার কারণে গর্ভস্থ শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশকে ক্ষতি করতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত এই ধরনের দূষিত জলাশয়ের মাছ খাওয়া নিরাপদ নয়।
যে সকল রোগী বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে থাকে, তারা সাধারণত এই মাছ খাবেন না। এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। এ মাছের প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা আপনার রক্ত পাতলা করতে পারে। এতে আপনার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া অন্যান্য ওষুধের সাথে এই মাছের প্রোটিন যোগ হয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এতে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই মৃগেল মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
যদি আপনি এই মিরকা মাছ অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন, সেই ক্ষেত্রে আপনার শরীরের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন হজমের সমস্যা, পেট ফাপা দেওয়া, গ্যাস্ট্রিক হওয়া, ডায়রিয়ার সমস্যা, বমি বমি ভাব হতে পারে, দুর্গন্ধ শ্বাস হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের এই সময়ে গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, বমি বমি ভাব, পেট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা গুলো বেশি হয়ে থাকে, তাই গর্ভাবস্থায় পরিমাণে খুবই কম খাবেন।
তাছাড়া যে সকল দূষিত পানির মাছ রয়েছে সে সকল দূষিত পানির মাছগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা এই সকল মাছে পারদ বেশি থাকে যা আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই ভেজাল পানির মাছগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়া অতিরিক্ত ফরমালিনযুক্ত মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। বিশেষ করে যারা গর্ভবতী রয়েছেন তারা এই ধরনের দূষিত পানির মাছগুলো খাবেন না, এতে আপনার গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হবে।
মৃগেল মাছ সম্পর্কে FAQ প্রশ্ন ও উত্তর জানুন
মিরকা মাছ কি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ?
গর্ভবতী মহিলারা এই মাছ খেতে পারবে, তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না এবং ভালোভাবে রান্না করে খেতে হবে।
মিরকা মাছে কি পারদ থাকে?
যদি এই মাছ মিঠা পানির হয়ে থাকে তাহলে পারদের সংখ্যা খুব কম থাকে। আর যদি দূষিত জলাশয়ের মাছ হয় সে ক্ষেত্রে পারদের সংখ্যা বেশি থাকবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাই ভালো উৎস থেকে মাছ খাবেন।
মিরকা মাছ কি কোলেস্টেরল কমায়?
এই মাছ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, কেননা এর মাঝে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে যা আপনার রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
মিরকা মাছ কতদিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়?
এই মাছ যদি ফ্রিজে রাখতে চান সেক্ষেত্রে নরমালে রাখলে ২ থেকে ৩ দিন পর্যন্ত রাখা যাবে। আর ডিপ ফ্রিজে যদি রাখেন সেই ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত রাখতে পারবেন।
মিরকা মাছ কি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযুক্ত?
আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার প্রোটিন এবং রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই মাছ খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণ করবে, এছাড়া ইনসুলিন সংবেদনশীল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
শেষ কথাঃ
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে চান, সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের মাছ খেতে হবে। তার মধ্যে মৃগেল মাছ খেতে পারেন, কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও কম ক্যালরি থাকে। অনেকেই বলে গর্ভাবস্থায় মৃগেল মাছ খেলে কি হয়? এটা সম্পূর্ণ একটি কুসংস্কার মূলক এবং অবৈজ্ঞানিক কথা। তাই এই মাছ খেলে কখনোই মৃগী রোগ হবে না। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url