নর্থ মেসিডোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত

অনেকে জানতে চায় নর্থ মেসিডোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে। তাই আপনি যদি কাজের ভিসা করতে পারেন। তাহলে খরচ একটু বেশি হবে। চলুন, কোন ভিসার কত দাম সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যদি নর্থ মেসিডোনিয়া যেতে চান, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। তবে প্রত্যেকটা ভিসার আলাদা আলাদা দাম রয়েছে। তাই নর্থ মেসিডোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃনর্থ মেসিডোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত

নর্থ মেসিডোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে

আপনি যদি নর্থ মেসিডোনিয়া যেতে চান, সে ক্ষেত্রে নর্থ মেসিডোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে? আসলে এটা নির্ভর করবে ভিসার উপর। চলুন, কোন ভিসায় কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ভিসা খরচ হতে পারে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত। এর মধ্যে বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তাছাড়া যদি কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান সেক্ষেত্রে কাজের ভিসা করতে হবে, এতে আপনার ভিসা খরচ হবে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মত। তবে আপনি যদি বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান, সেক্ষেত্রে একটু বেশি খরচ হতে পারে। মোটামুটি ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার মত খরচ হবে।
তাছাড়া এ দেশে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ সুবিধা পাবেন। যেমন; কৃষি, শিল্প, সেবা খাতের বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত হবে। আপনি যখন একটি জায়গায় থাকতে যাবেন সেখানকার থাকা খাওয়ার খরচ তুলনা মূলক ভাবে অনেকটাই কম পাবেন। তবে চেষ্টা করবেন আপনার যে পরিমাণ আয় হবে সে অনুযায়ী ব্যয় করা, তাহলে অনেক টাকায় বেঁচে যাবে। তাছাড়া আপনার থাকা খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিচিত লোকের মাধ্যমে যদি থাকতে পারেন তাহলে কম খরচ হবে।

যদি এক রুম বিশিষ্ট একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার ভাড়া পড়বে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার মত। এছাড়া একজন ব্যক্তি খাবারের ক্ষেত্রে মাসে খরচ হতে পারে ১০ হাজার টাকার মত। যাতায়াতের ক্ষেত্রে মাসে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। হয়তো এর চেয়ে কম বেশি হতে পারে, তবে আশা করি এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। তাই চেষ্টা করবেন আশেপাশে বাংলাদেশী লোক যদি থাকে তাদের সাথে মিলে একটি রুম ভাড়া নিতে পারেন, সেখানে কয়েকজন থাকলে এতে খরচ কমে যাবে।

নর্থ মেসিডোনিয়া বেতন কত

আপনি যদি নর্থ মেসোডোনিয়াতে কাজ করেন, সেক্ষেত্রে বেতন ভাতা অনেক পাবেন। তাই নর্থ মেসিডোনিয়া বেতন কত? এ সম্পর্কে জানা থাকলে কোন কাজ করবেন সে ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি এ দেশের সর্বনিম্ন পর্যায়ের কাজ করেন, তাহলে প্রতিমাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বেতন পাবেন। তবে দক্ষতা বেশি হলে এর চেয়ে আরো বেশি বেতন পাবেন। এ দেশে যারা কাজ করে তাদের গড় হিসাবে মাসে বেতন প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো। এর মধ্যে যে কাজগুলো রয়েছে তা হল; সেলসম্যান, হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ওয়েটার, এ ছাড়া অন্যান্য সেবা ক্ষেত্রে যারা কাজ করেন। নর্থ মেসিডোনিয়াতে যদি আপনি এই কাজগুলো করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ভালো বেতন পাবেন। তবে এই কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে গেলে আরো বেশি বেতন পাবেন।

যে সকল শ্রমিকের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা আছে, তারা মাসে বেতন পাবেন প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত। এই অভিজ্ঞ কর্মীর মধ্যে যে কাজগুলো সাধারণত ধরা হয় তাহল; প্রযুক্তি বিষয়ে, ইঞ্জিনিয়ারিং এছাড়াও দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সবচেয়ে বেশি বেতন দিয়ে থাকে। সাধারণত আপনি যে কাজই করেন না কেন ওভারটাইম কাজ করলে প্রতি ঘন্টায় ২০ থেকে ৫০% পর্যন্ত বেতন বেশি পাবেন। এই কাজ গুলোর মধ্যে যেমন নির্মাণ কাজ, রেস্টুরেন্ট ও কারখানার কাজ করেন তারা অতিরিক্ত কাজ করলে এই সুযোগটি পাবেন।

এ ছাড়াও প্রত্যেকটা কোম্পানি তাদের শ্রমিকদেরকে প্রতিবছরে প্রমোশন দিয়ে থাকে, বেতন বৃদ্ধি করে। মূলত শ্রমিকের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বেতন ভাতা বৃদ্ধি করে। তাই আপনি যদি ভাল দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারেন, তাহলে কোম্পানি আপনাকে বেশি সুযোগ সুবিধা প্রদান করবেন।যেহেতু এটা একটি উন্নয়নশীল দেশ তাই আপনি এখানে অনেক কাজের সুযোগ পাবেন। তাই আপনি দক্ষতা অর্জন করে যদি কাজ করতে পারেন, তাহলে বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি পাবেন এবং জীবন যাত্রার মান অনেক ভালো হবে।

নর্থ মেসিডোনিয়া টুরিস্ট ভিসা

আপনি যদি ভ্রমণ করতে চান সেই ক্ষেত্রে নর্থ মেসিডোনিয়া টুরিস্ট ভিসা করতে হবে। তাই এই ভিসা করলে সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং কত টাকা লাগতে পারে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
ছবি
নর্থ মেসিডোনিয়াতে অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণ বা পর্যটন হিসেবে ঘুরতে যেতে চান, অনেকে আবার আত্মীয়-স্বজনের সাথেও সময় কাটাতে ভ্রমন করতে যেতে চান, তারা সাধারণত ৯০ দিনের মতো এ দেশে থাকতে পারবেন। সাধারণত এ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে আকর্ষিত করবে এবং ভ্রমণ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সুযোগ সুবিধা পাবেন।
এটা একটি শান্তিপূর্ণ দেশ এখানে বড় বড় লেক এছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর যা একজন পর্যটককে আকর্ষণ করবে। তাই টুরিস্ট ভিসায় যারা আবেদন করতে চান, তাদের অবশ্যই কিছু শর্ত মানতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনার সময় বেঁধে দেওয়া হবে, নির্দিষ্ট সময় দেশে ফিরে আসতে হবে, এছাড়াও কিছু ডকুমেন্টস হিসেবে আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, ফিরতে টিকিট বুকিং, এছাড়াও হোটেল বুকিং, বিভিন্ন ডকুমেন্টস গুলো জমা দিতে হবে।

এই দেশের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে অনেকটাই সহজ তবে আপনার কাগজপত্র যদি বৈধ না হয়, তাহলে আপনার আবেদন পত্রটি বাতিল হবে। এজন্য অবশ্যই আপনার কাগজপত্র ও ডকুমেন্টস গুলো যেন বৈধ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নর্থ মেসিডোনিয়া ভিসা চেক

আপনি যখন নর্থ মেসিডোনিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করবেন, সে ক্ষেত্রে নর্থ মেসিডোনিয়া ভিসা চেক করতে হবে। তাহলে আপনি ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চিত হতে পারবেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

ভিসা চেক করার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে, সে ক্ষেত্রে প্রথমত এ দেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এজন্য আপনাকে পাসপোর্ট এর নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিতে হবে। তারপরে আপনাকে ইমেইলে ভিসা স্ট্যাটাস নোটিফিকেশন দিবে। তারপর আপনি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ট্র্যাক ভিসা স্ট্যাটাস এই অপশনে ক্লিক করবেন। এরপরে যদি কোন সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই কনসুলেটে যোগাযোগ করবেন, আপনার সমস্যার সমাধান করে দেবে। তাই নর্থ মেসিডোনিয়াতে যেতে অবশ্যই আপনি ভিসা চেক দিয়ে যাবেন, তাহলে আর সমস্যা হবে না।

নর্থ মেসিডোনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

আপনি নর্থ মেসিডোনিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন, তবে নর্থ মেসিডোনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, যে সকল কাজের গুরুত্ব এবং চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

যেহেতু এ দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে, এছাড়া প্রতিবছরে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক যায়। তবে কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন ভাতা নির্ধারণ করা হয়। যেহেতু নর্থ মেসিডোনিয়া অর্থনীতি ক্ষেত্রে গুরুত্ব হলো কৃষি, শিল্প এছাড়াও বিভিন্ন সেবার মাধ্যমে উন্নয়নশীল একটি দেশ। যার কারণে প্রত্যেকটি সেক্টরের গুরুত্ব রয়েছে। তাছাড়া কৃষি সেক্টরে কাজ করা যেতে পারে যেমন ফলমূল চাষ করা, শাকসবজি ইত্যাদি কাজের অনেক চাহিদা আছে। তাছাড়া নর্থ মেসিডোনিয়ার পর্যটন কেন্দ্র, তথ্য প্রযুক্তি, শিল্প সেক্টর, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পোশাক শিল্পের কাজের অনেক চাহিদা আছে।

নর্থ মেসিডোনিয়া দেশ কেমন

অনেকে জানতে চায় যে নর্থ মেসিডোনিয়া দেশ কেমন? আসলে দেশটি ভ্রমন করার জন্য উপযুক্ত একটি দেশ। এছাড়াও দেশটি উন্নয়নশীল। চলুন, এর বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

দেশটি যেহেতু উন্নয়নশীল দেশ, সেক্ষেত্রে কাজের সুযোগ অনেক রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়াও এ দেশের জীবনযাত্রার মান তুলনামূলকভাবে অন্যান্য দেশের চাইতে অনেক ভালো। তাছাড়া প্রবাসী কর্মীরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে। তাছাড়া প্রবাসীরা এ দেশে মোটামুটি ভাবে ভালো বেতনের চাকরি করে থাকে। এ দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া খুবই সহজভাবে করে থাকে। তাছাড়া লোকজন খুবই বন্ধুসুলভ হিসেবে আচরণ করে, এ দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে আকর্ষণ করবে।

তাছাড়া দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সেনজেন ভুক্ত দেশের সাথে এখন পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত হয় নাই। তবে যে কোন দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল ভিসা, যা বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে অনেক জটিল পর্যায়ে চলে যায় কিন্তু এ দেশের ভিসা প্রক্রিয়া খুবই সহজ যা আপনি যে কোন এজেন্সির মাধ্যমে সহজ ভাবে যেতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেই ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। যেহেতু নর্থ মেসিডোনিয়াতে বাংলাদেশের অনেক কর্মী নিয়োগ পেয়েছে বা নতুন করে আরো যাচ্ছে।

তাই এ দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রক্রিয়া সরকারিভাবে আবেদন করলে খুবই সহজ ভাবে এবং নিরাপদে কম টাকায় যেতে পারবেন। তবে নর্থ মেসিডোনিয়াতে জীবনযাপন করতে কিছু সুবিধাও হয়ে থাকে তার মধ্যে যেমন এ দেশের মুদ্রা দিনারে দেওয়া হয় যা আপনার ইউরোতে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাছাড়া আমাদের বাংলাদেশের কোন দূতাবাস নাই। যার কারণে যেকোনো সমস্যায় পড়লে সহজভাবে সমাধান পাওয়া যায় না। তাছাড়া এ দেশের ভাষা আয়ত্ত করতে পারেন। এ ছাড়া এটি ইউরোপীয় দেশ হলেও সেনজেনভুক্ত দেশ নয়। যার কারণে অন্যান্য দেশে যেতে পারবেন না।

নর্থ মেসিডোনিয়া ভিসার জন্য কি কি লাগে

আপনি যদি নর্থ মেসিডেনিয়ার যাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদন করেন, সেই ক্ষেত্রে নর্থ মেসিডোনিয়া ভিসার জন্য কি কি লাগে? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, যে কাগজপত্র বা ডকুমেন্টগুলো লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং তার মেয়াদ অবশ্যই ছয় মাস থাকতে হবে।

ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাকে ভিসা আবেদন ফরমটা এ দেশের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড দিতে হবে। এরপরে সঠিকভাবে পূরণ করবেন, অবশ্যই আপনার স্বাক্ষর করতে হবে। এর পরে ফর্মটি প্রিন্ট আউট করে বের করবেন। সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে, সেক্ষেত্রে ছবি রঙ্গিন হওয়া লাগবে এবং মুখ যেন স্পষ্ট দেখা যায় এরকম ছবি হতে হবে। আবেদন পত্রটির ওপর একটি কভার লেটার রাখতে হবে এবং কভার লেটার এর উপরে আপনার নাম, পাসপোর্ট নাম্বার, ভ্রমণ করার উদ্দেশ্য বাসস্থান খরচ ইত্যাদি উল্লেখ করবেন। এছাড়া আপনার ফোন নাম্বার, ইমেইল নাম্বারও উল্লেখ করা লাগবে।
তাছাড়া আপনার যদি এ দেশে কোন আত্মীয়-স্বজন থাকে অথবা কোন কোম্পানি আপনাকে আমন্ত্রণ জানায় সে দেশে যাওয়ার জন্য তাহলে অবশ্যই সে আমন্ত্রণপত্রটা ভিসার সাথে প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে। তাছাড়া ভিসা তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স করা লাগবে, তবে যদি আপনার ট্রেড লাইসেন্স থাকে এক্ষেত্রে অন্যান্য কাগজপত্র এর সাথে এটাও জমা দিতে হবে। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট যদি থাকে সেটাও প্রমাণস্বরূপ হিসেবে জমা দেওয়া লাগবে। আপনি যে ব্যাংকে সচরাচর লেনদেন করে থাকেন সেই ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দিতে হবে আপনার আর্থিক প্রমাণের ক্ষেত্রে।

মেসিডোনিয়া সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

মেসিডোনিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা?

এ দেশের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের ২.১২ টাকা।

মেসিডোনিয়া ভিসা পাওয়ার জন্য কি ভাষা জানার প্রয়োজন আছে?

আসলে ভিসা পাওয়ার জন্য এ দেশের ভাষা জরুরি না, তবে ইংরেজি জানা থাকলে আপনার সুবিধা হবে।

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ভিসা আবেদন করা যায়?

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি এ দেশের ভিসা আবেদন করতে পারবেন, তবে স্পন্সরের মাধ্যমে।

মেসিডোনিয়ার ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে?

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভিসা পাওয়ার জন্য ভিসা পেতে মোটামুটি ১৫ থেকে ১৭ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।

মেসিডোনিয়া ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন সময় লাগে?

আপনার সকল কাগজপত্র যদি সঠিকভাবে জমা দিতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিং হওয়ার ক্ষেত্রে হতে ২০ থেকে ৩০ দিনের মতো সময় লাগবে।

উপসংহারঃ

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি নর্থ মেসিডোনিয়াতে কাজের জন্য যেতে চান, সেক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে ভিসা খরচ একটু বেশি হয়ে থাকে, তবে এই ভিসায় যদি আপনি যেতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন এবং বেতন ভাতা ও বেশি পাবেন। তাই নর্থ মেসিডোনিয়া যেতে কত টাকা লাগে? সম্পর্কে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Mahmudul Islam
Md. Mahmudul Islam
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও সরকারি চাকরি করি। আমি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করি, এছাড়াও ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করি। এই কাজের উপর আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।