ইসলামের দৃষ্টিকোণে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা জায়েজ নাকি হারাম

অনেক মুসলমান জানতে চায় যে, ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা কি জায়েজ? আসলে ফেসবুক থেকে ইনকাম করার মাধ্যম হালাল হতে হবে এবং ইসলামে বৈধ থাকতে হবে। চলুন, ফেসবুকের মাধ্যমে হালাল ইনকাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যদি ফেসবুকের মাধ্যমে হালাল ইনকাম করতে চান, সেক্ষেত্রে ইসলামে হালাল বস্তু সম্পর্কে জানতে হবে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে হালাল ইনকাম সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। তাই ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা কি জায়েজ? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃইসলামের দৃষ্টিকোণে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা জায়েজ নাকি হারাম

ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা কি জায়েজ

বর্তমানে অনেকেই ফেসবুক থেকে ইনকাম করে, তবে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা কি জায়েজ? এ সম্পর্কে জানতে হবে। তাই কিভাবে ফেসবুক থেকে ইনকাম করলে জায়েজ হবে সে সম্পর্কে জেনে নিন।

ফেসবুক থেকে ইনকাম করা জায়েজ হবে তখনই যখন আপনার ফেসবুকে ভালো কিছু ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করবেন। যা মানুষের উপকার হবে, যেমন আলেম-ওলামারা কোরআন হাদিসের কথা ওয়াজ নসিহত ইত্যাদির ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করে থাকে। এই ক্ষেত্রে আপনার ফেসবুক থেকে অ্যাড এর মাধ্যমে যে ইনকাম হবে। সেটা যেন অশ্লীল বা কোন নারীর বা প্রাণীর ভিডিও না হয়। তাহলে আপনার সেই বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম জায়েজ হবে অথবা আপনি কোন ব্যক্তির হালাল পণ্য আপনার ফেসবুকের ভিডিওর মাধ্যমে প্রচারণা করে সেখান থেকে ইনকাম করা জায়েজ হবে।

আপনার ফেসবুকের মাধ্যমে যদি হালাল কোন বস্তুর ভিডিও তৈরি করেন যে ভিডিও অশ্লীলতা নেই এবং কোন নারী বা প্রাণীর ছবি নাই, এই ধরনের ভিডিও করে আপনার ফেসবুকে আপলোড দিতে পারেন। আপনি হালাল পণ্য বিক্রি করতে পারেন, এছাড়াও ফেসবুকের মাধ্যমে এই পণ্য গুলো বুস্টিং এর মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন লোকজন ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের দোকানের প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করে থাকে। তবে আপনি হালাল পন্থায় ভিডিও তৈরি করে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন, এ ধরনের ফেসবুকে ব্যবসা করা জায়েজ আছে।

কেননা মহান আল্লাহতালা বলেছেন তোমরা সৎ কর্মশীলদেরকে সহযোগিতা কর, গুনাহ ও জুলুমের কাজের ক্ষেত্রে অন্যকে সহযোগিতা করবে না। সূরা মায়েদা আয়াত নম্বর ২। আল্লাহ তাআলার এই কথা অনুযায়ী বোঝা যাচ্ছে যে যারা ভাল কাজ কর্ম করেন যা মানুষের উপকার হবে। এই ধরনের পণ্য বিক্রি করার ক্ষেত্রেও ফেসবুক ব্যবহার করা যাবে এবং সেই ব্যবসাটা হালাল হতে হবে। তাছাড়া যে বিজ্ঞাপন দেবে সেটাও হালাল হতে হবে, অনেকের প্রোডাক্ট হালাল কিন্তু প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে নারীদের দিয়ে অশ্লীল ভঙ্গি করে ভিডিও দিয়ে ব্যবসা করা জায়েজ হবে না।
এক্ষেত্রে হাদীস শরীফে বলা হয়েছে যে, হযরত আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি মানুষকে হেদায়েতের জন্য আহ্বান করবে সেক্ষেত্রে সে অনেক সওয়াব পাবে। আর যদি কোন মানুষকে কুপথে আহ্বান করবে সে ক্ষেত্রে গুনাগার হবে। মুসলিম শরীফ, এই হাদিসের দ্বারা বোঝা যায় যে ভালো প্রোডাক্ট এর মাধ্যমে উপকার হবে, এই ধরনের প্রোডাক্ট ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করে ব্যবসা করলে মানুষের উপকার হবে। কিন্তু যদি খারাপ প্রোডাক্ট বা খারাপ ভিডিও তৈরি করে মানুষকে আহ্বান করেন সেক্ষেত্রে আপনার উপর গুনাহ বর্তাবে এবং গুনাগার হবেন।

যেহেতু বর্তমান যুগে ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকেই ব্যবসা বাণিজ্য করছে, কেননা বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার জন্য এই প্লাটফর্মকে ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার পণ্য হালাল হতে হবে, কোন হারাম পণ্য বিক্রি করা যাবে না। যেমন মদ জুয়া, সুদ, ঘুষ, অশ্লীল ভিডিও ইত্যাদি এগুলোর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য করা যাবে না। লাইক কমেন্টের আশায় অনেক নারীরা বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও ছাড়ে এটা সম্পূর্ণই হারাম। তাছাড়া ফেসবুকে ব্যবসার ক্ষেত্রে কোন ধোঁকাবাজি চালাকি বা প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া যাবে না।

কেননা মহান আল্লাহ তা'আলা বলছেন তোমরা একে অপরের ধন সম্পদ অন্যায় ভাবে গ্রাস করো না। সূরা বাকারা আয়াত নাম্বার ১৮৮। এছাড়াও হাদীস শরীফে বলা হয়েছে রাসূল সাঃ বলেছেন যদি তুমি কাওকে ধোকা দাও তাহলে তুমি আমার উম্মত নও। মুসলিম শরীফ, তাই উপরোক্ত আয়াত এবং হাদিসের দ্বারা বোঝা যায় যে কখনোই কারো সাথে ধোঁকাবাজি করে ইনকাম করার চেষ্টা করবেন না। এছাড়াও এমন কিছু পণ্য বিক্রি করবেন না, যা মানুষের ক্ষতি হয়। তাই আপনার ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষের যেন উপকার হয় সেই ধরনের ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করবেন।

তাছাড়া আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে হালাল পদ্ধতিতে ইনকাম করতে পারবেন, এক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অন্য কারোর প্রোডাক্ট আপনার ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করে দিবেন অর্থাৎ আপনার ফেসবুকে প্রচারণা করবেন। এরপরে যদি কেউ সেই পণ্য কিনে থাকে তাহলে কোম্পানি থেকে পার্সেন্টেজ পাবেন এ ধরনের ইনকাম জায়েজ আছে। তবে যদি পণ্য হালাল না হয় এবং ভিডিওর মাধ্যম অশ্লীলতা থাকে, তাহলে সেটা জায়েজ হবে না। তাছাড়া প্রাণীর ছবি থাকলে সেই পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করা যাবে না।

ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা হালাল না হারাম

বর্তমানে অনেকেই ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যাচ্ছে কিন্তু ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা হালাল না হারাম এটা আপনাকে জানতে হবে। চলুন, ইউটিউব থেকে কিভাবে হালাল পথে ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আপনি যদি একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলেন সেখানে যে ভিডিও গুলো আপলোড করবেন, সেগুলো যেন মানুষের উপকার হয় এবং শিক্ষামূলক হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পণ্যের ভিডিও হালাল হতে হবে, তাহলেই আপনার সেটা থেকে ইনকাম করা জায়েজ হবে। তাছাড়া যদি কোন অশ্লীলতা নিয়ে ভিডিও করে লাইক কমেন্ট পান সে ক্ষেত্রে গুনাহগার হতে হবে। এছাড়াও যখন আপনার মনিটাইজেশন হয়ে যাবে সে ক্ষেত্রে কোম্পানি আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেবে, সে বিজ্ঞাপন গুলো যদি অশ্লীলতা হয় সে ক্ষেত্রে ইনকাম করা জায়েজ হবে না।
আপনি যদি ইউটিউব থেকে হালালভাবে ইনকাম করতে হলে মনিটাইজেশন চালু করতে হবে, তবে বিজ্ঞাপনে যেন হারাম কিছু না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং অশ্লীল ভিডিও বা কোন নারীর ছবি না থাকে, তাহলেই আপনার সেই বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম করা জায়েজ আছে। তবে চেষ্টা করবেন মনিটাইজেশন ছাড়া যদি বিভিন্ন হালাল প্রোডাক্ট স্পন্সার করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে তারা যখন আপনাকে টাকা পয়সা দেবে সে ধরনের ইনকাম জায়েজ হবে। আর যদি কারো প্রোডাক্ট হালাল কিন্তু তার বিজ্ঞাপনটা নারী দ্বারা করানো হয়েছে, সেক্ষেত্রে ইনকাম হারাম হবে।

চেষ্টা করবেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ইসলামী বিষয় নিয়ে ওয়াজ মাহফিল, বিভিন্ন হাদিস-কোরআনের কথা গুলো আলোচনা করবেন। যেখানে মানুষের ইসলামিক জ্ঞান, বিভিন্ন ফতোয়া তাদের জীবন দ্বারা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে শিক্ষামূলক ভিডিও করবেন, সে ক্ষেত্রে লাইক কমেন্ট করবে এতে করে আপনার প্রচারণা বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি ইসলামিক বক্তা হয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে তারা ওয়াজ মাহফিলের জন্য দাওয়াত করবে। এক্ষেত্রে তারা যে হাদিয়া দিবে সেটা আপনার জন্য বৈধ হবে।

গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হালাল না হারাম

আপনার যদি ইউটিউব চ্যানেল অথবা ওয়েবসাইট থাকে সেই ক্ষেত্রে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তাই গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হালাল না হারাম? এ সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকতে হবে। তা না হলে আপনার ইনকাম হালাল না হারাম এটা বুঝতে পারবেন না। চলুন এ বিষয়ে আলোচনা করা যাক।

গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার জন্য আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। সেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে পারেন। যখন আপনি গুগল এডসেন্স অনুমতি পাবেন, সে ক্ষেত্রে আপনার পোষ্টের ভিতর বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন গুলোতে প্রাণীর ছবি বা নারীর ছবি বা অশ্লীলতা না থাকে, সেক্ষেত্রে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করা জায়েজ হবে। আবার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও পাবলিশ করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। মানুষ যখন এডে ক্লিক করবে সে ক্ষেত্রে আপনার ইনকাম হবে।

অবশ্যই চেষ্টা করবেন ইউটিউ বা ওয়েবসাইটে পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে পোস্টগুলো অবশ্যই হালাল হতে হবে, যেন আপনার ভিজিটর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। যখন আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স চালু করা হবে, সেক্ষেত্রে আপনার পোষ্টের ভিতরে অ্যাড দেখাবে এতে ক্লিক করলে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম পাওয়া যাবে। নিঃসন্দেহে বলা যায় যে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করা সম্পন্ন বৈধ, কেননা সেখানে বিজ্ঞাপন সেটাপ করা যায় এক্ষেত্রে আপনি বৈধ বিজ্ঞাপন গুলো সেটা করবেন। এ ক্ষেত্রে শুধু লেখাযুক্ত বিজ্ঞাপন গুলো আসবে যেগুলোতে মানুষ ক্লিক করলে কোন হারাম বা কোন কিছুই থাকবে না এক্ষেত্রে আপনার ইনকামটা বৈধ হবে।

ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম কি হালাল না হারাম

অনেকেই ফেসবুক রিলস ব্যবহার করেন ভিডিও পাবলিশ করে থাকে, এক্ষেত্রে ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম কি হালাল না হারাম? আপনাকে এ সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলেই আপনি বৈধভাবে ইনকাম করতে পারবেন চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করতে চান সে ক্ষেত্রে এটা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের ভিডিও প্রকাশ করছেন। সেটা ইসলামের দৃষ্টিকোণে হালাল কিনা সেই বিষয়টা দেখতে হবে। আপনার ফেসবুক রিলস যদি বৈধ বা ইসলাম সম্মত হয় যেখানে শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে এবং মানুষ উপকৃত হয় সে ক্ষেত্রে আপনার এই ভিডিও থেকে ইনকাম করা জায়েজ হবে। আর যদি এর ভিতরে অশ্লীল কথাবার্তা মানুষকে প্রতারণা করা ইসলাম বিরোধী গান বাজনা ইত্যাদি ধরনের হয় সে ক্ষেত্রে আপনার ইনকাম হারাম হবে।

তবে ফেসবুক রিলসের মাধ্যমে যদি আপনি বৈধভাবে ইনকাম করতে পারেন সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সারশিপ করে অথবা এখানে মার্কেটিং করতে পারেন। সেটা বৈধভাবে হয় তাহলে আপনার জন্য হালাল হবে কিন্তু সেই পন্য যদি হারাম হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে উপার্জন হারাম হবে। তবে কোরআন তেলাওয়াত বা বিভিন্ন ধরনের ওয়াজ মাহফিলের বিষয় গুলো আপনার ফেসবুক রিলসে ছাড়েন সে ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন হালাল বস্তু হয়, সেক্ষেত্রে আপনার ইনকাম বৈধ হবে আর যদি বিজ্ঞাপন হালাল না হয় তাহলে আপনার ইনকাম হারাম হবে।

এড দেখে টাকা ইনকাম কি হালাল

অনলাইনে ইনকাম এর ক্ষেত্রে সাধারণত এড দেখে ইনকাম করা যায়। তাই এড দেখে টাকা ইনকাম কি হালাল? এ সম্পর্কে কিভাবে আপনি অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করবেন এবং সেটা ইসলামের দৃষ্টিকোনে হালাল হবে, সে সম্পর্কে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বিভিন্ন কোম্পানি তারা এমন কিছু গেমস বা অনলাইনের মাধ্যমে এড দিয়ে থাকে তার মাধ্যমে ভিজিটররা ইনকাম করতে পারবে। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে ভিজিটরদের থেকে টাকা জমানত নিয়ে থাকে, পরবর্তীতে তাদেরকে ধোকা দেয় এই ধরনের ইনকাম ইসলামের দৃষ্টিকোণে জায়েজ নাই। এটা একটা স্পার্ম যা আপনার ধোঁকা ছাড়া কিছু না এই ধরনের ভিডিও দেখা থেকে বিরত থাকবেন। আর এই ধরনের ভিডিও দেখে ইনকাম করার ক্ষেত্রেও আপনার হালাল হবে না। তাছাড়া যদি আপনি প্রাণীর ছবি যুক্ত অ্যাড দেখার মাধ্যমে ইনকাম হালাল হবে না।
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এড দিয়ে থাকে এর মাধ্যমে ক্লিক করলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই ধরনের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ভিজিটরের কোন লাভ হবে না, এজন্য এই ধরনের ভিডিওতে ক্লিক করলে অনেক ক্ষতি হবে। তাছাড়া এই ধরনের ইনকামের ক্ষেত্রে সাধারণত ভুয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও কোন নারীর নগ্ন ছবি যদি বিজ্ঞাপন আসে সে ক্ষেত্রে এই ধরনের ছবিতে কোন পুরুষ মানুষ ক্লিক করলে বা দেখলে কবিরা গুনাহ হবে। কেননা রাসূল সাঃ বলেছেন, এমন ইনকাম করো যেটা হালাল হবে এবং সৎ ব্যবসা করবে। এজন্য আল্লাহতালা ব্যবসাকে হালাল করেছেন তবে বৈধ ব্যবসা করতে হবে।

শেষ কথাঃ ইসলামের দৃষ্টিকোণে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা কি জায়েজ?

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি ইসলামের দৃষ্টিতে ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে এবং ফেসবুক মনিটাইজেশন করার পর যে বিজ্ঞাপন গুলো ইসলামে জায়েজ নেই সে বিজ্ঞাপন গুলো বন্ধ করে দিতে হবে। তাই চেষ্টা করবেন ফেসবুক ব্যবহার করে হালাল ব্যবসা করতে পারেন। এক্ষেত্রেও ইনকাম করা জায়েজ হবে। তাই ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা কি জায়েজ? এ সম্পর্কে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url