বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত ২০২৫

অনেকে জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া যেতে কত টাকা লাগে? যদি আপনি নিজে আবেদন করেন তাহলে কম খরচ হবে। চলুন, কিভাবে আবেদন করলে ভিসা খরচ কম হবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ আলবেনিয়াতে বিভিন্ন কাজের জন্য যায়, তবে কাজের ভিসার দাম বেশি হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া যেতে কত টাকা লাগে? সে সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশের অনেক লোকজন আলবেনিয়া যেতে চায় কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা হয়তো নাই। এজন্য ভিসার দাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে। চলুন, বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়ার ভিসার দাম সম্পর্কে জানা যাক।

আলবেনিয়াতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে, তার মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ভ্রমণ ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের লোকজন সাধারণত কাজ করার জন্য ওয়ার্ক পারমিট যায়। তবে কিছু এজেন্সি কাজের ভিসার পরিবর্তে ভ্রমণ ভিসায় পাঠায়। তাই এই ধরনের প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকবেন। তবে আপনি যদি কোন সরকার অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আলবেনিয়ার ওয়ার্ক কারমিট ভিসা করেন তাহলে ৭ থেকে ৯ লক্ষ টাকা খরচ হবে। কিন্তু আপনি নিজে আবেদন করলে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মতো খরচ হবে।

আপনি আলবেনিয়াতে কাজ করার উদ্দেশ্যে যেতে হলে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। এই ভিসার মধ্যে আপনি যে কাজগুলো করতে পারেন নির্মাণ কাজ, ফ্যাক্টরির কাজ, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, ক্লিনার, কৃষিকাজ, ফুড ডেলিভারি ম্যান, ড্রাইভিং, হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ওয়েটার, রাঁধানীর কাজ ইত্যাদি আরও বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। আপনার যে কাজটি ভালো জানা আছে বা অভিজ্ঞতা আছে সেই কাজের উপরে ভিত্তি করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করবেন, তাহলে আপনি অনেক টাকা বেতন পাবেন।

আপনি যদি আলবেনিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যান তাহলে খরচ বেশি হবে, তবে স্টুডেন্ট এবং টুরিস্ট ভিসায় সাধারণত খরচ কম হয়ে থাকে। তাই আপনি নিজেই চেষ্টা করবেন আলবেনিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চাকরি আবেদন করবেন, যদি আপনি চাকরির অফার লেটার পেয়ে যান সে ক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন। এক্ষেত্রে আপনার সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে। মূলত আলবেনিয়ার বর্তমানের ভিসা করার জন্য ৩ থেকে ৫ লাখ টাকার মত খরচ হয়ে থাকে।

এছাড়া আবেদনের জন্য ভিসা ফি ৯০ হাজার টাকা,পাসপোর্ট, মেডিকেল, বিমানের টিকিট এছাড়াও আরো অন্যান্য খরচ মিলে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগবে। তবে অবশ্যই আপনি দালালের খপ্পরে যেন না পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি আপনি আবেদন বা সকল প্রক্রিয়া নিজে করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকার অনুমোদিত কোনো এজেন্সির সহযোগিতা নিতে পারেন। তাছাড়া আলবেনিয়াতে থাকা খাওয়া, যাতায়াত এবং অন্যান্য যে খরচা রয়েছে, সব মিলে আপনার মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে।
অধিকাংশ মানুষ আলবেনিয়াতে টুরিস্ট ভিসায় যায়, সেক্ষেত্রে খরচ কম এবং খুবই সহজ ভাবে যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে আলবেনিয়াতে টুরিস্ট ভিসায় যেতে পারবেন কিন্তু যদি আপনি এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে আপনার আরও বেশি খরচ হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার ৫ লক্ষ টাকার উপরেও খরচ হতে পারে। তাই আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আবেদন ফি জমা দিবেন এবং ডকুমেন্টগুলো আলবেনিয়ার দূতাবাস জমা দিবেন, এরপর আপনাকে ভ্রমণ লেটার পাঠিয়ে দিবে।

অনেকেই আলবেনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ গুলোতে লেখাপড়া করার উদ্দেশ্যে যায়, সে ক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা করতে হবে। তাই আলবেনিয়া স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে আবেদন ফি ৭ হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। তাছাড়া বিমান খরচ এবং অন্যান্য সকল কিছু খরচ মিলে আপনি নিজে আবেদন করলে ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকার মত খরচ হবে। তাছাড়া আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি এদেশে পার্ট টাইম জব করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার মত ইনকাম করতে পারেন।

এছাড়া আপনার আরো কিছু খরচ রয়েছে যেমন; থাকা খাওয়ার খরচ লাগতে পারে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মত। এছাড়াও প্রতি বছরে আপনাকে একটা টিউশন ফি দিতে হবে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে। তবে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ, তাই আপনি ইচ্ছা করলে নিজে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। আলবেনিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি আবেদন করবেন, এরপরে তারা আপনার তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে আপনাকে অ্যাপ্লিকেশন লেটার পাঠিয়ে দিবে।

এরপর ভিসা ফি, বিমান খরচ সকল কিছু মিলে আপনার প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে। তবে আলবেনিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় রয়েছে তা হল; আপনি অবশ্যই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম তুলবেন সেটা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন। এছাড়াও আপনি পূরণ করে পাঠিয়ে দিবেন। স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে আইএলটিএস কোর্স করা লাগবে। এক্ষেত্রে আপনার ভাল স্কোর থাকতে হবে। এছাড়া আপনি যদি ভালো রেজাল্ট করতে পারেন সে ক্ষেত্রে স্কলারশিপ পাবেন। এখান থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও যেতে পারবেন।

আলবেনিয়া কাজের বেতন কত

অনেকে জানতে চায় যে আলবেনিয়া কাজের বেতন কত? আসলে কাজের বেতন জানা থাকা খুবই জরুরী। কেননা এর ভিত্তিতে আপনি ভিসা করতে পারবেন। তাই আলবেনিয়ার বেতন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এ দেশের একজন সাধারণ কর্মী মাসে ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকার মতো বেতন পাবে। আর যদি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে, সেক্ষেত্রে আলবেনিয়াতে আরো বেশি বেতন পাবেন। যদি আপনি কনস্ট্রাকশনের কাজে অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মত বেতন পাবেন। এছাড়া আপনার ড্রাইভিং এর কাজের যদি অভিজ্ঞতা এবং লাইসেন্স থাকে, তাহলে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার মত বেতন পাবেন। এছাড়াও ফ্যাক্টরির ফুড উৎপাদনের কাজ অথবা ফুড ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করলে মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

তাছাড়া আপনার যদি হোটেল বা রেস্টুরেন্টের ওয়েটার হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে সেক্ষেত্র মাসে ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন। যদি আপনি ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে আলবেনিয়াতে যান সে ক্ষেত্রে ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পাবেন। এছাড়াও মেকানিক্যাল হিসেবে যদি কাজ করেন সে ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ১ লক্ষ টাকার মতো বেতন পাবেন। বাংলাদেশের অনেক লোকজন আলবেনিয়াতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে, পরবর্তীতে অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বাড়লে ১ লাখ টাকার উপরে বেতন পেতে পারেন।

আলবেনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

প্রত্যেকটি দেশেই কিছু কাজের বেশি চাহিদা থাকে, তাই আলবেনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি? এই সম্পর্কে জানা প্রয়োজন, তাহলে আপনি সেই কাজের উপর অভিজ্ঞতা নিয়ে আলবেনিয়াতে যেতে পারবেন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানা যাক।
ছবি
বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ কাজের জন্যই আলবেনিয়াতে যায়, সেই ক্ষেত্রে তারা অনেকে জানেনা যে আসলে কোন কাজের চাহিদা বেশি আছে। আলবেনিয়াতে প্রতি বছরে প্রচুর পরিমাণে নির্মাণ শ্রমিক নিয়ে থাকে, তাছাড়াও বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে লোক নিয়োগ থাকে। আরো বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে যেমন শপিংমল, টাইলসের কাজ, ফুড প্যাকেজিং, ফুড ডেলিভারি ম্যান, ক্লিনার, কনস্ট্রাকশন, মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রিক্যাল, প্লাম্বিং, পাইপ ফিটিং, হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর ওয়েটার, ড্রাইভিং ইত্যাদি কাজের অনেক চাহিদা আছে।
তাছাড়া এখানে আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি অনেক ধরনের আকর্ষণীয় জব রয়েছে। যার বেতন ১ লাখ টাকার উপরে হয়ে থাকে। তাই আপনার যদি এই সকল কাজের কোন একটা কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, সেই কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট নিয়ে আপনি যে কোন একটি কোম্পানিতে আবেদন করবেন। যদি আপনাকে জব লেটার অফার করে সেই ক্ষেত্রে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন এবং ভিসা প্রসেসিং কাজ করে আলবেনিয়ার দূতাবাসে কাগজে ডকুমেন্টস গুলো জমা দিবেন।

আলবেনিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম

আলবেনিয়া ভিসা চেক করা খুবই জরুরী, তাই আলবেনিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। তা না হলে আসল নকল ভিসা চিনতে পারবেন না। চলুন, কিভাবে আসল ভিসা চেনা যায় তা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের অধিকাংশ এজেন্সি তারা আলবেনিয়ার আসল ভিসা দিতে চায় না, এক্ষেত্রে নকল ভিসা দেওয়ার কারণে দেখা যায় যে অধিকাংশ বাংলাদেশী লোকজন বিপদে পড়ে যায়। এজন্য অবশ্যই আপনি ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন অথবা নিজেই আবেদন করবেন। এক্ষেত্রে যে কোন কোম্পানিতে আবেদন করতে পারেন, সেই কোম্পানি যদি আপনাকে পছন্দ করে থাকে তাহলে অবশ্যই জব অফার লেটার পাঠিয়ে দেবে। সেক্ষেত্রে আপনি ভিসা আবেদন ফি এবং সকল ডকুমেন্টস আলবেনিয়ার দূতাবাসে জমা দিবেন।

তবে আপনি সঠিক ভিসা পেয়েছেন কিনা সেটা চেক করার জন্য https://e-visa.al/track এই লিংকটিতে প্রবেশ করবেন। এরপরে একটি ট্রাকিং নাম্বার দিতে হবে, আপনি ট্রাকিং নাম্বার দিয়ে বাটনে চাপ দিবেন। এভাবে আপনি আপনার ভিসা চেক করতে পারেন। তাছাড়া আপনি ইমেইলের মাধ্যমে চেক করতে পারবেন, সেই জন্য আলবেনিয়ার অফিশিয়াল ইমেইলে তথ্যগুলো পাঠিয়ে দিবেন। এরপরে ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যেই আপনাকে তথ্যটি জানিয়ে দিবে। আপনি আলবেনিয়ার ওয়েবসাইট থেকেও ভিসা চেক দিতে পারবেন।

এক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে দেওয়া ইমেইল নাম্বারে আপনার পাসপোর্ট দিয়ে ইমেইল করতে পারেন। পরবর্তীতে আপনাকে একটি ট্র্যাকিং নাম্বার দেবে, সেই নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় সতর্ক থাকতে হবে যে আলবেনিয়ার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে অথবা আপনার যে ভিসাটি পেলেন যদি কোন এজেন্সী দিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি সঠিক তথ্য জানার জন্য দেখবেন ভিসার নিচে বারকোড আছে, সেই বারকোডের উপরে আপনি স্ক্যান করলে আলবেনিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে, সে ক্ষেত্রে এই ভিসা সঠিক আছে কিনা সেটা জানতে পারবেন।

আলবেনিয়া থেকে গ্রিস যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশের অনেক মানুষ আলবেনিয়াতে থেকে গ্রিসে যেতে চায়। তাই আলবেনিয়া থেকে গ্রিস যাওয়ার উপায় সম্পর্কে যদি জানা থাকে। তাহলে আপনি বৈধ উপায়ে যেতে পারবেন, আর যদি অবৈধভাবে যান সে ক্ষেত্রে আপনার বিপদ হতে পারে বা ঝুঁকি রয়েছে। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ আলবেনিয়াতে যাওয়ার পর তারা স্বপ্ন দেখে গ্রিসে যাবে। কারণ সেখানে অনেক টাকায় বেতনের চাকরি করতে পারবে এবং উন্নতমানের জীবন যাপন করার স্বপ্ন থাকে। আপনার যাওয়ার ক্ষেত্রে সহজ পথ বের করতে হবে এবং সঠিক তথ্য জানতে হবে। তাছাড়া আপনার ভিসা এবং কাগজপত্র সঠিক থাকতে হবে। এজন্য আপনি আলবেনিয়া থেকে যখন গ্রীসে যাবেন সেক্ষেত্রে সেনজেন ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। এটা গ্রিসের একটি অংশ যেখানে প্রবেশ করার জন্য আপনাকে এই ভিসায় যাওয়া লাগবে।

আপনার যদি এই ভিসা করা থাকে তাহলে আপনি সরাসরি যেতে কোন সমস্যা হবে না। তাছাড়া আপনি সড়ক পথে বা বাসের মাধ্যমে যেতে পারবেন। এজন্য শহর গুলোতে সরাসরি বাস পাবেন তার মাধ্যমে আপনি গ্রিসে পৌঁছে যেতে পারবেন। তাছাড়া অনেক বাংলাদেশী বা অন্য দেশের লোকজন সীমান্ত দিয়ে অনেকেই প্রবেশ করার চিন্তা ভাবনা করে থাকে কিন্তু এটা বৈধপথ নয়। তবে আপনি চেষ্টা করবেন বৈধ পথে যাওয়ার জন্য সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা করতে হবে। এজন্য আপনি টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা বা পারিবারিক যে কোন ভিসার জন্য আবেদন করবেন।

এজন্য আপনার অবশ্যই পাসপোর্ট থাকতে হবে, মেয়াদ থাকা লাগবে এবং আলবেনিয়ার সরকারের অনুমতি থাকতে হবে, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট থাকা লাগবে এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করতে হবে। স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে, হোটেল বুকিং এর আমন্ত্রণ পত্র দেওয়া লাগবে। এছাড়াও গ্রিসের দূতাবাসে আপনার আবেদনপত্র জমা দিবেন। তারপর এই গ্রিসের সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আবেদন করতে পারেন। এরপর আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে হবে, ভিসা আবেদন ফি জমা দেওয়া লাগবে। তারপর ভিসা প্রসেসিং করতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে।

আলবেনিয়া দেশ কেমন

অনেকে জানতে চায় যে আলবেনিয়া দেশ কেমন? আসলে দেশটিতে মুসলমানরা বেশি বসবাস করে থাকে এবং সুন্দর একটি দেশ, এই দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অর্থনীতি কৃষি পর্যটন কেন্দ্র ক্ষুদ্র শিল্প ইত্যাদি সকল কিছু উন্নত মানের রয়েছে। এ দেশটি অর্থনীতি ভিত্তি রয়েছে যার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে তারা কর্মী নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের কর্মীরা অনেকেই এ দেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। তাছাড়া দেশটিতে পড়াশুনা এবং কাজের ক্ষেত্রে ভালো সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং পড়াশোনার মান অনেকটাই ভালো। জীবন যাত্রার মান মোটামুটি খরচ কম হয়ে থাকে, ভালো ভাবে জীবন যাপন করা যায়।
তাছাড়া দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের পাহাড় পর্বত দেখতে খুবই সুন্দর এবং মনমুগ্ধকর, পর্যটনদেরকে খুবই আকর্ষণ করে থাকে। যার কারণে আলবেনিয়ার এই সৌন্দর্য দেখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের লোকজন আসে। যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আলবেনিয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনমুগ্ধকর। যদিও দেশটির আয়তনের তুলনায় লোকজন খুবই কম বসবাস করে থাকে। সে ক্ষেত্রে এ দেশটির ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শনীয় স্থান আর সমুদ্রসৈকত রয়েছে। এছাড়াও প্রতিবছরে হাজার হাজার পর্যটক এখানে আসে।

আলবেনিয়া ভিসা আবেদন

বর্তমানে প্রত্যেকটা দেশেই অনলাইন এর মাধ্যমে ভিসা আবেদন করা হয়। তাই আলবেনিয়া ভিসা আবেদন সম্পর্কে আপনার জানা প্রয়োজন। তাহলে নিজেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। চলুন, কিভাবে আপনি আবেদন করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
যেহেতু বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ তারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য যায়। সেই ক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র এবং ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। এগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে না দিতে পারেন, তাহলে অসুবিধা হতে পারে। আলবেনিয়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকা লাগবে। অবশ্যই দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটে ইত্যাদি প্রয়োজন হবে।

আলবেনিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

আলবেনিয়া কি সেনজেন ভুক্ত দেশ?

না, এখনো সেনজন সেনজেনভুক্ত দেশ হয়নি। তবে এটা ইউরোপ মহাদেশের মধ্যেই অবস্থিত।

আলবেনিয়া টাকার মান কত?

এ দেশের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের প্রায় ১.২৭ টাকার মতো।

বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া বিমান ভাড়া কত?

বাংলাদেশ থেকে যেহেতু এই দেশ অনেকটাই দূরত্ব রয়েছে, তাই বিমান ভাড়া ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো।

বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া কত কিলোমিটার?

বাংলাদেশ থেকে যেহেতু এই দেশটি অনেক দূরে অবস্থিত তাই এ দেশের দূরত্ব ৬ হাজার ৬৮২ কিলোমিটার।

আলবেনিয়া থেকে ইতালি কত কিলোমিটার?

এ দেশ থেকে ইতালি বেশি একটা দূরে নয়, এ দূরত্ব ৭৫৩ কিলোমিটারের মতো হবে।

উপসংহারঃ বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও বেতন কত ২০২৫

পরিশেষে বলা যায় যে যদি আপনি আলবেনিয়াত কাজের জন্য যেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে। এই ভিসা পাওয়া একটু কঠিন এবং ব্যয়বহুল সেক্ষেত্রে আপনি যদি নিজে একটু কষ্ট করেন সে ক্ষেত্রে ভিসা কমে পাবেন। তাহলে আপনার খুবই কম খরচ হবে আর যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার দ্বিগুণ টাকা লাগবে। তাই বাংলাদেশ থেকে আলবেনিয়া যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে আজকের আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন।ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url