বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তান বিমান ভাড়া কত ২০২৫ আপডেট তথ্য জানুন

আফগানিস্তানের বিমান ভাড়া সম্পর্কে অনেকে জানতে চায়, তাই বাংলাদেশ টু আফগানিস্তান বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। বর্তমানে আফগানিস্তানের বিমান ভাড়া কত? সে সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানে বিভিন্ন ধরনের বিমান যাতায়াত করে থাকে, সেক্ষেত্রে বিমানের কোয়ালিটি অনুযায়ী ভাড়া কম বেশি হবে। তাই বাংলাদেশ টু আফগানিস্তান বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তান বিমান ভাড়া কত ২০২৫ আপডেট তথ্য জানুন 

বাংলাদেশ টু আফগানিস্তান বিমান ভাড়া

আফগানিস্তানের বিমান ভাড়া অনেকে জানেনা, তাই বাংলাদেশ টু আফগানিস্তান বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। যদিও বাংলাদেশ থেকে খুবই কাছাকাছি, যার কারণে বিমান ভাড়া একটু কম হবে। চলুন, বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানের বিমান ভাড়া সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানে যাওয়ার জন্য ভালো মানের বিমানের মধ্যে ফ্লাই দুবাই বিমান অন্যতম। তাই এই বিমানের মাধ্যমে যদি আপনি যেতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার মত। তাছাড়া এই বিমান মাঝে ১ বিরতি দিবে এবং ২০ থেকে ২২ ঘন্টার মত সময় লাগবে। এছাড়া এয়ার এরাবিয়া বিমানের মাধ্যমে যদি আফগানিস্তানে যান, সেই ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৮৩ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকার মত। এই বিমানের মাধ্যমে যেতে সময় লাগবে ২৭ ঘন্টার মত।

কাতার এয়ারওয়েজ ভালো মানের একটি বিমান সে ক্ষেত্রে আপনার আফগানিস্তানে যেতে খরচ হবে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার মতো এবং এই বিমান ২ বার বিরতি দিয়ে থাকে, তাছাড়া ৩২ ঘন্টা মত সময় লাগে। এছাড়া ইন্দিগো এয়ারওয়েজ বিমানের মাধ্যমে যদি আফগানিস্তানে যান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো। তাছাড়া এই বিমানের মাধ্যমে গেলে সময় লাগবে ২২ ঘণ্টার মতো এবং ২ বার বিরতি দিয়ে থাকে।
এমিরেটস এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে যদি আপনি আফগানিস্তান যেতে চান সেক্ষেত্রে খুবই কম সময়ের মধ্যে যেতে পারবেন। মাত্র ১২ ঘন্টার মত সময় লাগবে এবং মাঝখানে ১ বার বিরতি দিবে। এক্ষেত্রে আপনার এই বিমানের মাধ্যমে গেলে ভাড়া হবে ২ লক্ষ ১০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মত। তুর্কিস এয়ারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে গেলে আপনার খরচ পড়বে ২ লক্ষ থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মতো। এক্ষেত্রে আফগানিস্তানে পৌঁছাতে আপনার সময় লাগবে ২৬ ঘণ্টার মতো।

কাতার এয়ারওয়েজ বিমানের মাধ্যমে গেলে সব চাইতে কম সময়ের মধ্যে এবং বিলাসবহুল বিমান এর মাধ্যমে যেতে পারবেন। কাতার এয়ারওয়েজের মাধ্যমে গেলে ১ বার বিরতি দেবে। সে ক্ষেত্রে আপনার সময় লাগবে ২৫ ঘণ্টার মতো কিন্তু অত্যাধুনিক মানের এই বিমানটির ভাড়া হবে ৪ লক্ষ টাকার মতো। তাছাড়া এমিরেটস এয়ারলাইন্স এর অনেক উন্নত মানের আরো একটি বিমান রয়েছে, যার ভাড়া হবে ৩ লক্ষ থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মত। এর মাধ্যমে গেলে আপনার সময় লাগবে ১৫ ঘন্টার মতো।

আফগানিস্তানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়

আপনি যদি আফগানিস্তানে যেতে চান সে ক্ষেত্রে ভিসা করতে হবে। তাই আফগানিস্তানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, আফগানিস্তানের ভিসা পাওয়ার সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আপনি যদি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আফগানিস্তানীতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। যে কোন একটি ভিসার মাধ্যমে আপনি আফগানিস্তানে যেতে পারেন। বিভিন্ন ভিসার মধ্যে যেমন পর্যটন ভিসা, এই ভিসায় আপনি ঘুরে আসতে পারবেন। তাছাড়া ব্যবসায়িক ভিসা, শিক্ষার্থীর ভিসা, কর্মসংস্থান ইত্যাদি ভিসার মাধ্যমে আপনি আফগানিস্তানে যেতে পারবেন। তাছাড়া আপনি যখন আফগানিস্তানে যাবেন আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকতে হবে।

এছাড়াও আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করা লাগবে, অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনপত্র পূরণ করে আফগানিস্তানের দূতাবাসের জমা দিতে হবে। এছাড়াও আপনার সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দেওয়া লাগবে। এরপর আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে, তাছাড়া বিমান ভাড়া ও হোটেল বুকিং এর টিকিটের প্রিন্ট কপি জমা দিবেন। তাছাড়া কাগজপত্র সঠিক থাকলে এই ভিসা প্রসেসিং হতে প্রায় ১০ দিনের মত সময় লাগবে। তবে টুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ইত্যাদি ভিসা অল্প সময়ের জন্য থাকতে পারবেন কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তান ভ্রমণ

আফগানিস্তানে বাংলাদেশের লোকজন অনেকেই ভ্রমণ করতে চায়, তাই বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তান ভ্রমণ সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার উপকার হবে। চলুন, আফগানিস্তানের ভ্রমণ ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
ছবি
আপনি যখন আফগানিস্তানে ভ্রমণ করতে যাবেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে ভ্রমণ ভিসা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া লাগবে এবং সঠিকভাবে আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে। বিশেষ করে অনলাইন এর মাধ্যমে আপনি আবেদন করবেন, সঠিক ডকুমেন্টগুলো দিলে আপনি এই টুরিস্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। তবে এই ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার যে ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র লাগবে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। অবশ্যই আপনারাই টুরিস্ট ভিসার জন্য বৈধ পাসপোর্ট লাগবে এবং তার মেয়াদ থাকা লাগবে। সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
এছাড়াও আফগানিস্তানে যাওয়ার জন্য যে আপনাকে আবেদন পত্রটি দেবে সেটা সঠিকভাবে পূরণ করা লাগবে।এছাড়াও দূতাবাস থেকে যদি আরো কোন কিছু প্রয়োজন হয়, সেগুলো সংগ্রহ করে রেখে দিতে হবে এবং জমা দিতে হবে। এই সকল কাগজপত্র যদি আপনার সঠিক থাকে এবং সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। পরবর্তীতে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে এই কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টগুলো আফগানিস্তানের দূতাবাসের জমা দিতে হবে। এছাড়াও আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে এরপরে সব কিছু যদি সঠিক থাকে, তাহলে আপনার ২ সপ্তাহের মধ্যেই ভিসা পেয়ে যাবেন।

আফগানিস্তান যেতে কত টাকা লাগে

যেহেতু বাংলাদেশ থেকে দেশটি অনেক কাছাকাছি, তাই কম খরচ হবে। এজন্য আফগানিস্তান যেতে কত টাকা লাগে? যদি আপনি সঠিকভাবে আবেদন করতে পারেন, তাহলে আপনার কম খরচ লাগবে। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশের অধিকাংশই মানুষ আফগানিস্তানে ভ্রমন করতে যায় অথবা বিজনেস ভিসা, কাজকর্ম করার জন্য অনেকে যায় তবে খুবই কম। ভ্রমণের কিছু অতিরিক্ত স্পট রয়েছে যেগুলোতে কিছু টাকা বেশি লাগতে পারে, সেই সেদিকে আপনার খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া আপনার আফগানিস্তানের দূতাবাসের যোগাযোগ করতে হবে এবং আফগানিস্তানে যাওয়ার জন্য আপনার ভিসা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনার ভিসা ফি লাগবে ৩৫০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ১২ হাজার টাকার মত।

এছাড়াও যদি কোন পরিচিত লোক থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আরও আপনার খরচ কম হবে। তবে যদি আপনি কাজের ক্ষেত্রে যান এক্ষেত্রে একটু বেশি খরচ হবে। যদিও বাংলাদেশ থেকে কাজের ক্ষেত্রে লোকজন খুবই কম যায়। এছাড়া বিমান ভাড়া ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো হয়ে থাকে। তবে যে সকল এজেন্সি রয়েছে তারা ফি একটু বেশি নিয়ে থাকে। তারপরও আপনার ভিসা প্রসেসিং করতে ১৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মত নিয়ে থাকে। যা হোক আপনার মোট খরচ হবে ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মত। এর মাঝে ফ্লাইট, ভিসা ফি এবং সব কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আফগানিস্তান বেতন কত

আফগানিস্তানে যদি আপনি কাজ করতে যান সে ক্ষেত্রে বেতন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই আফগানিস্তান বেতন কত? আসলে বেতন নির্ভর করে কাজের উপরে নির্ভর করে। সে ক্ষেত্রে আপনি কোন কাজে যাবেন তার ওপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারণ করা হবে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
আফগানিস্তানে সাধারণত বেতন ভাতা নির্ধারণ করে থাকে কাজের উপর ভিত্তি করে, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন এনজিও এবং অন্যান্য সংস্থায় যদি সাধারণ কোন কাজ করেন সেক্ষেত্রে বেতন ভাতা পাবেন ১৫০ ডলার থেকে শুরু করে ২২০ ডলারের মত বেতন পায়। এছাড়া কোনো প্রকল্পে জব করেন সেক্ষেত্রে মাসে প্রায় ৫০০ থেকে ১৬০০ মার্কিন ডলার বেতন পাবেন। তাছাড়া যদি কোন চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে আপনার অনেক বেতন পাবেন মাসে প্রায় ১৫০০ থেকে ২৪০০ মার্কিন ডলার এর মত।
তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের কাজের উপর ভিত্তি করে আপনার বেতন ভাতা দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে যদি কোন আইটি সেক্টর বা শিক্ষকতা যোগ্যতা সম্পন্ন কোন কাজ হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বেতন মাসে প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো হতে পারে। এছাড়াও যদি আপনি ওভার টাইম করেন সে ক্ষেত্রে বেতন ভাতা দিয়ে বেশি পাওয়া যাবে। তবে এ দেশের মানুষজন খুবই কর্মঠ তাই আপনি এদেশে কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে হবে। তাহলে মাসে অনেক বেতন ভাতা পাবেন।

আফগানিস্তান সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানের দূরত্ব কত কিলোমিটার?

যেহেতু বাংলাদেশে থেকে আফগানিস্তান খুবই কাছাকাছি যার কারণে এর দূরত্ব বেশি একটা নয়। তবে তারপরেও এ দেশের দূরত্ব ২৪৭৪ কিলোমিটার এর মত।

আফগানিস্তানের ভ্রমণ ভিসা পেতে কতদিন লাগে?

আপনি যদি সঠিকভাবে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারেন এবং সকল ডকুমেন্ট আফগানিস্তানের দূতাবাসের জমা দিতে পারেন সেক্ষেত্রে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।

আফগানিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস আছে কি?

না, এ দেশে বাংলাদেশের কোন দূতাবাস এখন পর্যন্ত নাই। তবে পাকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস আছে।

বাংলাদেশের পাসপোর্ট ধারীরা কি সরাসরি আফগানিস্তানের ভিসা পেতে পারেন?

যেহেতু এ দেশের দূতাবাস আমাদের দেশে নাই, সে ক্ষেত্রে অন্য দেশের দূতাবাস এবং সংস্থার সহযোগিতা নিতে হবে।

আফগানিস্তানের ১০০ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা?

এ দেশের ১০০ টাকা বাংলাদেশের প্রায় ১৭৪ টাকার মত।

শেষ কথাঃ

পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি বিমানের মাধ্যমে আফগানিস্তানে যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য আপনাকে জানতে হবে। কেননা বিমানের কোয়ালিটি অনুযায়ী ভাড়া কম বেশি হয়ে থাকে। এজন্য আপনি বিমান সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করে তারপরে বিমানের টিকিট বুকিং করতে পারেন। তবে মোটামুটি মানের বিমানে যদি আপনি যাতায়াত করেন সে ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া কম হবে। তাই বাংলাদেশ টু আফগানিস্তান বিমান ভাড়া সম্পর্কে এই আর্টিকেলে সুন্দরমতে বর্ণনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url