ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দিলে কি কাফের হয়ে যায় জেনে নিন সঠিক তথ্য

অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেয় তাই ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দিলে কি কাফের হয়ে যায়? সম্পর্কে কোরআন হাদিস কি বলছে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, ইচ্ছাকৃত নামাজ ছেড়ে দেওয়ার কারণে কি হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেক মানুষ আছে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ পড়ে না কিন্তু ইসলামের সকল কিছু পালন করে থাকে তারা কি কাফের হয়ে যাবে। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দিলে কি কাফের হয়ে যায়? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন।

পোস্টসূচিপত্রঃইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দিলে কি কাফের হয়ে যায় জেনে নিন সঠিক তথ্য

ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দিলে কি কাফের হয়ে যায়

অনেকে জানতে চায় যে, ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দিলে কি কাফের হয়ে যায়? সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসের আলোকে জানতে হবে, তাহলে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা যাক।

আমরা মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আমাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ কিন্তু যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ না পড়ে সে ক্ষেত্রে কাফির হয়ে যাবে। কেননা সে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ পড়লো না সে ক্ষেত্রে কুফরির মত কাজ করলো। এক্ষেত্রে যদি সে তওবা করে তাহলে ফিরে আসতে পারবে। তবে পরিস্থিতভাবে অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি নামাজ না পড়ে সে ক্ষেত্রে খুব কুফরি হবে না। সুতরাং আপনি মুসলমান হিসেবে ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কারণে নামাজ ছেড়ে দিলে কাফের হবে না বরং কাফিরের মত কাজ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না কিন্তু মুসলমান হিসেবে একবার হলেও জান্নাতে প্রবেশ করবে।

হাদিসে বর্ণিত আছে নামাজ ছেড়ে দিলে সে চিরস্থায় জাহান্নামি হবে। এরকম কোন তথ্য এখন পর্যন্ত আলোচনা হয়নি। বর্ণিত আয়ত নাজিল হয়নি বরং আল্লাহ তা'আলা বলেছেন এবং রাসূল বলেছেন শুধুমাত্র আল্লাহর সাথে শিরক ছাড়া যদি সে গুনাহ করে সেগুলো আল্লাহতালা মাফ করে দিতে পারবে। তবে কেউ যদি নামাজ পড়া ফরজ না এরকম মনে করে নামাজ ছেড়ে দেয় সেক্ষেত্রে কাফের হয়ে যাবে। আবার কেউ যদি নামাজকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বা এক্ষেত্রে যদি নামাজ ছেড়ে দেয় তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে কিন্তু অলসতার কারণে যদি নামাজ ছেড়ে দেয় সেই ব্যক্তি কাফের হয়ে যায় এরকম বলা ঠিক হবে না।

মহান আল্লাহতালা বলেছেন বান্দার উপর আল্লাহর হুকুম হল বান্দা একমাত্র আল্লাহর এবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোন শরিক করবে না। এছাড়াও আল্লাহতালার উপর বান্দার হক হল তার সাথে যে কোন কিছুকে শরীর করবে না। যদি না করে তাহলে তাকে আজাব দেওয়া যাবে না। (বুখারী শরীফ)। তাছাড়াও মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ বর্ণনা করেছেন আল্লাহর রাসূল সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ এ শব্দটা বলবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আবু দাউদ, অত্র হাদিস দ্বারা এটাই বুঝা যাচ্ছে যে মুসলমান হলে শাস্তির পরে হলেও সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ হতে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন, আল্লাহ আখেরাতে বলবেন ওই সকল ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে বের করে দিবে যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বলেছে। তার হৃদয় যদি এক পরিমাণ ভালো কাজ থাকে সে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে বের হবে। কেননা সে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আর সেই ব্যক্তিও জাহান্নাম থেকে বের করে দিবে যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলেছে যার অন্তরে গমের দানা পরিমাণ যদি ঈমান কাজ থাকে তাহলে সে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে বের করে দিবে। (তিরমিজি শরীফ)। মহান আল্লাহতালা সেই সকল ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন না যারা আল্লাহর সাথে শরিক করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Mahmudul Islam
Md. Mahmudul Islam
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও সরকারি চাকরি করি। আমি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করি, এছাড়াও ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করি। এই কাজের উপর আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।