ভারতে তুর্কি আক্রমণের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিন

অনেকে জানতে চায় ভারতে তুর্কি আক্রমণের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে। তবে কিভাবে তুর্কিরা ভারতীয় উপমহাদেশে আক্রমণ করেছিল এবং কেন করেছিল, সেটা জানা প্রয়োজন। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
ভারতের তুর্কিরা বিভিন্ন কারণে আক্রমণ করেছিল, ফলে তারা বিজয় লাভ করে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার প্রচারণা শুরু করে। তাই ভারতে তুর্কি আক্রমণের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃভারতে তুর্কি আক্রমণের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিন

ভারতে তুর্কি আক্রমণের কারণ ও ফলাফল

ভারতীয় উপমহাদেশে তুর্কিরা আক্রমণ করেছিল। তাই ভারতে তুর্কি আক্রমণের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কিভাবে তারা আক্রমণ করেছিল এবং কি কারনে চলুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

ভারতের তুর্কি আক্রমণের পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। ভারতে সেই সময় হিন্দুরা যারা রাজত্ব করেছিল তার মধ্যে অন্যতম লক্ষণ সেন। এই সময়ে তারা ভারতীয় উপমহাদেশ সহ বাংলা শাসন কার্য পরিচালনা করেছিল। এ অবস্থায় তখন ভারতীয় উপমহাদেশে সংস্কৃতি এবং অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছিল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। শিক্ষা সংস্কৃতি সকল কিছুই অন্ধকারচ্ছন্ন ছিল, যার কারণে ভারতে তুর্কিরা আক্রমণ শুরু করে। সেন বংশ রাজত্ব সময় ধর্মের প্রতি বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার প্রথা আভিজাত্যের নিয়ম নিম্ন বর্ণের মানুষদের উপর অত্যাচার শিক্ষা শাস্ত্র সাহিত্য সকল ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণরা দখল করে নিয়েছিল।

যার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন শুরু হয় এবং ছোট জাতের মানুষগুলো সাধারণত ইসলামের ছায়াতলে আসার চিন্তাভাবনা করে। তাদের সাথে যে অত্যাচার করা হতো তা আসলে ভয়াবহ দৃশ্য ছিল। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি বিলুপ্ত করে দেয় এবং বাঙ্গালীদের সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। যার কারণে স্বতন্ত্র সভ্যতা শুরু হয় যেখানে হিন্দু মুসলিম সবার সংস্কৃত থাকে। লক্ষণ সেন যখন ভারতে উপমহাদেশ শাসন কার্য পরিচালনা করে। তখন একেবারে অঞ্চলগুলো পল্লী এলাকায় হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। যেখানে কোন নগরানের সূত্রপাত হয় না এ সকল কারণেও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়।

তাছাড়াও হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পরে উত্তর ভারতের রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। যেখানে তুর্কি আগমনের প্রয়োজন ছিল। অঞ্চল ভিত্তিক বা গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত ছোট ছোট রাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়। এতে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এর কারণে তুর্কিরা এই ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আক্রমণ করেছিল। এ সময় ভারতবর্ষে শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করা খুবই কষ্টদায়ক ছিল। এতে রাজ্যের লোকজন কেন্দ্রীয় আনুগত্য করে না, যার কারণে রাজ্যগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং নেতৃত্বের অভাব দেখা দেয়। কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থা দুর্বল থাকার কারণে এই সুযোগে তুর্কিরা আক্রমণ করে।
ভারতে তুর্কি আক্রমণের ফলে এদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হয় এবং ধর্মীয় বিষয়গুলো গভীরভাবে প্রভাব ফেলছিল। তুর্কিরা যখন আক্রমণ করল তার সাথে সাথে বাংলা ইসলাম নিয়ে আসে এবং যে সকল হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হতো তারা দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করে। এতে একটি ইসলামিক সংস্কৃতির বিকাশ পরিচালিত হয়। হিন্দুধর্ম ইসলাম এবং স্থানীয় ঐতিহ্য সকল কিছু মিশ্রণ করেই শাসন কার্য পরিচালনা করে। তুর্কি আক্রমণের কারণে ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বাংলায় নতুন স্থাপত্য প্রবর্তন হয়। যেখানে মসজিদ-মাদ্রাসা অন্যান্য ভবন তৈরি করেছিল যা মুসলিম স্থাপত্য হিসেবে প্রভাব ফেলেছিল।

তুর্কি আক্রমণ করে ভারতীয় উপমহাদেশের সাহিত্যের বিকাশ ঘটে, এখানে কবিতা গদ্য নাটক সহ বিভিন্ন ধরনের নতুন সাহিত্যের জন্ম হয়েছিল। এতে ভারতীয় উপমহাদেশের ভাষা সাংস্কৃতির সকল কিছু বিকাশ ঘটেছে। তুর্কিদের প্রভাবে বাংলার তথা ভারতীয় উপমহাদেশের জনজীবন সংস্কৃতি সকলকে সুপ্রভাবিত করেছিল। যেখানে ইসলামী বিশ্বের অন্যান্য অংশের মধ্যে বাণিজ্য এবং যোগাযোগ ধারাবাহিকতা প্রভাব নিয়ে আসে। তুর্কিদের আক্রমণের ফলে পরবর্তীতে সাংস্কৃতিক গতিশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং এই অঞ্চলে ইতিহাস দীর্ঘস্থায়ীভাবে প্রভাব ফেলেছিল।

তুর্কি আক্রমণের কারণে সমাজের উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদী করা হয়েছিল এবং সমাজে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। সাহিত্য সংস্কৃতিতে পরিবর্তন হয়, তার মধ্যে হিন্দু এবং ইসলামিক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছিল। এতে বাংলা সাহিত্যে হিন্দু পরিবর্তনের সুপারিশ পায়, সবাই বাংলা সাহিত্যের সাধারণত নাটক কাব্য লেখা হয়। যেখানে হিন্দু পরিবর্তনের ফলে ধর্মীয় পরিবর্তন যেখানে রামায়ণ ও মহাভারতের চরিত্রগুলো এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। তাই এই সময়ে হিন্দুরাও স্বাধীনতা পেয়েছিল যেখানে তারা তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতিগুলো পালন করতে পেরেছিল।

তুর্কি বিজয়ের কারণে শাসন ব্যবস্থা এক কেন্দ্রিকরণ করা হয় যেখানে দিল্লি থেকে ভারত সাম্রাজ্য গঠন করে এবং সর্বভারত শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করে। এক্ষেত্রে বৌদ্ধ ধর্মেরও উত্থান ঘটে এবং প্রসার করে যেখানে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। এছাড়াও ব্রাহ্মণরা ভারতবর্ষে বহির্ভূত করেছিল এবং ভৌগোলিক সীমান্তে পেরিয়ে ভারত বর্ষের সাথে যোগসূত্র সৃষ্টি হয়েছিল। মুসলমানরা বিজয়ের ফলে ভারতের সামরিক সংগঠন এবং যুদ্ধ রীতিতে পরিবর্তন ঘটে। সামরিক কাজে বংশপ্রথা বিলুপ্ত করা হয়েছে, সকলের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। শিক্ষিত এবং শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী গড়ে তুলেছিল।

ভারতে তুর্কি আক্রমণ কবে হয়

অনেকে জানতে চায় যে ভারতে তুর্কি আক্রমণ কবে হয়? আসলে এটার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে একটি সময় ধারণা করা হয়। চলুন, সেই সময় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা যাক।

ভারতীয় উপমহাদেশে তুর্কিরা যখন আগমন করেন আনুমানিক সময় ধরা হয়ে থাকে। সেই সময় যখন সুলতান মাহমুদের পিতা সুভক্তগীন প্রথমে ভারতীয় উপমহাদেশে আক্রমণ করেছিলেন। তারাই প্রথম তুর্কী হিসেবে পরিচিত। আনুমানিক সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০০০ খ্রিস্টাব্দে থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দ প্রায় ১৭ বার সুলতান মাহমুদ এই ভারতীয় উপমহাদেশে আক্রমণ করেছিলেন। প্রথম শুরু করেন সুবক্তগিন যিনি একমাত্র তুর্কি হিসেবে ভারতের প্রথম আক্রমণ করেছিল। পরবর্তীতে তার সন্তান সুলতান মাহমুদ বারে বারে ভারতের গজনিতে অনেকবার আক্রমণ করেন কিন্তু বিজয় লাভ করতে পারেন না।

ভারতীয় উপমহাদেশে তুর্কি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে

ভারতীয় উপমহাদেশ তুর্কি প্রতিষ্ঠাতার নাম অনেকে জানতে চায়, তাই ভারতীয় উপমহাদেশে তুর্কি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে? ভারতীয় উপমহাদেশের তুর্কি সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে যার অবদান বেশি চালুন, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
ভারতীয় উপমহাদেশে তুর্কি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়ে থাকে কুতুবউদ্দিন আইবক কে। যিনি মুহাম্মাদ ঘুরীর এর সময়ে তার ক্রীতদাস দাস ছিল এবং খুবই বিশ্বস্ত একজন সৈনিক ছিল। পরবর্তীতে তিনি ভারতের একজন শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠাতা অর্জন করেন। ১১৯১ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের প্রথম যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর দ্বিতীয় বার ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ কুতুবুদ্দিন আইবুক বিজয় লাভ করে। পরবর্তীতে তিনি দিল্লিতে তুর্কি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রকৃতপক্ষে ছিলেন ভারতবর্ষের শাসক পরবর্তীতে ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মাদ ঘুরীর মৃত্যুবরণ করার পরে তিনি গজনি সিংহাসনে বসেন।

বাংলায় তুর্কি আক্রমণ ঘটে কোন রাজার আমলে

বাংলাদেশ সর্বপ্রথম তুর্কিরা আগমন করে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করে। তাই বাংলায় তুর্কি আক্রমণ ঘটে কোন রাজার আমলে? এ সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। চলুন, বাংলায় তুর্কি আক্রমণ যে আমলে ঘটেছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলায় যখন তুর্কিরা আক্রমণ করে তখন লক্ষণ সেন এই বাংলার শাসন কার্য পরিচালনা করে। এই সময় তুর্কি সেনাপতি বখতিয়ার খলজী ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বীরের বেশে বাংলায় আক্রমণ করলে লক্ষণ সেন পেছনের দরজা দিয়ে খালি পায়ে সপরিবারে পালিয়ে যায়। এরপরে বাংলায় আরো কিছুদিন রাজত্ব করলে ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি মারা যায়। তার মৃত্যুর পরে দুই পুত্র তার সবকিছু পরিচালনা করে কিন্তু এ সম্পর্কে ইতিহাসে তেমন আলোচনা নেই। তবে মুসলিম সেনাপতি বখতিয়ার খলজি লক্ষণ সাহেবকে পড়া জয় করে বাংলা ইসলামের রাজনীতি বিজয়ের মধ্য দিয়ে সেন বংশের অবসান ঘটায়।

বাংলায় তুর্কি আক্রমণ কবে হয়েছিল

বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তুর্কিদের অবদান রয়েছে। তাই বাংলায় তুর্কি আক্রমণ কবে হয়েছিল? মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল যা পরবর্তীতে মুসলমান সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। চলুন, এ বিষয় বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

বখতিয়ার খলজী বাংলায় আক্রমণ করেন ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলায় তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে আক্রমণ করলে লক্ষণ সেন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি শাসনকার্য সূচনা করে, তিনি নদীয়া ও লক্ষণাবতি জয় করেছিল এবং তুর্কি শাসন ভিত্তি করে। এরপরে আক্রমণের কারণে হিন্দুরা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যায়। ইসলামের প্রচারণা শুরু হয় এভাবেই বাংলায় হিন্দুরা বিতাড়িত হয়ে মুসলিম শাসন কার্য পরিচালনা হয় এবং বাংলাতে মুসলিম সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এভাবেই বাংলায় মুসলমানদের আধিপত্য বিস্তার লাভ করে, পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশেও মুসলমানরা শাসন কার্য পরিচালনা করে এবং ইসলামের প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধি পায়।

বাংলায় তুর্কি আক্রমণ কার নেতৃত্বে হয়েছিল

অনেকে জানতে চায় যে বাংলায় তুর্কি আক্রমণ কার নেতৃত্বে হয়েছিল? আসলে বাংলায় তুর্কি আক্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যে ব্যক্তি তা আমাদের জানা প্রয়োজন। কেননা এখান থেকে মুসলিম শাসন পরিচালনা শুরু হয়। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

তুর্কিদের বাংলা আক্রমণ করার কারণে বাংলা থেকে হিন্দু শাসনকার্য ধ্বংস হয়ে যায় এবং চিরতরে বিদায় হয়ে যায়। কেননা এই হিন্দু রাজা লক্ষণ সেনের সময় বাংলাকে অন্ধকার যুগ বলা হয়ে থাকে। এখানে অরাজকতা এবং অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল বা বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। শিক্ষা সংস্থার কৃতি ক্ষেত্রে ধ্বংস হওয়া যায়। হিন্দু সম্প্রদায় দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠিত থাকায় এই বাংলায় মুসলিম শাসন বিতাড়িত হয়েছিল। যার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলো এদেশের মুসলমান বৃদ্ধি করার জন্য এবং ইসলামের প্রচার প্রসার করার জন্যই তুর্কিরা সর্বপ্রথম এ দেশে আক্রমণ করে। হিন্দু সেন বংশের বিতাড়িত করে।

বাংলায় তুর্কি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে

বাংলায় যারা শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই বাংলায় তুর্কি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে? এ সম্পর্কের চলুন জানা যাক। মুসলিম শাসনের এখান থেকে শুরু হয়েছে। চলুন, বাংলায় কারা তুর্কি শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
তৎকালীন বাংলায় রাজা লক্ষণ সেন রাজত্ব করেছিলেন। তিনি রাজধানী বানিয়ে ছিল নদীয়াতে যেখানে থেকে বহির্বিশ্বের শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যাবে। এক্ষেত্রে তিনি কড়া নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং কঠোর পাহারার ব্যবস্থা করেছিলেন। এরপরেও বখতিয়ার খলজি এদেশে আসার পূর্বে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়েছিলেন এবং সতর্কতা অবলম্বন করেছিল।বখতিয়ার খলজির বাংলায় প্রবেশ করার ক্ষেত্রে রাজা-লক্ষণকে তার দরবারের কিছু জ্ঞানী গুণী লোক সতর্কতা করেছিল। তুর্কি সৈনিকদের সম্পর্কে যে তারা যে কোন সময় প্রবেশ করতে পারে।
তবে লক্ষণ সেন পরবর্তীতে সতর্কতা অবলম্বন করেন এবং ভয় পেয়ে যান। যার কারণে নদীয়ার পথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। লক্ষণ সেন মনে করেছিল যে যেহেতু তার সৈন্যবাহিনী সতর্কতা অবলম্বন করেছে। যার কারণে তুর্কিরা আক্রমণ করতে পারবে না। বখতিয়ার খলজি যে পথ দিয়ে প্রবেশ করবে সেই পথে সৈন্যবাহিনী করা নিরাপত্তা দিয়েছিল কিন্তু বখতিয়ার খলজী ভিন্ন পথ অবলম্বন করেন। তিনি ঝাড়খণ্ডের মধ্যে দিয়ে দ্রুতগতিতে মাত্র ১৭ জন সৈন্য নিয়ে সরাসরি রাজা লক্ষণ সেনের প্রাসাদে প্রবেশ করেন এবং তার দেহরক্ষীকে হত্যা করেছিল। এতে লক্ষণ সেন প্রাসাদের পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যায়।

উপসংহারঃ

পরিশেষে বলা যায় যে বাংলায় এবং ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম তুর্কিরা আক্রমণ করেছিল। যার কারণে ভারতীয় উপমহাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের শাসন কার্য বিতাড়িত হয়ে মুসলিম শাসন কার্য পরিচালনা হয়। এক্ষেত্রে এই আক্রমণের ফলে মুসলমানদের ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে সহস্তর হয় এবং দ্রুত গতিতে কিছু নিম্ন শ্রেণীর হিন্দুরা ইসলামের ছায়াতলে আসে ইসলাম গ্রহণ করে। তাই ভারতীয় তুর্কি আক্রমণের কারণেই ইসলামের প্রসার প্রচারণা ঘটে। তাই ভারতে তুর্কি আক্রমণের কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, আশা করি আপনার কাজে লাগবে। পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
Md. Mahmudul Islam
Md. Mahmudul Islam
আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট ও সরকারি চাকরি করি। আমি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে ইনকাম করি, এছাড়াও ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করি। এই কাজের উপর আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।