গর্ভাবস্থায় তরমুজ খেলে কি হয় জেনে নিন নিরাপদ কিনা
গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ভিটামিনের প্রয়োজন এই জন্য তরমুজ খেতে পারেন, তাই গর্ভাবস্থায় তরমুজ খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, তরমুজ খেলে কি হবে? এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
তরমুজ পানি জাতীয় ফল যা অনেকে পছন্দ করে থাকে এবং শরীরের জন্য অনেক উপকার। কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদেরকে একটু সতর্ক থাকতে হবে। গর্ভাবস্থায় তরমুজ খেলে কি হয়? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় তরমুজ খেলে কি হয় জেনে নিন নিরাপদ কিনা
গর্ভাবস্থায় তরমুজ খেলে কি হয়
গর্ভবতী মায়েদের এই সময় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন হয়। এজন্য তরমুজ খাওয়া যেতে পারে, তাই গর্ভাবস্থায় তরমুজ খেলে কি হয়? আসলে তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান আছে। চলুন কিভাবে গর্ভবতী মায়েদের উপকার করে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
তরমুজের মধ্যে লাইকোপেন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, এমাইনো এসিড আছে। এর মাঝে প্রায় ৯২ শতাংশ পানি থাকে, যার কারণে গর্ভবতীর সাধারণত ডি হাইড্রেশন এর সমস্যা হয় না। তাছাড়া এর মাঝে ভিটামিন-এ, সি ও বি থাকে যা গর্ভবতীর এই ধরনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। এছাড়াও এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত সময়ে প্রচুর পরিমাণে পানি স্বল্পতা বা হাইড্রেশন এর সমস্যা দেখা যায়। এজন্য তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এর মাঝে ৯২% হাইড্রেশন থাকে। তাই এটা খাওয়া যেতে পারে।
তরমুজ খাওয়া কারণে রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, এছাড়াও ডি হাইড্রেশন সমস্যা দূর করে থাকে একজন গর্ভবতী মায়ের এই সময় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টির প্রয়োজন হয়। তাই তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মধ্যে প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ৬ থাকে যা আপনার শিশুর বিকাশ থেকে শুরু করে শিশুর বৃদ্ধি ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে। এছাড়াও ভিটামিন-এ থাকার কারণে গর্ভস্থ শিশুর চোখের সমস্যা দূর করবে এবং রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি দিবে। এছাড়াও ভিটামিন সি থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে এবং শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ ঘটতে থাকে।
গর্ভবতী মায়েরা সাধারণত গর্ভাবস্থায় অস্বস্তি বোধ করে থাকে এবং সার্বক্ষণিক মানসিক টেনশন থাকে। এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য তরল জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে। এছাড়াও দেখা যায় অনেক সময় তাদের হাত-পা ফুলে যায় এর কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই এক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। যেহেতু এটা হাইড্রেশন দূর করে তাই এটা আপনার ফোলাভাব কমিয়ে দিবে। গর্ভবতীদের এসিডিটির সমস্যা দূর করতে তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে ফাইবার থাকে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এজন্য গর্ভবতী মায়েদের তরমুজ খাওয়া যেতে পারে।
প্রাকৃতিকভাবে যদি আপনি লাইকোপেন বৃদ্ধি করতে চান, সেই ক্ষেত্রে তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তাছাড়া প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার সমস্যা দূর করবে। এছাড়াও গর্ভবতীদের উচ্চ রক্তচাপ, লিভার, কিডনি সকল কিছু দূর করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় সাধারণত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি দেখা যায় বা হরমোন পরিবর্তন হয়। এজন্য কিছুটা অস্বস্তিকর লাগতে পারে এবং যার কারণে গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাস হয়ে থাকে। তাই তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। তরমুজের মধ্যে ফাইবার থাকে যা আপনার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করবে।
এই সময় গর্ভবতীদের সাধারণত হাত-পা পানি আসে বা ফুলে যায়। যা ইডিমা বলে, এতে শরীরে কিছুটা টিসু আছে। সেটা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে থাকে এবং জমাট বাধা দেয়। এ ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য তরমুজ খেতে পারেন। অনেক গর্ভবতী মায়ের সাধারণত সকালবেলা অসুস্থ হয়ে থাকে, গর্ভাবস্থায় প্রথমদিকে এই ধরনের সমস্যা গুলো দেখা যায় এবং বমি হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে তরমুজের রস খাওয়া যেতে পারে। এতে আপনার ভালো কাজ করবে, গর্ভবতী মায়েরা এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে এজন্য পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে তাই তরমুজ খাওয়া যেতে পারে।
এর মধ্যে ভিটামিন সি থাকে যা আপনারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। এতে আপনার গর্ভস্থ শিশু বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাবে। সাধারণত গর্ভবতী মহিলাদের শেষের দিকে শরীরটা অনেক দুর্বল হয়ে যায়। এতে যেকোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এতে যে ধরনের খাবার গুলো পরিবর্তন করতে পারেন সেগুলো পরিবর্তন করতে হবে। এর মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি যা আপনার ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। এই সকল উপাদানগুলো আপনার মুখের ত্বকের সমস্যা দূর করবে।
গর্ভবতী মায়েদের সাধারণত চোখের সমস্যা হয়ে থাকে, এছাড়াও গর্ভস্থ শিশুর চোখ ভালো রাখার জন্য অবশ্যই তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ থাকে, যা আপনার ভিটামিন-এ চাহিদা পূরণ করে থাকে। গর্ভাবস্থায় সাধারণত প্রচুর পরিমাণে গ্যাস হয়ে থাকে, এজন্য তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। গর্ভবতী মায়ের সাধারণত ডায়েটে তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। তরমুজ ক্রমবর্ধমান শিশুর হাড় এবং দাঁত গঠনে সহায়তা করে। এছাড়াও দাঁতের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, গর্ভবতীদের সাধারণত প্রি একলামশিয়া থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ ভিটামিন এ বি সি ডি থাকে যা দৃষ্টি শক্তি, স্নায়ু শক্তি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সাধারণত হজম শক্তি কমে যেতে পারে এজন্য আপনি এই সময় হালকা ডিনার করে রাখবেন। তাছাড়া দিনের বেলায় যেকোনো সময় আপনি তরমুজ খেতে পারেন। আপনি প্রতিদিন সকালবেলায় নাস্তায় তরমুজ খেতে পারেন, তাহলে আপনার গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। তবে খেয়াল রাখবেন সেটা হল তরমুজ খাওয়ার পরে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে পানি খাওয়া যাবে না।

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url