হঠাৎ কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে ব্যথা দূর করুন

অধিকাংশ মানুষের হঠাৎ করে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। তাই হঠাৎ কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে পারেন। কেননা এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। চলুন, পুরুষ ও মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেকে কোমর ব্যথা হলে ওষুধ খেয়ে থাকেন, এর কারণে শরীরে অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া চিকিৎসা করতে পারেন। তাই কোমরের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃহঠাৎ কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে ব্যথা দূর করুন

হঠাৎ কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা

অনেকের হঠাৎ করে কোমর ব্যথা হয়, তাই হঠাৎ কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে সবার জানা প্রয়োজন। কেননা হঠাৎ করে যদি কারো কোমর ব্যথা সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

কোমরে ব্যথা কম বেশি অনেকেরই হয়, এই ব্যথা দূর করার জন্য হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে যে জায়গায় ব্যথা পেয়েছেন সেখানে সেঁক দিতে পারেন। এতে ব্যথা অনেকটা কমে যাবে। আপনি যদি দীর্ঘক্ষণ যাবত বসে থাকার কাজ করেন, সেই ক্ষেত্রে কাজ করার পাশাপাশি মাঝে মধ্যে হাটাহাটি করবেন। কেননা এক জায়গায় অনেকক্ষণ যাবত বসে থাকলে কোমর ব্যথা করতে পারে। এজন্য একটু হাটাহাটি করবেন তাহলে দেখবেন কোমর ব্যথা কমে গেছে। কোমর ব্যথা হলে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসাবে সরিষার তেল এবং রসুন গরম করে যেখানে ব্যথা রয়েছে, সেখানে সুন্দর করে মালিশ করতে পারেন। এতে ব্যথা কমে যায়।

কোমর ব্যথার জন্য আদা খেতে পারেন, এর মধ্যে থাকে এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও পটাশিয়াম। যা শরীরের জন্য অনেক উপকার করে থাকে। বিশেষ করে শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করে। তাই আপনি নিয়মিত ভাবে আদা চা পান করতে পারেন। এতে শরীরের এবং কোমরের ব্যথাও কমে যাবে। যদি আপনি অফিসের ডেক্সট এর সামনে সবসময় বসে থাকেন। একটানা ছয় সাত ঘন্টা বসে থাকার কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা পর পর পাঁচ মিনিটের জন্য হাটাহাটি করবেন। এতে করে আপনার মেরুদন্ড সোজা হওয়ার কারণে ব্যথাটা অনেকটা কমে যাবে।

অবশ্যই প্রতিদিন চেষ্টা করবেন সকালে এবং বিকেলে এক ঘন্টার করে শারীরিক ব্যায়াম করবেন। বিশেষ করে যদি আপনি অনেক দ্রুত গতিতে হাঁটাহাঁটি করেন তাহলে দেখবেন কোমর ব্যথা অনেকটাই চলে গেছে। এছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল আপনাকে ওজন কমাতে হবে এবং শরীরের ভুড়ি কমাতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে। নারকেলের তেল এবং কর্পূর একসাথে মিক্স করে গরম করে নিবেন। যখন তেলটা ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন ব্যথার স্থানে মালিশ করে দিবেন। দেখবেন অনেকটাই ব্যথা কমে গেছে।

কোমরের ব্যথা কেন হয়

অনেকের বিভিন্ন রোগের কারণে কোমের ব্যথা হতে পারে আবার অনেকে বিভিন্ন কাজের কারণে হতে পারে। তাই কোমরে ব্যথা কেন হয় এ সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

দীর্ঘক্ষণ যাবৎ যদি আপনি চেয়ারে বসে কাজ করেন এতে পিট ও কোমরের ব্যথা হতে পারে। তাই একটানা কাজ করা যাবে না। অতিরিক্ত ওজনের কারণেও অনেক সময় কোমরে ব্যথা হয়, তাই ওজন কমিয়ে রাখতে হবে এবং এর জন্য হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে। গর্ভবতী মায়েরা অধিকাংশই কোমর ও পিঠের ব্যথায় ভোগেন, বিশেষ করে তাদের দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয় এবং ওজন বেড়ে যায়। এর কারনেও কোমর ব্যথা হয়। তাই যতটুক পারেন হালকা হাটাহাটি করতে হবে। তাহলে কোমর ব্যথাটা অনেকটাই কমে যাবে। শুধু সারাক্ষণ বসে থাকবেন না একটু চলাফেরা করবেন বা হাটাহাটি করবেন।

বর্তমানের শিশুরা সাধারণত মোবাইল নিয়েই বেশি বসে থাকে এর কারণে কোমর ব্যাথা হতে পারে। তাই অনেকে অফিসের ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করতে হয়। সে ক্ষেত্রে কোমর ব্যথা হয় এজন্য একটানা কাজ না করে বা মোবাইল বা ল্যাপটপ না দেখে মাঝে মাঝে এর কারণে হঠাৎ করেই কোমর ব্যথা দেখা দিচ্ছে। সেজন্য হঠাৎ কোমর ব্যথার জন্য আপনি একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন অথবা ঘরের মাঝেও শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন।

সাধারণত ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সে মানুষ গুলো বেশি কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। এই সময় দেহের মধ্যে বেশিরভাগ জায়গায় কোমর ব্যথা এবং হাড়ে ব্যথা করে থাকে। বিভিন্ন জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা করে। আসলে কি কারণে এগুলো সমস্যা দেখা দেয়, এর কোন তেমন কারণ জানা যায়নি। তবে কোমরে ব্যথা কেন হয় এর তেমন একটি কারণ জানা যায়নি। তবে সাধারণত দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণেই বেশিরভাগ কোমর ব্যথা হয়।

মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ

মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ অনেক রয়েছে। তার মধ্যে কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো যেমন গর্ভবতী অবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন হয়। এতে মানসিক চাপ, মাসিক সমস্যা, মেরুদন্ডের সমস্যা, কিডনির পাথর অথবা কিডনি সংক্রমণ ইত্যাদি সমস্যা গুলোর কারণে দেখা যায়।

মহিলাদের কোমরে ব্যথা হলে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। কি কারনে কোমর ব্যথা হচ্ছে সেটা আগে জানার চেষ্টা করবেন। কেননা কোমর ব্যাথা হলেই আমরা দেখতে পাই অনেকে ক্যালসিয়ামের ওষুধ খেয়ে থাকে কিন্তু আসলে কি তার ক্যালসিয়ামের অভাব। এটা জেনে তারপরে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে যদি একজন চিকিৎসক মনে করেন তার ক্যালসিয়াম খাওয়ার দরকার। তাহলে একা একাই ওষুধ খাওয়া যাবে না, তবে হঠাৎ কারো যদি কোমর ব্যথা হয় সে ক্ষেত্রে হঠাৎ কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে পারেন। এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতি হবে না।

সাধারণত নারীদের গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে কোমর ব্যাথা হতে পারে। কেননা এই সময় শরীরে হাড় এবং জয়েন্টের সমস্যা হতে পারে। এজন্য কোমরে ব্যথা করে, এছাড়াও গর্ভবতী হওয়ার কারণে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় এবং হরমোনের পরিবর্তন হওয়ার কারণে কোমর ব্যথা হয়। মহিলাদের সাধারণত মাসিকের সময় জরায়ুর সংকুচিত হয়, যার কারণে এই সময় প্রচন্ড কোমরে ব্যথা করে। অনেকেরই ব্যথা প্রচণ্ড ব্যথা করে অনেক কষ্ট হয়। তাই কোমর ব্যথার জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে পারেন যেমন গরম কাপড় দিয়ে সেক দিতে পারেন। এতে অনেকটাই কোমর ব্যথা কমে যাবে।

অনেকের কিডনির সমস্যার কারণে কোমরে ব্যথা করে। তবে সাধারণত এটা খুবই কম দেখা যায়। কেননা এই সময়ে যদি কোমরে ব্যথা করে সেই কোমরে ব্যথা সহ্য করা খুবই কঠিন। তবে সাধারণত ডান পাশে হালকা ব্যথা হয় এটা কিডনি পাথরের কারণে হয়। তবে খেয়াল রাখবেন প্রসাব করার সময় হালকা রক্ত আসতে পারে। তাহলে মনে করবেন কিডনির সমস্যা হয়েছে। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।অনেকের অস্ট্রিও আর্থারাইটিস এ সকল সমস্যার কারণে মেরুদন্ড সমস্যা হয়। এর ফলে মহিলাদের কোমর ব্যথা হয়। এগুলো সাধারণত শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা করে। এই রোগটি সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদেরই বেশি হয়ে থাকে। পিঠের পিছনে শক্ত হয়ে যায় এবং প্রচন্ড ব্যথা করে।

যদি আপনি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে না পারেন। তাহলে কোমরে ব্যথা করতে পারে। যেমন ধূমপান, অ্যালকোহল, ব্যায়াম না করা, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া ইত্যাদি করলে তাহলে আপনার ক্ষমতা ব্যাথা হতে পারে। আপনার জীবনে অনেক রোগ ব্যাধি দেখা দিবে। নারীদের সাধারণত মাসিকের পর ডিম্বাশয় খুবই নিকটে চলে আসে। যার কারণে অনেক সময় ডিম্বাশয়ের সিস্ট ফেটে যায়। এতে কোমর ব্যথা হতে পারে কেননা ডিম্বাশয়ের সাথে একটি ফ্যালোপিয়ান টিউবের সাথে সংযুক্ত থাকে। আর এর কারণে অনেক সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডিম্বাশয় রক্ত যখন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় তখন প্রচুর পরিমাণে কোমরে চাপ লাগে এর কারণে ব্যথা হতে পারে। রোগীর সাধারণত বমি বমি ভাব হতে পারে, জ্বর আসতে পারে এবং হালকা যোনী পথ দিয়ে রক্ত বের হতে পারে।

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট

অনেকেই জানতে চায়, কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট এর নাম কি আসলে বাজারে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির ব্যথার ওষুধ তৈরি করেছে। তবে কখনোই ব্যথার ওষুধ নিজে গিয়ে ফার্মেসিতে কিনে খাবেন না। এতে আপনের কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

কেননা ডাক্তাররা বলে থাকেন দীর্ঘদিন যাবত কেউ যদি ব্যথার ওষুধ খায়, তাহলে কিডনি ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। তাই একজন চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত মতে আপনাকে ওষুধ খেতে হবে। এরপরও সাধারণত কিছু ওষুধের নাম দেওয়া হলো অনেক চিকিৎসক এই ওষুধগুলো সাময়িক ব্যথা কমানোর জন্য প্রেসক্রিপশন করে থাকে। ন্যাপ্রক্স ৫০০ এমজি, ন্যাপ্রো A ৫০০ এমজি ন্যাপরিন ৫০০ এমজি ডিপ্রক্সেন ৫০০ এমজি ন্যাপ্রো ৫০০ এমজি ন্যাসপ্রো ৫০০ এমজি নুপ্রাফেন ৫০০ এমজি এই ওষুধগুলো ছাড়াও বাজারে আরো অনেক ব্যাথা নাশক ওষুধ রয়েছে। তবে ওষুধ গুলো অবশ্যই একজন চিকিৎসা পরামর্শে খাবেন। তবে ব্যথার ওষুধের মাঝে সবচাইতে জনপ্রিয় এবং বেশি ব্যবহৃত হয় সে ট্যাবলেট গুলোর নাম হল ন্যাপ্রক্সেন সোডিয়াম,আইবুপ্রোফেন।

তবে উপরোক্ত ওষুধগুলো খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। চিকিৎসকরা শুধুমাত্র এই ওষুধগুলো দিয়ে থাকে প্রচণ্ড ব্যথায় তাৎক্ষণিক এর চিকিৎসার জন্য। তবে কারো যদি হঠাৎ কোমর ব্যথা হয় সেই ক্ষেত্রে হঠাৎ কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। যার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, উপরে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

কোমরের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম

কোমর ব্যথার জন্য ঔষধ না খেয়ে আপনি কোমরের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম করতে পারেন। এতে করে আপনার কোমর ব্যথা কমে যাবে এবং শরীরের রোগব্যাধি আক্রমণ করতে পারবে না। নিম্নে কয়েকটি ব্যায়ামের বিষয়ে আলোচনা করা হলো,

এ ধরনের ব্যায়াম সাধারণত বিশেষজ্ঞগণ করতে বলেছেন, আপনি যদি নিয়মিত ভাবে এই ব্যায়ামটি করতে থাকেন। তাহলে আপনার কোমরে ব্যথাটা অনেকটাই কমে যাবে। তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তারপরে এই ধরনের ব্যায়ামটা করবেন। অর্থাৎ কোন কিছু ছোটখাট ওজনের জিনিস নিচে থেকে তুলবেন এবং উঠাবেন এতে কোমরে অনেকটাই ব্যথা কমে যাবে। আপনি যখন অফিসে কাজ করবেন তখন অবশ্যই সঠিক ভাবে বসার চেষ্টা করবেন। যেভাবে বসলে আপনার কোমরে ব্যথা না লাগে এবং মেরুদন্ড সোজাভাবে থাকে এজন্য সেই ধরনের চেয়ার ব্যবহার করবেন। বিশেষ করে কাঠের চেয়ার ব্যবহার করবেন এতে কোমর এবং মেরুদন্ড সোজা হয়ে থাকবে। তাহলে আপনার কোমর ব্যথা হবে না।

দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলেও আপনার কোমর ব্যাথা হবে না। তবে কাজের ফাঁকে ফাঁকে অবশ্যই একটু করে দাঁড়াতে হবে এবং হাঁটা চলাফেরা করতে হবে। এছাড়াও আপনার বিভিন্ন ভঙ্গিতে বসতে পারেন। একই ভঙ্গিতে বসলে দেখবেন কোমর ব্যথা হতে পারে। এভাবে বিভিন্ন আসন বা বিভিন্ন ভঙ্গিতে বসলে আপনার কোমর ব্যথা করবে না। যে সকল লোকের ওজন বেশি তারা সাধারণত নড়াচড়া করতে পারে না এবং যে জায়গায় বসে থাকে সেই জায়গায় অনেকক্ষণ যাবৎ বসে থাকতে চায়। এর কারণে তাদের কোমর ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও শরীরের হাড়ের উপর বেশি চাপ পড়ে যার কারণে কোমরের ব্যথা হতে পারে। তাই সাধারণত চিকিৎসকরা ওজন কমাতে বলে, আপনার যদি এই ধরনের হঠাৎ কোমর ব্যথা হয় সেই ক্ষেত্রে ঘরোয়া চিকিৎসা নিবেন এতে অনেক উপকার পাবেন।

কোমরের ডান পাশে ব্যথা কেন হয়

অনেকের কোমরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা করে বিশেষ করে অনেকের ডান পাশে ব্যথা করে। তাই কোমরের ডান পাশে ব্যথা কেন হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো,

সাধারণত কোমরে এক ধরনের স্পাইনাল স্ট্রাকচারের চারদিকে বিভিন্ন ধরনের টিস্যু থাকে। যা লিগামেন্ট মাসল এই সব কিছুগুলো সাধারণত ইনজুরি হতে পারে। এর কারণে কোমরে ব্যথা এক পাশে হয়। অনেক সময় হাড়ের সমস্যার কারণে হাড় ক্ষয় যায় এবং আর্থ্রাইটিস হার বেড়ে যায় এ ধরনের সমস্যার কারণে কোমরের ডান পাশে ব্যথা করতে পারে। এছাড়াও কিডনি, কোলন, প্যানক্রিয়াস পাকস্থলী এই ধরনের সমস্যার কারণ অনেক সময় কোমর ব্যথা হয়। কিডনির সমস্যা যেমন কিডনির পাথর হওয়ার কারণে একপাশে ব্যথা করতে পারে। একপাশে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি প্রসবের সমস্যা হয় জ্বর আসে বমি হয় ইত্যাদি সমস্যাগুলো দেখা।

সাধারণত মেরুদন্ড অনেকের হঠাৎ করে বেঁকে যেতে পারে এর কারণে পেশি টানটান হয়ে থাকে। এজন্য মেরুদন্ডের একপাশ প্রসারিত হয় অন্য পাশে সংকুচিত হয় যার কারণে প্রাপ্তবয়স্কের অনেক লোকের সাধারণত ডান পাশে ব্যথা করে।

কোমরের বাম পাশে ব্যথা কেন হয়

এতক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি কোমরের ডান পাশে ব্যথা হয় সম্পর্কে। এখন জানবো কোমরের বাম পাশে ব্যথা কেন হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সাধারণত কোমরের যে মাংসপেশি রয়েছে সেগুলো নড়াচড়া করে এর কারণে আমাদের কোমরে ব্যথা হয় না কিন্তু এই পেশিগুলো যদি আঘাত লাগে অথবা টান টান হতে থাকে সেই কারণে কোমরের বাম পাশে ব্যথা করতে পারে। মেরুদন্ডের যে হাড় রয়েছে এবং ডিস্ক আছে এটা অনেক সময় কাজ করতে পারে না বা ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে হার্নিসেশন এর কারণে অনেক সময় কোমরের বাম পাশে ব্যথা করতে পারে। কোমরের বাম পাশে অভ্যন্তরীণ যে অঙ্গ গুলো রয়েছে, সেগুলো ব্যথা বা কোনো কারণে ফুলে যায় এর কারনেও কোমরের বাম পাশে ব্যথা হতে পারে। বিশেষ করে কিডনির সমস্যা অথবা কিডনিতে পাথর হওয়া অগ্নাশয়ের ব্যথা ইত্যাদি এই ধরনের সমস্যা হলেও বাম পাশে ব্যথা করে।

উপসংহারঃ

পরিশেষে বলা যায় যে কোমর ব্যাথা হওয়ার পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। বিভিন্ন সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে কাজ করা। এছাড়া আরো অনেক কারণ থাকতে পারে তাই কারো যদি হঠাৎ কোমর ব্যথা হয়, সে ক্ষেত্রে হঠাৎ কোমর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে পারেন। এতে আপনার কোমর ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে। আজকের পোস্টের মাধ্যমে যদি আপনার উপকার হয় তাহলে আমার এই পোস্টটি আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url