বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায় ২০২৫ আপডেট তথ্য জেনে নিন
অনেকে কুয়েতে যেতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে যাবেন, হয়তো জানেন না। তাই বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার প্রয়োজন। চলুন, বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে কিভাবে যাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক
আপনি যদি বৈধভাবে কুয়েতে যেতে চান, তাহলে আপনাকে সেই উপায়গুলো জানতে হবে। তাহলে আপনি কুয়েতে নিরাপদে যেতে পারবেন এবং আপনার কোন সমস্যা হবে না। তাই বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায় ২০২৫ আপডেট তথ্য জেনে নিন
বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে আপনি কিভাবে কুয়েতে যাবেন, সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাওয়ার উপায় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যদি কুয়েতে বৈধভাবে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে দুই ভাবে যাওয়া যেতে পারে। সরকারিভাবে এবং বেসরকারি উপায়ে যেতে পারবেন। সরকারি উপায়ে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে বোয়েসেল এর মাধ্যমে আপনাকে যেতে হবে। এই ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে বিদেশ কর্মীরা যায়। বেসরকারিভাবে বিভিন্ন বিশ্বস্ত এজেন্সি রয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে আপনি কুয়েত যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে কুয়েতে কাজের ভিসা যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা লাগবে। তারপরে এজেন্সির শরণাপন্ন হতে হবে, তারপর ভিসার জন্য প্রসেসিং করবে, এজন্য আপনাকে বেশি টাকা দেওয়া লাগবে।
চাইলে অনলাইনে আবেদন করা যেতে পারে, তবে এজন্য একটি কাজের অফার লেটার লাগবে, অনলাইনে বিভিন্ন চাকরির ওয়েবসাইটে কুয়েত জবের জন্য আবেদন করা যায় এবং তাদের অফার লেটার দিবে। এরপরে আপনাকে কুয়েত দূতাবাসে গিয়ে ভিসা প্রসেসিং করা লাগবে কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ দালালের মাধ্যমে ভিসা করে থাকে। কুয়েতে কাজের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য বিশ্বস্ত উপায় হচ্ছে বাংলাদেশের সরকারি স্বীকৃত এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে। আপনি যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে আবেদন করবেন। তারপরে এক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র এজেন্সি কে টাকা দেওয়া লাগবে।
আপনি চাইলে কোন কুয়েত প্রবাসী থেকেও এই এম্বাসিতে টাকা জমা দিতে পারবেন এবং ভিসা প্রসেসিং করা যেতে পারে। তাই আপনি কুয়েতে যাওয়ার জন্য যে প্রক্রিয়াটি রয়েছে, সেটা একটু কঠিন বা সময় সাপেক্ষ হতে পারে। এটা আপনাকে মানতে হবে চলুন, সেই ধাপগুলো জেনে নেওয়া যাক; প্রথমে আপনি যে পেশায় যাওয়ার জন্য ইচ্ছা করছেন সে পেশার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা যদি থাকে, সেগুলো সংগ্রহ করা লাগবে এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণও গ্রহণ করতে হবে।
আপনাকে এজেন্সি নির্বাচন করা লাগবে, বিশ্বস্ত এজেন্সি হতে হবে এবং অভিজ্ঞ এজেন্সি নির্বাচন করা লাগবে। তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং সেরা এজেন্সি নির্বাচন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা লাগবে, পাসপোর্ট, জীবন বৃত্তান্ত ছবি মেডিকেল সনদ কাজের অনুমতি কাজের চুক্তিপত্র ভিসা আবেদনপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট, কাজের অভিজ্ঞতা প্রমাণ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি করোনা ভ্যাকসিন এর সার্টিফিকেট সকল কিছু আপনাকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
সকল কাগজপত্র প্রস্তুত করা হলে এজেন্সির মাধ্যমে বা সরাসরি এর মাধ্যমে বোয়েসেল এর মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। ভিসা আবেদন পত্র পূরণ এবং ডকুমেন্টগুলো সাবমিট করা লাগবে। ভিসা প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো মেডিকেল পরীক্ষা করা লাগবে। এই পরীক্ষার ফলাফলে যদি ভালো হয় তাহলে আপনি এর ফলাফলটি কুয়েত সরকারকে জমা দিয়ে দিবেন। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ভিসা প্রাপ্তির অপেক্ষা করতে হবে। একবার ভিসা পেলে কুয়েতে যাওয়ার জন্য আপনি প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
ভিসাপ্রাপ্তির পরে কুয়েতে যাওয়ার জন্য ফ্লাইট বুক করা লাগবে, ফ্লাইটের তারিখ এবং সময় নির্বাচন করতে হবে এবং প্রস্তুতি নেওয়া লাগবে। কুয়েতে পৌঁছানো এবং নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে যে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন। প্রথমে কুয়েতের আভ্যন্তরীণ আইন এবং নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা লাগবে।

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url