ঋণ বা ধার করে কোরবানি দেওয়া যাবে কি জেনে নিন সঠিক মাসাআলা
অনেকে জানতে চায় যে, ধার করে কোরবানি দেওয়া যাবে কি? এ বিষয়ে ইসলামী চিন্তাবিদগণ কোরআন ও হাদিসের আলোকে যা বলেছে তা জানা প্রয়োজন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কোরবানি করা যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা কোরবানি দিতে পারবেন। তবে অনেকেই হয়তো এই মুহূর্তে কোরবানির পশু কেনার মত অর্থ থাকে না। তাই ধার করে কোরবানি দেওয়া যাবে কি? সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃঋণ বা ধার করে কোরবানি দেওয়া যাবে কি জেনে নিন সঠিক মাসাআলা
ধার করে কোরবানি দেওয়া যাবে কি
অনেকের কোরবানির সময় টাকা থাকে না, তাই ধার করে কোরবানি দেওয়া যাবে কি? আসলে এ বিষয়ে ইসলামিক চিন্তাবিদগণ কি বলে থাকেন এবং কোরআন হাদিসে কি রয়েছে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, এ বিষয় বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কোরবানির নিয়ম হল জিলহজ মাসের ১০,১১,১২ এই তিন দিনের মধ্যে কারো যদি নিসাব পরিমাণ টাকা থাকে, পরিবারের সকল খরচ ব্যতীত সে ক্ষেত্রে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যায়। তবে যদি আপনার এই সময়ে কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য নেসাব পরিমাণ টাকা আছে তবে কোরবানির পশু ক্রয় করার মত টাকা নেই। সেজন্য আপনি ধার করে কোরবানি দিতে পারেন। তবে এই ধরনের টাকা পরবর্তীতে শোধ করার মতো সামর্থ্য থাকতে হবে। কেননা রাসূল করিম সাঃ নিজের জীবনেও মাঝেমধ্যে ধার করেছেন এবং সাহাবায়ে কেরামও ধার করে কোরবানি করেছেন সে ক্ষেত্রে ধার করে কোরবানি করা জায়েজ রয়েছে।
শুধু কোরবানি নয় যদি আপনি সাদকা দান খয়রাত ভালো কোন কাজের ক্ষেত্রে যেমন হজ ওমরা করার জন্য ঋণ করার প্রয়োজন হয় বা ধার করার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার ধার করে যেতে পারবেন তবে অবশ্যই আপনার কাজ শেষ করে সে টাকা পরিশোধ করার মতো সামর্থ্য থাকতে হবে। অর্থাৎ সাময়িকের জন্য আপনি ধার করতে পারবেন। যদি আপনার সামর্থ্য নাই কিন্তু এই সৎ কাজ করতে চাচ্ছেন তা করা যাবে না। এক্ষেত্রে আপনি ধার করে কোরবানিও করতে পারবেন না। যেহেতু আপনার সমর্থ্য নাই সে ক্ষেত্রে ঋণ করে কোরবানি করা জায়েজ নেই। তাই ইসলামী শরীয়ত মতে ঋণ করে কোরবানি করা আবশ্যক নয়।
এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যারা অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে গেছেন সে ক্ষেত্রে যদি আপনি কোরবানি করতে চান তাহলে কোরবানি হবে না। কারণ ঋণ পরিশোধ করা আপনার সবচাইতে জরুরী কেননা হাদীস শরীফে আছে ঋণ ভালোবাসার কাচি স্বরূপ। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই ঋণ শোধ করা অগ্রাধিকার দেওয়া লাগবে। ওলামায়ে কেরাম এই বিষয় দ্বিমত থাকতে পারে, সে ক্ষেত্রে কিছু ঋণ রয়েছে যেগুলো দীর্ঘমেয়াদি আবার কিছু ঋণ রয়েছে স্বল্পমেয়াদী। যে ঋণ আপনার পাওনাদার চাপ সৃষ্টি করবে না অথবা এটা পরিশোধ করার মত সামর্থ্য রয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনি কোরবানি করতে পারবেন।
কিছু ঋণ রয়েছে যেগুলো ধীরগতিতে আপনি শোধ করতে পারবেন যেমন একজন ব্যক্তি তার স্ত্রী নিকট মোহরানার ঋণ আছে, সে ক্ষেত্রে এই ঋণের অবশ্যই কিছু নিয়ম রয়েছে যেমন আপনি এই ঋণ ধারাবাহিকভাবে কিস্তির মত করে শোধ করা যাবে। এক্ষেত্রে আপনার এই ধরনের ঋণ থাকলে আপনি কোরবানি করা যাবে। তবে অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা তার নিচের যে কর্মচারী রয়েছেন অথবা কাজের লোক থাকে তাদের যে বেতনের টাকা বা পাওনা টাকা না দিয়ে সে যদি বড় গরু কিনে কোরবানি করতে চায় যেটা ইসলামের শরীয়তে জায়েজ নেই এবং এটা একটি জঘন্যতম অপরাধ।
কোরবানি করার উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। সেই ক্ষেত্রে কোরবানি দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। তাছাড়া আপনি পরবর্তী বছর কোরবানি দিতে পারবেন কিনা সে ক্ষেত্রে দ্রুত কোরবানি দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে যদি আপনি পরবর্তীতে শোধ করার মতো সামর্থ্য থাকে, তাহলে ধার করে কোরবানি দিতে পারেন। কিন্তু যদি ধার শোধ করার মতো সামর্থ্য না থাকে, তাহলে এই ধরনের ঋণ করে কখনোই কোরবানি দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেননা ঋণ করে কখনোই কোরবানি দিতে যাবেন না। এক্ষেত্রে আপনার মনের ভিতরে অশান্তি লাগবে এবং আল্লাহ তা'আলা সন্তুষ্ট হবে না। নিজের টাকায় কোরবানি করা উত্তম।
সুদের টাকায় কোরবানি দেওয়া যাবে কি
অনেকে জানতে চাই যে সুদের টাকায় কোরবানি দেওয়া যাবে কি? এ সম্পর্কে কোরআন হাদিসে স্পষ্ট কিভাবে বর্ণনা করেছে বা কোরআন হাদিসের দলিল রয়েছে সে সম্পর্কে চলেন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক
আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য কোরবানি করা হয় কেননা কোরবানির মাংস রক্ত কোন কিছুই আল্লাহ গ্রহণ করেন না মহান আল্লাহ তা'আলা আপনার মনের অবস্থা বা আপনার মনকে পরীক্ষা করার জন্যই এই কোরবানির ব্যবস্থা করেছেন তাই সুদ বা ঘুষের বা অন্যায়ভাবে কোন উপার্জিত টাকা দিয়ে কখনোই করবানি হবে না এমনকি ইসলামী যে কোন যাকাত ফিতরা বা হজ কোন কিছুই হারাম টাকায় হবে না কেননা মহান আল্লাহতালা পবিত্র তিনি পবিত্র জিনিসের পছন্দ করেন না তাই আপনাকে যদি কোরবানি করতে হয় সেক্ষেত্রে ফারজনের টাকা দিয়ে কোরবানি করতে হবে তাহলেই মহান আল্লাহতালা আপনার কোরবানিকে কবুল করতে পারে আর যদি হারাম পথে ইনকাম করে থাকেন সেই টাকা দিয়ে কখনোই কোরবানি হবে না তুত ঘোষ সুদ ঘুষ দ্বারা কেননা মহান আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন ওষুধ সম্পর্কে বলেছেন যে সুদ এমন একটি মহান আল্লাহতালা কখনোই পছন্দ করেন না এমনকি মহান আল্লাহতালা পবিত্র কুরআনের ব্যবসাকে হালাল করেছেন তাই ব্যবসা করে আপনি হালাল উপার্জনে টাকা দিয়ে কোরবানি করলে আল্লাহ তাআলা খুবই খুশি হবেন
ঋণ থাকলে কি কোরবানি হয়
ঋণ মানুষের মাঝে মহব্বত কে নষ্ট করে দেয় তাই ঋণ থাকলে কি কোরবানি হয়? ঋণ যেহেতু মানুষের মাঝে সম্পর্ক নষ্ট করে দেয় তাই কোরবানি যেদিন থাকলে কোরবানি হবে কিনা সে সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক
মহান আল্লাহ তাআলার মানুষের মাঝে ভালোবাসা সৃষ্টি করার জন্য ধার করা যাবে উপকার করতে পারবে কিন্তু সেই দিন মোহাম্মদ নষ্ট হয়ে যেতে পারেন প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর কোরবানি ওয়াজিব তবে অবশ্যই হিসাব পরিমান টাকা থাকতে হবে সে ক্ষেত্রে যাকাতের যেরকম পুরো এক বছর আপনার কাছে টাকা থাকতে হবে কিন্তু কোরবানির ক্ষেত্রে ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে যদি আপনার নিসাব পরিমাণ অর্থ থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে কোরবানি ওয়াজিব তবে যদি আপনার ঋণগ্রস্থ হয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে কোরবানি দিতে পারবেন কিনা সে সম্পর্কে ইসলামিক দৃষ্টিকোণে বলনা রয়েছে কি সেটা জানা প্রয়োজন তবে যদি আর কোরবানির নির্দিষ্ট টাইমে আপনার নির্দিষ্ট সময়ে আপনার যদি এমন ঋণ থাকে যেটা আপনি পরবর্তীতে পরিশোধ করার মত সামর্থ্য নেই সে ক্ষেত্রে আপনার উপরে ওয়াজিব হবে না কিন্তু যদি আপনার কাছে এমন অর্থ থাকে যেটা পরিশোধ করার পরেও আপনার ওপর জন্য হিসাব পরিমান অর্থ রয়েছে তাহলে আপনার কোরবানি ওয়াজিব
কোরবানি কেন দেওয়া হয়
কোরবানির মুসলমানের জন্য একটি আত্মত্যাগের বিষয় তাই কোরবানি কেন দেওয়া হয় এ সম্পর্কে অনেকে জানতে চায় চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক
মহান আল্লাহ তা'আলা কোরবানি সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর ওয়াজিব করেছেন কেননা এই কোরবানির মাধ্যমে মানুষকে পরীক্ষা করা হয় তাই আল্লাহ তাআলার কোরবানির রক্ত মাংস তিনি গ্রহণ করেন না শুধুমাত্র আপনার ইচ্ছাকে তারা গ্রহণ করে থাকে কে গ্রহণ করে থাকেন তাই এটা এক ধরনের এবাদত এবাদত যদি আপনার উপর ওয়াজিব হয়ে যায় সেটা যদি না করেন তাহলে গুনাগার হতে হবে মহান আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন যে কোরবানির তো মাংস মহান আল্লাহতালা গ্রহণ করেন না বরং তোমাদের অন্তরের তাকওয়াকে গ্রহণ করেছেন সুরা হজ্জ মহান আল্লাহ তা'আলা বান্দার পরীক্ষা নিয়ে থাকেন কেননা হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম পুত্র সালামকে যখন কোরবানি করতে গেলেন তখন মহান আল্লাহ তাআলা তার সন্তানকে সরিয়ে ওখানে পশু জবাই করা হয় পরবর্তীতে প্রত্যেক মুসলমানের কোরবানি করার কথা বলা হয়ে থাকে তাই যাচ্ছে যে মহান আল্লাহতালা কোরবানির পরীক্ষা করার জন্য বা আপনার আত্মার সর্দি এবং তাকও আবৃতি আল্লাহকে খুশি করার জন্যই এই কোরবানি দেওয়া হয়
কোরবানি কার উপর ওয়াজিব
কোরবানি প্রত্যেক মুসলমানের ওপরে ওয়াজিব নয় সমর্থ্যবান ব্যক্তির উপর ওয়াজিব চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কোরবানি কার উপর ওয়াজিব সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক
সব কোরবানি ওয়াজিব নয় সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর ওয়াজিব সে ক্ষেত্রে নিসাব হলো জিলহজ মাসের থেকে ১২ তারিখ ১১ ১২ তারিখ ১০ ১১ ১২ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত যদি কোন ব্যক্তির কাছে সাড়ে ৫২ তলা স্বর্ণের রুপার দাম বর্তমান অনুযায়ী যে সম্পদ যে টাকা আপনার কাছে যদি থাকে তাহলে আপনি করে কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে তবে আপনার বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় টাকা দিয়ে সকল এরপরে আপনার অর্থ থাকতে হবে এছাড়া পাগল মস্তিষ্ক জ্ঞানহীন প্রতিবন্ধী এই সকল লোকদের উপরে এদের সামর্থ্য থাকলেও তার ওপর পাগল না বালেক এদের উপরে কোরবানির ওয়াজিব নয় তাছাড়াও যারা মুসাফির রয়েছেন ভ্রমণ করতে গেছেন তারা সময়ে হবে না এ সময় তাদের উপরে কোরবানির ওয়াজিব হবে না আরো একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যেমন কোরবানি নিজের পক্ষ থেকে দিবেন কিন্তু ভাই বল বা স্ত্রী বাবা মা সন্তানের পক্ষ থেকে কোরবানি হবে না

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url