বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমণ খরচ কত টাকা [আপডেট জানুন]
আপনি যদি মালদ্বীপে ভ্রমন করতে যেতে চান তাহলে খরচ সম্পর্কে জানতে হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমণ খরচ কত? এ সম্পর্কে আপনার ধারণা রাখা প্রয়োজন। চলুন, মালদ্বীপে ভ্রমণ করতে কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
মালদ্বীপ একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছোট্ট একটি দেশ সেখানে লোকজন সংখ্যা খুবই কম। তাই মালদ্বীপ এর সৌন্দর্য মুগ্ধ হয়ে সারা বিশ্বের মানুষ দেখতে আসে। তাই বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমণ খরচ কত? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃবাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমণ খরচ কত টাকা [আপডেট জানুন]
বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমণ খরচ
যারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তারা মালদ্বীপে যেতে পারেন, তাই বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমণ খরচ কত? সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন তাহলে আপনার সুবিধা হবে। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য পূর্ণ দেশ, যা উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে এই দেশে যেতে হবে। অসংখ্য ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে, খুবই ছোট্ট আয়তনের দেশ যার লোক সংখ্যা কম কিন্তু দেখতে সুন্দর যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে থাকে।
সারা বিশ্বে মানুষদের কাছে আকর্ষণীয় দেশ যা সৌন্দর্য উপভোগ করার মত। কেননা এতটাই সুন্দর বা মনোমুগ্ধকর যে কেউ একবার যদি এখানে আসে তাহলে দ্বিতীয়বার আবার আসতে চাইবে। তবে এখানে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ ভিসার প্রয়োজন হবে।
আপনি যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো সময় হলো নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আর যদি খরচ কমাতে চান সেক্ষেত্রে আপনি গরমের দিনে যেতে পারেন অর্থাৎ মে থেকে জুন মাসের মধ্যে এক্ষেত্রে আপনার প্রায় ১৫ শতাংশ খরচ কমে যাবে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ এখানে ভ্রমণ করতে যায় এবং অনেকেই হানিমুনে যায়।
বিভিন্ন ধরনের ভ্রমণ প্যাকেজ এর মাধ্যমে আপনি যেতে পারেন, তাহলে আপনি কম খরচের মাধ্যমে সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। বর্তমানে এই দেশটি বিশ্বের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে নির্ণয় করা হয়েছে। যা বিগত কয়েকবার এটা প্রথম স্থান অধিকার করেছে, এর পরেও এই দেশের প্রতি আরো মানুষের আকর্ষণ বেশি বাড়ছে।
এ দেশ ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বিশেষ আয়োজন করে থাকে যা বিভিন্ন দেশের মানুষ জন এখানে আসে। এক্ষেত্রে আপনি ভ্রমণ ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। তবে ভারতের যারা নাগরিক রয়েছে তারা ৩০ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়াই শুধুমাত্র পাসপোর্ট দেখিয়ে এখানে থাকার অনুমতি পাবে কিন্তু তারা যদি ৯০ দিনের বেশি থাকতে চায় সেক্ষেত্রে ভিসার জন্য মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে যারা এই দেশে যাওয়ার ইচ্ছা করছেন তাদের অবশ্যই ভিসা করতে হবে। ৩ দিন থেকে ১ সপ্তাহের মত যদি থাকতে চান সে ক্ষেত্রে সকল খরচ মিলে আপনার ১ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।
যারা ভ্রমন করতে চান কিন্তু খরচ নিয়ে অনেকটাই টেনশনে রয়েছেন তাদের জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করলে সঞ্চয় করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন সময়ে অফার দিয়ে থাকে সে অফার গুলো আপনি নিশ্চিত হয়ে অনেক কম খরচে ভ্রমণ করতে পারবেন।
কিছু কিছু কোম্পানি আছে যারা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে, যেমন ৫০ হাজার টাকায় আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি দুই রাত হোটেলে থাকা খাওয়া স্পিডবোর্ডে ঘুরে বেড়ানো wi-fi সুবিধা নেওয়া এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন।
বাংলাদেশের অধিকাংশ কোম্পানিগুলো ট্যুর পরিচালনা করেন সে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক সাশ্রয় দামে ভ্রমণ প্যাকেজের ভিসা ক্রয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে ভিসার দাম ৫৫ হাজার টাকা যা দুই রাত হোটেলে থাকতে পারবেন এবং তিন দিনের আকর্ষণ টুরে আপনি রাজধানী সহ লোকাল আয়ারল্যান্ডে ঘুরতে পারবেন।
এছাড়াও হোটেলগুলোতে ব্রেকফাস্ট ইত্যাদি সুবিধা গুলো পাবেন। তাছাড়া আধুনিক কয়েকটি রিসোর্ট রয়েছে সেগুলো সর্বনিম্ন ৭৩ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি ভ্রমণ প্যাকেজ নিয়ে যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি রিসোর্টে দুইদিন থাকা খাওয়া বিমানের টিকিট আধুনিক ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন।
বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে আপনি যদি তাদের মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে ৪৩ থেকে ৬০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে। আপনি রাজধানী শহর বা পার্শ্ববর্তী শহরগুলোতে থাকতে পারবেন এতে ৩০০০ থেকে ৭ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। যদি আপনি কাছাকাছি আইল্যান্ডে থাকতে চান সেক্ষেত্রে খরচ আরো বেশি লাগবে।
আপনি যদি একটি দ্বীপ থেকে অন্য একটি দ্বীপে যাওয়ার ইচ্ছা করে থাকেন সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই স্পিডবোট ভাড়া করা লাগবে। তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকার মত। এখানে থাকার চেয়ে খাওয়ার খরচ সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
যদি আপনি ট্রেডিশনাল খাবার খান সে ক্ষেত্রে খরচ পড়তে পারে প্রত্যেক বেলায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মতো। তাছাড়া এ দেশে অসংখ্য বাংলাদেশী হোটেল বাঙ্গালীদের খাবারও পরিবেশন করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে খরচ একটু কম হবে।
তাই আপনি যদি প্যাকেজের মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে দুইদিন তিনরাত থাকার ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া সহ মোট আপনার ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে।
তবে একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সেটি হল এখানে দুই রকমের আইল্যান্ড হয়। একটি প্রাইভেট অন্যটি পাবলিক আইল্যান্ড বেশ কিছু রেস্ট্রিকশন বাধ্যবাধকতা থাকতে পারে। এর কারণ হলো এই দেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ বলা হয়ে থাকে কিন্তু এখানে ঘুরতে অনেকটাই কম খরচ হয়ে থাকে।
আপনি যদি প্রাইভেট ভাবে থাকতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ একটু বেশি হবে। এক্ষেত্রে কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না, এরকম অনেক প্রাইভেট আইল্যান্ড বা রিসোর্ট আছে সেখানেও আপনি প্রোপার্টির চ্যানেলে থাকতে পারেন।
সাধারণত হোটেলের ভাড়া অন্যান্য জায়গার চাইতে অবশ্যই বেশি হবে। যদি তিন দিন সময় কাটাতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার হোটেলের খরচ হতে পারে ৩৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার মত। তবে অনেক ক্ষেত্রে হোটেল বুকিং করার কারণে ৫০০০ টাকা লাগবে না।
আপনি যদি এই দেশে এক রাত থাকতে চান সেক্ষেত্রে খরচ আসতে পারে ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকার মতো। আইসল্যান্ডের কাছাকাছি বা পাশাপাশি রিসোর্ট যদি থাকেন তাহলে ভালো হবে।
থাকা খাওয়াঃ আপনি যদি মানসম্মত খাবার খেতে চান সেই ক্ষেত্রে খরচ ৪ হাজার থেকে ৭০০০ টাকা। একটি রুম পাবেন এবং সেখানে আপনি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন।
এ দেশে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা বা একটিভিটিস রয়েছে সেগুলোর জন্য খরচ হতে পারে ৩৫ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত এ সকল কিছু আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যাওয়ার উপায়
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে যেতে চান সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
সাধারণত মানুষ জন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দেখার জন্য ভ্রমন করতে চায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের চাইতে সবচেয়ে সামুদ্রিক সৌন্দর্য সুন্দর। সামুদ্রিক সৌন্দর্য দেখার জন্য মানুষ এখানে ভ্রমন করতে যায় আপনি চাইলে যেতে পারেন। তবে এপ্রিল মাস বা দু এক মাস পূর্বে থেকে মানুষজন যাওয়া শুরু করে। আপনি যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাসপোর্ট করতে হবে এবং ৩০ দিনের জন্য ভিসা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ভ্রমণ করার জন্য প্রায় ১০০ ডলারের মত খরচ হতে পারে।
বাংলাদেশের খুবই নিকটবর্তী এই দেশটি, তাই সবাই এখানে ভ্রমণ করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনিও যেতে পারেন। তবে আপনার পাসপোর্ট কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে এবং রিটার্ন টিকিট হোটেল বুকিং এর প্রমাণপত্র সহ আপনাকে আবেদন করতে হবে। মূলত টুরিস্ট ভিসা আবেদন করা লাগবে কিন্তু যদি কাজের ভিসার ক্ষেত্রে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কোম্পানির অনুমতি পত্র লাগবে, তাহলে আপনি কাজের জন্য যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে
অনেকে জানতে চায় যে বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে? মূলত এটা নির্ভর করবে আপনি কি কাজের জন্য যাচ্ছেন, যদি ভ্রমণ করতে যান তাহলে ভ্রমণ ভিসা লাগবে আর কাজ করতে চাইলে কাজের ভিসা লাগবে, সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ ভিন্ন হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মূলত এই দেশটি একটি দ্বীপ রাষ্ট্র বলা হয়ে থাকে, এই দেশ প্রায় অসংখ্য দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এখানে এই দ্বীপ গুলোতে মানুষজন বসবাস করে আর কিছু দ্বীপ রয়েছে যেগুলো পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় যা পর্যটন কেন্দ্রগুলো থেকে টাকা আসে সেই টাকা দিয়ে এই দেশটি চলে। এর মূল অর্থনীতির ভিত্তি হলো পর্যটন শিল্প।
তাই এই দেশটির সবচাইতে আকর্ষণ হল পর্যটন শিল্প যা সাধারণত লোকজন টুরিস্ট ভিসায় বেশি আবেদন করে থাকে। এছাড়াও অনেক কাজ রয়েছে, রিসোর্টে কাজ করা লাগে অথবা হোটেল গুলোতে কাজ করতে হয় অথবা হোটেল নির্মাণের ক্ষেত্রে কনস্ট্রাকশনের কাজ করা লাগে এই ধরনের কাজের জন্য বাংলাদেশের অনেক লোকজন যায়।
আপনি যদি কাজের ভিসার মাধ্যমে এ দেশটিতে যেতে চান সেক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ করতে হবে এবং সরকারি ও বেসরকারি দুটি ভাবেই আপনি ভিসা করতে পারবেন। চলুন, কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।
আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে খরচ হবে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে।
হোটেল ও রেস্টুরেন্টের কাজের জন্য অনেকেই গিয়ে থাকে অথবা ট্যুর গাইড, ড্রাইভিং ভিসা ইত্যাদি এই গুলো কাজের জন্য যেতে চান সেই ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগবে।
আপনি যদি নির্মাণ কাজের ভিসা করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে।
যদি আপনি কৃষি কাজের জন্য ভিসা করতে চান সে ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।
এছাড়াও এই দেশটিতে আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে সেই কাজগুলোর ভিত্তিতে যদি ভিসা করেন সর্বোপরি আপনার বিভিন্ন ধরনের কাজের উপর ভিসা করলে আপনার সর্বোচ্চ খরচ হতে পারে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত।
বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ বিমান ভাড়া কত
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের বিমানের মাধ্যমে আপনি যেতে পারবেন তাই বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ বিমান ভাড়া কত? এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, বিস্তারিতভাবে এই ভাড়া সম্পর্কে জানা যাক।
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি অনেক বিমান নিয়মিত যাতায়াত করে থাকে সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বিমান থাকে যার কারণে আপনার বিমানের কোয়ালিটির উপর নির্ভর করবে। বিভিন্ন ধরনের বিমানগুলো বিভিন্ন রুটে চলাফেরা করে সে ক্ষেত্রে ভাড়ার ক্ষেত্রে কম বেশি হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি যদি এই দেশে যেতে চান সে ক্ষেত্রে বিমান ভাড়া গুলো একটু বেশি খরচ হতে পারে। চলুন কোন বিমানে কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সঃ এর মাধ্যমে যেতে চান সেক্ষেত্রে ইকোনমিক ক্লাস ভাড়া হবে ৩৪ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ৫২৯০০ টাকার মত। তাছাড়া যদি আপনি বিজনেস ক্লাসের বিমানে যেতে চান সেক্ষেত্রে ভাড়া হবে ৬৭ হাজার ৭৮০ টাকা থেকে শুরু করে ৯২ হাজার ৯০০ টাকার মত লাগতে পারে
ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্সঃ আপনি যদি এই বিমানের মাধ্যমে যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার ভাড়া পড়বে ইকোনমিকাল ক্লাস বিমানের ভাড়া হবে ৩২ হাজার ৩৮০ টাকা থেকে শুরু করে ৪৬৪৯০ টাকার মত। এ বিমানের ক্লাসিক্যাল বিজনেস সিট পাওয়া যায় না।
কাতার এয়ারওয়েজঃ এই বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ ইকোনমিকাল ক্লাসিক ভাড়া পড়বে ৩৫ হাজার ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০ হাজার ৫০ হাজার টাকা এবং বিজনেস ক্লাসিক ভাড়া হবে ৯৮ হাজার ৯০ টাকা থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা মত খরচ হতে পারে।
মালদ্বীপ এয়ারওয়েজঃ এই বিমানের মাধ্যমে যদি যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ইকোনোমিকাল ক্লাসিক ভাড়া পড়বে ৩৯ হাজার ৯৮৭ টাকা থেকে শুরু করে ৫৭ হাজার ৬০০ টাকার মত। আর বিজনেস ক্লাসের ভাড়া হবে ৭৩ হাজার ৯০ টাকা থেকে শুরু করে ৯২৭০০ টাকার মতো।
শ্রীলংকান এয়ারওয়েজঃ এই বিমানের ক্লাসিক ভাড়া হবে ৩৭ হাজার ৯০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪৮ হাজার ৭১০ টাকার মত এবং বিজনেস ক্লাসের ভাড়া হবে ৬৫ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৯০ হাজার ৮০০ টাকার মত।
বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে এই বিমানের মাধ্যমে ইকোনোমিকাল ক্লাসের ভাড়া হবে ৩৭ টাকা থেকে শুরু করে ৪৮ হাজার ৫০০ টাকার মত এবং বিজনেস ক্লাসের ভাড়া হবে ৬৯ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ৯৯ হাজার টাকার মত
মালদ্বীপ বেতন কত
বাংলাদেশ থেকে অনেক লোকই মালদ্বীপ যাচ্ছে বিভিন্ন কাজের জন্য তাই মালদ্বীপ বেতন কত? বিভিন্ন কাজের উপর নির্ভর করবে মালদ্বীপরে বেতন নির্ভর করে সে ক্ষেত্রে কোন কাজের কত বেতন। চলুন জানা যাক।
বিভিন্ন কাজের ক্যাটাগরি রয়েছে আপনি কোন কাজ করবেন তার ওপর নির্ভর করবে আপনার বেতন। চলুন যে কাজগুলো গুরুত্ব রয়েছে সে সম্পর্কে জানা যাক এবং বেতন সম্পর্কে জানা যাক।
আপনি যদি তথ্যপ্রযুক্তি বা আইটি সেক্টরে অভিজ্ঞতা থাকে সে ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকার মত।
আপনার যদি স্বাস্থ্য সেক্টরের অভিজ্ঞতা থাকে বা কাজ জানা থাকে সেই ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মতো বেতন পাবেন।
এছাড়া এই দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য লোক নিয়ে থাকে, বাংলাদেশের লোকজন সাধারণ যে সকল কাজগুলো করে থাকে তার মধ্যে যেমন রিসোর্ট, গাইড, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, হোটেলের ওয়েটার এরপরের হোম ডেলিভারি, দোকানের কাজ রেস্টুরেন্টের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মী এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে এইগুলো কাজের জন্য আপনি সর্বনিম্ন ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মত বেতন পেতে পারেন।
এছাড়াও এই দেশটিতে আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তারপর ভিত্তি করে আপনার অনেক টাকাই বেতন পেতে পারেন যেমন
আপনি যদি রিসিপশনিস্ট হিসেবে কাজ করেন সেক্ষেত্রে বেতন পাবেন মাসে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মত।
হোটেলের শেফ হিসেবে যদি কাজ করেন সেক্ষেত্রে আপনার বেতন আসবে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মত।
এছাড়াও হাউস কিপিং স্টাফ হিসাবে কাজ করেন মাসে ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার মতো বেতন পেতে পাবেন।
হোটেলের ওয়েটার হিসেবে যদি কাজ করেন সে ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন পাশাপাশি কিছু টিপস পেলে আপনার প্রায় লাখ টাকার মতো বেতন হতে পারে।
মালদ্বীপ যেতে কি কি লাগে
আপনি যদি মালদ্বীপ কাজের জন্য বা বিভিন্ন ভিসার জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগতে পারে। তাই মালদ্বীপ যেতে কি কি লাগে? সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।চলুন যে কাগজগুলো লাগতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।
বেশির ভাগ লোক এ দেশে সাধারণত ভ্রমণ করার জন্য যায় সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কিছু কাগজপত্র লাগে কিন্তু যদি আপনি কাজের ক্ষেত্রে যান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আরো কিছু ডকুমেন্টস লাগবে। চলুন সেই কাগজপত্র গুলো আপনার নিজের সংগ্রহ করতে হবে সে অনুযায়ী অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন।এরপর আপনি ভিসা পাবেন তারপরে চলে যাবেন।
আপনি নিম্নোক্ত কাগজগুলো অবশ্যই সংগ্রহ করে রাখবেন, না হলে আবেদনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বেন। চলুন, যে সকল কাগজ গুলো সংগ্রহ করবেন সে কাগজগুলো সম্পর্কে জানা যাক।
- অবশ্যই আপনার বৈধ পাসপোর্ট লাগবে এবং ছয় মাস মেয়াদ থাকতে হবে
- জাতীয় পরিচয় পত্র বাধ্যতামূলক প্রয়োজন
- জন্ম নিবন্ধন কার্ডের আসল কপি লাগবে
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন প্রতি ছবি লাগবে
- মেডিকেল রিপোর্ট অবশ্যই প্রয়োজন
- পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে
- ভিসা তৈরির জন্য যা আবেদন ফরম রয়েছে সেটাও প্রয়োজন
- ব্যাংকের স্টেটমেন্ট লাগবে
- এছাড়াও করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
মালদ্বীপের বিষয়ে কিছু FAQ প্রশ্ন সম্পর্কে জানুন
মালদ্বীপ যেতে কত বছর বয়স লাগে?
আপনি যদি এই দেশটাতে যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট লাগবে এবং আপনার অবশ্যই বয়স হতে হবে সে ক্ষেত্রে ১৮ বছর বয়স হতে হবে।
মালদ্বীপ টাকার মান কত?
এ দেশের এক টাকা সমান বাংলাদেশের ৭.১৪ টাকার মতো
বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি এই দেশে যেতে চান সেক্ষেত্রে বিমানের মাধ্যমে গেলে ৫ ঘন্টার মত লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে এ দেশটিতে দূরত্ব প্রায় ২৯২৭ কিলোমিটার এর মতো।
মালদ্বীপের খাবারের দাম কেমন?
এদেশটিতে খাবারের দাম একটু ব্যয়বহুল তবে আপনার খাবারের ধারণা অনুযায়ী নির্ভর করবে সে ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ১০০ ডলারের মধ্যেও খাওয়া লাগতে পারে।
উপসংহারঃ বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমণ খরচ কত টাকা [আপডেট জানুন]
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি মালদ্বীপ যেতে চান সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ভিসা রয়েছে। তার ওপর নির্ভর করবে কত টাকা লাগতে পারে। তবে ভ্রমণ ভিসা মানুষজন বেশি গিয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপ ভ্রমণ খরচ সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনার উপকার হবে পোস্টটি ভাল লাগলে আপনার বন্ধু বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url